পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ প্রবর্তিত মাধ্যমিক ইতিহাসের সমগ্র পাঠ্যক্রমের মধ্যে বিভিন্ন ব্যক্তির ছদ্মনাম, উপাধি বা উপনাম সম্পর্কিত অসংখ্য তথ্য আছে। এই তথ্য গুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই কারনে যে, এগুলি থেকে প্রায়ই পরীক্ষায় প্রশ্ন এসে থাকে। ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে সমগ্র তথ্য গুলিকে একত্রে তুলে ধরা হলো।
বিভিন্ন ব্যক্তিদের নাম, উপনাম ও উপাধি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য |
বিভিন্ন ব্যক্তির নাম, উপনাম এবং উপাধি :-
(১.) "দেশপ্রিয়" নামে পরিচিত ছিলেন - যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত।
(২.) "দেশপ্রান" নামে পরিচিত ছিলেন - বীরেন্দ্রনাথ শাসমল।
(৩.) "দেশবন্ধু" নামে পরিচিত ছিলেন - চিত্তরঞ্জন রায়।
(৪.) "দেশনায়ক" নামে পরিচিত ছিলেন - সুভাষচন্দ্র বসু।
(৫.) "দেশরত্ন" নামে পরিচিত ছিলেন - ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ।
(৬.) সুভাষচন্দ্র বসুকে "দেশনায়ক" উপাধি দিয়েছিলেন - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
(৭.) স্বামী বিদ্যানন্দের প্রকৃত নাম ছিল - বিশুবরন প্রসাদ।
(৮.) "কাঙাল হরিনাথ" নামে পরিচিত ছিলেন - হরিনাথ মজুমদার।
(৯.) "ফিকির চাঁদ বাউল" নামে পরিচিত ছিলেন - হরিনাথ মজুমদার।
(১০.) "হুতোম প্যাঁচা" নামে পরিচিত ছিলেন - কালীপ্রসন্ন সিংহ।
(১১.) "কালাপাহাড়" /"কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া" নামে পরিচিত ছিল - নব্যবঙ্গীয়রা।
(১২.) "ব্রহ্মনন্দ" বলা হত - কেশবচন্দ্র সেনকে।
(১৩.) "ধরতি আবা" বলা হয় - বীরসামুন্ডাকে।
(১৪.) "ওস্তাদ" নামে পরিচিত ছিলেন - হাজি শরিয়ৎ উল্লাহের পুত্র মহম্মদ মুসিদ/দুদুমিঞাঁ।
(১৫.) "বাংলার নানাসাহেব" নামে পরিচিত ছিলেন - রামরতন মল্লিক।
(১৬.) "বাংলার ওয়াটার টাইটেলার"(ইংল্যান্ডের কৃষক বিদ্রোহের নেতা) নামে পরিচিত ছিলেন - দিগম্বর বিশ্বাস ও বিষ্ণুচরন বিশ্বাস।
(১৭.) "বিশে ডাকাত" নামে পরিচিত ছিলেন - নীল বিদ্রোহের অন্যতম নেতা বিশ্বনাথ সর্দার।
(১৮.) "তাঁতিয়া তোপির" আসল নাম ছিল - রামচন্দ্র পান্ডুরঙ্গ তোপি।
(১৯.) "নানাসাহেব" নামে পরিচিত ছিলেন - গোবিন্দ ধন্দু পন্থ।
(২০.) "বাংলার মুকুটহীন রাজা" বলা হত - সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়কে।
(২১.) "বাঘাযতীন" নামে পরিচিত ছিলেন - যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
(২২.)" মাস্টারদা" নামে পরিচিত ছিলেন - সূর্য সেন।
(২৩.) "বি - বা - দি" নামে পরিচিত ছিলেন - বিনয় বসু, বাদল গুপ্ত ও দীনেশ গুপ্ত।
(২৪.)" হরিজন" নামে পরিচিত ছিল - দলিতরা।
(২৫.) "ভারতের লৌহ মানব" নামে পরিচিত ছিল - বল্লভভাই প্যাটেল।
(২৬.) "ভারতের বিসমার্ক" বলা হত - সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে।
(২৭.) "কসাই কাজি" নামে পরিচিত ছিল - ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড।
(২৮.) "ভারতীয় বিপ্লববাদের জননী" নামে পরিচিত ছিলেন - শ্রীমতি ভিকাজি রুস্তমজি কামা।
(২৯.)" ফুলতার" (ছদ্মনাম) নামে পরিচিত ছিলেন - প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার।
(৩০.) "ভারতের বুলবুল" বলা হয় - সরজিনী নাইডুকে।
(৩১.) "ভারতের মার্গারেট থ্যাচার" বলা হয় - শ্রীমতি ইন্দিয়া গান্ধীকে।
(৩২.) "বাংলা মুদ্রন শিল্পের বিশ্বকর্মা" বলা হয় - পঞ্চানন কর্মকারকে।
(৩৩.) "বাংলা মুদ্রন শিল্পের জনক" বলা হয় - চার্লস উইলকিনসকে।
(৩৪.) "ভারতের বেকন" বলা হয় - অক্ষয়কুমার দত্তকে।
(৩৫.) "দক্ষিণ ভারতের বিদ্যাসাগর" বলা হত - বীরসালিঙ্গম পানতলুকে।
(৩৬.) "হকির জাদুকর" বলা হত - ধ্যানচাঁদকে।
(৩৭.) "ঊড়ন্ত শিখ" বলা হয় - মিলখা সিংকে।
(৩৮.) "বাংলার ক্যাসটন" বলা হয় - চার্লস উইলকিন্সকে।
(৩৯.) "স্বাদেশিকতার গুরু" বলা হয় - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে (অরবিন্দ ঘোষ বলেছিলেন) ।
(৪০.) "আধুনিক জাতীয়তাবাদী বাংলা ব্যঙ্গচিত্রের জনক" বলা হয় - গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে।
(৪১.) "আধুনিক ভারতের ইরাসমাস" বলা হয় - রাজা রামমোহন রায়কে।
(৪২.) রামমোহন রায়কে "রাজা" উপাধি দিয়েছিলেন - মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর।
(৪৩.) "যুগনায়ক" বলা হয় - স্বামী বিবেকানন্দকে।
(৪৪.) "মেদিনীপুরের লক্ষীবাঈ" বলা হয় - রানি শিরোমনিকে।
(৪৫.) "বাংলার বিশ্বকর্মা" বলা হয় - রাজেন্দ্রনাথ মুখার্জিকে।
(৪৬.) "বিদ্যাসাগর" নামে পরিচিত ছিলেন - ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
(৪৭.) ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়কে "বিদ্যাসাগর" উপাধি দিয়েছিলো - কলকাতা সংস্কৃত কলেজ।
(৪৮.) "মহাত্মা" নামে পরিচিত ছিলেন - মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী।
(৪৯.) গান্ধীজিকে "মহাত্মা" উপাধি দিয়েছিলেন - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
(৫০.) মহাত্মা গান্ধীকে সর্বপ্রথম "জাতীর জনক" বা "জাতির পিতা" বলে অভিহিত করেন - নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু।
(৫১.) সুভাষচন্দ্র বসুকে "নেতাজী" নামে সর্বপ্রথম অভিহিত করেন - আজাদ হিন্দ ফৌজের জার্মান সৈন্যরা।
(৫২.) "গান্ধী বুড়ি" নামে পরিচিত ছিলেন - মাতঙ্গিনী হাজরা।
(৫৩.) "শের - ই - বাংলা" নামে পরিচিত ছিলেন - কৃষক প্রজা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা আবুল কাশেম ফজলুল হক।
(৫৪.) "বাংলার অগ্নিকন্যা" নামে পরিচিত ছিলেন - কল্পনা দত্ত (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন)।
(৫৫.)" রাষ্ট্রগুরু" নামে পরিচিত ছিলেন - সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়।
(৫৬.) "ন্যাশনাল মিত্র" নামে পরিচিত ছিলেন - নবগোপাল মিত্র।
(৫৭.)" বিদ্যাবনিক" নামে পরিচিত ছিলেন - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
(৫৮.) "বাবা রামচন্দ্র" নামে পরিচিত ছিলেন/ বাবা রামচন্দ্রের প্রকৃত নাম ছিল - শ্রীধর বলবন্ত জোধপুরকর।
(৫৯.) "নিজাম" নামে পরিচিত ছিলেন - হায়দরাবাদ রাজ্যের প্রধান শাসক।
(৬০.) "কায়েদে আজম" (মহান নেতা) নামে পরিচিত ছিলেন - মহম্মদ আলি জিন্নাহ।
(৬১.) "বিশ্বকবি" নামে পরিচিত ছিলেন - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
(৬২.) "কাইজার - ই - হিন্দ" নামে পরিচিত ছিলেন - মহাত্মা গান্ধী।
(৬৩.) "এম এন রায়" নামে পরিচিত ছিলেন - নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।
(৬৪.) "পি এন ঠাকুর" (ছদ্মনাম) নামে পরিচিত ছিলেন - বিপ্লবী রাসবিহারী বসু।
(৬৫.) "তিতুমির" নামে পরিচিত ছিলেন - মির নিসার আলি।
(৬৬.) "ফাদার সি মার্টিন" নামে পরিচিত ছিলেন - নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।
(৬৭.) "পাঞ্জাব কেশরী" নামে পরিচিত ছিলেন - লালা লাজপত রায়।
(৬৮.) "লোকমান্য" নামে পরিচিত ছিলেন - বাল গঙ্গাধর তিলক।
(৬৯.) "ভগিনী নিবেদিতার" প্রকৃত নাম ছিল - মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল।
(৭০.) "রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব" নামে পরিচিত ছিলেন - গদাধর চট্টোপাধ্যায়।
(৭১.) "স্বামী বিবেকানন্দ" নামে পরিচিত ছিলেন - নরেন্দ্রনাথ দত্ত।
(৭২.) "ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ" বলা হয় - রামমোহন রায়কে (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন।)
(৭৩.) "দানবীর" নামে পরিচিত ছিলেন - হাজী মহম্মদ মহসীন।
(৭৪.) "ভারতে বিজ্ঞান চর্চার আদিগুরু "নামে পরিচিত ছিলেন - রাজা রামমোহন রায় (বলেছিলেন - ক্ষতিমোহন সেন)
(৭৫.) "অগ্নিযুগের অগ্নিকন্যা" নামে পরিচিত ছিলেন - সরলাদেবী চৌধুরানী।
(৭৬.) "অগ্নিশিশু" নামে পরিচিত ছিলেন - ক্ষুদিরাম বসু।
(৭৭.) "লোকমান্য" নামে পরিচিত ছিলেন - বাল গঙ্গাধর তিলক।
(৭৮.) "লোকনায়ক" নামে পরিচিত ছিলেন - জয়প্রকাশ নারায়ন।
(৭৯.) "লোকহিতবাদী" নামে পরিচিত ছিলেন - গোপালহরি দেশমুখ।
(৮০.) "বাংলার নবজাগরনের ঝড়ের পাখি" বলা হয় - ডিরোজিওকে।
(৮১.) "বাংলার কালাপাহাড়" বলা হয় - নব্যবঙ্গীয়দের /ইয়ংবেঙ্গলদের।
(৮২.) "বাংলার বাঘ" বলা হয় - আশুতোষ মুখোপাধ্যায়কে।
(৮৩.) "বাংলার রবিনহুড" বলা হয় - নীল বিদ্রোহের অন্যতম নেতা বিশ্বনাথ সর্দারকে।
(৮৪.) "ভারতের বিপ্লববাদের জনক" নামে পরিচিত ছিলেন - বাসুদেব বলবন্ত ফাদকে।
(৮৫.) "ভারতের বিপ্লববাদের জননী" নামে পরিচিত ছিলেন - মাদাম ভিকাজি রুস্তমজি কামা।
(৮৬.) "বাংলার বিপ্লববাদের জনক" নামে পরিচিত ছিলেন - প্রমথনাথ মিত্র।
(৮৭.) "বাংলার বিপ্লববাদের মন্ত্রগুরু" নামে পরিচিত ছিলেন - অরবিন্দ ঘোষ।
(৮৮.) "ভারতীয় জাতীয়তাবাদের গুরু" বলা হয় - স্বামী বিবেকানন্দকে।
(৮৯.) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে "বিশ্বকবি" উপাধি দিয়েছিলেন - ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়।
(৯০.) "বাংলার বিদ্রোহী রাজা" নামে পরিচিত ছিলেন - পাবনার কৃষক বিদ্রোহের নেতা ঈশান চন্দ্র রায়।
(৯১.) "উদ্বাস্তুদের দরদি বন্ধু" নামে পরিচিত ছিলেন - ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
(৯২.) "কাশ্মীর সিংহ" নামে পরিচিত ছিলেন - শেখ আবদুল্লাহ।
(৯৩.) "বাবু মেনন" নামে পরিচিত ছিলেন - ভি পি মেনন।