সপ্তম অধ্যায়টির অবশিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলিকে আমরা নীচে তুলে ধরলাম। প্রথম অংশে তেল কূটনীতি, গনপ্রজাতন্ত্রী চিনের উত্থান ও জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলি উপস্থাপন করা হলো।
দ্বিতীয় অংশে এই অধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের নাম ও পরিচয়ের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তুলে ধরা হলো। আশা করছি, উল্লেখিত তথ্য গুলি আসন্ন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কিছুটা হলেও সাহায্য করবে।
উচ্চমাধ্যমিক সপ্তম অধ্যায় : সংক্ষিপ্ত তথ্য (part - 3) |
(ক.) সপ্তম অধ্যায় : গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :-
- বিংশ শতকের শুরুতে মধ্যপ্রাচ্যে বিপুল পরিমাণ তেলের ভান্ডারের খোঁজ পাওয়া যায়। আমেরিকা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলে মধ্য প্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ অঞ্চলে প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। আমেরিকার এই কূটনৈতিক পদক্ষেপকেই "তৈল কূটনীতি" বলা হয়।
- আমেরিকার তেল কূটনীতির প্রধান লক্ষ্য ছিলো - তেল বিনিজ্যের ওপর আমেরিকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে বিশ্ব রাজনীতিতে মার্কিন প্রাধান্য বজায় রাখা ও মার্কিন অর্থনীতিকে মজবুত করা।
- বিংশ শতকের সত্তরের দশকের শেষদিকে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটলে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে রাজনৈতিক সংকট ও উত্তেজনা দেখা দেয়। একে "উপসাগরীয় সংকট" বলে।
- উপসাগরীয় যুদ্ধকে খাঁড়ি যুদ্ধও বলা হয়।
- ১৯৪৯ খ্রিঃ ১ অক্টোবর, মাও সে তুং এর নেতৃত্বে গনপ্রজাতন্ত্রী চিনের উত্থান ঘটে।
- চিনের কুয়োমিনতাং দলের প্রধান নেতা ছিলেন - সান ইয়াৎ সেন।
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সোভিয়েত রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনটিতে যোগদান না করে বেশ কিছু রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে স্বাধীন থাকবার ও নির্জোট থাকার সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলো, তাদের সেই আন্দোলনকেই "জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন" বলা হয়।
- জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রবক্তা ছিলেন - স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু।
- জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা দেশ ছিলো - ভারত।
- ভারত ও চিনের মধ্যে ১৯৫৪ খ্রিঃ পঞ্চশীল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিলো।
- জোটনিরপেক্ষ দেশ গুলির প্রথম শীর্ষ সম্মেলন বসেছিলো - ১৯৬১ খ্রিঃ, যুগোশ্লাভিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে।
(খ.) উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের নাম ও পরিচয় :-
- ওয়াল্টার লিপম্যান - ঠান্ডা লড়াই কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন।
- হ্যারি ট্রুম্যান - মার্কিন রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ট্রুম্যান নীতির প্রবক্তা ছিলেন।
- জেমস ফরেস্টাল - মার্কিন নৌসচিব ছিলেন।
- উইনস্টন চার্চিল - ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
- স্ট্যালিন - রুশ রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন।
- রুজভেল্ট - মার্কিন রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
- ক্লেমেন্ট এটলি - ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
- মলোটভ - রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
- জর্জ সি মার্শাল - মার্কিন পররাষ্ট্র - সচিব ছিলেন।
- মার্শাল টিটো - যুগোশ্লাভিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
- বুলগানিন - রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন।
- গামাল আবদেল নাসের - মিশরের রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
- আইজেনহাওয়ার - মার্কিন রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
- ফিদেল কাস্ত্রো - কিউবার রাষ্ট্রপ্রধান।
- ড. সিং ম্যান রি - দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান।
- কিম ইল সুঙ - উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান।
- হো চি মিন - ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন।
- পিয়ের মেন্ডেস ফ্রাঁস - ফরাসি প্রধানমন্ত্রী।
- ফাম ভান দং - ঐক্যবদ্ধ ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
- জওহরলাল নেহেরু - ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রবক্তা ছিলেন।
- চৌ এন লাই - চিনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
- আলি শস্ত্রো মিদযোযো - ইন্দোনেশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
- ড. ওয়েইজম্যান - ইজরায়েলের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
- সাদ্দাম হুসেন - ইরাকের রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
- মাও সে তুং - চিনের প্রখ্যাত কমিউনিস্ট নেতা ছিলেন।
- সান ইয়াৎ সেন - চিনের কুয়োমিনতাং দলের নেতা ও চিনা প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
- চৌ এন লাই - স্বাধীন চিনের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
- চেন তু শিউ - চিনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন।
- আর্থার ব্যালফুর - ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
- ড. থিওডোর হেরজেল - ইহুদীদের জাতীয়তাবাদী নেতা ছিলেন।
- ড. সুকর্ন - ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন।
- হেনরি কিসিংগার - মার্কিন বিদেশমন্ত্রী ছিলেন।
- রিচার্ড মিলহোম নিকসন - আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
- বেন বেল্লা - স্বাধীন আলজেরিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন।