কৌটিল্যকে ভারতের মেকিয়াভেলি কেন বলা হয়?

কৌটিল্যকে ভারতের মেকিয়াভেলি কেন বলা হয়?
কৌটিল্যকে ভারতের মেকিয়াভেলি কেন বলা হয়? 

(অ.) কৌটিল্য ও মেকিয়াভেলির সংক্ষিপ্ত পরিচয় :- 

প্রাচীন ভারতের একজন শ্রেষ্ঠ কূটনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রদার্শনিক ছিলেন কৌটিল্য। তিনি চানক্য বা বিষ্ণুগুপ্ত নামেও পরিচিত ছিলেন। 

কৌটিল্য প্রথম জীবনে ভারতের তক্ষশিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার কাজে নিযুক্ত ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি মগধে নন্দবংশকে উচ্ছেদ করে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য কর্তৃক মৌর্য বংশ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মৌর্য বংশ প্রতিষ্ঠার পর তিনি দীর্ঘদিন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। 

অনুমান করা হয়, এই সময় রাষ্ট্রনীতি বিষয়ে তিনি "অর্থশাস্ত্র" নামক বিখ্যাত গ্রন্থটি রচনা করেন। কৌটিল্য রচিত অর্থশাস্ত্র গ্রন্থটি ছিলো প্রাচীন ভারতের সর্বপ্রথম ও একমাত্র রাষ্ট্রনীতি বিষয়ক তাত্ত্বিক গ্রন্থ। 

অন্যদিকে মেকিয়াভেলি ছিলেন ইতালির একজন শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রচিন্তাবিদ ও কূটনীতিবিদ। তাঁর সম্পূর্ণ নাম ছিলো নিকোলো ডি বার্নার্ডো ডেই ম্যাকিয়াভেলি। রাষ্ট্রনীতি বিষয়ে তাঁর লেখা দুটি বিখ্যাত গ্রন্থ ছিলো - "দ্য প্রিন্স" (The Prince) এবং "দ্য ডিসকোর্সেস" (সম্পূর্ণ নাম - "The Discourses on the First Ten Books of Titus Livius")

মেকিয়াভেলি ইতালির ফ্লোরেন্সের এক অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। প্রথম জীবনে তিনি ফ্লোরেন্সে সরকারি চাকুরি নিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন। পরে সচিব ও কূটনীতিবিদ হিসাবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৫১২ খ্রিঃ মেডিচি পরিবার ফ্লোরেন্সে ক্ষমতা পুর্নদখল করার পর মেকিয়াভেলিকে নির্বাসিত ও কারারুদ্ধ করা হয়। এই সময়ে মেকিয়াভেলি রাজনৈতিক দর্শন চর্চায় মনোনিবেশ করেন এবং "দ্য প্রিন্স" ও "দ্য ডিসকোর্সেস নামে বিখ্যাত গ্রন্থগুলি রচনা করেন।

মেকিয়াভেলি রাষ্ট্রের যে ধারনা দেন তা থেকেই আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্ম হয়, এজন্য মেকিয়াভেলিকে "আধুনিক রাষ্ট্রনীতির জনক" বলা হয়ে থাকে।

(আ.) কৌটিল্য ও মেকিয়াভেলির মধ্যে তুলনা :-

কৌটিল্য ও মেকিয়াভেলি দুজনেই ভিন্ন সময়কাল ও ভিন্ন দেশের মানুষ ছিলেন। একজন ছিলেন ইওরোপের, অন্যজন ছিলেন ভারতের। 

মেকিয়াভেলি পঞ্চদশ শতাব্দীর ইতালির রেনেসাঁ যুগের মানুষ ছিলেন। ১৪৬৯ খ্রিঃ ইতালির ফ্লোরেন্সে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অন্যদিকে কৌটিল্য মেকিয়াভেলির বহু পূর্বে খ্রিঃ পূর্ব তৃতীয় শতাব্দীর মানুষ ছিলেন। ৩৭০ খ্রিঃ পূর্ব থেকে ২৮৩ খ্রিঃ পূর্বাব্দ ছিলো তাঁর সময়কাল। 

কৌটিল্য মেকিয়াভেলির বহু আগেকার মানুষ হওয়া সত্ত্বেও, ঐতিহাসিকরা অনেকেই কৌটিল্যকে মেকিয়াভেলির সঙ্গে তুলনা করে তাঁকে "প্রাচ্যের মেকিয়াভেলি" বা "ভারতের মেকিয়াভেলি" বলে অভিহিত করে থাকেন। কৌটিল্যকে ভারতের মেকিয়াভেলি বলা হয় মূলত দুটি কারনে। 

এক, ঔপনিবেশিক ইতিহাস চর্চার দৃষ্টিভঙ্গী ও মূল্যায়নের কারনে। দুই, মেকিয়াভেলির রাষ্ট্রনীতি ও রাষ্ট্রদর্শনের সঙ্গে কৌটিল্যের রাষ্ট্রনীতি ও রাষ্ট্রদর্শনের সাদৃশ্য বা মিল পরিলক্ষিত করে। 

(ক.) ঔপনিবেশিক ইতিহাস চর্চার দৃষ্টিভঙ্গী ও মূল্যায়নের কারনে :- 

ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতে ঔপনিবেশিক ঐতিহাসিকদের হাত ধরেই ইতিহাস চর্চার সূত্রপাত ঘটে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই এইসময় ইওরোপীয় ইতিহাস চর্চার মডেলকে অনুসরন করে ঔপনিবেশিক ঐতিহাসিকরা ভারতের ইতিহাসকে নির্মান করেন। 

ঔপনিবেশিক ইতিহাস চর্চার সময় ইওরোপীয় বিভিন্ন ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের সাথে ভারতীয় ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের কৃতিত্বের দিক গুলিকে তুলনা করা হয় বা পরিমাপ করা হয়। এই তুলনা বা কৃতিত্বের পরিমাপ করে অনেক ঐতিহাসিক ভারতের সমুদ্রগুপ্তকে ফ্রান্সের নেপোলিয়নের সঙ্গে তুলনা করে তাকে "ভারতের নেপোলিয়ন" বলে অভিহিত করেন। তেমনই কৌটিল্যকে ইতালির মেকিয়াভেলির সঙ্গে তুলনা করে তাকে "ভারতের মেকিয়াভেলি" বলে অভিহিত করেন।

(খ.)  রাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বক্তব্যের সাদৃশ্যের কারনে :-

তবে কৌটিল্যকে ভারতের মেকিয়াভেলি বলার সবথেকে বড়ো কারন ছিলো রাষ্ট্রনীতি বিষয়ে উভয়ের বক্তব্যের অভূতপূর্ব সাদৃশ্য বা মিল। যেমন -

(১.) কৌটিল্য ও মেকিয়াভেলি দুজনেই নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ও শক্তি অর্জনকেই রাজনীতির মূল লক্ষ্য ও প্রতিপাদ্য বিষয় বলে মনে করতেন।

(২.) মেকিয়াভেলি ও কৌটিল্য দুজনেই শক্তিশালী রাষ্ট্র ব্যবস্থার সমর্থক ছিলেন। তাছাড়া, দুজনেই সাম্রাজ্যবাদকে সমর্থন করতেন। মেকিয়াভেলি রাজার ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বলপ্রয়োগের মাধ্যমে অন্য রাষ্ট্র দখলকে সমর্থন করেন। কৌটিল্যও অর্থশাস্ত্রে বলেছেন, রাজার ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য রাজা ও রাষ্ট্রকে অর্থপ্রাপ্তির দিকে মনোযোগ দিতে হবে। অর্থ পাওয়া যায় একমাত্র ভূমির মধ্য দিয়ে। সুতরাং রাজাকে সর্বদা ভূমিদখল অর্থাৎ সাম্রাজ্যবাদ প্রসারের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। 

(৩.) কৌটিল্য ও মেকিয়াভেলি দুজনেই এমন এক বিশ্ব ব্যবস্থার কামনা করেছিলেন, যার কেন্দ্রে একটি শক্তিশালী "রাষ্ট্র ও রাজা" থাকবে, এবং সেখানে পরিপূর্ন শান্তি, সামাজিক, অর্থনৈতিক স্থিতি ও ন্যায়বিচার থাকবে। কৌটিল্য সর্বনিয়ন্ত্রবাদী যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখেছিলেন, মেকিয়াভেলির রাষ্ট্র ব্যবস্থা তার থেকে কিছুমাত্র আলাদা ছিলো না। 

(৪.) মেকিয়াভেলির মতো কৌটিল্যও রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে আদর্শবাদের বদলে রাজনৈতিক বাস্তবতাবোধ ও কূটনীতির ওপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন।

(৫.) মেকিয়াভেলির মতো কৌটিল্যও রাজনীতি থেকে নৈতিকতাবোধকে পৃথক করেছিলেন। অর্থশাস্ত্রে বলা হয়েছিলো, জাগতিক লাভ অর্থাৎ রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষার তাগিদে যে কোন পথের অবলম্বন করা যেতে পারে। রাষ্ট্র স্বার্থে  প্রতারনা,ষড়যন্ত্র, মিথ্যা প্রচার, গুপ্তচরবৃত্তি বা পুলিশি ব্যবস্থা কোন কিছুই নিন্দনীয় নয়। রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জন ও তা বজায় রাখার জন্য দুজনেই ধূর্ততা, এবং যেকোন বুদ্ধিমত্তার পথ অবলম্বনকে সমর্থন করেন। কৌটিল্য ও মেকিয়াভেলিই প্রথম মানুষের ব্যক্তিগত নীতি - নৈতিকতার সঙ্গে রাজনৈতিক বা রাষ্ট্রীয় নীতি - নৈতিকতাকে বাদ দেওয়ার কথা তুলে ধরেন। 

(৬.) মেকিয়াভেলির মতো কৌটিল্যও যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা ছিলো রাজতন্ত্র শাসিত। মেকিয়াভেলি ও কৌটিল্য দুজনেই এজন্য রাজার যোগ্যতা ও রাজকীয় গুনাবলীর ওপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন।

(৭.) মেকিয়াভেলির "দ্য প্রিন্সের"  মতো কৌটিল্যের "অর্থশাস্ত্রে" সার্বভৌম রাষ্ট্র ও রাজা গঠনের পশ্চাতে জনগনের ভূমিকা বা প্রত্যক্ষ অংশগ্রহনকে স্বীকার করা হয় নি। মেকিয়াভেলির মতে, মানুষ মাত্রই স্বার্থপর ও সুবিধাবাদী। তিনি তাই রাজাকে কঠোর হতে বলেছিলেন। অনুরূপ ভাবে কৌটিল্যও রাজাকে শক্তিশালী হওয়ার কথা বলেন। জনসমর্থনের ওপর কৌটিল্যের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত নয়। জনসমর্থনের বদলে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় তিনি অতি দক্ষ গুনসম্পন্ন, নির্লোভ, শিক্ষিত রাজা ও আমলাতন্ত্রের ওপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেন। 

(৮.) কৌটিল্য ও মেকিয়াভেলি দুজনেই সামাজিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্র শক্তির ব্যবহার ও বলপ্রয়োগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। মেকিয়াভেলি "দ্য প্রিন্স" গ্রন্থে প্রজাদের মধ্যে ভয় সঞ্চার, বিভাজন ঘটানো ও কঠোর অনুশাসন দ্বারা প্রজাদের নিয়ন্ত্রন করার কথা বলেন। কৌটিল্যও রাজাকে "দন্ডনীতির" মধ্য দিয়ে সমাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্থিতি এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার কথা বলেন।

(৯.) মেকিয়াভেলি ও কৌটিল্য দুজনেই যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার কামনা করেছিলেন, তা প্রকৃতগত দিক থেকে ছিলো ধর্মনিরপেক্ষ। মেকিয়াভেলি যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার বর্ননা করেছেন, সেখানে তিনি চার্চের নিয়ন্ত্রন ও অধিকারকে উপেক্ষা করে চার্চকে রাষ্ট্রের অধীনে আনার কথা বলেছিলেন। অনুরূপ ভাবে কৌটিল্য যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার কথা তুলে ধরেন সেখানে প্রচলিত লৌকিক ধর্ম থেকে তিনি রাজধর্মকে আলাদা করে দেখান। নিজে ব্রাহ্মন হওয়া সত্ত্বেও, তিনি রাষ্ট্র ব্যবস্থায় অপরাধী ও দোষী ব্রাহ্মনের ক্ষেত্রে কঠোর শাস্তি দানের বিধান দিয়েছিলেন। 

(ই.) মূল্যায়ন :- 

কৌটিল্য ও মেকিয়াভেলির রাষ্ট্র দর্শন দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ভারত ও ইওরোপ দুটি স্থানেই তাদের নিজ নিজ সময়কালে শক্তিশালী রাষ্ট্র ব্যবস্থার নির্মান হয়েছিলো। কৌটিল্যের রাষ্ট্রদর্শন দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলো মৌর্য রাজবংশ। অন্যদিকে মেকিয়াভেলির রাষ্ট্রদর্শনকে ব্যবহার করে সারা ইওরোপ জুড়ে রেনেসাঁ পরবর্তীকালে শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থার সূচনা ঘটেছিলো। 

মেকিয়াভেলির রাষ্ট্র দর্শনের সঙ্গে কৌটিল্যের বক্তব্যের যেমন অনেক মিল দেখা যায়। তেমনি উভয়ের মধ্যে অনেক অমিলও ছিলো। যেমন কৌটিল্য রাজাকে শক্তিশালী হওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু কখনই রাজার স্বেচ্ছাচারিতাকে তিনি সমর্থন করেন নি। অন্যদিকে মেকিয়াভেলি সর্বদাই রাজাকে কঠোর, নির্দয় ও অত্যাচারি হবার কথা বলেছিলেন।  

মেকিয়াভেলি ও কৌটিল্য ভিন্ন দুই সময়কালের মানুষ ছিলেন। তাদের মধ্যে কোন যোগাযোগ বা সম্পর্ক ছিলো না। কেউ কারো মতবাদ বা বক্তব্য দ্বারা প্রভাবিতও হন নি। তা সত্ত্বেও, উভয়ের রাষ্ট্র নীতি ও রাষ্ট্র দর্শনের মধ্যে বেশ কিছু মিল লক্ষ্য করে এক শ্রেণীর ঐতিহাসিকরা কৌটিল্যকে মেকিয়াভেলির সঙ্গে যে তুলনা করেন, আধুনিককালের অনেক ঐতিহাসিক তার বিরোধিতা করেন। 

মাথায় রাখতে হবে, মেকিয়াভেলির বহু পূর্বে কৌটিল্যের আবির্ভাব ঘটেছিলো। ইতিহাসে পূর্ববর্তী কোন ব্যক্তিকে কয়েক শতাব্দীর পরবর্তী কোন ব্যক্তির সহিত তুলনা বা কৃতিত্বের পরিমাপ শুধু অনৈতিহাসিক নয়, অবমূল্যায়নও, এবং ঔপনিবেশিক দৃষ্টিভঙ্গির ইতিহাস চর্চার ত্রুটিতে বিদ্ধ। 

আধুনিককালে ভারতীয় ঐতিহাসিকরা মনে করেন, কৌটিল্যকে মেকিয়াভেলির সঙ্গে তুলনা না করে বরং মেকিয়াভেলিকে কৌটিল্যের সঙ্গে তুলনা করাই অধিক যুক্তিসঙ্গত ও গ্রহনীয়। অর্থশাস্ত্র ছিলো প্রাচীন ভারতের রাষ্ট্র তত্বের ওপর লিখিত প্রথম রাষ্ট্রনীতিবিষয়ক গ্রন্থ। মেকিয়াভেলির রাষ্ট্রচিন্তার ক্ষেত্রে নানা সীমাবদ্ধতা ও সংকীর্নতা দেখা যায়। কিন্তু কৌটিল্যের রাষ্ট্র চিন্তার ক্ষেত্রে তা লক্ষ্য করা যায় না।  

পররাষ্ট্র বিষয়ে অর্থশাস্ত্রের মধ্যে যে বৈজ্ঞানিক আলোচনার সমাবেশ দেখা যায়, মেকিয়াভেলির গ্রন্থে কখনই তা দেখা যায় না। কৌটিল্যের রাষ্ট্র সংক্রান্ত মতবাদ মেকিয়াভেলির চাইতে অধিক সার্বজনীন ও গ্রহনযোগ্য ছিলো। তার ব্যাপ্তি ও রাষ্ট্র আলোচনার গভীরতা এবং তার বিস্তৃতি ছিলো অনেক গভীর। কৌটিল্য প্রাচীন ভারতে রাজনৈতিক ঐক্য ও কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক নীতির রূপকার ছিলেন। স্বাধীনতার পর কৌটিল্যের সম্মানেই এজন্য ভারতের বিদেশ দপ্তরের নামকরন করা হয় - "চানক্যপুরী"।

মাথায় রাখতে হবে, কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে এবং মেকিয়াভেলির দ্য প্রিন্সের মধ্যে সময়ের ব্যবধান ছিলো প্রায় দু হাজার বছর। মেকিয়াভেলি আধুনিক যুগের রাষ্ট্রনীতি চর্চায় যে উৎকর্ষের পরিচয় দিয়েছিলেন, কৌটিল্য সেই উৎকর্ষের পরিচয় দিয়েছিলেন তারও দু হাজার বছর আগে। 

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post