উচ্চমাধ্যমিক ষষ্ঠ অধ্যায় : সংক্ষিপ্ত তথ্য (part - 1)

 ১৯৩৯ খ্রিঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অভিঘাতে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম সহ বেশ কিছু দেশে স্বাধীনতা সংগ্রাম প্রবল আকার ধারন করে। পরে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই ঐ সমস্ত দেশ গুলি স্বাধীনতা লাভ করে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভারত সহ অন্যান্য উপনিবেশ গুলির স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসটিই উচ্চমাধ্যমিক ষষ্ঠ অধ্যায়ের মূল আলোচ্য বিষয়। এই অধ্যায়টির সংক্ষিপ্ত তথ্য গুলিকে আমরা ক্রমান্বয়ে কয়েকটি পর্বে উপস্থাপন করবো। তথ্য গুলি আসন্ন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি, উল্লেখিত তথ্য গুলি কিছুটা হলেও পরীক্ষার্থীদের উপকৃত করবে।

উচ্চমাধ্যমিক ষষ্ঠ অধ্যায় : সংক্ষিপ্ত তথ্য (Part - 1)
উচ্চমাধ্যমিক ষষ্ঠ অধ্যায় : সংক্ষিপ্ত তথ্য (Part - 1)


(ক.) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ভারতীয়দের প্রতিক্রিয়া, ক্রিপস মিশন, ভারত ছাড়ো আন্দোলন : সংক্ষিপ্ত তথ্য

  1. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিলো - ১৯৩৯ খ্রিঃ ১ লা সেপ্টেম্বর। এই যুদ্ধ চলেছিলো ১৯৪৫ খ্রিঃ পর্যন্ত।
  2. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একদিকে ছিলো মিত্রশক্তি, যার অন্তর্ভুক্ত দেশ ছিলো - ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, রাশিয়া ও আমেরিকা। অন্যদিকে অক্ষশক্তির অন্তর্ভূক্ত দেশ ছিলো - জার্মানি, জাপান ও ইতালি।
  3. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন - উইনস্টন চার্চিল। ভারত সচিব ছিলেন - আমেরি, ভারতের বড়োলাট ছিলেন - লিনলিথগো এবং প্রধান সেনাপতি ছিলেন - ওয়াভেল। 
  4. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে মিত্রশক্তিভুক্ত ব্রিটেন তার উপনিবেশ ভারতকেও যুদ্ধে জড়িয়ে নেয়। এর প্রতিবাদে ১৯৩৯ খ্রিঃ ভারতের ৮ টি প্রদেশে মন্ত্রীসভা থেকে জাতীয় কংগ্রেস পদত্যাগ করে।
  5. ১৯৩৫ খ্রিঃ ভারত শাসন আইন অনুযায়ী ১৯৩৭ খ্রিঃ যে প্রাদেশিক আইনসভা নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো, তাতে জাতীয় কংগ্রেস ভারতের ৮ টি প্রদেশে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে কংগ্রেসী মন্ত্রীসভা গঠন করেছিলো।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারতকে জড়িয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে ১৯৩৯ খ্রিঃ এই কংগ্রেসী মন্ত্রীসভা গুলিই পদত্যাগ করেছিলো। 
  6. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে জাতীয় কংগ্রেস "ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গনতন্ত্রের লড়াই" বলে অভিহিত করেছিলো। 
  7. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেনকে শর্তসাপেক্ষে সমর্থনের প্রশ্নে জাতীয় কংগ্রেস ১৯৪০ খ্রিঃ জুলাই মাসে "জুলাই প্রস্তাব" বা "পুনা প্রস্তাব" পেশ করেছিলো। 
  8. ১৯৪০ খ্রিঃ জুলাই মাসে পুনাতে সভা ডেকে জাতীয় কংগ্রেস প্রস্তাব নেয়, তারা যুদ্ধে ব্রিটেনকে সহযোগিতা করতে রাজি আছেন, যদি ব্রিটিশ সরকার ভারতকে স্বাধীনতা প্রদান করে এবং যুদ্ধচলাকালীন সময়েই একটি জাতীয় সরকার গঠন করে। একেই পুনা বা জুলাই প্রস্তাব বলা হয়। সরকার প্রস্তাবটি প্রত্যাখান করেছিলো। 
  9. জুলাই প্রস্তাবের পাল্টা ভারতের ভাইসরয় লিনলিথগো ১৯৪০ খ্রিঃ ৮ ই আগস্ট "লিনলিথগো প্রস্তাব" বা আগস্ট প্রস্তাব পেশ করে। এই প্রস্তাবে যুদ্ধের পর ভারতীয়দের জন্য একটি সংবিধান রচনা ও ভাইসরয়ের কার্যনির্বাহী পরিষদে ভারতীয় প্রতিনিধি মননয়নের কথা বলা হয়েছিলো। 
  10. স্বাধীনতা ও জাতীয় স্বার্থের দাবি পূরন না করায় কংগ্রেস ও মুসলিম লিগ উভয়েই লিনলিথগো প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলো। 
  11. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ১৯৪১ খ্রিঃ জাপান অক্ষশক্তিতে যোগদান করে, অন্যদিকে রাশিয়া অক্ষশক্তি পরিত্যাগ করে মিত্রশক্তিতে যোগদান করে। 
  12. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান মায়ানমার ও সিঙ্গাপুর দখল করে ভারত অভিমুখে অগ্রসর হলে যুদ্ধে ভারতীয়দের সমর্থন লাভের উদ্দেশ্যে ১৯৪২ খ্রিঃ ২৩ শে মার্চ চার্চিল মন্ত্রীসভার সদস্য স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস ভারতে আসেন। 
  13. ক্রিপস ভারতকে কিছু সাংবিধানিক সুবিধা ও ডোমিনিয়ন স্ট্যাটাস দানের বদলে যুদ্ধে ভারতীয়দের সমর্থন লাভের উদ্দেশ্যে ১৯৪২ খ্রিঃ ভারতে পদার্পন করেন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেন। একে বলা হয় "ক্রিপস দৌত্য" বা ক্রিপস মিশন। 
  14. মানবেন্দ্রনাথ রায়ের "রেডিক্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি" ছাড়া ভারতের সমস্ত রাজনৈতিক দলই ক্রিপস প্রস্তাব বর্জন করেছিলো। 
  15. গান্ধীজি ক্রিপস প্রস্তাবকে "একটি ফেলপড়া ব্যাঙ্কের চেকের" সঙ্গে তুলনা করেন।
  16. ক্রিপস প্রস্তাবে ভারতের জাতীয় সরকার গঠনের কোন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় নি। তাছাড়া প্রচ্ছন্ন ভাবে পৃথক পাকিস্তান দাবিকে সমর্থন করা হয়। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাতেও ভারতীয়দের কোন অধিকার দেওয়া হয় নি। এই কারনে কংগ্রেস এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলো। 
  17. অন্যদিকে ক্রিপস প্রস্তাবে পৃথক পাকিস্তান গঠনের কোন সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি না থাকায় মুসলিম লিগও ক্রিপস প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলো। 
  18. ১৯৪২ খ্রিঃ ২৬ শে এপ্রিল গান্ধীজি সর্বপ্রথম "হরিজন" পত্রিকায় ভারত ছাড়ো আন্দোলনের পরিকল্পনা পেশ করেন। 
  19. ১৯৪২ খ্রিঃ ৮ ই আগস্ট বোম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। 
  20. ১৯৪২ খ্রিঃ ৯ ই আগস্ট ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু হয়, যাকে অনেকে "আগস্ট আন্দোলন" বা আগস্ট বিপ্লব বলেও অভিহিত করে থাকেন। 
  21. ভারত ছাড়ো আন্দোলনের মূল শ্লোগান ছিলো - "করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে"। 
  22. ভারত ছাড়ো আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন - জয়প্রকাশ নারায়ন, রামমনোহর লোহিয়া, অচ্যুত পট্টবর্ধন, নরেন্দ্রদেব। 
  23. ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যে সমস্ত মহিলা নেতৃত্ব দেন - সুচেতা কৃপালনী, উষা মেহতা, মাতঙ্গিনী হাজরা, ভোগেশ্বরী ফুকোননী, কনকলতা বড়ুয়া। 
  24. ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় ভারতের অনেক জায়গায় জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। যেমন - সতীশচন্দ্র সামন্তের নেতৃত্বে মেদিনীপুর জেলার তমলুকে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার, দিনাজপুরের বালুরঘাটে জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। 
  25. বাংলার বাইরে উত্তরপ্রদেশের বালিয়া, আজমগড় ও গাজীপুরে, ঊড়িষ্যার তালচেরে, মধ্যপ্রদেশের ভাগলপুরে, মহারাষ্ট্রের সাতারা এবং আসামের নওগাঁতে জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। 
  26. ভারত ছাড়ো আন্দোলনকে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি, মুসলিম লিগ, হিন্দু মহাসভা, অনুন্নত সম্প্রদায় ও মানবেন্দ্রনাথ রায়ের রেডিক্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি সমর্থন করে নি। 
  27. অন্যদিকে এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলো - ভারতের জাতীয় কংগ্রেস, কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল, ফরওয়ার্ড ব্লক দল। 
  28. ১৯৪৪ খ্রিঃ ৫ ই মে জেল থেকে মুক্তি লাভের পর গান্ধীজি ভারত ছাড়ো আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। 
  29. ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ব্যর্থতার প্রধান কারন ছিলো - নেতৃত্বের অভাব, সরকারের তীব্র দমন নীতি, আন্দোলনের জন্য ভুল সময় নির্বাচন করা, কমিউনিস্ট পার্টি, মুসলিম লিগ, দলিত ও হিন্দু মহাসভার মতো রাজনৈতিক দলগুলির বিরোধিতা ও অসহযোগিতা। 

(খ.) নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, আজাদ হিন্দ ফৌজের সংগ্রাম ও বিচার, নৌ বিদ্রোহ : সংক্ষিপ্ত তথ্য 

  1. নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ১৯৩৮ খ্রিঃ জাতীয় কংগ্রেসের হরিপুরা অধিবেশন এবং ১৯৩৯ খ্রিঃ মধ্যপ্রদেশের ত্রিপুরি অধিবেশনে সভাপতি নির্বাচিত হন। 
  2. ১৯৩৯ খ্রিঃ গান্ধী মনোনীত প্রার্থী পট্টভি সিতারামাইয়াকে পরাজিত করে সুভাষচন্দ্র বসু জাতীয় কংগ্রেসে সভাপতি নির্বাচিত হলে জাতীয় কংগ্রেসের গান্ধীবাদী নেতৃত্বের সঙ্গে আদর্শগত কারনে সুভাষচন্দ্রের মতপার্থক্য ও বিরোধ দেখা দেয়। 
  3. এর ফলে ১৯৩৯ খ্রিঃ সুভাষচন্দ্র জাতীয় কংগ্রেস ত্যাগ করেন এবং ১৯৩৯ খ্রিঃ ৩ মে ফরওয়ার্ড ব্লক নামে নতুন বামপন্থী দল গঠন করেন। 
  4. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে ব্রিটিশ সরকার ভারত রক্ষা আইনে ১৯৪০ খ্রিঃ ২ জুলাই সুভাষচন্দ্র বসুকে তার কলকাতার এলগিন রোডের বাড়িতে গৃহবন্দী করে রাখে। 
  5. ১৯৪১ খ্রিঃ ১৭ ই জানুয়ারি, সুভাষচন্দ্র ছদ্মবেশে গৃহত্যাগ করে প্রথমে কাবুল হয়ে রাশিয়া, পরে সেখান থেকে জার্মানি হয়ে জাপানে আসেন। 
  6. জার্মানির হাতে বন্দী ৪০০ জন ভারতীয় সৈন্যকে নিয়ে সুভাষচন্দ্র ১৯৪২ খ্রিঃ "Free India Legion" নামে এক সেনাদল গঠন করেন। এই সেনাদলের সৈনিকরাই সর্বপ্রথম সুভাষচন্দ্র বসুকে "নেতাজী" নামে অভিহিত করে। 
  7. এদিকে ১৯৪২ খ্রিঃ জাপানের হাতে বন্দি প্রায় ২৫,০০০ ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাকে নিয়ে ক্যাপ্টেন মোহন সিংয়ের নেতৃত্বে রাসবিহারী বসু আজাদ হিন্দ ফৌজ নামে এক সেনাদল গঠন করেন। 
  8. পূর্ব এশিয়ায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের জনক নামে পরিচিত ছিলেন - রাসবিহারী বসু।
  9. রাসবিহারী বসুর সভাপতিত্বে ১৯৪২ খ্রিঃ ইন্ডিয়ান ইনডিপেন্ডেন্স লিগ বা ভারতীয় স্বাধীনতা সংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়।
  10. রাসবিহারী বসুর আমন্ত্রণে সুভাষচন্দ্র বসু ১৯৪৩ খ্রিঃ ৪ জুলাই, জার্মানি থেকে সিঙ্গাপুরে আসেন এবং ভারতীয় স্বাধীনতা সংঘ ও আজাদ হিন্দ ফৌজের নেতৃত্বপদ গ্রহন করেন। 
  11. সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফৌজকে নতুন ভাবে পুনর্গঠন করেন এবং সমগ্র বাহিনীকে ৫ টি ভাগে ভাগ করেন। যথা - গান্ধী ব্রিগেড, নেহেরু ব্রিগেড, আজাদ ব্রিগেড, সুভাষ ব্রিগেড এবং ঝাঁসী ব্রিগেড। 
  12. মহিলাদের নিয়ে আজাদ হিন্দ ফৌজের ঝাঁসি ব্রিগেড তৈরি করা হয়েছিলো, যার নেতৃত্বে ছিলেন শ্রীমতি লক্ষী স্বামীনাথন। 
  13. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন - হিদেকি তোজো
  14. নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ১৯৪৩ খ্রিঃ ২১ অক্টোবর সিঙ্গাপুরে "আজাদ হিন্দ সরকার" প্রতিষ্ঠা করেন। ৯ টি রাষ্ট্র আজাদ হিন্দ সরকারকে সমর্থন করেছিলো। 
  15. জাপান আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ দুটি নেতাজীর হাতে তুলে দেয়। সুভাষচন্দ্র দ্বীপ দুটির নতুন নামকরন করেন যথাক্রমে "শহীদ" ও "স্বরাজ"। 
  16. জাপান ১৯৪৫ খ্রিঃ ১৫ ই আগস্ট মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। 
  17. সুভাষচন্দ্র বসুকে "প্রথম ভারতীয় ও শেষ ভারতীয়" বলে অভিহিত করেছিলেন - মহাত্মা গান্ধী। 
  18. আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনাদের যুদ্ধাপরাধের বিচার চলেছিলো - দিল্লির লালকেল্লায়। 
  19. আজাদ হিন্দ ফৌজের তিন প্রধান সেনাপতি ছিলেন - প্রেম কুমার সেহগল, শাহনওয়াজ খান, গুরবক্স সিং ধিলন।
  20. আজাদ হিন্দ ফৌজের ক্যাপ্টেন রশিদ আলির মুক্তির দাবিতে ১৯৪৬ খ্রিঃ ১২ ই ফেব্রুয়ারি কলকাতায় রশিদ আলি দিবস পালন করা হয়। 
  21. নৌ বিদ্রোহের প্রথম সূচনা ঘটে ১৯৪৬ খ্রিঃ ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, বোম্বাইয়ের "তলোয়ার" নামক জাহাজে। 
  22. ইংল্যান্ডের পতাকার নাম ছিলো - ইউনিয়ন জ্যাক। 

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post