বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সের কর ব্যবস্থার পরিচয়

বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সে প্রচলিত কর ব্যবস্থা নিয়ে সাধারন মানুষের মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষোভ ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিলো। কর ব্যবস্থার নানা ত্রুটি - বিচ্যুতি বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সের অর্থনৈতিক সংকটকে তীব্র করে তুলে ছিলো যা ফরাসি বিপ্লবের প্রত্যক্ষ কারন ছিলো। 

বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সে কর ব্যবস্থার পরিচয়
বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সে কর ব্যবস্থার পরিচয় 

(ক.) কর কাঠামো :-

বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সের সমাজ তিনটি ভাগে বিভক্ত ছিলো। প্রথম শ্রেনীতে ছিলো যাজকরা, দ্বিতীয় শ্রেণীতে ছিলো অভিজাতরা এবং তৃতীয় শ্রেনীতে ছিলো যাজক, অভিজাত বাদে সাধারন শ্রেনীর নাগরিকরা। সমাজে প্রথম দুই শ্রেনীর লোকেরা ছিলেন বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন ও সুবিধাভোগী, অন্যদিকে শেষের সম্প্রদায়ের মানুষেরা বিশেষ সুবিধাহীন ও অধিকারহীন ছিলেন। ফ্রান্সের প্রচলিত সামাজিক মর্যাদা ও কাঠামোকে অনুসরন করেই ফ্রান্সের কর কাঠামোকে বিন্যস্ত করা হয়েছিলো। 

বিপ্লবপূর্ব ফ্রান্সে দুই ধরনের কর প্রচলিত ছিলো। যথা - প্রত্যক্ষ কর ও পরোক্ষ কর। এই দুটি কর ছাড়াও আরোও অসংখ্য সামন্ততান্ত্রিক কর প্রচলিত ছিলো। 

(১.) বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে থাকা যাজক ও অভিজাতদের হাতে পর্যাপ্ত জমি, সম্পদ ও আয় ছিলো। কিন্তু বংশকৌলিন্য ও বিশেষ অধিকারভোগী হওয়ার কারনে তাদের ওপর রাষ্ট্র কোন প্রত্যক্ষ কর বসায় নি।

(২.) প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যাবতীয় সিংহভাগ করভারই চাপানো হয়েছিলো তৃতীয় সম্প্রদায়ের ওপর। 

(৩.) অন্যদিকে সামন্ততান্ত্রিক বিভিন্ন কর গুলি বসানো হয়েছিলো কৃষকদের ওপর। 

বৈষম্যমূলক কর কাঠামোর কারনে ফ্রান্সের মোট করের ৯৬ শতাংশই বহন করতেন তৃতীয় সম্প্রদায়ের মানুষেরা। বাকি মাত্র ৪% কিছু স্বেচ্ছাকর প্রদান করতেন প্রথম শ্রেনীতে থাকা যাজক ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে অভিজাত সম্প্রদায়ের মানুষেরা।

(খ.) বিভিন্ন করের ধরন ও পরিচয :-

বিপ্লব পূর্ববর্তী ফ্রান্সের করগুলি দুই ভাগে বিভক্ত ছিলো। যথা - প্রত্যক্ষ কর ও পরোক্ষ কর। এছাড়াও ছিলো বিভিন্ন সামন্ততান্ত্রিক উপকর। 

(i.) মূল ৩ টি প্রত্যক্ষ কর :- 

ফ্রান্সে প্রত্যক্ষ কর ছিলো ৩ টি। এগুলি হলো - তেইলি বা ভূমিকর, ক্যাপিটেশন বা উৎপাদন কর এবং ভিংটিয়েমে বা ব্যবসা ও জমি থেকে অর্জিত আয়কর।  প্রত্যেকটি প্রত্যক্ষ করই তৃতীয় সম্প্রদায়ের নাগরিকদের কাছ থেকে আদায় করা হতো। যাজক ও অভিজাতরা কোন প্রত্যক্ষ কর দিতো না। 

(ii.) বিভিন্ন পরোক্ষ কর :- 

প্রত্যক্ষ কর ছাড়া আর যেসমস্ত কর তৃতীয় সম্প্রদায়কে দিতে হতো তা পরোক্ষ কর নামে পরিচিত ছিলো। পরোক্ষ কর গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো - 

  • (১.) টাইথ বা ধর্মকর, এটি চার্চ আদায় করতো। এর পরিমান ছিলো উৎপন্ন ফসলের ১/১০ ভাগ।
  • (২.) গ্যাবেল বা লবনের ওপর ধার্য কর। 
  • (৩.) এডস বা ভোগ্যপন্য, মাদকদ্রব্য, তামাক প্রভৃতির ওপর ধার্য বানিজ্যকর। 
  • (৪.) রেয়ল বা স্থাবর সম্পত্তি ভিত্তিক কর। 
  • (৫.) পার্সোনেল বা ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলে সম্পত্তির আয়ের ওপর কর। 

(iii.) বিভিন্ন সামন্ততান্ত্রিক উপকর :- 

সামন্ততান্ত্রিক আইন অনুসারে সামন্তপ্রভু অনেক প্রকার ভেট বা উপঢৌকন পাওয়ার অধিকারী ছিলেন। এই ভেট গুলিই ছিলো বিভিন্ন সামন্ততান্ত্রিক উপকর, যা সামন্তপ্রভুরা কৃষকদের কাছ থেকে আদায় করতেন। 

ফ্রান্সে পরোক্ষ কর কাঠামোর মধ্যেই সামন্ততান্ত্রিক উপকর গুলি অন্তর্ভূক্ত ছিলো। এগুলি সাধারণ ভাবে কৃষকদেরই দিতে হতো। এইসব সামন্ততান্ত্রিক উপকর গুলির মধ্যে ছিলো - 
  • (১.) বানালিতে - সামন্তপ্রভুর কলে গম, যব ভাঙানো বা মদ তৈরির জন্য উৎপাদিত শস্যের একটি নির্দিষ্ট অংশের কর হিসাবে কৃষকদের প্রদান করতে হতো, যা বানালিতে নামে পরিচিত ছিলো। 
  • (২.) পেঁয়াজ - পথ, ঘাট, সেতু ও খেয়াঘাটের ওপর নির্ধারিত কর পেঁয়াজ নামে পরিচিত ছিলো। 
  • (৩.) দ্রোঁয়া দ্য কলব্রিয়ে এ দ্য শাঁস - ম্যানরে জীবজন্তু ও মাছ শিকার করার জন্য সামন্তপ্রভুকে দেয় কর এই নামে পরিচিত ছিলো। 
  • (৪.) স্যামপার্ট - সামন্তপ্রভুকে দেয় উৎপন্ন ফসলের একটি অংশ স্যামপার্ট নামে পরিচিত ছিলো। 
  • (৫.) ম্যানরের ভূমিচাষের জন্য কৃষকদের সামন্তপ্রভুকে কয়েকটি বাধ্যতামূলক কর দিতে হতো। এগুলি হলো - (ক.) সঁস - ম্যানরের জমি চাষের জন্য মুদ্রায় দেয় বাৎসরিক খাজনা বা কর, (খ.) শঁপার - উৎপাদিত ফসলের দেয় অংশ, যা কর হিসেবে সংগৃহীত হতো। (গ.) ত্যারাজ - পথঘাট ব্যবহারের জন্য কর। 
  • (ঘ.) লঁদ এ ভঁত - মৃত্যুর পর জমি বিক্রয় বা হস্তান্তর করলে কৃষকরা সামন্তপ্রভুকে "লঁদ এ ভঁত" কর দিতে বাধ্য ছিলো। 
  • (৬.) করভি - বেগার শ্রমের নাম ছিলো করভি। অষ্টাদশ শতকে ফ্রান্সে নতুন রাস্তাঘাটের নির্মান হয়। ফলে কায়িক শ্রমের গুরুত্ব বাড়ে। বিনা পরিশ্রমিকে কৃষক ও শ্রমিকদের রাস্তা তৈরি ও সামন্তপ্রভুর বাড়িতে বা খাস জমিতে কাজ করার জন্য যে শ্রমদান করতে হতো, তাই করভি নামে পরিচিত ছিলো। করভি প্রত্যক্ষভাবে কোন কর না হলেও, করের থেকে কোন অংশে কম ছিলো না। 

(গ.) কর আদায়ের পদ্ধতি :- 

বুরবোঁ রাজাদের কর ব্যবস্থা পরিচালনা করার জন্য কোন নির্দিষ্ট কর বিভাগ ছিলো না। রাজা নিজে কর্মচারীদের মাধ্যমে কর ধার্য ও সংগ্রহের ব্যবস্থা করতেন না। কর আদায়ের জন্য রাজারা কন্ট্রাকটর নিযুক্ত করতেন, যাদের বলা হতো ফারমিয়ের জেনারেল। সাধারনত নিলামের মাধ্যমে কর আদায়ের ব্যবস্থা করা হতো। নিলামদাররা আবার কর আদায়ের জন্য ঠিকাদারদের নিযুক্ত করতেন। 

সাধারনত ফারমিয়ের জেনারেলরা করের ইজারা নিয়ে ঠিকাদার ও ফাটকাবাজদের সাহায্যে কর আদায়ের ব্যবস্থাটি করতেন। কর স্থাপন ও সংগ্রহের সব কাজটিই করতো ফারমিয়ের জেনারেলরা। বিপ্লবপূর্ব ফ্রান্সে নিলাম বা ইজারাদারির মাধ্যমে কর সংগ্রহের ব্যবস্থা প্রচলিত থাকায় একদিকে বিভিন্ন মধ্যসত্ত্বভোগীরা করের একটা অংশ যেমন আত্মসাৎ করে নিতেন, তেমনি ইজারাদারদের ধার্য করের থেকেও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ে কৃষকরা ভীষনরকম ভাবে শোষিত হতো। 

ফ্রান্সের পরোক্ষ করগুলি সংগ্রহ করতেন ত্রেঁত ও এলু নামে কর্মচারীগন। ত্রেঁতরা সরাসরি এবং এলুরা স্থানীয় ব্যক্তিদের সাহায্যে কর সংগ্রহ করতেন। অন্যদিকে ফ্রান্সের অভ্যন্তরে অসংখ্য শুল্ক চৌকি ছিলো, যেখান থেকে বানিজ্যকর(অ্যাদ) আদায় করা হতো। 

(ঘ.) কর ছাড়ের সুবিধা :- 

বিপ্লবপূর্ব ফ্রান্সে করভার সকলের ওপর বা সব অঞ্চলের ওপর সমান ছিলো না। 

(১.) সুবিধাভোগী যাজক ও অভিজাতরা রাষ্ট্রের মোট কৃষিজমির যথাক্রমে ১/৫ ও ১/৩ অংশ ভোগদখল করলেও, এর জন্য রাষ্ট্রকে তারা ভূমিকর তেই দিতো না। 
(২.) তেই ছাড়া বিশেষ সামাজিক মর্যাদার অধিকারবলে যাজক ও অভিজাত সম্প্রদায় সম্পত্তিকর ভাঁতিয়েম ও উৎপাদন কর ক্যাপিটেশন থেকেও নিষ্কৃতি পেতেন। এছাড়া, 
(৩.) রাজা রানীর বহু অনুগত কর্মচারী ও আত্মীয়স্বজনও করপ্রদান থেকে অব্যাহতি বা ছাড় পেতেন। 
(৪.) ফ্রান্সের "পুরানো ব্যবস্থা" অনুযায়ী যাজকরা দেসিম ও ১৫৬১ খ্রিঃ "কনট্রাক্ট অব পোইসি বা পোইসির চুক্তি অনুযায়ী" বেনোভলেন্স" নামে একধরনের স্বেচ্ছাকর ছাড়া অন্য কোন কর সরকারকে দিতো না। অভিজাতরাও অনুরূপ সুবিধা পেতেন। 
(৫.) করের ক্ষেত্রে শহরবাসী উচ্চ বুর্জোয়া শ্রেনী কয়েকটি সুযোগ সুবিধা পেতেন। যেমন প্যারিস, তুর ও বোর্দোর বুর্জোয়াদের ভূমিকর তেই দিতে হতো না। প্যারিসের বুর্জোয়াদের বানিজ্য শুল্ক অ্যাদ দিতে হতো না। 

(ঙ.) কর ব্যবস্থার ত্রুটি ও ফলাফল :- 

বিপ্লবপূর্ব ফ্রান্সের কর ব্যবস্থার মধ্যে বেশ কিছু ত্রুটির দিক লক্ষ্য করা যায়। যেমন - 

(১.) সম্পদ অনুযায়ী কর আরোপিত হলে করদাতার ওপর করভার অনেক সহনীয় হয়। কিন্তু ফ্রান্সে আর্থিক সম্পদের বদলে সামাজিক মর্যাদার তারতম্যের ভিত্তিতে কর আরোপ করা হয়, যা শুধু অবৈজ্ঞানিকই শুধু ছিলো না, ভ্রান্তও ছিলো। 

(২.) মোট কৃষিজমির মাত্র ৩/৭ অংশ থাকা সত্ত্বেও, ফ্রান্সের মূল প্রত্যক্ষ করের ৩ টিই একতরফা ভাবে তৃতীয় সম্প্রদায়ের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। ফলে ফ্রান্সে প্রত্যক্ষ করের বোঝা দরিদ্র মানুষদেরই বেশি বহন করতে হয়েছিলো। 

(৩.) আর্থিকদিক থেকে সমর্থবানদের ছাড় দিয়ে দুর্বল মানুষদের ওপর যাবতীয় করভার চাপিয়ে দেওয়ার ফলে রাজার করের ক্ষেত্র শুধু যে সংকুচিত হয়েছিলো তা নয়, জরুরি অবস্থায় অর্থের প্রয়োজন হলে রাজা কর ধার্য করে অর্থ সংগ্রহ করতে পারতেন না। 

(৪.) দুর্বল কর কাঠামোর জন্য রাজকোষের আর্থিক ঘাটতি দূর করতে রাজাদের প্রতি বছর ঋন নিয়ে অর্থের সংস্থান করতে হতো। বিপ্লবের প্রাক্কালে দেশকে ঋনের জালে জড়িয়ে ফেলার ক্ষেত্রে বুরবোঁ রাজাদের ভ্রান্ত ও অবৈজ্ঞানিক কর ব্যবস্থা অনেকাংশে দায়ী ছিলো। 

(৫.) বিপ্লবপূর্ব ফ্রান্সের কর ব্যবস্থার আরেকটি ত্রুটির দিক ছিলো, কর আদায়ের জন্য কোন নির্দিষ্ট কর বিভাগ বা স্থায়ী সরকারি কর্মচারী বুরবোঁ রাজারা নিয়োগ করেন নি। নিলাম বা ইজারাদারির মাধ্যমে কর আদায়ের ব্যবস্থা করায় তা করদাতাদের কাছে বিশেষ উৎপীড়নমূলক হয়ে উঠেছিলো। 

(৬.) বিপ্লবপূর্ব ফ্রান্সে করভারে সবথেকে জর্জরিত ছিলো ফ্রান্সের কৃষকরাপ্রচলিত নানা কর ও সামন্ততান্ত্রিক নানা উপকর দিয়ে তাদের জীবন ধারনের জন্য কিছুই অবশিষ্ট ছিলো না। সব কর মিটিয়ে দিয়ে কৃষকের হাতে থাকতো ফসলের মাত্র ২০%, যা দিয়ে সারা বছরের ভরন পোষন হতো না। ১/৩ ভাগ কৃষককে ১/৩ ভাগ সময় আলু খেয়ে জীবন ধারন করতে হতো। 

এককথায় বিপ্লবপূর্ব ফ্রান্সে (ক.) বিশেষ অধিকারবলে বিশেষ কিছু শ্রেনীকে কর ছাড় দেওয়া, (খ.) আঞ্চলিক তারতম্য ভেদে এক শ্রেনীর একাংশকে কর ছাড়ের সুবিধা প্রদান, (গ.) রাজপরিবারের সদস্য বা অনুগতদের কর ছাড়ের সুযোগ দান, (ঘ.) অর্থবানদের কম হারে কর দেওয়ার সুযোগ দেওয়া - কর ব্যবস্থাকে শুধু দুর্নীতিগ্রস্ত করে তুলে নি, প্রচলিত কর ব্যবস্থার বিরুদ্ধে শ্রেনীগত সামাজিক ক্ষোভকেও বহুগুন বৃদ্ধি করেছিলো। 

ফরাসি বিপ্লবের সময়ে দেশে মুদ্রাস্ফিতি ব্যপক আকার ধারন করলে জিনিস পত্রের দাম বহুগুন বেড়ে যায়। বাজারে মুদ্রার পরিমান যখন বেড়ে যায় এবং উৎপাদন কমে যায়, তখনই মুদ্রাস্ফিতি দেখা যায়। মুদ্রাস্ফিতি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সময়ে সাধারন মানুষদের আয়ের প্রায় ৫০ - ৭৫ % অর্থ শুধু খাদ্যদ্রব্য কিনতেই খরচ হয়ে যায়। এই সময়ে কর ভার তৃতীয় সম্প্রদায়ের সাধারন মানুষের ওপর বিরাট বোঝা সৃষ্টি করে। বুরবোঁ রাজারা দীর্ঘদিন ধরেই ত্রুটিপূর্ন কর কাঠামো সংশোধনের বা তৃতীয় সম্প্রদায়ের ওপর করের বোঝা লাঘব করার কোন চেষ্টা করেন নি। এর ফলে তৃতীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়, তাই ১৭৮৯ খ্রিঃ আর্থিক সংকটের কালে বিপ্লবকে অনিবার্য করে তুলেছিলো।

বিপ্লবপূর্ব ফ্রান্সের কর গুলির সংক্ষিপ্ত পরিচয় :- 


করের নাম কি বিষয়ের কর কি ধরনের কর
(১.) তেইলি ভূমিকর প্রত্যক্ষ কর
(২.) ক্যাপিটেশন উৎপাদন কর প্রত্যক্ষ কর
(৩.) ভিংটিয়েমে আয়কর প্রত্যক্ষ কর
(৪.) টাইথ ধর্মকর পরোক্ষ কর
(৫.) গ্যাবেল লবন কর পরোক্ষ কর
(৬.) এডেস ভোগ্যপন্য ও মদের ওপর ধার্য কর পরোক্ষ কর
(৭.) রেয়ল স্থাবর সম্পত্তি ভিত্তিক কর পরোক্ষ কর
(৮.) পার্সোনেল উত্তর ফ্রান্সে সম্পত্তির আয়ের ওপর কর পরোক্ষ কর
(৯.) বানালিতে সামন্তপ্রভুর কলে গম, যব ভাঙানো বা মদ তৈরির জন্য প্রদেয় কর সামন্ততান্ত্রিক কর
(১০.) পেঁয়াজ পথ, ঘাট, সেতু ও খেয়াঘাটের ওপর ধার্য কর সামন্ততান্ত্রিক কর
(১১.) দ্রোঁয়া দ্য কলব্রিয়ে এ দ্য শাঁস ম্যানরে জীবজন্তু ও মাছ শিকার করার কর সামন্ততান্ত্রিক কর
(১২.) স্যামপার্ট সামন্ত প্রভুকে দেয় উৎপন্ন ফসলের একটি অংশ সামন্ততান্ত্রিক কর
(১৩.) সঁস ম্যানরের জমি চাষের জন্য মুদ্রায় দেয় বাৎসরিক খাজনা সামন্ততান্ত্রিক কর
(১৪.) শঁপার উৎপন্ন ফসলের একটি অংশ বা ভাগ সামন্ততান্ত্রিক কর
(১৫.) ত্যারাজ পথঘাট ব্যবহারের জন্য কর সামন্ততান্ত্রিক কর
(১৬.) লঁদ এ ভঁত জমি হস্তান্তর জনিত কর সামন্ততান্ত্রিক কর
(১৭.) তবাক তামাক কর সামন্ততান্ত্রিক কর
(১৮.)করভি বেগার শ্রম সামন্ততান্ত্রিক কর
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post