উচ্চমাধ্যমিক পঞ্চম অধ্যায় : সংক্ষিপ্ত তথ্য (Part - 2)

উচ্চমাধ্যমিক পঞ্চম অধ্যায়ে দ্বিতীয় পর্বে আমরা অধ্যায়টির অবশিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলি নীচে তুলে ধরছি। মূল পাঠ্য সূচিকে সামনে রেখে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলি ক্রমান্বয়ে লিপিবদ্ধ করা হলো। আশা করছি, সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আজকের আলোচনাটি পরীক্ষার্থীদের কিছুটা হলেও উপকৃত করবে।

উচ্চমাধ্যমিক পঞ্চম অধ্যায় : সংক্ষিপ্ত তথ্য (Part - 2)
উচ্চমাধ্যমিক পঞ্চম অধ্যায় : সংক্ষিপ্ত তথ্য (Part - 2)


 (ক.) বিভাজন ও শাসন নীতি, ভারতের রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িকতা, সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি : সংক্ষিপ্ত তথ্য

  1. বিভাজন ও শাসন (Divide and Rule) বলতে বোঝায় বিজিত কোন জাতির মধ্যে বিভেদ এবং অনৈক্য সৃষ্টি করা এবং সেই বিভেদ ও অনৈক্যের সুযোগে বিজিত জাতির ওপর শাসন ক্ষমতা বজায় রাখা।
  2. প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যে সর্বপ্রথম বিভাজন ও শাসন নীতির প্রয়োগ ঘটানো হয়েছিলো। 
  3. ভারতে সর্বপ্রথম জন লরেন্স পাঞ্জাবের সেনাবাহিনীতে বিভাজন ও শাসন নীতি কার্যকর করেছিলেন। 
  4. ব্রিটিশ সরকার মহাবিদ্রোহের পর ভারতে বিভাজন ও শাসন নীতি প্রয়োগ করেন। 
  5. ভারতের জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হয় - ১৮৮৫ খ্রিঃ।
  6. আলিগড় আন্দোলনের প্রধান নেতা /স্রষ্টা ছিলেন - স্যার সৈয়দ আহমেদ।
  7. স্যার সৈয়দ আহমেদ ১৮৭৫ খ্রিঃ আলিগড়ে "অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ" প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
  8. আলিগড় কলেজের কয়েকজন ইংরেজ অধ্যাপক ছিলেন - আর্চিবোল্ড, থিওডোর বেক, মরিসন। 
  9. ১৮৯২ খ্রিঃ লর্ড ক্রুশের আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার ভারতে সাম্প্রদায়িক প্রতিনিধিত্বের নীতি চালু করেছিলো। 
  10. ভারতে মুসলিমদের জন্য সর্বপ্রথম সাম্প্রদায়িক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থার প্রচলন ঘটে ১৯০৯ খ্রিঃ মর্লে মিন্টো সংস্কার আইনে। 
  11. লর্ড কার্জন ১৯০৫ খ্রিঃ বঙ্গভঙ্গ করেন। 
  12. বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে শুরু হয় - স্বদেশী আন্দোলন।
  13. ১৯১১ খ্রিঃ ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গ রদ করে। 
  14. মুসলিম নেতা আগা খাঁর নেতৃত্বে ৩৫ জন ধনী অভিজাত মুসলিমের একটি প্রতিনিধি দল ১৯০৬ খ্রিঃ ১ লা অক্টোবর সিমলায় বড়োলাট মিন্টোর সঙ্গে দেখা করেন এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষার দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। একে সিমলা ডেপুটেশন বা সিমলা দৈত্য বলা হয়। 
  15. মুসলিমদের রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য ১৯০৬ খ্রিঃ ঢাকায় মুসলিম লিগ প্রতিষ্ঠিত হয়। 
  16. মুসলিম লিগের প্রথম সভাপতি নিযুক্ত হন - আগা খাঁ। 
  17. গো রক্ষা সমিতি, গনপতি উৎসব ও শিবাজি উৎসবের প্রচলন করেছিলেন - বাল গঙ্গাধর তিলক। 
  18. ১৯১৬ খ্রিঃ ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ও মুসলিম লিগের মধ্যে লক্ষৌ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। 
  19. লক্ষৌ চুক্তিতে ঠিক হয়েছিলো - মুসলিম লিগ কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথ ভাবে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করবে, বিনিময়ে কংগ্রেস মুসলিমদের পৃথক প্রতিনিধিত্ব ও নির্বাচনের দাবি মেনে নেবে। 
  20. ১৯১৯ খ্রিঃ ভারতে সংঘটিত হয় - খিলাফৎ আন্দোলন। 
  21. ১৯২১ খ্রিঃ অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়। 
  22. গান্ধীজি অসহযোগ আন্দোলনকে শক্তিশালী করে তোলার জন্য অসহযোগ আন্দোলনের সঙ্গে খিলাফৎ আন্দোলনকে মিশিয়ে দেন। 
  23. ১৯২২ খ্রিঃ চৌরিচৌরা ঘটনার জন্য গান্ধীজি অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। 
  24. অসহযোগ আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ১৯২২ খ্রিঃ উত্তরপ্রদেশের চৌরিচৌরা গ্রামে একদল উত্তেজিত জনতা থানায় অগ্নিসংযোগ করলে বেশ কিছু পুলিশ কর্মী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। এটি চৌরিচৌরা ঘটনা নামে পরিচিত। 
  25. তানজিম ও তাবলিখ আন্দোলন হয়েছিলো - মুসলিমদের মধ্যে। 
  26. ৯৪০ খ্রিঃ মুসলিম লিগের লাহোর অধিবেশনে সভাপতি ছিলেন - মহম্মদ আলি জিন্না। 
  27. মুসলিম লিগের লাহোর অধিবেশনে সর্বপ্রথম পৃথক পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের দাবি তোলা হয়। 
  28. ১৯৩৩ খ্রিঃ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঞ্জাবি মুসলিম ছাত্র চৌধুরী রহমৎ আলি Now or Never গ্রন্থে ভারতের মুসলিম অধ্যুষিত পাঁচটি প্রদেশকে নিয়ে সর্বপ্রথম পৃথক পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের দাবি তোলেন। এই প্রদেশ গুলি হলো - পাঞ্জাব, আফগান প্রদেশ, কাশ্মীর, সিন্ধু এবং বালুচিস্তান। 
  29. ১৯২৮ খ্রিঃ সাইমন কমিশন ভারতে আসে। 
  30. ১৯২৮ খ্রিঃ আগস্ট মাসে লক্ষৌতে একটি সর্বভারতীয় অধিবেশনে মতিলাল নেহেরু সংবিধানের একটি খসড়া পেশ করেন। এটি নেহেরু রিপোর্ট নামে পরিচিত। 
  31. ১৯২৯ খ্রিঃ দিল্লিতে নিখিল ভারত মুসলিম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 
  32. ১৯২৯ খ্রিঃ দিল্লিতে মুসলিম লিগের অধিবেশনে সভাপতি মহম্মদ আলি জিন্না "চোদ্দো দফা দাবি" পেশ করেন। 
  33. ১৯৩০ খ্রিঃ ভারতে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হয়। 
  34. ১৯৩০ খ্রিঃ প্রথম গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে কংগ্রেস অংশগ্রহণ করে নি। 
  35. ১৯৩১ খ্রিঃ দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কংগ্রেস দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছিলো।
  36. ১৯৩২ খ্রিঃ তৃতীয় গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কংগ্রেস তৃতীয় গোলটেবিল বৈঠকে যোগদান করে নি। 
  37. ১৯৩২ খ্রিঃ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রেমসে ম্যাকডোনাল্ড সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি ঘোষনা করেন। 
  38. ১৯৩২ খ্রিঃ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রেমসে ম্যাকডোনাল্ড মুসলিম, শিখ, বৌদ্ধ, অ্যাংলো ইন্ডিয়ান, বর্ন হিন্দু, নিন্ম হিন্দু বা দলিত প্রভৃতি ভাবে ভারতীয় সমাজকে সাম্প্রদায়িক ভাবে বিভাজিত করে পৃথক নির্বাচনের যে নীতি ঘোষনা করেন, তাকেই সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি বলে। 
  39. সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতির প্রতিক্রিয়ায় বর্ন হিন্দু ও নিন্ম বর্নের হিন্দুদের একত্রে নির্বাচনের জন্য ১৯৩২ খ্রিঃ গান্ধীজির সঙ্গে দলিত সম্প্রদায়ের নেতা বি আর আম্বেদকরের মধ্যে পুনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। 

(খ.) মন্দিরে প্রবেশ সংক্রান্ত ঘটনা : গুরুত্বপূর্ণ তথ্য 

  1. ড. ভীমরাও আম্বেদকর মধ্যপ্রদেশের মাহার সম্প্রদায়ভুক্ত এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। 
  2. ১৯২৭ খ্রিঃ আম্বেদকর বোম্বাইয়ের কোবালায় চৌদার জলাশয়ে মাহাদ মার্চ করেন। 
  3. মহারাষ্ট্রের কলারাম মন্দিরে নিন্মবর্নের হিন্দুদের প্রবেশের দাবিতে ১৯৩০ খ্রিঃ আম্বেদকর সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু করেন। 
  4. কেরালায় ভাইকম মন্দিরে নিন্মবর্গের হিন্দুদের প্রবেশাধিকারের দাবিতে কেশব মেননের নেতৃত্বে ভাইকম সত্যাগ্রহ অনুষ্ঠিত হয়। 
  5. গুরুবায়ূর মন্দিরে নিন্মবর্নের প্রবেশাধিকারের দাবিতে ১৯৩১ খ্রিঃ সত্যাগ্রহ আন্দোলন সংগঠিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন - কবি সুব্রমনিয়ান তিরুমান্বুর। 
  6. চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারীর নেতৃত্বে মাদ্রাজ মন্ত্রীসভা ১৯৩৮ খ্রিঃ সকলের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলো। 
  7. মন্দিরে প্রবেশ সংক্রান্ত আন্দোলন গুলিতে ব্রিটিশ সরকার ও পুলিশ বর্ন হিন্দুদেরই পক্ষ অবলম্বন করেছিলো। 

(গ.) দেশীয় রাজ্য ও ব্রিটিশ সরকার : সংক্ষিপ্ত তথ্য 

  1. অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি প্রবর্তন করেন - লর্ড ওয়েলেসলি ১৭৯৮ খ্রিঃ।
  2. অধীনতামূলক মিত্রতা নীতিতে স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশ ছিলো - হায়দ্রাবাদের নিজাম।
  3. স্বত্ববিলোপ নীতি প্রবর্তন করেন - লর্ড ডালহৌসি। 
  4. মহারানী ভিক্টোরিয়াকে ভারতের সম্রাজ্ঞী ঘোষনা করা হয় - ১৮৭৭ খ্রিঃ। 

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post