বাস্তিল দুর্গের পতন ও তার গুরুত্ব

 ফরাসি বিপ্লবের ইতিহাসে ১৭৮৯ খ্রিঃ জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত সময়কাল জনতা ও কৃষক বিদ্রোহের যুগ নামে পরিচিত। এই পর্বে বিক্ষুব্ধ জনতার দ্বারা সংঘটিত ঘটনাবলীর মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো - বাস্তিল দুর্গের পতন। ১৪ জুলাই ১৭৮৯ খ্রিঃ প্যারিসের এক বিক্ষুব্ধ জনতা বাস্তিল দুর্গ আক্রমন করেছিলো

বাস্তিল দুর্গের পতন ও তার গুরুত্ব
বাস্তিল দুর্গের পতন ও তার গুরুত্ব 

(ক.) বাস্তিল দুর্গ আক্রমণের প্রেক্ষাপট ও কারন :-

ফ্রান্সে বাস্তিল দুর্গ আক্রমণের প্রেক্ষাপট ও কারন ছিলো বহুমুখী। 

প্রথমত, ১৭৮৯ খ্রিঃ ২৭ শে জুন রাজা ষোড়শ লুই তৃতীয় সম্প্রদায়ের মাথা পিছু ভোট ও যৌথ অধিবেশন এবং সংবিধান রচনার দাবি মেনে নিলে বুর্জোয়া বিপ্লব সফল হয়। বুর্জোয়া বিপ্লবের সাফল্যে সারা ভার্সাই নগরীকে আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হলেও, তৃতীয় সম্প্রদায়ের বুর্জোয়া নাগরিকদের এই জয়কে রাজা ও অভিজাতরা খোলা মনে মেনে নিতে পারেন নি। 

দ্বিতীয়ত, স্টেটস জেনারেলে রাজা ও অভিজাতদের সঙ্গে মধ্যবিত্ত বুর্জোয়াদের সমান অধিকারের প্রশ্নে যখন প্রচন্ড বাগবিতন্ডা চলছিলো, তখন প্যারিসের অবস্থা অত্যন্ত অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিলো। বিপ্লবের একবছর আগে কৃষিতে মন্দা ও মড়ক ফ্রান্সে প্রবল খাদ্যাভাব সৃষ্টি করে। বিপ্লবপূর্ব সময়কালে মুদ্রাস্ফীতি, মজুরি না বাড়া এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সংকটকে বহুগুন বাড়িয়ে দেয়। এইসময় গ্রাম থেকে হাজারে হাজারে দুর্ভিক্ষ পীড়িত মানুষ খাদ্যের দাবিতে প্যারিসে সমবেত হয় ও বিক্ষোভ দেখায়।

তৃতীয়ত, বিপুল পরিমাণ জনতার আগমনে প্যারিসের জনবিন্যাসে বদল ঘটে। প্যারিস নগরীর স্থায়ী লোকসংখ্যা ছিলো প্রায় ৭ লক্ষ। কিন্তু অগনিত দরিদ্র, বুবুক্ষ, কৃষক, শ্রমিক সর্বহারা জনতার আগমনের ফলে একধাক্কায় প্যারিসের লোকসংখ্যা বহুগুন বেড়ে যায়। এর ফলে খাদ্যের অভাব প্রবলভাবে দেখা দিলে বিক্ষুব্ধ জনতা রুটির দাঙ্গা শুরু করে এবং খাবারের দোকানে লুঠপাট শুরু করে দেয়।

চতুর্থত, এই সময় রাজা ষোড়শ লুই শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেনাদের সরিয়ে এনে প্যারিসে মোতায়েন করেন। এমনকি শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে রাজা জার্মান, সুইস্ প্রভৃতি বিদেশী সেনা আমদানি করলে প্যারিসের নাগরিক ও বুর্জোয়া প্রতিনিধিরা অত্যন্ত আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। ১৭৮৯ খ্রিঃ রাজা ষোড়শ লুই জনপ্রিয় মন্ত্রী নেকারকে পদচ্যুত করে এক প্রতিক্রিয়াশীল মন্ত্রীসভা গঠন করলে তৃতীয় সম্প্রদায়ের মনে রাজার গোপন অভিসন্ধি সম্পর্কে সন্দেহ তৈরি হয়। তাদের মনে হয়, রাজা হয়তো কোন রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পূর্ব প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

পঞ্চমত, এই সময় বিক্ষুব্ধ ক্ষুধার্ত জনতার রাগকে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে চালনা করার ক্ষেত্রে বুর্জোয়া নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। পেট্রিয়ট দলের অন্যতম নেতা ক্যামিল ডেসমোলিন, জাঁ পল ম্যারাট প্রমুখরা অগ্নিঝরা বক্তৃতা দ্বারা প্যারিসের জনতাকে ক্ষিপ্ত করে তোলেন। একদিকে রাজনৈতিক প্রচার অন্যদিকে প্যারিস শহরের চর্তুদিকে সৈন্যবাহিনীর দাপাদাপি যে আতঙ্ক ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির জন্ম দেয়, তা থেকে আত্মরক্ষার জন্য জনতা হিংসার পথকে বেছে নেয়। রাজকীয় সৈন্যের প্রতিরোধের জন্য বিক্ষুব্ধ জনতা রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়।

ষষ্ঠত, রাজতন্ত্রের সঙ্গে সংঘাত অনিবার্য উপলব্ধি করে উত্তেজিত জনতা প্যারিসের আগ্নেয়াস্ত্রের দোকান ও অস্ত্র তৈরির কারখানা গুলি লুন্ঠন করে বহু অস্ত্র সংগ্রহ করে। বিপ্লবী জনতা সেন্ট লাজারের মঠ আক্রমন করেও বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করে। ১৪ ই জুলাই সকালবেলা অ্যাঁভালিদ (Invalides) থেকে বিদ্রোহীরা ৩২ হাজার বন্দুক লুন্ঠন করে। এইসময় গুজব ছড়ায় বাস্তিল দুর্গে বহু অস্ত্র মজুত আছে। মূলত অস্ত্র সংগ্রহের উদ্দেশ্যেই বিপ্লবী জনতা ১৪ ই জুলাই বাস্তিল দুর্গ অভিমুখে ছুটে যায়।

সপ্তমত, বাস্তিল দুর্গ আক্রমণের সবথেকে বড়ো কারন ছিলো জনগনের রাজনৈতিক ক্ষোভবুরবোঁ রাজতন্ত্রের দমননীতি ও স্বৈরতন্ত্রের প্রতীক ছিলো বাস্তিল দুর্গলেত্র দ্য ক্যাশে নামক গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সাহায্যে রাজতন্ত্রের বিরোধী যেকোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বিনা বিচারে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস্তিল দুর্গে বন্দি করে রাখা হতো। এজন্য বিপ্লব পূর্ব সময়কালে বাস্তিল দুর্গ রাজনৈতিক কারগারে পরিনত হয়েছিলো। দার্শনিক ভলতেয়ারও রাজতন্ত্রের বিরোধিতা করার জন্য বাস্তিল দুর্গে বন্দি ছিলেন। বিদ্রোহীরা স্বৈরাচারী রাজতন্ত্রের শোষন, অত্যাচার এবং অস্ত্রশক্তির মূল উৎস হিসাবে বাস্তিল দুর্গকে চিহ্নিত করেছিলেন। বাস্তিল দুর্গ আক্রমণ করে তাই স্বৈরাচারী রাজতন্ত্রের মেরুদন্ডকে ভেঙ্গে ফেলার উদ্দেশ্যেই উত্তেজিত জনতা বাস্তিল দুর্গ আক্রমন করেছিলো।

(খ.) বাস্তিল দুর্গ আক্রমণের বিবরন :- 

১৭৮৯ খ্রিঃ ১৪ ই জুলাই বিকেলে প্যারিসের প্রায় আশি হাজার উন্মত্ত জনতা বাস্তিল দুর্গের দিকে এগিয়ে যায়। বাস্তিল দুর্গের কারারক্ষীদের হত্যা করে বিপ্লবী জনতা দুর্গের দখল নেয়। বাস্তিলের গভর্নর দ্য লোনেকে বিদ্রোহীরা হত্যা করে বাস্তিল দুর্গে বন্দী ৭ জন ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। বাস্তিলে কিছু অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুদ করা হয়েছিলো। এগুলি সবই বিদ্রোহী জনতার হস্তগত হয়। বাস্তিল দুর্গ দখল নেওয়ার পর বিদ্রোহী জনতা দুর্গে অগ্নিসংযোগ করে তা ধ্বংস করে দেয়। 

ষোড়শ লুই বাস্তিল দুর্গের পতনের সংবাদ পেয়ে তার ঘনিষ্ঠ এক অনুগামীর কাছে বলেন - "That is a Revolt." ঘনিষ্ঠ অনুগামীটি এর প্রত্যুত্তরে লুইকে বলেছিলেন - "Sire, it is not a Revolt, it is a Revolution."

(গ.) বাস্তিল দুর্গ পতনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব :-

বাস্তিল দুর্গের পতনের সামরিক গুরুত্ব ছিলো খুবই সামান্য, কিন্তু এর রাজনৈতিক গুরুত্ব ছিলো অসাধারণ। যেমন -

(১.) বাস্তিল দুর্গ ছিলো স্বৈরাচারী বুরবোঁ রাজবংশের অত্যাচার ও স্বৈরশাসনের প্রতীক। এখানে বিনা বিচারে মানুষদের বন্দি করে রাখা হতো। বাস্তিল দুর্গের পতনের প্রতীকি মূল্য ছিলো অপরিসীম। বাস্তিল দুর্গের পতন স্বৈরাচার ও পুরাতন সমাজের পতনকে অবশ্যম্ভাবী ও অনিবার্য করে তুলেছিলো। 

(২.) সম্মিলিত বিপ্লবী জনতার বাস্তিল দুর্গ আক্রমণের ঘটনা ছিলো স্বৈরাচারী রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক বলিষ্ঠ প্রতিবাদ। বিপ্লবপূর্ব ফ্রান্সে অভিজাতদের বেশিরভাগই বাস করতো প্যারিস শহরে। বাস্তিলের পতনে রাজা ও অভিজাতদের মনে প্রবল আতঙ্ক তৈরি হয়। রাজা ও অভিজাত - দুজনেরই মনোবল ভেঙ্গে পড়ে। 

(৩.) বাস্তিলের পতনের পর বোঝা যায়, প্যারিসের ওপর রাজার কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। বিপ্লবী জনতার আক্রশ দেখে এইসময় অভিজাতরা ফ্রান্সকে আর নিরাপদ মনে করেন নি। প্রানভয়ে তারা দলে দলে  দেশ ত্যাগ করে ইংল্যান্ডে চলে যান। তাই বলা হয়, ফ্রান্সে সামন্ততন্ত্র ও অভিজাততন্ত্র ভাঙ্গনের পথকে বহুলাংশে প্রশস্ত করে দিয়েছিলো বাস্তিল দুর্গের পতন।

(৪.) বাস্তিল দুর্গ আক্রমনকারী জনতার রুদ্র রোষ এবং হিংসাত্মক মনোভাব দেখে রাজা ও তার সভাসদরা ভীষন ভাবে আতঙ্কিত হয়ে যান। জাতীয় সভাকে বলপূর্বক ভেঙ্গে দেবার ইচ্ছা রাজা ত্যাগ করেন। বাস্তিলের পতন রাজপন্থীদের মধ্যে যে ত্রাস সঞ্চার করে তার ফলে জাতীয় সভা স্থায়িত্ব লাভ করে এবং প্রতিআক্রমন থেকে "বুর্জোয়া বিপ্লব" রক্ষা পায়। 

(৫.) বাস্তিলের পতন এবং প্যারিসে বিপ্লবী জনতার অভ্যুত্থানে রাজা শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করেন। রাজা নেকারকে পুনরায় মন্ত্রীপদে নিযুক্ত করেন। রাজা প্যারিস থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেন। উপরন্তু জনতার সাফল্যে আতঙ্কিত রাজা প্রাচীন প্রাসাদ সেন্ট ক্লাদ থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করে নেন। রাজা ষোড়শ লুই জাতীয় সভাকেও স্বীকৃতি দান করেন। এককথায় বাস্তিলের পতন জাতীয় সভাকে শক্তিশালী করে তোলে। 

(৬.) বাস্তিলের পতনের পর রাজদরবারের অভিজাতদের সব চক্রান্তও ভেঙ্গে পড়ে। প্যারিসের আতঙ্কিত অভিজাতরা দলে দলে দেশ ত্যাগ করেন। অন্যদিকে প্যারিসের জনতার অভ্যুত্থান ও বাস্তিলের পতনের সংবাদে গ্রামাঞ্চলে কৃষকদের মধ্যেও প্রবল উৎসাহের সঞ্চার করে। সেখানে হাজারে হাজারে কৃষক - জনতা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে গ্রামীন সামন্তপ্রভু ও অভিজাতদের আক্রমন করে। প্রানরক্ষার জন্য ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ১৭৮৯ খ্রিঃ ৪ ই আগস্ট সামন্তশ্রেনী ও যাজকগন স্বেচ্ছায় নিজেদের সামন্ততান্ত্রিক অধিকার গুলি ত্যাগ করেন। 

(৭.) বাস্তিল দুর্গের পতনের পরেই প্যারিসের শাসনভার ও নিয়ন্ত্রন বুর্জোয়াদের হাতে চলে যায়। বিপ্লবী জনতা যেভাবে লুঠতরাজ ও আক্রমন শুরু করেছিলো, তা থেকে নিজেদের সম্পদ ও সম্পত্তি রক্ষায় বুর্জোয়ারা প্যারিসের শাসন ক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেয়। তারা প্যারিস কমিউন গঠন করে প্যারিসে পৌরশাসন পরিচালনা শুরু করে। বেইলিকে প্যারিসের মেয়র পদে বসানো হয়। ক্রমে প্যারিসের অনুকরনে অন্যান্য শহর গুলিতে কমিউন গড়ে ওঠে। এর ফলে ফ্রান্সে পৌর বিপ্লব শুরু হয়ে যায়। পৌরসভা গুলি শাসনের সব ক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেয়। ইনটেনডেন্টদের পদচ্যুত করা হয়। ফ্রান্সের শাসন ব্যবস্থায় বিকেন্দ্রীকরন ধারার সূচনা ঘটে। 

(৮.) বাস্তিল দুর্গের পতনের পর প্যারিসকে রক্ষা করার জন্য জাতীয় রক্ষী বাহিনীও গঠন করা হয়। লাফায়েতকে প্রধান সেনাপতি পদে নিযুক্ত করা হয়। এইভাবে সামরিক ও শাসনতান্ত্রিক - সব দিক থেকেই প্যারিসে বুর্জোয়াদের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠিত হয়। এককথায় বলতে গেলে প্যারিসের সমগ্র নিয়ন্ত্রন বাস্তিল দুর্গের পতনের পর বুর্জোয়াদের হাতে চলে যায়। 

(৯.) বাস্তিল দুর্গের পতন স্বৈরাচারী রাজতন্ত্রকে দুর্বল করে দিয়েছিলো এবং বুর্জোয়াদের উত্থান ও আধিপত্যের পথকে সুনিশ্চিত করে দিয়েছিলো। এটি ফ্রান্সে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিকাশে বিশেষভাবে সাহায্য করেছিলো। 

(১০.) বাস্তিল দুর্গের পতন শুধু ফরাসি বিপ্লব নয়, ফ্রান্সের জাতীয় জীবনেও গভীর রেখাপাত করে। বাস্তিলের পতনের দিনটি ঐতিহাসিক মূল্যের জন্য ফ্রান্সে "জাতীয় দিবস" হিসাবে পালিত হয়। ঐ দিন রাজ পতাকার পরিবর্তে ফ্রান্সে বিপ্লবী সাদা নীল ও রক্তবর্ন লাল নতুন পতাকাকে জাতীয় পতাকা হিসাবে গ্রহণ করা হয়। 

বাস্তিল দুর্গের পতনের এতগুলি গুরুত্বের দিকের কারনে ঐতিহাসিক গুডউইন যথার্থই বলেছেন, বাস্তিলের পতনের মতো বিপ্লবের আর কোন একক ঘটনার এত বহুমুখী সুদূরপ্রসারী ফল ছিলো না। এককথায় বাস্তিলের পতন ফ্রান্সে - (ক.) স্বৈরতন্ত্রের পতন ঘটিয়েছিলো, (খ.) রাজার স্বৈরাচারকে দুর্বল করেছিলো। (গ.) অভিজাততন্ত্র ও সামন্ততন্ত্রের পতন ও বিপর্যয়কে অবশ্যম্ভাবী করে তুলেছিলো। (ঘ.) বিপ্লবে বুর্জোয়াদের আধিপত্যের পথকে সুনিশ্চিত ও নিষ্কন্টক করেছিলো। 

একঝলকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :- 

  1. বাস্তিল দুর্গের পতন ঘটে - ১৭৮৯ খ্রিঃ ১৪ ই জুলাই। 
  2. বাস্তিল দুর্গের গভর্নর ছিলেন - দ্য লোনে। 
  3. বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সে রাজনৈতিক কারগার বলা হতো - বাস্তিল দুর্গকে।
  4. প্যারিস কমিউনের মেয়র ছিলেন - বেইলি। 
  5. প্যারিসে জাতীয় রক্ষী বাহিনী গঠন করা হয় - লাফায়েতের নেতৃত্বে। 
  6. বাস্তিল দুর্গ আক্রমণের সময় বাস্তিল দুর্গে বন্দি ছিলেন - ৭জন।
  7. বাস্তিল দুর্গের পতনের জুর্নে বা বিপ্লবী দিনটি ফরাসি বাসীরা - জাতীয় দিবস হিসাবে পালন করে। 


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post