পর্যটকদের বিবরনে ভারত

দশম শতাব্দী থেকে সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যে, সহজ ভাষায় বলতে গেলে সমগ্র মধ্যযুগ জুড়ে বিভিন্ন দেশ থেকে একাধিক পর্যটক ভারতবর্ষে পরিভ্রমনে এসেছিলেন। এইসব পর্যটকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন - 

(১.) দশম শতকে বাগদাদ থেকে আগত আল মাসুদি
(২.) একাদশ শতকে উজবেকিস্তান থেকে আগত আল বিরুনী,
(৩.) ত্রয়োদশ শতকে ইতালি থেকে আগত মার্ক পোলো
(৪.) চতুর্দশ শতাব্দীতে আফ্রিকার মরক্কো থেকে আগত ইবন বতুতা
(৫.) পঞ্চদশ শতাব্দীতে ইতালি থেকে আগত নিকোলো কন্টি, চিন থেকে আগত মা হুয়ান, পারস্য বা ইরান থেকে আগত আব্দুর রাজ্জাক, রাশিয়া থেকে আগত আথনাসিয়াস নিকিতিন, 
(৬.) ষোড়শ শতাব্দীতে পোর্তুগাল থেকে আগত ডোমিনিগো পায়েজ, ফার্নাও নুনিজ, দুয়ার্তে বারবোসা, ইংল্যান্ড থেকে আগত রালফ ফিচ
(৭.) সপ্তদশ শতাব্দীতে ইংল্যান্ড থেকে আগত উইলিয়াম হকিন্স, স্যার টমাস রো, এডওয়ার্ড টেরি, ইতালি থেকে আগত পিয়েত্রা দেল্লাভাল্লে, নিক্কোলো মানুচ্চি, নেদারল্যান্ড থেকে আগত ফ্রান্সিসকো পেলসার্ট, স্পেন থেকে আগত সেবাসচিয়ান মানরিখ, ফ্রান্স থেকে আগত জাঁ বাতিস্ত ট্যাভার্নিয়ের, ফ্রাঁসোয়া বার্নিয়ে, প্রমুখ। 

পর্যটকদের বিবরনে ভারত
পর্যটকদের বিবরনে ভারত 


এইসব পর্যটকদের কেউ কেউ মুসলমান আক্রমনকারী সুলতানদের সভাসদ হিসাবে ভারতে এসেছিলেন, কেউবা এসেছিলেন অন্য কোন বিদেশী রাজার দূত হয়ে। তবে বেশিরভাগই এসেছিলেন বিশ্বভ্রমন বা ভারত ভ্রমণের তাগিদে। এছাড়া বানিজ্যের তাগিদেও অনেক পর্যটক সমকালীন সময়ে ভারত ভ্রমণ করেন। 

ভারতে আসা এইসব পর্যটকদের অনেকেই সমকালীন সময়ের কেন্দ্রীয় বা আঞ্চলিক রাজ্য গুলিতে পরিভ্রমন করেন। নির্দিষ্ট কিছু সময় ভারত ভ্রমণের পর এইসব পর্যটকদের অনেকেই নিজ নিজ দেশে ফিরে যান। আবার এমন অনেক পর্যটক ছিলেন যারা এদেশের শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতার সূত্রে বিভিন্ন রাজকীয় পদ ও কর্তব্যও পালন করেন। 

ভারত পরিভ্রমনের উপলব্ধি ও অভিজ্ঞতাকে অবলম্বন করে পরবর্তীকালে এইসব পর্যটকরা তাদের নিজস্ব বেশকিছু ভ্রমণবৃত্তান্ত রচনা করেছিলেন। বিদেশী পর্যটকদের লিখে যাওয়া এইসব ভ্রমনবৃত্তান্তগুলি থেকে - (১.) তৎকালীন সময়কালের ইতিহাস রচনার যেমন বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়, তেমনি (২.) বৈদেশিকদের চোখে সমকালীন বিশ্বব্যবস্থার প্রেক্ষিতে ভারতবর্ষের আর্থ - সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের অভিনবত্ব ও অবস্থার একটি পরিপূর্ণ প্রতিচ্ছবিও পাওয়া যায়।

মনে রাখতে হবে, আমরা আমাদের ইতিহাস বইয়ে দশম থেকে সপ্তদশ শতাব্দীর যে ইতিহাস পড়ে থাকি, বিদেশী পর্যটকরা সেই সময়কালের এক একজন প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। তৎকালীন সময়কালের ভারতবর্ষকে তারা খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন। একজন বিদেশী হিসাবে তারা একদিকে যেমন পর্যবেক্ষক ছিলেন, তেমনি বিশ্লেষকও ছিলেন। তাই তাদের বিবরনী ইতিহাস বিশ্লেষন ও উপস্থাপনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। 

মনে রাখতে হবে, ভারতবর্ষের মৌলিক ও অভিনবত্বের দিক গুলিতে বিদেশী পর্যটকরা যেমন আকৃষ্ট ও অভিভূত হয়েছিলেন, তেমনি ভারতবর্ষের দুর্বলতার বা অন্ধকারাচ্ছন্ন দিক গুলিকেও তারা অকপটভাবে তুলে ধরেছিলেন। বিদেশীরা তাদের বিবরনীতে এমন সব দিকের উল্লেখ করেছিলেন, যা সমকালীন দেশীয় উপাদান গুলিতে অনুপস্থিত বা উপেক্ষিত ছিলো। তাই ইতিহাসের অন্যান্য উপাদানের চাইতে তাদের লিখে যাওয়া বিবরনী গুলি ইতিহাস বিশ্লেষন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে ঐতিহাসিকরা মনে করে থাকেন। 

ইতিহাসের দেশীয় সাক্ষ্যের উপাদান গুলিতে সামাজিক রীতি নীতি, রাজার সাজ পোশাক, সাধারন মানুষের জীবন - জীবীকার মতো বহু দিক উপেক্ষিতই থেকে যায়। বিদেশী পর্যটকদের বিবরন সেই উপেক্ষিত দিক গুলিরই অভাব পূরন করে থাকে। প্রাত্যহিক সাধারন ঘটনাবলীর বিবরন গুলি যেভাবে বিদেশী পর্যটকরা তাদের ভ্রমণ বৃত্তান্ত গুলিতে তুলে ধরেন, তা অনেক ক্ষেত্রেই প্রথাগত ইতিহাসের একঘেয়ামীকে দূর করে অতীতকে প্রানবন্ত ও জীবন্ত করে তুলতে অনেকখানি সাহায্য করে। 

দশম শতাব্দী থেকে সপ্তদশ শতাব্দীর ভারতের অর্থনৈতিক ইতিহাস রচনার জন্য আমরা বিদেশী পর্যটকদের বিবরনের কাছে অনেকখানি ঋনী। তৎকালীন সময়ের ভারতের ব্যবসা বানিজ্যের পরিচয়, বিভিন্ন বন্দর, শহরের নাম ইত্যাদি আমরা একমাত্র পূর্নাঙ্গ ভাবে বিদেশী পর্যটকদের বিবরনী থেকেই জানতে পারি। এছাড়া, আলোচ্য সময়ে মন্দির, সৌধ ও বিভিন্ন নির্মানের ভৌগলিক উপস্থিতির সাক্ষ্যও বিদেশী পর্যটকদের বিবরনে উঠে আসে। বিদেশী পর্যটকদের অনেকেই অনেক সুলতান, বাদশাহ বা শাসকদের খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন। তাদের বর্ননায় ঐ সমস্ত শাসকদের চরিত্র ও স্বভাব বৈশিষ্ট্যের নানা অজানা দিকেরও সন্ধান আমরা পেয়ে থাকি। এসব থেকেও বড়ো কথা হলো, ইতিহাসের সময়ে ইতিহাসের ভারতবর্ষকে বহির্ভারতের লোকজন কি দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতো, তার পরিচয়ও একমাত্র আমরা বিদেশী পর্যটকদের বিবরন থেকেই জানতে পারি।

তবে, বিদেশী পর্যটকদের বিবরন গুলি অধ্যায়ন করার সময়ে আমাদের কয়েকটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। মধ্যযুগের ভারতবর্ষ ছিলো বহুভাষার দেশ। এই সময় ছিলো বেশ কিছু আঞ্চলিক ভাষার বিবর্তনকাল। বিদেশী পর্যটকদের অনেকেই ভারতের ভাষা জানতেন না। অনেক পর্যটকই ভিন্ন ভাষাভাষী রাজ্য গুলিতে পর্যটন করেছিলেন। ভাষা না জানায় তারা সাধারন মানুষের সাথে মেশবার বা কথা বলে ভাব বিনিময়ের পর্যাপ্ত সুযোগ বা পরিসর পান নি। খোলা চোখে বা প্রচলিত গ্রন্থ পড়ে অথবা সাহায্যকারী অনুবাদকের সাহায্যেই তারা ভারত সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন। সব ক্ষেত্রে তাই তাদের বিবরনী সত্য ছিলো না।

বিদেশী পর্যটকদের বিবরনীর অরেকটি বড় সীমাবদ্ধতা হলো তাদের বেশিরভাগের বিবরনীতেই ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাস সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় না। আসলে মনে রাখতে হবে, বিদেশী পর্যটকদের বেশিরভাগই রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তাদের অনেকে ছিলেন ভ্রমন পিপাসু পর্যটক। খোলা চোখে যা কিছু তারা দেখেছেন, বুঝেছেন তাই তারা লিখেছিলেন। তাদের লেখা গ্রন্থ গুলো একদিন ইতিহাস বিশ্লেষনের আকর হয়ে উঠতে পারে, এরকম কোন সম্ভাবনার কথা চিন্তা না করেই একজন পর্যটক হিসাবে অকপটে যা কিছু তাদের চোখে অভিনব লেগেছিলো, বা ধরা দিয়েছিলো, তাই তারা তাদের ভ্রমন বৃত্তান্তে লিপিবদ্ধ করেছিলেন। অনেক ক্ষেত্রেই শাসক বা প্রচলিত সমাজ সম্পর্কে নানা জনশ্রুতির কাহিনী বা গুজব প্রচারকেও তারা তাদের বিবরনীতে ঠাঁই দিয়েছিলেন। এসব নিঃসন্দেহে ভুল ছিলো। এইসব ভুল বিবরন গুলিকে ইতিহাসের অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে ঝাড়াই বাছাই করে বা মিলিয়ে একজন ঐতিহাসিককে প্রকৃত তথ্য গ্রহন বা বর্জন করে নিতে হয়।

সবশেষে বলা যায়, বিদেশি পর্যটকদের বিবরনেই আমরা সর্বপ্রথম পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্র ব্যবস্থা, সমাজ ব্যবস্থা, সাংস্কৃতিক ব্যবস্থা, এদেশের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি, ধর্ম, অভ্যাস ইত্যাদি বহুবিধ দিক গুলির একটি তুলনামূলক পরিচয় পাই। সমকালীন সময়ে বর্হিবিশ্বের সঙ্গে ভারতের মূল্যায়ন ও পরিচয় সাধনে বিদেশী পর্যটকরাই সর্বপ্রথম ও কার্যকরী ভূমিকা নেন। বিদেশী পর্যটকদের এই ঐতিহাসিক ভূমিকার দিকটি অন্বেষন করেই সাম্প্রতিক কালে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ দ্বাদশ শ্রেণির তৃতীয় সেমিস্টারে "বিদেশী পর্যটকদের দৃষ্টিতে ভারত" - সংক্রান্ত বিষয়টিকে নতুন সিলেবাসে সংযোজিত করেছেন। 

উচ্চমাধ্যমিক তৃতীয় সেমিস্টারে ইতিহাসের একেবারে গোড়াতেই প্রথম অধ্যায়টির নামকরন করা হয়েছে "পর্যটকদের বিবরনে ভারত"। বিদেশী পর্যটক সংক্রান্ত এপর্যপ্ত যে সংক্ষিপ্ত আলোচনাটি আমরা করলাম, তাতে আমরা দেখেছি, দশম থেকে সপ্তদশ শতাব্দীতে বিভিন্ন দেশ থেকে একাধিক পর্যটক ভারতবর্ষে এসেছিলেন এবং ভারত সম্পর্কে তাদের ভ্রমন বৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ করেছিলেন। এইসব পর্যটকদের মধ্যে উচ্চমাধ্যমিক মূল সিলেবাসে আমাদের ৫জন পর্যটকের বিবরনের কথা সিলেবাসে পড়বার কথা বলা হয়েছে। এইসব পর্যটকদের মধ্যে অন্যতম হলেন - 

(১.) একাদশ শতাব্দীতে উজবেকিস্তান থেকে আগত পর্যটক - আলবেরুনীর ভারত বৃত্তান্ত
(২.) ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ইতালি থেকে আগত পর্যটক - মার্কো পোলোর ভারত বৃত্তান্ত
(৩.) চতুর্দশ শতাব্দীতে আফ্রিকার মরক্কো থেকে আগত পর্যটক - ইবন বতুতার ভারত বৃত্তান্ত
(৪.) পঞ্চদশ শতাব্দীতে ইরান /পারস্য থেকে আগত পর্যটক - আব্দুর রজ্জাকের ভারত বৃত্তান্ত। 
(৫.) সপ্তদশ শতকে ফ্রান্স থেকে আগত পর্যটক - ফ্রাঁসোয়া বার্নিয়ের ভারত বৃত্তান্ত। 

এই পাঁচজন পর্যটকের ভারত বৃত্তান্তের পরিচয় আমরা পরবর্তী পর্ব গুলিতে পৃথক পৃথক ভাবে তুলে ধরবো। উচ্চমাধ্যমিকের MCQ প্রশ্নের কাঠামোকে মাথায় রেখে বিস্তারিত আলোচনার পাশাপাশি আমরা সংক্ষিপ্ত তথ্য ভিত্তিক আলোচনাও করবো। 

সংসদ উল্লেখিত মূল সিলেবাস :- 

Through the eyes of the Travelers 

Society and polity of India (Between 10th and 17th centuries) with reference to travelers accounts with special reference on the following travelers :(1.) Al Biruni - Uzbekistan, (2.) Marco Polo - Italy, (3.) Ibn Battuta - Morocco, (4.) Abdur Razzak - Iran, (5.) Francois Bernier - France. Administrative structure - Economic Life - Social and Religious Life - Literature, Art and Architecture. 

দশম থেকে সপ্তদশ শতাব্দীতে ভারতে আগত পর্যটকদের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা :-


পর্যটকের নাম আগমনের সময় কোন দেশ থেকে আগত কোন অঞ্চলে ভ্রমন
আল মাসুদি দশম শতকে বাগদাদ থেকে গুজরাটের প্রতিহার রাজ্য, দাক্ষিণাত্যের রাষ্ট্রকূট রাজ্য।
আল বেরুনী একাদশ শতকে উজবেকিস্তান থেকে পাঞ্জাব, গুজরাট ও উত্তর ভারতের নানা স্থানে।
মার্কো পোলো ত্রয়োদশ শতকে ইতালি থেকে পান্ড্য রাজ্য, বরঙ্গল রাজ্য, কৈলম রাজ্য।
ইবন বতুতা চতুর্দশ শতকে আফ্রিকার মরক্কো থেকে পশ্চিম ও উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে।
মা হুয়েন পঞ্চদশ শতকে চিন থেকে বাংলা ও মালাবার অঞ্চলে।
নিকোলো কন্টি পঞ্চদশ শতকে ইতালি থেকে বিজয় নগর রাজ্যে।
আবদুর রজ্জক পঞ্চদশ শতকে ইরান/পারস্য থেকে বিজয় নগর রাজ্যে।
ডোমিনিগো পায়েজ ষোড়শ শতকে পোর্তুগাল থেকে বিজয় নগর রাজ্যে।
ফার্নাও নুনিজ ষোড়শ শতকে পোর্তুগাল থেকে বিজয় নগর রাজ্যে।
দুয়ার্তে বারবোসা ষোড়শ শতকে পোর্তুগাল থেকে বিজয় নগর রাজ্যে।
আথনাসিয়াস নিকিতিন পঞ্চদশ শতকে রাশিয়া থেকে বাহমনি রাজ্যে।
লুডভিকো দ্য ভারথেমরে ষোড়শ শতকে ইতালি থেকে বিজয় নগর রাজ্যে।
রেলফ ফিচ ষোড়শ শতকে ইংল্যান্ড থেকে উত্তর ভারতে।
উইলিয়াম হকিন্স সপ্তদশ শতকে ইংল্যান্ড থেকে গুজরাট/ সুরাট।
স্যার টমাস রো সপ্তদশ শতকে ইংল্যান্ড থেকে গুজরাট /সুরাটে।
এডওয়ার্ড টেরি সপ্তদশ শতকে ইংল্যান্ড থেকে গুজরাট/সুরাটে।
পিয়েত্রা দেন্নাভান্নে সপ্তদশ শতকে ইতালি থেকে সুরাট, কোঙ্কন, মালাবার উপকূল।
ফ্রান্সিস পেলসার্ট সপ্তদশ শতকে নেদারল্যান্ডস থেকে উত্তর ভারতে।
সেবাসচিয়ান মানরিখ সপ্তদশ শতকে স্পেন থেকে বাংলাদেশ ও উত্তর ভারতে।
জাঁ বাতিস্ত টাভেরনিয়ার সপ্তদশ শতকে ফ্রান্স থেকে উত্তর ভারতে।
নিক্কোলো মানুচি সপ্তদশ - অষ্টাদশ শতকে ইতালি থেকে সিন্ধু ও গুজরাটে।
ফ্রাঁসোয়া বার্নিয়ে সপ্তদশ শতকে ফ্রান্স থেকে উত্তর ভারতে।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post