ফরাসি বিপ্লবের ঘটনাক্রমের সংক্ষিপ্ত রূপ

ফরাসি বিপ্লবের মূল ঘটনাক্রমের বিষয় গুলিকে নিন্মলিখিত ভাবে উপস্থাপিত করা হলো। এটি সমগ্র অধ্যায়টির একটি সার সংক্ষেপ, যা মূল পাঠ্যক্রমকে কিছুটা হলেও সহজ ভাবে বুঝতে ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করবে। 

ফরাসি বিপ্লবের ঘটনাক্রমের একটি সংক্ষিপ্ত রূপ
ফরাসি বিপ্লবের ঘটনাক্রমের একটি সংক্ষিপ্ত রূপ 

ফরাসি বিপ্লবের সংক্ষিপ্ত কাহিনী 

(১.) ফ্রান্সের বুরবোঁ রাজবংশের রাজা ষোড়শ লুই ১৭৭৪ খ্রিঃ মাত্র ২০ বছর বয়সে ফ্রান্সের সিংহাসনে বসেন। সিংহাসনে বসার অল্প কিছু দিনের মধ্যেই ষোড়শ লুই তীব্র আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হন

(২.) এমতাবস্থায় তিনি পর পর চার জন অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। এরা হলেন যথাক্রমে - তুর্গো, নেকার, ক্যালোন ও ব্রিয়াঁ। এই চারজন অর্থমন্ত্রীই লুইকে অভিজাতদের ওপরে কর বসানোর পরামর্শ দেন।

(৩.)  রাজা ষোড়শ লুই অভিজাতদের ওপরে বলপূর্বক কর বসাতে চাইলে অভিজাতরা বিদ্রোহ করে এবং বলে কর বসানোর কোন অধিকার রাজার নেই। তা আছে একমাত্র স্টেটস জেনারেলের

(৪.) অভিজাতদের পরামর্শে ১৭৮৯ খ্রিঃ ৫ ই মে লুই স্টেটস জেনারেলের অধিবেশন ডাকলে তৃতীয় সম্প্রদায় মাথা পিছু ভোট ও যৌথ অধিবেশনের দাবি উত্থাপন করেন

(৫.) কিছুদিন টালবাহানার পর লুই তৃতীয় সম্প্রদায়ের দাবি মেনে নিলে "বুর্জোয়া বিপ্লব" সফল হয়। এতে উৎসাহিত হয়ে নিন্মবর্গীয় জনতা ও সাধারন মানুষ প্যারিসের বাস্তিল দুর্গের পতন ঘটায় এবং গ্রামের কৃষকরা গ্রামীন অভিজাত ও সামন্তপ্রভুদের আক্রমণ করে।

(৬.) ইতিমধ্যে ১৭৮৯ খ্রিঃ ৯ ই জুলাই তৃতীয় সম্প্রদায় ফ্রান্সের জন্য একটি নতুন সংবিধান রচনার কাজ শুরু করে। সংবিধান সভা ফরাসি নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষিত রাখার জন্য ব্যক্তি ও নাগরিকদের অধিকারের ঘোষনাপত্র প্রচার করে এবং কৃষকদের ক্ষোভ প্রশমনের জন্য সামন্ততন্ত্রের অবসানের ঘোষনা করে।

(৭.) ১৭৯১ খ্রিঃ ফ্রান্সে প্রথম লিখিত সংবিধান প্রবর্তিত হয়। এই সংবিধানে ফ্রান্সের স্বৈরাচারী রাজতন্ত্রকে নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রে পরিনত করা হয়

(৮.) এইসময় রাজা বিদেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে গোপনে ফ্রান্স ত্যাগ করার চেষ্টা করে ভেরেন্নে নামক গ্রামে ধরা পড়ে যান। রাজাকে এরপর বিচারাধীন বন্দি করে রাখা হয়

(৯.) রাজাকে বন্দি করায় ১৭৯১ খ্রিঃ সংবিধান অকার্যকরী হয়ে পড়ে। ১৭৯২ খ্রিঃ ফ্রান্সে নতুন আইনসভা গঠন করা হয়, যার নাম ছিলো "ন্যাশনাল কনভেনশন"। আইনসভার জেকোবিন দলের হাতে ধীরে ধীরে ফ্রান্সের রাশ চলে যেতে শুরু করে।

(১০.) জেকোবিন দল ১৭৯৩ খ্রিঃ ষোড়শ লুই কে মৃত্যুদন্ড দেয়। রাজার মৃত্যুর পর ফ্রান্সে অরাজকতা ও বৈদেশিক আক্রমণ দেখা দিলে জেকোবিন দলের বোবসপিয়ার পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য "সন্ত্রাসের শাসন" শুরু করেন।

(১১.) সন্ত্রাসের শাসন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেলে ন্যাশনাল কনভেনশনের বুর্জোয়া সদস্যরা ১৭৯৪ খ্রিঃ ২৭ জুলাই রোবসপিয়ার ও পরে তার অনুগামীদের হত্যা করে।

(১২.) ১৭৯৫ খ্রিঃ ফ্রান্সে নতুন আরেকটি সংবিধান রচিত হয়, যাকে তৃতীয় বর্ষের সংবিধান বলা হয়। এই সংবিধান অনুযায়ী আইন সভার সদস্যদের ডাইরেক্টর বলা হতো। আইন সভার ৫ জন ডাইরেক্টরকে নিয়ে একটি শাসন পরিষদ গঠিত হয়। একে বলা হয় "ডাইরেক্টরির শাসন"

(১৩.) ১৭৯৫ থেকে ১৭৯৯ খ্রিঃ পর্যন্ত  ফ্রান্সে চলেছিলো ডাইরেক্টরি শাসন। ডাইরেক্টরি শাসকদের অযোগ্যতায় ফ্রান্সে বিশৃঙ্খলা দেখা যায়।

(১৪.) এমতাবস্থায়, সেনাপতি নেপোলিয়ন আইন সভা ঘেরাও করেন এবং ডাইরেক্টরি শাসনকে উচ্ছেদ করে ক্ষমতা দখল করেন। 

ফরাসি বিপ্লব সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য :-

  1. ফরাসি বিপ্লব হয়েছিলো - ১৭৮৯ খ্রিঃ।
  2. ফরাসি বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের রাজা ছিলেন - ষোড়শ লুই। 
  3. ফরাসি বিপ্লবের পূর্বে ফ্রান্স শাসন করতো - বুরবোঁ রাজারা।
  4. বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সকে একটি "রাজনৈতিক কারগার" বলে অভিহিত করেন - ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ার। 
  5. "আমিই রাষ্ট্র" - এই উক্তিটি করেছিলেন - বুরবোঁ রাজা চতুর্দশ লুই।
  6. "সূর্যরাজা" বলা হতো - চতুর্দশ লুইকে।
  7. "প্রজাপতি রাজা" বলা হতো - পঞ্চদশ লুইকে।
  8. "আমার ইচ্ছাই আইন" - এই উক্তিটি করেছিলেন - বুরবোঁ রাজা ষোড়শ লুই।
  9. ইনটেনডেন্ট নামে পরিচিত ছিলো - ফ্রান্সের প্রাদেশিক রাজস্ব আদায়কারী কর্মচারীরা।
  10. ফ্রান্সের সাধারন জনগন "অর্থলোলুপ নেকড়ে" বলতো - ইনটেনডেন্টদেরকে।
  11. "লেত্র দ্য ক্যাশে" ছিলো - বিপ্লবপূর্ব ফ্রান্সের একধরনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, যার সাহায্যে যেকোন ফরাসি নাগরিককে বিনা বিচারে অনির্দিষ্টকাল কারারুদ্ধ করা যেতো। 
  12. "লেত্র দ্য গ্রেস" ছিলো - বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সের এক বিশেষ রাজকীয় পরোয়ানা, যার সাহায্যে আদালতে দন্ড প্রাপ্ত যেকোন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে রাজা মুক্তি দিতে পারতেন। 
  13. "লিট দ্য জাস্টিস" ছিলো - বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সে রাজার এক বিশেষ ক্ষমতার পরোয়ানা, যার সাহায্যে রাজা পার্লেমেন্টকে উপেক্ষা করে যেকোন রাজকীয় আইন পাশ করিয়ে নিতে পারতেন। 
  14. ফ্রান্সকে একটি "ভ্রান্ত অর্থনীতির জাদুঘর" বলে উল্লেখ করেন - ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথ।
  15. " ওয়েলথ অব নেশনস" গ্রন্থটির লেখক হলেন - ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথ।
  16. বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সে প্রত্যক্ষ কর ছিলো - ৩টি। তেইলি (সম্পত্তি কর), ভিংটিয়েমে (আয়কর), ক্যাপিটেশন (উৎপাদন কর)। 
  17. বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সের পরোক্ষ করগুলি ছিলো - টাইথ (ধর্মকর), এডস (মদের ওপর ধার্য কর), গ্যাবেল (লবন কর)।
  18. বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সে সামন্ততান্ত্রিক কর গুলি ছিলো - কর্ভি (বেগার শ্রম), বানালিতে (সামন্তপ্রভুর কলে শস্য পেষাইয়ের কর), পেয়াজ (পথ, সেতু, খেয়াঘাটের ওপর কর)। 
  19. বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সে "দান" ও "দেনিম" নামক কর দিতো - যাজকরা। 
  20. ১৫৬১ খ্রিঃ পেইসির চুক্তি অনুযায়ী ফ্রান্সের রাজাকে স্বেচ্ছাকর দিতেন - যাজকরা। 
  21. বিপ্লবপূর্ব ফ্রান্সে যাবতীয় করের বোঝা বহন করতে হতো - তৃতীয় সম্প্রদায়কে।
  22. বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সের সমাজ বিভক্ত ছিলো - ৩ টি ভাগে। ফাস্ট এস্টেটে ছিলো যাজকরা, সেকেন্ড এস্টেটে ছিলো অভিজাতরা, থার্ড এস্টেটে ছিলো - যাজক, অভিজাত বাদে সাধারন শ্রেনীর মানুষেরা, যাদের মধ্যে ছিলেন - বুর্জোয়া, কৃষক ও সাঁকুলেৎ। 
  23. বিপ্লবপূর্ব ফ্রান্সে অভিজাতরা - দুই ভাগে বিভক্ত ছিলো। যথা - জন্মসূত্রে অভিজাত, পোশাকি অভিজাত 
  24. জন্মসূত্রে অভিজাতরা ছিলেন - উচ্চবংশের। এদের বংশকৌলিন্য ছিলো।
  25. পোশাকি অভিজাতরা - উচ্চবংশের ছিলেন না। আর্থিক ক্ষমতার জোরে প্রশাসনিক পদ কিনে এরা অভিজাত হয়েছিলেন বলে এদের "পোশাকি অভিজাত" বলা হতো। 
  26. বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সে শহরে আগত ভবঘুরে বেকার লোকদের - সাঁকুলেৎ বলা হতো। 
  27. বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সে বুরবোঁ রাজারা - ঈশ্বরপ্রদত্ত রাজক্ষমতায় বিশ্বাসী ছিলেন। 
  28. "ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরন নীতির" প্রবক্তা ছিলেন - ফরাসি দার্শনিক মন্তেস্কু।
  29. মন্তেস্কুর সম্পূর্ণ নাম ছিলো - চার্লস ডি মন্টেস্কু।
  30. মন্টেস্কু রচিত দুটি গ্রন্থ হলো - "দ্য স্পিরিট অব লজ" ও "দি পার্সিয়ান লেটার্স"। 
  31. "লুথার বা কেলভিন অপেক্ষা আমার যুগে আমি কম করিনি" - এই উক্তিটি করেন - ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ার। 
  32. ভলতেয়ারের প্রকৃত নাম ছিলো - ফ্রাঁসোয়া মারি আরোয়েৎ।
  33. ভলতেয়ারের লেখা দুটি গ্রন্থ হলো - "কাঁদিদ" ও "ফিলোজফিক্যাল লেটার্স"।
  34. "ফরাসি বিপ্লবের ঝড়ের পাখি /ফরাসি বিপ্লবের মন্ত্রগুরু/ফরাসি বিপ্লবের জনক" - বলা হয় - ফরাসি দার্শনিক রুশোকে।
  35. সামাজিক চুক্তি মতবাদের প্রবক্তা ছিলেন - রুশো।
  36. রুশোর প্রকৃত নাম ছিলো - জঁ জাক রুশো। 
  37. রুশোর লেখা গ্রন্থ গুলি হলো - "দ্য সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট"," Origin of Inequality"(অসাম্যের সূত্রপাত), এমিল।
  38. ফ্রান্সে ৩৫ খন্ডে বিভক্ত বিশ্বকোষ রচনা করেন - ডেনিস দিদেরো ও ডি এলেমবার্ট।
  39. ফ্রান্সে ফিজিওক্র্যাট মতবাদের অনুসারী ছিলেন - ফ্রাঙ্কোয়েস কুয়েসনে, তুর্গো।
  40. ফিজিওক্র্যাট মতবাদের প্রবক্তারা - রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত অর্থনীতির বদলে অবাধ বানিজ্য নীতির কথা তুলে ধরেছিলেন। 
  41. "থিওরি অফ ট্যাক্সেশন" গ্রন্থটির লেখক ছিলেন - কুয়েসনে।
  42. ষোড়শ লুই অর্থমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত করেন - তুর্গো, নেকার, ক্যালোন ও ব্রিয়াঁকে।
  43. ষোড়শ লুই পার্লেমেন্ট গুলিকে ভেঙ্গে দেন - ১৭৮৮ খ্রিঃ।
  44. ফ্রান্সে অভিজাতদের দ্বারা পরিচালিত বিচারসভা গুলিকে বলা হতো - পার্লেমেন্ট বা পার্লেমঁ।
  45. অভিজাত বিদ্রোহ হয় - ১৭৮৮ খ্রিঃ। 
  46. ঐতিহাসিক জর্জ লেফেভর অভিজাত বিদ্রোহকে বলেছেন - অভিজাত বিপ্লব। 
  47. টালির দিন ছিলো - ১৭৮৮ খ্রিঃ ৭ ই জুন। 
  48. বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সের পার্লামেন্ট বা জাতীয় সভার নাম ছিলো - স্টেটস জেনারেল।
  49. বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সে স্টেটস জেনারেলের ভোটদান পদ্ধতি ছিলো - সম্প্রদায় ভিত্তিক। যাজক, অভিজাত ও তৃতীয় সম্প্রদায়ের ১ টি করে ভোট ছিলো। 
  50. কেহিয়ার শব্দের অর্থ হলো - অভিযোগের তালিকা। স্টেটস জেনারেল নির্বাচন ঘোষনার সময়ে প্রত্যেক শ্রেনীকে আলাদা ভাবে অভিযোগের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছিলো। 
  51. বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সের রাজনৈতিক কারগার বলা হতো - বাস্তিল দুর্গকে।
  52. বাস্তিল দুর্গের পতন ঘটে - ১৭৮৯ খ্রিঃ ১৪ ই জুলাই।
  53. বিপ্লব পূর্ব ফ্রান্সে স্টেটস জেনারেলের অধিবেশন বন্ধ ছিলো - ১৭৫ বছর (১৬১৪ - ১৭৮৮)
  54. স্টেটস জেনারেলের নির্বাচন হয় - ১৭৮৯ খ্রিঃ জানুয়ারি মাসে। 
  55. স্টেটস জেনারেলের অধিবেশন বসে - ১৭৮৯ খ্রিঃ ৫ ই মে ভার্সাই শহরে। 
  56. স্টেটস জেনারেলে তৃতীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা নিজেদের সভাকে জাতীয় সভা নামে ঘোষনা করে - ১৭৮৯ খ্রিঃ ১৭ ই জুন। 
  57. জাতীয় সভা সংবিধান সভাতে পরিনত হয় - ১৭৮৯ খ্রিঃ ৯ ই জুলাই। 
  58. টেনিস কোর্টের শপথ হয় - ১৭৮৯ খ্রিঃ ২০ জুন। 
  59. টেনিস কোর্টের শপথনামা রচনা করেন - মুনিয়ে। 
  60. স্টেটস জেনারেলে তৃতীয় সম্প্রদায়ের মাথা পিছু ভোট ও যৌথ অধিবেশনের দাবি রাজা মেনে নেন - ১৭৮৯ খ্রিঃ ২৭ শে জুন। 
  61. ফ্রান্সে প্রথম সংবিধান প্রবর্তিত হয় - ১৭৯১ খ্রিঃ ।
  62. ১৭৯১ খ্রিঃ সংবিধানে রাজার উপাধি দেওয়া হয় - ফরাসি জাতির রাজা। 
  63. সিভিল কনস্টিটিউশন অব দ্য ক্লার্জি বা ধর্মযাজকদের সংবিধান প্রবর্তিত হয় - ১৭৯১ খ্রিঃ।
  64. নতুন সংবিধানে ফ্রান্সের প্রদেশ সংখ্যা ছিলো - ৮৩ টি।
  65. ব্যক্তি ও নাগরিকের অধিকারের ঘোষনা প্রচার করা হয় - ১৭৮৯ খ্রিঃ ২৬ শে আগস্ট। 
  66. ফ্রান্সে সামন্ততন্ত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয় - ১৭৮৯ খ্রিঃ ৪ ই আগস্ট।
  67. রাজতন্ত্রের শবযাত্রা - ১৭৮৯ খ্রিঃ ৬ অক্টোবর প্যারিস শহরের কয়েক হাজার মহিলারা শোভাযাত্রা করে রাজা ষোড়শ লুই ও তার পরিবারকে প্যারিসে নিয়ে আসেন। ঐতিহাসিক রাইকার একে রাজতন্ত্রের শবযাত্রা বলে অভিহিত করেন। 
  68. ষোড়শ লুই পলায়ন করতে গিয়ে ধরা পড়েন - ১৭৯১ খ্রিঃ ২১ শে জুন ভেরেন্নে নামক গ্রামে। 
  69. ষোড়শ লুইকে বন্দি করা হয় - টেম্পল দুর্গে।
  70. প্যাডুয়ার ঘোষনাপত্র প্রচার করেন - অষ্ট্রিয়ার রাজা দ্বিতীয় লিওপোল্ড ১৭৯১ খ্রিঃ ৬ ই জুলাই।
  71. ব্রান্সউইক ঘোষনাপত্র প্রচার করেন - ১৭৯২ খ্রিঃ আগস্ট মাসে প্রাশিয়ার সেনাপতি ব্রান্সউইক। 
  72. রাষ্ট্রকে বাঁচতে হলে রাজাকে মরতে হবে - এই উক্তিটি করেছিলেন - রোবসপিয়ার।
  73. রাজা ষোড়শ লুই ও রানি মেরি আঁতোয়ানেতকে গিলোটিনে হত্যা করা হয় - ১৭৯৩ খ্রিঃ ২১ শে জানুয়ারি। 
  74. ফ্রান্সের বিরুদ্ধে প্রথম শক্তিজোট গঠিত হয় - ১৭৯৩ খ্রিঃ ইংল্যান্ড, অষ্ট্রিয়া, প্রাশিয়া, হল্যান্ড, স্পেন প্রভৃতি দেশ গুলিকে নিয়ে। 
  75. ফ্রান্স বিরোধী দ্বিতীয় শক্তিজোট গঠিত হয় - ১৭৯৮ খ্রিঃ ইংল্যান্ড, অষ্ট্রিয়া, পর্তুগাল, রাশিয়া প্রভৃতি দেশ গুলিকে নিয়ে। 
  76. গন নিরাপত্তা সমিতি গঠিত হয় - ১৭৯৩ খ্রিঃ। 
  77. ফ্রান্সে সন্ত্রাসের শাসন শুরু হয় - জেকোবিন দলের নেতৃত্বে।
  78. ফ্রান্সে সন্ত্রাসের শাসন চলেছিলো - ১৭৯২ খ্রিঃ ২ জুন থেকে ১৭৯৪ খ্রিঃ ২৭ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ১৩ মাস। 
  79. সন্ত্রাসের শাসনের প্রধান নায়ক ছিলেন - রোবসপিয়ার। 
  80. সন্ত্রাসের শাসনের কয়েকজন নেতা ছিলেন - রোবসপিয়ার, দাঁতো, হিবার্ট।
  81. সন্ত্রাসের শাসনের কয়েকটি সংগঠন হলো - জননিরাপত্তা কমিটি, সাধারন নিরাপত্তা কমিটি, বিপ্লবী বিচারালয়। 
  82. সন্ত্রাসের শাসন চলাকালীন সময়ে ফ্রান্সে যে সন্ত্রাস চলেছিলো তাকে বলা হয় - লাল সন্ত্রাস। 
  83. সন্ত্রাসের শাসনের পতনের পর বুর্জোয়া প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে ফ্রান্সে যে সন্ত্রাস চলেছিলো তাকে বলা হয় - শ্বেত সন্ত্রাস। 
  84. রোবসপিয়ারকে হত্যা করা হয় - ১৭৯৪ খ্রিঃ ২৮ শে জুলাই গিলোটিন যন্ত্রের সাহায্যে। 
  85. ফ্রান্সে সেপ্টেম্বর হত্যাকাণ্ড হয় - ১৭৯২ খ্রিঃ জেকোবিন দলের নেতৃত্বে ।
  86. ফ্রান্সে ন্যাশনাল কনভেনশন গঠিত হয় - ১৭৯২ খ্রিঃ। 
  87. অ্যাসাইনেট হলো - একধরনের কাগজের মুদ্রা। ফরাসি বিপ্লবের পর গির্জার ভূ সম্পত্তি জাতীয়করন করে তার সমমূল্যের যে নোট সংবিধানসভা প্রনয়ন করেছিলো, তাকে অ্যাসাইনেট বলে। 
  88. ফ্রান্সের জাতীয় সঙ্গীতের নাম হলো - লা মার্সেইয়েজ। 
  89. গিলোটিন হলো - শিরচ্ছেদ করার যন্ত্র। 
  90. গিলোটিন যন্ত্র আবিষ্কার করেন - ফরাসি চিকিৎসক যোসেফ ইগনাসে গিলোটিন।
  91. ফরাসি বিপ্লবের সময় দেশত্যাগী অভিজাতদের বলা হয় - ইমিগ্রী। 
  92. "তৃতীয় এস্টেট কি" গ্রন্থের রচয়িতা হলেন - আবে সিয়েস। 
  93. ফ্রান্সে রাজতন্ত্রের অবসান এবং প্রজাতন্ত্রের সূচনা ঘটেছিলো - ১৭৯২ খ্রিঃ ২১ শে সেপ্টেম্বর। 
  94. ফরাসি বিপ্লবের শ্লোগান ছিলো - সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতা। 
  95. "অহমিকাই ছিল বিপ্লবের প্রধান কারন, স্বাধীনতা ছিলো অজুহাত মাত্র" - এই উক্তিটি হলো - নেপোলিয়ন বোনাপার্টের। 
  96. প্যাট্রিয়ট দল গঠন করেছিলো - মধ্যবিত্ত ও উদারপন্থী অভিজাত লাফায়েত, মিরাব্যু, আবে সিয়েস প্রমুখরা।
  97. ফরাসি বিপ্লবের পতাকার রং ছিলো - সাদা, লাল ও নীল। 
  98. জাতীয় রক্ষীবাহিনী গঠিত হয় - ১৭৮৯ খ্রিঃ প্যারিসে। 
  99. জাতীয় রক্ষী বাহিনীর প্রধান ছিলেন - লাফায়েত। 
  100. ফ্রান্সে প্রথম কমিউন গড়ে উঠেছিলো - প্যারিসে। 
  101. প্যারিস কমিউনের প্রথম মেয়র ছিলেন - বেইলি। 

 
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post