উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাসের তৃতীয় অধ্যায়টির সংক্ষিপ্ত তথ্য গুলিকে নীচে তুলে ধরা হলো। আশা করছি, বিগত পর্ব গুলির মতো আজকের পর্বটিও ছাত্রছাত্রীদের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের প্রস্তুতির জন্য কিছুটা হলেও সাহায্য করবে।
আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় হলো - ভারতে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজনৈতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার ইতিহাস (বাংলা,কর্নাট, মহীশূর, মারাঠা ও শিখ রাজ্য জয়)।
উচ্চমাধ্যমিক তৃতীয় অধ্যায় : সংক্ষিপ্ত তথ্য (Part - 1) |
ভারতে ইওরোপীয় বনিক ও ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আগমন :-
(ক.) ভারতে প্রথম কোন ইওরোপীয় বানিকরা করতে আসে?
- ইওরোপীয় শক্তি গুলির মধ্যে ভারতে প্রথম বানিজ্য করতে আসে পোর্তুগিজরা।
- পোর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো দা গামা ১৪৯৮ খ্রিঃ আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিন প্রান্তে অবস্থিত উত্তমাশা অন্তরীপ অতিক্রম করে ভারতের কলিকট বন্দরে এলে ইওরোপ থেকে ভারতে আসার জলপথের আবিষ্কার হয়।
(খ.) কোন বনিক গোষ্ঠী কোন দেশ থেকে এসেছিলো?
ভারতে বানিজ্য করার জন্য -- (ক) ইংল্যান্ড থেকে এসেছিলো ইংরেজরা,
- (খ) ফ্রান্স থেকে এসেছিলো ফরাসিরা,
- (গ) পোর্তুগাল থেকে এসেছিলো পোর্তুগিজরা,
- (ঘ) ডেনমার্ক থেকে এসেছিলো দিনেমাররা,
- (ঙ) হল্যান্ড থেকে এসেছিলো ওলন্দাজ বা ডাচরা।
(গ.) ভারতে ইওরোপীয় বনিকদের বানিজ্য কুঠির স্থান :-
- (ক) পোর্তুগিজদের বানিজ্য কুঠি :- বোম্বাই, কোচিন, দিউ, সালসেট, বেসিন, বাংলার হুগলি।
- (খ) ওলন্দাজদের বানিজ্য কুঠি :- পুলিকট, সুরাট, নেগাপট্টম, কোচিন, পাটনি, কাশিমবাজার, চুঁচুড়া।
- (গ) দিনেমারদের বানিজ্য কুঠি :- চুঁচুড়া ও কাশিমবাজার।
- (ঘ) ইংরেজদের বানিজ্য কুঠি :- সুরাট, আগ্রা,আহম্মদ নগর, ব্রোচ, মাদ্রাজ, কলকাতা।
- (ঙ) ফরাসিদের বানিজ্য কুঠি :- সুরাট, মুসলিপট্টম, পন্ডিচেরি, কারিকল, মাহে, চন্দননগর।
(ঘ.) ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আগমন ও বানিজ্যের বিস্তার :-
- ১৬০০ খ্রিঃ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়।
- ১৬১৩ খ্রিঃ ভারতের সুরাটে ইংরেজরা প্রথম বানিজ্য কুঠি স্থাপন করে।
- ১৬১৫ খ্রিঃ ব্রিটিশ রাজ প্রথম জেমসের দূত হিসাবে স্যার টমাস রো মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গিরের দরবারে এসেছিলেন।
- ১৬১৯ খ্রিঃ ইংরেজরা সুরাট, আগ্রা, আহম্মদনগর, ব্রোচ, ১৬৩৯ খ্রিঃ মাদ্রাজে এবং ১৬৯০ খ্রিঃ বাংলার সুতানুটি গ্রামে বানিজ্য কুঠি স্থাপন করে।
- সুতানুটি, গোবিন্দপুর ও কোলকাতা গ্রামকে কেন্দ্র করে ঔপনিবেশিক আমলে কলকাতা মহানগরী গড়ে উঠেছিলো।
- ইংরেজরা তাদের বানিজ্য কুঠি গুলি রক্ষা করার জন্য মাদ্রাজে ফোর্ট সেন্ট জর্জ দুর্গ এবং কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ নির্মান করেছিলো।
- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭১৭ খ্রিঃ মুঘল সম্রাট ফারুকশিয়ারের ফরমান দ্বারা বাংলায় বার্ষিক ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে বিনাশুল্কে বানিজ্য করার অধিকার লাভ করেছিলো।
- দস্তক কথার অর্থ হলো বানিজ্যিক ছাড়পত্র। দস্তকের ব্যবহার করে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় বিনা শুল্কে বানিজ্য করার অধিকার ভোগ করতো।
(ঙ) বাংলায় ইংরেজদের আধিপত্য বিস্তার :-
- নবাব আলিবর্দি খাঁর মৃত্যুর পর ১৭৫৬ খ্রিঃ বাংলার মসনদে বসেন সিরাজউদ্দৌল্লা।
- সিরাজউদ্দৌল্লা নবাব পদে বসার পর বিভিন্ন কারনে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে নবাবের বিরোধ বাঁধে।
- ১৭৫৬ খ্রিঃ ২০ জুন সিরাজউদ্দৌল্লা ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ সহ কলকাতা দখল করেন।
- কলকাতা দখলের পর সিরাজউদ্দৌল্লা কলকাতার নতুন নামকরন করেন "আলিনগর" এবং তার শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন মানিক চাঁদ কে।
- অন্ধ্রকূপ হত্যার কথা তুলে ধরেন ইংরেজ কর্মচারী হলওয়েল।
- ১৭৫৬ খ্রিঃ ২০ জুন সিরাজউদ্দৌল্লা কলকাতা দখল করার পর ১৪৬ জন ইংরেজ সৈন্যকে ১৮ ফুট লম্বা ও ১৪ ফুট ১০ ইঞ্চি চওড়া একটি ছোট্ট ঘরে আটকে রাখে। খুব ছোট্ট ঘরে রাখার ফলে পরদিন ১২৩ জন বন্দী শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান। এই ঘটনাকেই "অন্ধ্রকূপ হত্যা" বলা হয়।
- ১৭৫৭ খ্রিঃ ৯ ই ফেব্রুয়ারি, ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও সিরাজউদ্দৌল্লার মধ্যে আলি নগরের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়।
- আলি নগরের সন্ধি অনুযায়ী ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় বিনা শুল্কে বানিজ্য, কলকাতায় দুর্গ নির্মান এবং নিজ নামাঙ্কিত মুদ্রা প্রচলনের অধিকার লাভ করে।
- ১৭৫৭ খ্রিঃ ২৩ শে জুন ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও সিরাজউদ্দৌল্লার মধ্যে পলাশীর যুদ্ধ হয়। পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি জয়লাভ করেছিলো।
- পলাশীর যুদ্ধের পর বাংলার নবাব হন মির্জাফর।
- পলাশীর যুদ্ধের পর ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও তার কর্মচারীরা ছলে বলে কৌশলে প্রচুর পরিমান অর্থ ও সম্পদ বাংলা থেকে লুন্ঠন করে ইংল্যান্ডে নিয়ে চলে যান। একে ঐতিহাসিকরা "পলাশীর লুন্ঠন" বলে অভিহিত করেন।
- ১৭৫৯ খ্রিঃ ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে ওলন্দাজদের বিদারার যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে ওলন্দাজরা পরাজিত হয়।
- ১৭৬০ খ্রিঃ ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বিনা যুদ্ধে মির্জাফরকে ক্ষমতাচ্যুত করে তার জামাতা মিরকাশিমকে বাংলার সিংহাসনে বসানো। বিনা রক্তপাতে বাংলায় নবাব পরিবর্তনের এই ঘটনাকে "১৭৬০ খ্রিঃ বিপ্লব" বলা হয়।
- মিরকাশিমের সঙ্গে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দস্তকের অপব্যবহার নিয়ে বিরোধ ও যুদ্ধ হয়।
- কাটোয়া, গিরিয়া ও উদয়নালার যুদ্ধ হয় মিরকাশিমের সঙ্গে ইংরেজদের। সবকটি যুদ্ধেই মিরকাশিম পরাজিত হয়।
- ১৭৬৪ খ্রিঃ বক্সারের যুদ্ধ হয় বাংলার ক্ষমতাচ্যুত নবাব মিরকাশিম, অযোধ্যার নবাব সুজাউদ্দৌল্লা এবং মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের সঙ্গে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির।
- বক্সারের যুদ্ধে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি জয়লাভ করেছিলো।
- বক্সারের যুদ্ধের পর ১৭৬৫ খ্রিঃ অযোধ্যার নবাব সুজাউদ্দৌল্লার সঙ্গে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এলাহাবাদের প্রথম সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়।
- এলাহাবাদের প্রথম সন্ধিতে ইংরেজরা অযোধ্যার নবাবের স্বাধীন অস্তিত্ব মেনে নেওয়ার শর্তে অযোধ্যা নবাবের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ স্বরূপ ৫০ লক্ষ টাকা এবং কারা ও এলাহাবাদ প্রদেশ দুটি লাভ করেছিলো।
- ১৭৬৫ খ্রিঃ এলাহাবাদের দ্বিতীয় সন্ধি স্বাক্ষরিত হয় ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের।
- এলাহাবাদের দ্বিতীয় সন্ধি দ্বারা ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কারা ও এলাহাবাদ প্রদেশ ও বার্ষিক ২৬ লক্ষ টাকা কর দানের বিনিময়ে বাংলা, বিহার ও ঊড়িষ্যার দেওয়ানির ক্ষমতা লাভ করে।
- মুঘল আমলে কৃষকদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের নিষ্পত্তির অধিকারকেই বলা হতো "দেওয়ান"।
- ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৬৫ খ্রিঃ বাংলায় দেওয়ানির ক্ষমতা লাভ করেছিলো।
- দেওয়ানির ক্ষমতা লাভ করার পর বাংলায় "দেওয়ানী" অর্থাৎ রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব থাকে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে, অন্যদিকে "নিজামত" অর্থাৎ আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব থাকে বাংলার নবাবের হাতে। ১৭৬৫ থেকে ১৭৭২ পর্যন্ত বাংলার এইরূপ শাসন ব্যবস্থাকেই ইতিহাসে দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা বলা হয়।
- দেওয়ানি লাভ করার পর ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেওয়ানির দায়িত্ব পালনের জন্য নায়েব দেওয়ান পদে নিযুক্ত করেন রেজা খাঁ ও সিতাব রায় কে।
- দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা চলাকালীন সময়ে ১৭৭০ খ্রিঃ বাংলা ১১৭৬ সালে যে দুর্ভিক্ষ হয়, তাকে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর বলা হয়।
- বাংলায় ১৭৭২ খ্রিঃ দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটান ওয়ারেন হেস্টিংস।
মনে রাখার টিপস :-
মনে রাখবে "বঙ্গ (বাংলা)" দুই অক্ষরের শব্দ। সুতরাং দুটি যুদ্ধের মধ্য দিয়ে (পলাশীর যুদ্ধ ও বক্সারের যুদ্ধ) ইংরেজরা বাংলার ওপর তাদের নিরঙ্কুশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিলো।
(চ) দাক্ষিনাত্যে ইঙ্গ ফরাসি দ্বন্দ্ব :-
- ইওরোপীয় বনিকরা করমন্ডল উপকূলকে কার্নাটিক বলতো। একেই বাংলাতে বলা হতো কর্নাট।
- দাক্ষিনাত্যে সাদাতুল্লা খান প্রতিষ্ঠিত কর্নাট রাজ্যে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে ফরাসিদের যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলেছিলো, তাকেই ইঙ্গ ফরাসি দ্বন্দ্ব বলা হয়।
- আধিপত্য প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে কর্নাট রাজ্যে ইংরেজদের সঙ্গে ফরাসিদের ৩ টি যুদ্ধ হয়েছিলো। যথা - কর্নাটের প্রথম যুদ্ধ, কর্নাটের দ্বিতীয় যুদ্ধ, কর্নাটের তৃতীয় যুদ্ধ।
- মাইলাপুর বা সেন্ট থোমের যুদ্ধ /প্রথম কর্নাটের যুদ্ধ হয়েছিলো ১৭৪৬ খ্রিঃ কর্নাটের নবাব আনোয়ারউদ্দিন ও ইংরেজদের সঙ্গে ফরাসিদের। এই যুদ্ধ ফরাসিরা পরাজিত হয়।
- ১৭৪৮ খ্রিঃ আই লা স্যাপেলের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয় ইংরেজ ও ফরাসিদের মধ্যে। এই সন্ধি দ্বারা প্রথম কর্নাট যুদ্ধের অবসান ঘটেছিলো।
- দ্বিতীয় কর্নাটের যুদ্ধ হয় ১৭৪৯ খ্রিঃ। দ্বিতীয় কর্নাটের যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে ১৭৫৪ খ্রিঃ।
- তৃতীয় কর্নাটের যুদ্ধ হয় - ১৭৫৬ - ৬৩।
- ১৭৬০ খ্রিঃ বন্দীবাসের যুদ্ধে ইংরেজ সেনাপতি স্যার আয়ার কূট ফরাসি সেনাপতি কাউন্ট লালিকে পরাজিত করে।
মনে রাখার টিপস :-
মনে রাখবে "কর্নাট" তিন অক্ষরের শব্দ। সুতরাং ইঙ্গ ফরাসি দ্বন্দ্বে তিনটি কর্নাটের যুদ্ধ হয়েছিলো।
(ছ.) মহীশূর রাজ্য জয় / ইঙ্গ মহীশূর দ্বন্দ্ব :-
- প্রথম ইঙ্গ মহীশূর যুদ্ধ হয় - ১৭৬৭ খ্রিঃ।
- মাদ্রাজের সন্ধি ১৭৬৯ খ্রিঃ ইংরেজদের সঙ্গে প্রথম ইঙ্গ মহীশূর যুদ্ধে পরাজিত মহীশূর রাজ্যের নবাব হায়দার আলির মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।
- ম্যাঙ্গালোরের সন্ধি ১৭৮৪ খ্রিঃ স্বাক্ষরিত হয় টিপু সুলতানের সঙ্গে ইংরেজদের। দ্বিতীয় ইঙ্গ মহীশূর যুদ্ধের পর এই সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়েছিলো।
- শ্রীরঙ্গপত্তমের সন্ধি ১৭৯২ খ্রিঃ স্বাক্ষরিত হয় টিপু সুলতানের সঙ্গে ইংরেজদের। তৃতীয় ইঙ্গ মহীশূর যুদ্ধের পর এই সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়।
- চতুর্থ ইঙ্গ মহীশূর যুদ্ধ হয়েছিলো - ১৭৯৯ খ্রিঃ। এই যুদ্ধে টিপু সুলতান পরাজিত ও নিহত হন এবং মহীশূর রাজ্যের পতন ঘটে।
মনে রাখার টিপস :-
মনে রাখবে "মহীশূর" চার অক্ষরের শব্দ। সুতরাং ইঙ্গ মহীশূর দ্বন্দ্বে চারটি যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ইংরেজরা মহীশূর রাজ্য জয় করেছিলো।
(জ.) মারাঠা রাজ্য জয় / ইঙ্গ মারাঠা দ্বন্দ্ব :-
- ১৭৭৫ খ্রিঃ সুরাটের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয় রঘুনাথ রাওয়ের সঙ্গে ইংরেজদের।
- নানা ফড়নবীশকে "ভারতের মেকিয়াভেলি" বলা হয়।
- ইংরেজরা ৩ টি যুদ্ধের মধ্য দিয়ে মারাঠা রাজ্য জয় করেছিলো।
- ১৭৮২ খ্রিঃ ইংরেজ ও মারাঠাদের মধ্যে সলবাইয়ের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়।
- ১৮০২ খ্রিঃ পেশোয়া দ্বিতীয় বাজিরাওয়ের সঙ্গে ইংরেজদের বেসিনের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়।
- পেশোয়া দ্বিতীয় বাজিরাও বেসিনের সন্ধি স্বাক্ষর করে ইংরেজদের অধিনতামূলক মিত্রতা নীতি মেনে নেন।
- প্রথম ইঙ্গ মারাঠা যুদ্ধ হয় - ১৭৭৫ খ্রিঃ।
- দ্বিতীয় ইঙ্গ মারাঠা যুদ্ধের সূচনা হয় - ১৮০৩ খ্রিঃ।
- তৃতীয় ইঙ্গ মারাঠা যুদ্ধের সূচনা হয় - ১৮১৭ খ্রিঃ।
মনে রাখার টিপস :-
মনে রাখবে "মারাঠা" তিন অক্ষরের শব্দ। সুতরাং ইঙ্গ মারাঠা দ্বন্দ্বে তিনটি যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ইংরেজরা মারাঠা রাজ্য জয় করেছিলো।
(ঝ.) শিখ রাজ্য জয় /ইঙ্গ শিখ দ্বন্দ্ব :-
- ১৮৩৯ খ্রিঃ রনজিৎ সিংহ ও ইংরেজদের মধ্যে অমৃতসরের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়।
- প্রথম ইঙ্গিত শিখ যুদ্ধ হয় - ১৮৪৫ খ্রিঃ।
- প্রথম ইঙ্গ শিখ যুদ্ধে পরাজিত হবার পর শিখদের সঙ্গে ইংরেজদের লাহোরের সন্ধি (১৮৪৬) স্বাক্ষরিত হয়।
- দ্বিতীয় ইঙ্গ শিখ যুদ্ধ হয়েছিলো - ১৮৪৮ খ্রিঃ।
- চিলিয়ানওয়ালার যুদ্ধ হয় হয় - ১৮৪৯ খ্রিঃ শিখদের সঙ্গে ইংরেজদের।
- ১৮৪৯ খ্রিঃ গুজরাটের যুদ্ধে শিখরা ইংরেজদের কাছে চূড়ান্ত ভাবে পরাজিত হয়।
- ১৮৪৯ খ্রিঃ মার্চ মাসে লর্ড ডালহৌসি এক ঘোষনার দ্বারা পাঞ্জাবকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত করেন।
- আধুনিক পাঞ্জাবের জনক বলা হয় - লর্ড ডালহৌসিকে।
মনে রাখার টিপস :-
মনে রাখবে "শিখ" দুই অক্ষরের শব্দ। সুতরাং ইঙ্গ শিখ দ্বন্দ্বে দুটি যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ইংরেজরা শিখ রাজ্য জয় করেছিলো।