![]() |
রাজনৈতিক কারগার হিসাবে ফ্রান্স |
প্রখ্যাত ফরাসি দার্শনিক ও নাট্যকার ভলতেয়ার তাঁর "ফিলোজফিক্যাল ডিক্শনারি" গ্রন্থে ফ্রান্সকে একটি "রাজনৈতিক কারগার" (political prison") বলে অভিহিত করেছিলেন।
"কারাগার" বলতে বন্দী ও আবদ্ধ জীবনকে বোঝায়। সেখানে কোন স্বাধীনতা থাকে না। সুবিচারও থাকে না। যারা দোষি বা অপরাধী, তাদের শাস্তি দানের জন্যই কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সে স্বৈরাচারী রাজতন্ত্রের কবলে পড়ে সাধারন মানুষ ও জনগনের অবস্থাও কারাগারে বন্দী জীবনের মতো হয়ে দাঁড়ায়।
বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সে স্বৈরাচারী রাজতন্ত্র ছিলো পুরাতনতন্ত্রের রক্ষক এবং তার ধারক ও বাহক। তারই দোসর ছিলো যাজক তন্ত্র এবং অভিজাততন্ত্র। স্বৈরাচারী রাজতন্ত্র, সুবিধাবাদী যাজকতন্ত্র ও অভিজাততন্ত্রের নাগপাশে অবদমিত ফ্রান্সের তৃতীয় সম্প্রদায়ের অন্তর্গত সাধারণ নাগরিকদের জীবন বন্দীশালায় রূপলাভ করেছিলো।
বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সে যে সমস্ত কারন ও ঘটনাবলীর মধ্য দিয়ে ফ্রান্স একটি "রাজনৈতিক কারাগারে" রূপলাভ করেছিলো তা হলো :-
(১.) স্বৈরাচারী রাজতন্ত্র :-
বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সে বুরবোঁ রাজারা অত্যন্ত স্বৈরাচারীতার সঙ্গে দেশ শাসন করতেন। জনমতকে সম্পূর্ন উপেক্ষা করে ঐশ্বরিক অধিকার তত্ত্বের জিগির তুলে তারা ফ্রান্সে সীমাহীন স্বৈরশাসনের প্রবর্তন করেছিলেন।
রাজা ত্রয়োদশ লুই ও তাঁর মন্ত্রী কার্ডিনাল রিশল্যুর হাত ধরে ফ্রান্সে যে স্বৈরাচারী রাজতন্ত্রের উদ্ভব ঘটে, তা পরবর্তীকালে "সূর্যরাজা" চর্তুদর্শ লুই, "প্রজাপতি রাজা" পঞ্চদশ লুই ও ষোড়শ লুইয়ের হাত ধরে পরিপূর্ণ ভাবে বিকশিত হয়। চূড়ান্ত স্বৈরশাসনের অহংবোধে চতুর্দশ লুই বলতেন - "আমিই রাষ্ট্র, অন্যদিকে ষোড়শ লুই বলতেন -" আমার ইচ্ছাই আইন"।
বুরবোঁ রাজারা ফ্রান্সে আইন,শাসন ও বিচার বিভাগের প্রধান ছিলেন। বুরবোঁ রাজাদের চূড়ান্ত স্বৈরশাসনে ফ্রান্সের নাগরিকরা স্বাধীনতার অধিকার হারিয়ে ফেলেন। রাজার বিরুদ্ধে কথা বললেই জনগনের কারাগারে ঠাঁই হতো। মনে রাখতে হবে, চূড়ান্ত স্বৈরশাসনের কবলে পড়ে বহু মানুষের রাজনৈতিক অধিকার, স্বাধীনতা হরন ও কারাগারে নিক্ষেপের জন্যই ভলতেয়ার বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সকে একটি "রাজনৈতিক কারাগার" বলে অভিহিত করেছিলেন।
(২.) জন - প্রতিনিধিসভা না থাকা :-
বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সে "স্টেটস জেনারেল" নামে একটি জন - প্রতিনিধিসভা ছিলো। এই সভায় ফরাসি সমাজের তিনটি শ্রেণির প্রতিনিধিরা (যাজক, অভিজাত ও তৃতীয় সম্প্রদায়) অংশগ্রহণ করতো। স্বৈরাচারী রাজতন্ত্রের সঙ্গে জনগনের সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতো স্টেটস জেনারেল। এখানে যাজক, অভিজাত ও তৃতীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা আলাদা তিনটি কক্ষে বসতো এবং সম্প্রদায়গত ভাবে ১ টি করে মোট ৩ টি ভোট দিতো।
নিজেদের নিরঙ্কুশ স্বৈরশাসনকে চালাবার জন্য বুরবোঁ রাজারা ১৪১৬ খ্রিঃ থেকে ফ্রান্সে স্টেটস জেনারেলের অধিবেশন বন্ধ করে দিয়েছিলেন। স্টেটস জেনারেলের অধিবেশন বন্ধ থাকায় জনগনের কাছ থেকে রাজতন্ত্র বিচ্ছিন্ন হয়ে ফ্রান্স যথার্থই "রাজনৈতিক বন্দীশালাতে" পরিনত হয়।
(৩.) প্রশাসনিক দুর্নীতি ও অব্যবস্থা :-
বংশানুক্রমিক রাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার সবচেয়ে দুর্বলতা ও ত্রুটির জায়গা হলো, কেন্দ্রে শক্তিশালী ও যোগ্য রাজা থাকলে প্রশাসনে যে কর্মক্ষমতা ও সক্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়, পরবর্তী দুর্বল রাজার আমলে যোগ্য নিয়ন্ত্রন ও নেতৃত্বের অভাবে সেই প্রশাসনই অলস, অকর্মন্য, দুর্নীতিগ্রস্ত ও অপদার্থ হয়ে পড়ে। ফ্রান্সে বুরবোঁ রাজাদের শাসন ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও এটি দেখা গিয়েছিলো।
চতুর্দশ লুইয়ের পর তার পরবর্তী উত্তরাধিকারী পঞ্চদশ লুই ছিলেন অত্যন্ত অলস, অকর্মন্য ও দুর্বল রাজা। রাজ্যশাসন অপেক্ষা তিনি নারীদেহ ও শিকারেই বেশি সময় অতিবাহিত করেন। খুব স্বাভাবিক ভাবেই পঞ্চদশ লুইয়ের আমলে অভিজাতরা ফ্রান্সের রাজদরবার, প্রশাসন ও অন্যান্য সরকারি পদ গুলিতে নিজেদের একচেটিয়া কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে।
পঞ্চদশ লুইয়ের পরবর্তী রাজা ষোড়শ লুই ছিলেন অত্যন্ত ব্যক্তিত্বহীন ও দুর্বল রাজা। তাঁর আমলে বিভিন্ন প্রদেশের সরকারি কর্মচারীরা স্ব স্ব স্থানে প্রায় স্বাধীন ও দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে। রাজকর্মচারীদের সীমাহীন অনাচার, দুর্নীতি ও স্বজনপোষনের ফলে শাসন ব্যবস্থা সম্পূর্ন রূপে পঙ্গু হয়ে যায়। "ইনটেনডেন্ট" নামে কর্মচারীরা নিজেদের স্বার্থ পূরনের জন্য প্রজাদের ওপর অত্যাচার চালাতো। তাদের অর্থ আদায়কারী ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে ফ্রান্সের সাধারন নাগরিকরা ইনটেনডেন্টদেরকে "অর্থলোলুপ নেকড়ে" নামে অভিহিত করতো।
স্বৈরাচারী রাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার রাজকর্মচারীদের নানা অর্থনৈতিক শোষন ও অত্যাচারের ফলে ফ্রান্সের সাধারণ মানুষদের জীবন কারাগারে বন্দীর মতোই হয়ে দাঁড়ায়।
(৪.) বিচার ব্যবস্থায় দুর্নীতি ও ন্যায় বিচার না থাকা :-
বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সের আইনবিধি ছিলো জটিল ও ক্রুটিপূর্ন। সমগ্র ফ্রান্সে প্রায় ৪০০ রকমের আইন চালু ছিলো। কোথাও জার্মান, কোথাও রোমান আবার কোন কোন স্থানে স্থানীয় আইন প্রচলিত ছিলো। অনেক সময় রাজার আদেশ ও অনুশাসনও আইন হিসাবে গন্য হতো। দাম্ভিক ষোড়শ লুই তাঁর নিজের ইচ্ছাকেই আইন বলে ঘোষনা করেছিলেন।
ফ্রান্সে বিচার ব্যবস্থা ছিলো দুর্নীতিতে ভরা। অভিজাতরা অর্থের বিনিময়ে বিচারকের পদ কিনে নিয়ে বংশানুক্রমিক ভাবে তা ভোগদখল করতো। বিচার অপেক্ষা নিজেদের স্বার্থ রক্ষাতেই তারা বেশি আগ্রহী ছিলেন। ফরাসি সমাজে যাদের বিরুদ্ধে সাধারন মানুষের অভিযোগ ছিলো, তারাই সমাজের বিভিন্ন উচ্চপদে ও বিচারকের আসনে ছিলেন। "লেত্র দ্য গ্রেস" পরোয়ানার সাহায্যে যেকোন অপরাধীকে মুক্তি দিয়ে দেওয়া হতো।
ফলে ফরাসি সমাজে সুবিচার ও ন্যায় বিচার কোনটাই প্রতিষ্ঠিত হয় নি। বন্দী কারাবাসীর মতোই ফ্রান্সের সাধারন মানুষের জীবন ছিলো তমসাচ্ছন্ন ও নির্যাতিত।
(৫.) বিনা বিচারে গ্রেফতারি পরোয়ানা :-
ফ্রান্সে স্বৈরাচারী রাজতন্ত্রের এক জ্বলন্ত প্রতিমূর্তি ছিলো "লেত্র দ্য ক্যাশে" নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। এই পরোয়ানার সাহায্যে রাজা যে কোন নাগরিককে বিনা বিচারে গ্রেপ্তার করে অনির্দিষ্টকাল বাস্তিল দুর্গে কারারুদ্ধ করে রাখতেন।
"লেত্র দ্য ক্যাশের" কবলে পড়ে ফ্রান্সবাসী মাত্রই অপরাধী বনে গিয়েছিলো এবং বাস্তিল দুর্গ "রাজনৈতিক কারগারে" রূপলাভ করেছিলো। রাজা সহ রাজকীয় বিভিন্ন পদে থাকা অভিজাতরা "লেত্র দ্য ক্যাশের" দুর্ব্যবহার করে ফ্রান্সকে রাজনৈতিক কারাগারে পরিনত করে তুলেন। ফ্রান্সকে "রাজনৈতিক কারাগার" নামে অভিহিত করা দার্শনিক ভলতেয়ারও প্রতিবাদী ব্যঙ্গাত্মক রচনার জন্য স্বয়ং বাস্তিল দুর্গে বন্দী হয়েছিলেন।
এই কুখ্যাত আইন বিধির কবলে পড়ে ফরাসি নাগরিকরা তাদের সব স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেন। ফরাসি বিপ্লবের সময় হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা এই কারনেই বাস্তিল দুর্গ আক্রমন করে তা ভেঙ্গে ফেলতে চেয়েছিলেন।
মূল্যায়ন :-
সবশেষে বলা যায়, ফ্রান্সে স্বৈরাচারী রাজতন্ত্রের দুর্বল রাজার অপশাসনে ফ্রান্সের সাধারণ মানুষের অবস্থা সবদিক থেকেই অত্যন্ত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিলো। সমাজের উচ্চস্থানে থাকা যাজক ও অভিজাতরা বংশকৌলিন্য এবং অর্থের জোরে রাষ্ট্রের সব গুরুত্বপূর্ণ পদ গুলি দখল করে নেয়। একদিকে রাজকীয় বিভিন্ন পদ, অন্যদিকে যাজক ও বিচারকের বিভিন্ন পদ অভিজাতদের করায়াত্ত হয়। প্রশাসন সহ ধর্মীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দুর্নীতির আঁতুরঘরে পরিনত হয়।
যে ক্যাথলিক ধর্ম মানুষের চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করতো অষ্টাদশ শতকে তার মধ্যেও নৈতিক স্খলন দেখা যায়। যাজকদের ভন্ডামী ও অনৈতিকতা এবং অভিজাতদের সুবিধাতন্ত্র ফ্রান্সকে রাজনৈতিক কারাগার করে তুলতে বহুলাংশে সহযোগিতা করে। সমাজের সব সুবিধা, সম্মান ও অধিকার করায়াত্ত করে সমাজের প্রথম শ্রেনী যাজক ও দ্বিতীয় শ্রেণী অভিজাতরা সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রেনী তৃতীয় সম্প্রদায়কে সুবিধাহীন ও অধিকারহীন করে রাখে।
সমাজের ৯৬ % সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতার সব অধিকার হারিয়ে অসহায় রজ্জুবদ্ধ অপরাধীর মতো দিনযাপন করতে বাধ্য হয়। প্রচলিত রাজতন্ত্র বা রাজনৈতিক ব্যবস্থা এই সামাজিক অন্যায়ের প্রতিরোধ বা প্রতিকার করার কোন ব্যবস্থাই গ্রহন করে নি।
আসলে ফ্রান্সে স্বৈরাচারী রাজতন্ত্র ছিলো পুরাতনতন্ত্রের রক্ষক এবং ধারক - বাহক। তারই দোসর ছিলো যাজকতন্ত্র ও অভিজাততন্ত্র। স্বৈরাচারী রাজতন্ত্রে দুর্বল রাজার আমলে রাজতন্ত্র সুবিধাভোগী শ্রেনীর ক্রীড়নকে পরিনত হয়ে ফ্রান্সকে "রাজনৈতিক কারগার" তথা অরাজকতার স্বর্গরাজ্যে পরিনত করে তুলেছিলো। প্রাক্ বিপ্লব ফ্রান্সের অবস্থাকে গভীর অন্তর্দশন দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ার তাই যথার্থই ফ্রান্সকে একটি "রাজনৈতিক কারগার" বলে অভিহিত করেছিলেন।
একঝলকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :-
- ফরাসি বিপ্লব হয়েছিলো - ১৭৮৯ খ্রিঃ।
- ফরাসি বিপ্লবের সময় ফ্রান্সে রাজত্ব করতো - বুরবোঁ রাজতন্ত্র।
- ফরাসি বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের রাজা ছিলেন - ষোড়শ লুই।
- ফ্রান্সকে একটি রাজনৈতিক কারগার বলে অভিহিত করেছিলেন - ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ার।
- "ফিলোজফিক্যাল ডিক্শনারি" গ্রন্থটির লেখক হলেন - ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ার।
- "I am the State"/ আমিই রাষ্ট্র এই উক্তিটি করেছিলেন - বুরবোঁ রাজা চতুর্দশ লুই।
- "আমার ইচ্ছাই আইন" - এই উক্তিটি করেছিলেন - বুরবোঁ রাজা ষোড়শ লুই ।
- "আমার মৃত্যুর পর ফ্রান্সে প্রলয় নামবে" - এই উক্তিটি করেন - বুরবোঁ রাজা ষোড়শ লুই।
- "সূর্যরাজা" নামে পরিচিত ছিলেন - বুরবোঁ রাজা চতুর্দশ লুই।
- "প্রজাপতি রাজা" নামে পরিচিত ছিলেন - বুরবোঁ রাজা পঞ্চদশ লুই।
- রিশল্যু ও ম্যাজারিন ছিলেন - বুরবোঁ রাজা চতুর্দশ লুইয়ের পরামর্শদাতা।
- ইনটেনডেন্ট ছিলো - বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সের প্রাদেশিক রাজকর্মচারী।
- বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সে অর্থলোলুপ নেকড়ে বলা হতো - ইনটেনডেন্টদেরকে।
- " লেত্র দ্য ক্যাশে" ছিলো - বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সের একটি রাজকীয় পরোয়ানা। এর সাহায্যে যেকোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বিনা বিচারে অনির্দিষ্টকাল কারারুদ্ধ করে রাখা হতো।
- "লেত্র দ্য গ্রেস" হলো - বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সের একটি রাজকীয় পরোয়ানা। এর সাহায্যে যেকোন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শাস্তিবিধান থেকে মুক্তি দেওয়া যেতো।
- বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সের সমাজ - ৩ টি এস্টেটে বিভক্ত ছিলো।
- প্রথম এস্টেটে ছিলো যাজকরা, দ্বিতীয় এস্টেটে ছিলো অভিজাতরা, যাজক ও অভিজাত বাদ দিয়ে সাধারণ নাগরিকরা তৃতীয় এস্টেটের অন্তর্ভুক্ত ছিলো।
- বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সে বাস্তিল দুর্গকে "রাজনৈতিক কারগার" নামে অভিহিত করা হতো।
- স্টেটস জেনারেল ছিলো - বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সের ফরাসি নাগরিকদের প্রতিনিধিসভা।
- বুরবোঁ রাজারা স্টেটস জেনারেলের অধিবেশন বন্ধ করে দেন - ১৬১৪ খ্রিঃ।
- বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সে স্টেটস জেনারেলের ভোটদান পদ্ধতি ছিলো - সম্প্রদায় ভিত্তিক, অর্থাৎ যাজক, অভিজাত ও তৃতীয় শ্রেণির লোকেরা সম্প্রদায়গত ভাবে ১ টি করে মোট ৩ টি ভোট দিতো।
বুরবোঁ রাজাদের তালিকা, সময়কাল ও সংক্ষিপ্ত পরিচয়
বুরবোঁ রাজা | সময়কাল | গুরুত্বপূর্ণ তথ্য |
---|---|---|
চতুর্থ হেনরি | ১৫৮৯ - ১৬১০ | বুরবোঁ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। |
ত্রয়োদশ লুই | ১৬১০ - ১৬৪৩ | ১৬১৪ খ্রিঃ স্টেটস জেনারেলের অধিবেশন বন্ধ করে দেন। |
চতুর্দশ লুই | ১৬৪৩ - ১৭১৫ | বুরবোঁ রাজবংশের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সবচেয়ে শক্তিশালী রাজা ছিলেন। তার বিখ্যাত উক্তিটি ছিলো - আমিই রাষ্ট্র । |
পঞ্চদশ লুই | ১৭১৫ - ১৭৭৪ | প্রজাপতি রাজা বলা হতো। ফ্রান্সের পার্লেমেন্ট গুলিকে ভেঙ্গে দিয়েছিলেন। |
ষোড়শ লুই | ১৭৭৪ - ১৭৯২ | ষোড়শ লুইয়ের আমলেই ফ্রান্সে বিপ্লব শুরু হয়। |