উচ্চমাধ্যমিক চতুর্থ অধ্যায় : সংক্ষিপ্ত তথ্য (Part - 3)

উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাসের চতুর্থ অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত তথ্য গুলি ইতিমধ্যেই আমরা দুটি পর্বে ধারাবাহিক ভাবে তুলে ধরেছি। আজকের তৃতীয় পর্বে আমরা বাংলার বাইরে সমাজ সংস্কার আন্দোলন, গ্রামীন এলিট সম্প্রদায়, শিল্পে শ্রমশক্তির আত্মপ্রকাশ, উনিশ শতকে বঙ্গীয় নবজাগরন ও চিনের ইতিহাস ইত্যাদি বিষয় গুলির সংক্ষিপ্ত তথ্য গুলি তুলে ধরছি। 

আশা করছি, বিগত পর্ব গুলির মতো আজকের পর্বটিও ছাত্রছাত্রীদের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের প্রস্তুতির জন্য কিছুটা হলেও সাহায্য করবে।

উচ্চমাধ্যমিক চতুর্থ অধ্যায় :সংক্ষিপ্ত তথ্য (Part - 3)
উচ্চমাধ্যমিক চতুর্থ অধ্যায় :সংক্ষিপ্ত তথ্য (Part - 3)


(ক.) বাংলার বাইরে সমাজ সংস্কার আন্দোলন :-

  1. ১৮৬৭ খ্রিঃ মহারাষ্ট্রে আত্মারাম পান্ডুরঙ্গ প্রার্থনা সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন।
  2. প্রার্থনা সমাজের প্রানপুরুষ ছিলেন - মহাদেব গোবিন্দ রানাডে।
  3. "দাক্ষিনাত্য শিক্ষা সমাজ" (ডেকান এডুকেশন সোসাইটি - ১৮৮০), "পুনা সার্বজনীন সভা" (১৮৭০), "বিধবা বিবাহ সমিতি"(১৮৬১) প্রতিষ্ঠা করেন - মহাদেব গোবিন্দ রানাডে
  4. হেলেনা ব্লাভাটস্কি ও কর্নেল এইচ এস ওলকট ১৮৭৫ খ্রিঃ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে "থিওসফিক্যাল সোসাইটি" প্রতিষ্ঠা করেন।
  5. ১৮৭৫ খ্রিঃ বোম্বাইয়ে আর্যসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন - স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী।
  6. "সত্যার্থ প্রকাশ" ও "বেদভাষা" লিখেছিলেন - স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী।
  7. স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী ধর্মত্যাগী হিন্দুদের স্বধর্মে প্রত্যাবর্তনের জন্য সংগঠিত করেন শুদ্ধি আন্দোলন
  8. মহারাষ্ট্রের একজন সমাজ সংস্কারক ছিলেন - জ্যোতিবা গোবিন্দরাও ফুলে
  9. জ্যোতিবা ফুলে ১৮৭৩ খ্রিঃ "সত্যশোধক সমাজ" প্রতিষ্ঠা করেন।
  10. সত্যশোধক সমাজের মুখপত্রের নাম ছিলো - "দীনমিত্র"।
  11. "ব্রাহ্মনাচে কসাব", "শ্বেতকার্যচ অসুদ", ও "গুলামগিরি" গ্রন্থ গুলি লিখেছিলেন - জ্যোতিবা ফুলে।
  12. শ্রীনারায়ন গুরু ছিলেন কেরালার একজন সমাজ সংস্কারক। 
  13. ভাইকম সত্যাগ্রহে নেতৃত্ব দেন - শ্রীনারায়ন গুরু।
  14. কেরালায় জাতপাত ও অস্পৃশ্যতার কঠোরতার জন্য স্বামী বিবেকানন্দ কেরালাকে" ভারতের উদ্মাদ আশ্রম" বলে অভিহিত করেন।
  15. অন্ধ্রপ্রদেশের একজন সমাজ সংস্কারক ছিলেন - বীরসালিঙ্গম পানতুলু
  16. দক্ষিণ ভারতের বিদ্যাসাগর বলা হয় - বীরসালিঙ্গম পানতুলুকে।
  17. বিবেকবর্ধিনী পত্রিকা প্রকাশ করেন - বীরসালিঙ্গম পানতুলু।
  18. মুসলিম সমাজের রামমোহন নামে পরিচিত ছিলেন - স্যার সৈয়দ আহমেদ খান।
  19. আলিগড় আন্দোলনের প্রবর্তক ছিলেন - স্যার সৈয়দ আহমেদ খান।
  20. স্যার সৈয়দ আহমেদ খান ১৮৬৪ খ্রিঃ "সায়েন্টিফিক সোসাইটি" প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
  21. ১৮৭৫ খ্রিঃ আলিগড়ে "অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ" প্রতিষ্ঠা করেন - স্যার সৈয়দ আহমেদ খান।
  22. আলিগড় কলেজ ১৯২০ খ্রিঃ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিনত হয়।
  23. আলিগড় অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজকে কেন্দ্র করে স্যার সৈয়দ আহমেদ খান মুসলিম সমাজের মধ্যে শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারের যে আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যান, তা" আলিগড় আন্দোলন" নামে পরিচিত।
  24. আলিগড় আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতারা ছিলেন - চিরাগ আলি, আলতাফ হোসেন আলি, মৌলানা শিবলি নোমানি, নাজির আহমেদ।
  25. আলিগড় কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন - থিয়োডর বেক।
  26. ১৯২০ খ্রিঃ শিখদের ধর্মীয় কেন্দ্র গুরুদ্বার গুলিকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য অকালি আন্দোলন শুরু হয়।
  27. ঊনবিংশ শতকে পাঞ্জাবে নামধারী আন্দোলনের সূচনা করেন - বাবা রাম সিংহ
  28. ঊনবিংশ শতকে পাঞ্জাবে নিরাকারী আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন - বাবা দয়াল সিংহ
  29. ১৮৭৩ খ্রিঃ পাঞ্জাবের অমৃতসরে "শ্রীগুরু সিংহসভা" প্রতিষ্ঠা করেন - সর্দার ঠাকুর সিংহ, বিক্রম সিংহ, বাবা শ্রীখেম সিংহ বেদী। 
  30. ভারতে সতীদাহ প্রথার অবসান ঘটান লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক ১৭ নং রেগুলেশন আইন দ্বারা ১৮২৯ খ্রিঃ । 
  31. ভারতে বিধবা বিবাহকে আইন সম্মত বলে ঘোষনা করেন লর্ড ডালহৌসি ১৮৫৬ খ্রিঃ ১৫ নং রেগুলেশন আইন দ্বারা। 
  32. ভারতে নরবলিপ্রথা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন লর্ড হার্ডিঞ্জ। 
  33. ১৮৪৩ খ্রিঃ লর্ড অকল্যান্ড ভারতীয় সমাজ থেকে দাসপ্রথার অবসান ঘটান। 

(খ) মহাজনী শ্রেনী, শিল্পে শ্রমশক্তির আত্মপ্রকাশ, আদিবাসী ও দলিত, বঙ্গীয় নবজাগরন : - 

  1. গুজরাটের গ্রামের যৌথ জমি "পতি" নামে পরিচিত ছিলো এবং ভূমির রাজস্ব আদায়কারীগন "পতিদার" নামে পরিচিত ছিলো। 
  2. গুজরাটে কুনবিরা পতিদার হিসাবে দায়িত্ব পালন করতেন। পতিদারদের উপাধি ছিলো "প্যাটেল", যার অর্থ ছিলো গ্রামের প্রধান। 
  3. দক্ষিণ ভারতের সুদখোর মহাজন শ্রেনী "সাউকার" নামে পরিচিত ছিলো। 
  4. উত্তর প্রদেশ ও পাঞ্জাবে ক্ষত্রী, গুজরাটে বানিয়া, রাজস্থানে মাড়োয়ারি, তামিলনাড়ুতে চেট্টিয়ার, বাংলায় সাহা ও বনিক সম্প্রদায় মহাজনী কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলো। 
  5. ১৯১৮ খ্রিঃ বি পি ওয়াদিয়া "মাদ্রাজ লেবার ইউনিয়ন" নামে ভারতের প্রথম ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করেন। 
  6. গান্ধীজি আমেদাবাদের বস্ত্রশিল্প শ্রমিকদের নিয়ে ১৯২০ খ্রিঃ "আমেদাবাদ টেক্সটাইল লেবার অ্যাসোসিয়েশন" প্রতিষ্ঠা করেন। 
  7. ১৯২০ খ্রিঃ প্রতিষ্ঠিত হয় নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস (AITUC)। 
  8. AITUC র প্রথম সভাপতি ছিলেন - লালা লাজপত রায়। 
  9. AITUC র প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় - বোম্বাইয়ে। 
  10. ১৯৩৪ খ্রিঃ আচার্য নরেন্দ্রদেব, জয়প্রকাশ নারায়ন প্রমুখের নেতৃত্বে জাতীয় কংগ্রেসের অভ্যন্তরে কংগ্রেস সোশ্যালিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়। 
  11. ১৯২৫ খ্রিঃ কানপুরে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি। 
  12. বস্ত্র কারখানার শ্রমিকদের সংগঠন ছিলো - গিরনি কামগার ইউনিয়ন
  13. গিরনি কামগার ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয় - বোম্বাইয়ে ১৯২৮ খ্রিঃ।
  14. শ্রমিক সমস্যার সমাধানের জন্য ব্রিটিশ সরকার ১৯২৯ খ্রিঃ "হুইটলি কমিশন" গঠন করেছিলো।
  15. ১৯২৯ খ্রিঃ লর্ড আরউইন শিল্প বিরোধ বিল ও জননিরাপত্তা বিল নামে দুটি শ্রমিক বিরোধী বিল পাশ করেছিলো। 
  16. মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করা হয় - ১৯২৯ খ্রিঃ। 
  17. মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় ৩৩ জন কমিউনিস্ট নেতাকে গ্রেফতার করে মামলা দায়ের করা হয়েছিলো। 
  18. মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত দুজন বিদেশী ছিলেন - বেঞ্জামিন ব্রাডলি ও ফিলিপ স্প্র্যাট। 
  19. ১৯৩৪ খ্রিঃ ভারতে কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। 
  20. ভারতে চর্তুবর্ন সামাজিক কাঠামোর বাইরে সংমিশ্রিত জাতি গুলিকে অস্পৃশ্য বা পঞ্চম বলে অভিহিত করা হতো। বিংশ শতাব্দীর সূচনালগ্নে এই অস্পৃশ্য জাতি গুলি নিজেদের দলিত পরিচয়ে অভিহিত করে। 
  21. গান্ধীজি দলিতদের নতুন নামকরণ করেন - হরিজন।
  22. মতুয়া ধর্মের প্রবর্তক ছিলেন - হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুর। 
  23. দলিতদের রাজনৈতিক দল জাস্টিস পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয় - ১৯১৭ খ্রিঃ। 
  24. ১৯৩০ খ্রিঃ ড. বি আর আম্বেদকর "সর্বভারতীয় নিপীড়িত শ্রেণির কংগ্রেস" প্রতিষ্ঠা করেন।
  25. ১৯৩২ খ্রিঃ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রেমসে ম্যাকডোনাল্ড ভারতে সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি ঘোষনা করেন।
  26. ১৯৩২ খ্রিঃ গান্ধীজি ও বি আর আম্বেদকরের মধ্যে পুনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
  27. আম্বেদকরের নেতৃত্বে ১৯৪২ খ্রিঃ প্রতিষ্ঠিত হয় -" "সর্বভারতীয় তপশিলি জাতি ফেডারেশন"। 
  28. স্বাধীন ভারতে সংবিধানের খসড়া কমিটির সভাপতি ছিলেন - বি আর আম্বেদকর। 
  29. ব্রিটিশ সরকার ১৮৭৬ খ্রিঃ নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন এবং ১৮৭৮ খ্রিঃ অস্ত্র আইনদেশীয় সংবাদপত্র আইন প্রবর্তন করেছিলো।
  30. বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষা ও ভাবধারার প্রভাবে উনিশ শতকে শিক্ষা, সাহিত্য, ধর্ম, সংস্কৃতি ও সমাজ ব্যবস্থায় এক অভূতপূর্ব জাগরন ও সংস্কার আন্দোলন দেখা যায়। একে অনেক ঐতিহাসিক পঞ্চদশ শতকে ইতালির নবজাগরনের সঙ্গে তুলনা করে উনিশ শতকের "বঙ্গীয় নবজাগরন" বলে অভিহিত করেন। 
  31. উনিশ শতকের বঙ্গীয় নবজাগরনের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন - রাজা রামমোহন রায়, ডিরোজিও, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, কেশবচন্দ্র সেন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, স্বামী বিবেকানন্দ প্রমুখ। 
  32. উনিশ শতকে প্রখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানীদের মধ্যে ছিলেন - জগদীশচন্দ্র বসু (ক্রেসকোগ্রাফ ও বেতার যন্ত্র আবিষ্কার করেন) ,সত্যেন্দ্রনাথ বসু (বোসন কনা আবিষ্কার করেন), উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী (কালাজ্বরের ঔষুধ আবিষ্কার করেন), মেঘনাদ সাহা (সাহা সমিকরন আবিষ্কার করেন)। 
  33. "History of Bengal" গ্রন্থটির লেখক হলেন - স্যার যদুনাথ সরকার।
  34. উনিশ শতকের বঙ্গীয় নবজাগরনের প্রধান সীমাবদ্ধতা গুলি হলো - (ক) এই নবজাগরন সমাজের উচ্চশ্রেনী ও কলকাতা শহরাঞ্চলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো। (খ) মুসলিম সমাজ এই নবজাগরন থেকে দূরে ছিলো। (গ) ঔপনিবেশিক প্রশাসনের সহায়তায় এই নবজাগরন সম্পন্ন হয়েছিলো। (ঘ) গ্রাম সমাজের সঙ্গে এই নবজাগরনের কোন সম্বন্ধ ছিলো না। 
  35. ১৮৬৪ খ্রিঃ ব্রিটিশ সরকার ভারতে জনস্বাস্থ্য ও সংক্রামক ব্যাধি সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করে। 
  36. শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির দাবিতে ব্রিটিশ সরকার ১৯৩৬ খ্রিঃ "ভারতীয় মজুরি আইন" পাস করেছিলো।

 (গ.) চিনের ইতিহাস : সংক্ষিপ্ত তথ্য 

  1. তাইপিং শব্দের অর্থ হলো - মহান শান্তি। 
  2. চিনে তাইপিং বিদ্রোহ হয়েছিলো - ১৮৫১ - ৬৪ খ্রিঃ।
  3. চিনে মাঞ্চু শাসকদের দুর্নীতি ও শোষন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, জনগনের ওপর ব্যপক করের বোঝা, বেকারত্ব, ইত্যাদি কারনে জনগনের মধ্যে যে ক্ষোভের জন্ম হয়েছিলো তার ফলেই তাইপিং বিদ্রোহ সংগঠিত হয়।
  4. তাইপিং বিদ্রোহের প্রধান নেতা ছিলেন - হান সিউ চুয়ান।
  5. তাইপিং বিদ্রোহ ছিলো ধর্মীয় আদর্শে অনুপ্রাণিত চিনের প্রথম কৃষক বিদ্রোহ
  6. তাইপিং বিদ্রোহের পর সম্রাট তুং চি র শাসনকালে চিনে মাঞ্চু রাজশক্তিকে পুনরুজ্জীবিত করে শক্তিশালী করে তোলার যে প্রচেষ্টা চলেছিলো, তাকে তুং চি পুনঃপ্রতিষ্ঠা বলা হয়ে থাকে। 
  7. তুং চি পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রধান লক্ষ্য ছিলো - মাঞ্চু রাজবংশকে শক্তিশালী ও স্থায়ী করে তোলা।
  8. বৈদেশিক শিক্ষা ও সংস্কারের মধ্য দিয়ে ১৮৬১ থেকে ১৮৯৫ খ্রিঃ পর্যন্ত চিনে আত্মশক্তি আন্দোলন চলেছিলো।
  9. ১৮৯৪ - ৯৫ খ্রিঃ চিন জাপান যুদ্ধে জাপানের কাছে চিনের পরাজয় ঘটে।
  10. চিনের একজন প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী ছিলেন - কাং ইউ ওয়ে।
  11. চিনের অন্যতম বুদ্ধিজীবী কাং ইউ ওয়ে সংস্কারের দাবিতে ১৮৯৫ খ্রিঃ ১৩০০ বুদ্ধিজীবীর স্বাক্ষর সম্বলিত একটি আবেদনপত্র চিনা সম্রাটের কাছে জমা দেন। এই সংস্কারের দাবি মেনে নিয়ে ১৮৯৮ খ্রিঃ প্রায় ১০০ দিন ধরে চিনে সংস্কার চলেছিলো। একে "শতদিবসের সংস্কার" বলা হয়।
  12. চিনে বক্সার বিদ্রোহ হয় - ১৯০০ খ্রিঃ।
  13. চিনে বক্সার বিদ্রোহের প্রধান কারন গুলি ছিলো - (ক) চিনের ওপর বিদেশীদের সীমাহীন শোষন ও অত্যাচার। (খ) চিনাদের ওপর বিদেশ বনিকদের শোষন ও আগ্রাসন, (গ) চিনাদের বলপূর্বক ভাবে খ্রিষ্টান ধর্ম মতে দীক্ষিত করা (ঘ) প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও মাঞ্চু শাসকদের অপদার্থতা।
  14. সান ইয়াৎ সেন ছিলেন চিনের একজন জাতীয়তাবাদী জননেতা। 
  15. চিনে তুং মেং হুই দল গঠন করেন - সান ইয়াৎ সেন। 
  16. ইউয়ান সি কাই ছিলেন - চিনের সমরনায়ক।
  17. ১৯১৫ খ্রিঃ জাপানের মন্ত্রী হিওকি একি চিনা রাষ্ট্রপতি ইউয়ান শি কাইয়ের কাছে ২১ দফা দাবি পেশ করেন।
  18. চিনে ৪ঠা মে আন্দোলন শুরু হয় - ১৯১৯ খ্রিঃ ৪ ঠা মে।
  19. ৪ ঠা মে আন্দোলনের প্রধান কারন ছিলো - (ক) চিনে ইউয়ান সি কাই এর নৃশংসতা ও অপশাসন (খ) চিনের ওপর জাপানের অপমানজনক ২১ দফা দাবিপত্র পেশ. (গ) প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর মিত্রপক্ষের কাছে চিনের দাবিদাওয়া উপেক্ষিত হওয়া, ইত্যাদি। 

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post