ইতিহাসে সময়ের ধারনা : রৈখিক ও চক্রাকার
(ক.) কাল বা সময়ের ধারনা :-
পৃথিবী ও মহাবিশ্বে "কাল" বা "সময়" অসীম ও অনন্ত। অসীম মহাকাশের অনন্তের যেমন কোন সীমা পরিসীমা নেই, কাল বা সময়ও তেমনি অসীম ও অনন্ত।এই কাল বা সময়ের বিশালতার কাছে জাগতিক সবকিছুই তুচ্ছ ও নগন্য। পৃথিবীর যা কিছু সৃষ্টি বা ঘটনা সব একদিন কালের গর্ভেই বিলিন হয়ে যায়। আবার কাল থেকেই নতুন সৃষ্টি বা ঘটনার জন্ম হয়। এখনো পর্যন্ত অতীতের "অনন্ত সময়কালের" ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘটনা গুলিকেই আমরা "ইতিহাস" হিসাবে পড়ে চলেছি।
পৃথিবীর জীবকুলের মধ্যে একমাত্র মানুষই সময় বা কালের ধারনার গুরুত্বকে উপলব্ধি করতে পারে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই ইতিহাস বা অতীত চর্চার ক্ষেত্রে "সময়" বা "কালগত ধারনাকে" প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ অনুধাবন ও প্রয়োগ করে আসছে।
সময় বা কালচেতনার সঙ্গে ইতিহাসের বা ঐতিহাসিক ঘটনা গুলির সম্পর্ক গভীর, নিবিড় এবং অবিচ্ছেদ্য। কারন সময়ের অস্তিত্ব আমরা ঘটনাবলীর মধ্য দিয়েই উপলব্ধি করি। পৃথিবীতে এমন কোন সময় এমনকি ক্ষন নেই, যেখানে কোন ঘটনা ঘটে না। এই কারনে ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর ব্যাখ্যায় বা উপস্থাপনে সময় বা কালগত ধারনাকে প্রয়োগ করা হয়।
(খ.) "কাল" বা সময়কালের গতিপ্রকৃতি :-
কাল বা সময়কালের গতি প্রকৃতি কেমন, তা নিয়ে মানব সভ্যতায় দুটি ধারনা প্রচলিত আছে।
এক, কেউ কেউ মনে করেন কাল হলো "একমুখী" অর্থাৎ "রৈখিক", এবং
দুই, কারো মতে কাল বা সময় "চক্রাকার"।
(১.) রৈখিক কালচেতনা :-
(i.) সংজ্ঞা :-
রৈখিক কালচেতনা অনুযায়ী, কাল বা সময় অতীত থেকে বর্তমান হয়ে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলে। আর কাল বা সময়ের এই এগিয়ে চলার ধরন সবসময় একমুখী অর্থাৎ রৈখিক, যেখানে প্রত্যেকটি কাল পূর্ববর্তী কালের তুলনায় অগ্রগামী। এই প্রবাহমান সময়কালের ধারনাকেই "রৈখিক কালচেতনা" বলা হয়।
অর্থাৎ রৈখিক কালচেতনা অনুযায়ী সময় সর্বদা তীরের ফলার মতো সম্মুখবর্তী হয়।
(ii.) উদ্ভব :-
রৈখিক কালচেতনার উদ্ভব হয়েছে খ্রিষ্টান, ইহুদি ও ইসলাম ধর্মের ধর্মীয় চেতনা থেকে। এই তিনটি ধর্মের প্রবক্তারাই দেখান, মানবজীবনের সকল ঘটনারই যেমন শুরু আছে, তেমনি শেষ আছে। অর্থাৎ সময়কালের প্রবাহ সর্বদা সামনের দিকে ঘটে, যা অনেকটা তিরের মতো।
(iii.) রৈখিক কালচেতনার বৈশিষ্ট্য
রৈখিক কালচেতনাকে বিশ্লেষন করলে এই কালচেতনার মধ্যে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ে। যেমন -
- রৈখিক কালচেতনা অনুযায়ী সময় সর্বদা সামনের দিকে এগিয়ে চলে।
- সময় যেহেতু সামনের দিকে এগিয়ে চলে তাই ইতিহাসে অতীতের পুরাতন কোন ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হয় না।
- তাই রৈখিক কালচেতনা অনুযায়ী পৃথিবীতে প্রত্যেকটি ঘটনাই নতুন।
- রৈখিক কালচেতনা অনুযায়ী সময় যেহেতু তিরের মতো একমুখী হয়ে এগিয়ে চলে তাই এর মধ্যে তিনটি পর্ব আছে। যথা সূচনা পর্ব - বিকাশ পর্ব - সমাপ্তি পর্ব।
পাশ্চাত্যের অধিকাংশ ঐতিহাসিকই ইতিহাস চর্চায় রৈখিক কালচেতনার তত্ত্বে বিশ্বাসী।
(২.) চক্রাকার কালচেতনা :-
(i.) সংজ্ঞা:-
"চক্রাকার কালচেতনা" অনুযায়ী, সময় বা কাল সর্বদা চাকার ন্যায় চক্রাকারে আবর্তিত হয়। এই কালচেতনা অনুযায়ী পৃথিবীতে একই ঘটনা, যুগ বা সময় বারে বারে ঘুরে ফিরে আসে। পুরাতন অতীতের কোন ঘটনা বর্তমানে, বা ভবিষ্যতে ফিরে আসে। ফলে অতীতের পুনরাবৃত্তি ঘটে।
(ii.) উদ্ভব :-
ধ্রুপদী গ্রীক ও ভারতীয়রা চক্রাকার সময়কালের ধারনায় বিশ্বাসী ছিলেন। তাদের চিন্তাধারা থেকেই চক্রাকার কালচেতনার উদ্ভব ঘটেছিলো। গ্রিকদের কাছে জ্যামিতি শাস্ত্রের কদর ছিলো বেশি। খুব স্বাভাবিক ভাবেই, তাদের ধারনা ছিলো ইতিহাসের ঘটনা জ্যামিতিশাস্ত্রের বৃত্তের বা চক্রাকার নিয়মকে অনুসরন করে।
চক্রাকার কালচেতনার তত্ত্বে বিশ্বাসী ছিলেন গ্রিক দার্শনিক প্লেটো ও অ্যারিস্টট্ল, গ্রিক - রোমান ঐতিহাসিক পলিবিয়াস, গিয়ামবাতিস্তা ভিকো, আর্নল্ড টয়েনবি প্রমুখরা।
গ্রিকরা বিশ্বাস করতো প্রত্যেক জাতি, নগর বা সভ্যতার ক্ষেত্রে উত্থান, পূর্নতা ,অক্ষয় বা পতন এবং পতনের পর আবার পুনরুত্থান দেখা যায়। এইভাবেই চক্রাকারে আবর্তিত হয় ইতিহাস। প্লেটো তাই বলেছিলেন, সমস্ত ইতিহাসই চক্রাকারে আবর্তিত অগ্রগতি ও অধোগতির বিবরন।
প্রাচীন ভারতীয়রাও বিশ্বাস করে কালের ধারা চক্রাকারে আবর্তিত হয়। ভারতীয়রা আজোও বিশ্বাস করে, কাল বা সময় চাকার মতো ঘুরে চলেছে। সুখের পর দুঃখ আসে, দুঃখের পর সুখ আসে। ভালো সময়ের পর খারাপ সময় আসে, আবার খারাপ সময়ের পর ভালো সময় ফিরে আসে।
ভারতীয় পুরান অনুসারে পৃথিবীতে চারটি যুগ অনন্তকাল ধরে আবর্তিত হয়ে চলেছে। যথা - সত্য যুগ, ত্রেতা যুগ, দ্বাপর যুগ ও কলি যুগ। প্রতিটি পরবর্তী যুগ পূর্ববর্তী যুগের তুলনায় নিকৃষ্ট। অর্থাৎ সত্যযুগের থেকে ত্রেতা যুগ নিকৃষ্ট, আবার ত্রেতা যুগ থেকে দ্বাপর যুগ আরোও নিকৃষ্ট, দ্বাপর যুগ থেকে কলি যুগ আরোও নিকৃষ্ট। কলি যুগের অবসানের পর পুনরায় পৃথিবীতে সত্য যুগের সূচনা হবে।
(iii.) চক্রাকার কালচেতনার বৈশিষ্ট্য :-
চক্রাকার কালচেতনা বিশ্লেষন করলে এই কালচেতনার মধ্যে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ে। যেমন -
- চক্রাকার কালচেতনা অনুযায়ী সময় বৃত্তাকারে আবর্তিত হয়।
- এই কালচেতনার ধারা অনুযায়ী অতীত ঘুরে ফিরে বর্তমানে ফিরে আসে। এর ফলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে।
- চক্রাকার কালচেতনা অনুযায়ী প্রতিটি বর্তমানকাল পূর্বোক্ত কালের তুলনায় নিকৃষ্ট বা হীনতর।
(গ.) রৈখিক ও চক্রাকার সময়কাল নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে বিতর্ক :-
রৈখিক ও চক্রাকার কালচেতনার মধ্যে কোনটি সঠিক, তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে বিতর্ক আছে।
(অ.) চক্রাকার কালচেতনাকে সমর্থন :-
(১.) চক্রাকার কালচেতনায় বিশ্বাসী গ্যামিস্টো ভিকোর মতে, অতীতের ঘটনাবলী ভবিষ্যতেও ঠিক একই ভাবে ঘটে থাকে।
(২.) আরবের ঐতিহাসিক ইবন খালদুনও ইতিহাসের চক্রাকার কালচেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন। তাঁর মতে, চক্রাকার গতিতে যুদ্ধ ও বিজয় - বসতির প্রসার ও নগরায়ন - অবক্ষয় ও ধ্বংস - এই তিনটি স্তর ঘুরে ফিরে আসে।
(৩.) গ্রিক দার্শনিক প্লেটোর মতে, সমস্ত ইতিহাসই হলো চক্রাকারে আবর্তিত অগ্রগতি ও অধোগতির বিবরন।
(৪.) রোমান ঐতিহাসিক পলিবিয়াসের মতে, প্রাকৃতিক নিয়মে রাজতন্ত্র, অভিজাততন্ত্র ও গনতন্ত্র চক্রাকারে ফিরে আসে।
(৫.) গ্রিক ঐতিহাসিক থুকিডিডিসের মতে, ভবিষ্যত ইতিহাস হলো অতীত ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি।
(৫.) ঐতিহাসিক আর্নল্ড টয়েনবির মতে, জন্ম বা সৃষ্টি, বৃদ্ধি বা বিকাশ এবং মৃত্যু বা পতনের মধ্য দিয়ে চক্রাকারে ইতিহাসের সময় বা যুগ আবর্তিত হয়।
(আ.) রৈখিক কালচেতনাকে সমর্থন :-
পাশ্চাত্যের প্রায় সকল ঐতিহাসিক রৈখিক কালচেতনাকে সমর্থন করেন।
(১.) ব্রিটিশ ঐতিহাসিক লর্ড অ্যাকটনের মতে, প্রগতির ধারা অনন্ত সময়কাল ধরে বয়ে চলে। অর্থাৎ তার মতে সময়কাল সমান্তরাল ভাবে প্রবাহিত হয়।
(২.) অধ্যাপক এ এল ব্যাসাম রৈখিক কালচেতনাকে সমর্থন করে বলেছেন, সূক্ষ্ম ভাবে বিচার করলে দেখা যাবে, ইতিহাসের ঘটনাবলীর পুনরাবৃত্তি কখনই ঘটে না। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেছেন, ভারত ইতিহাসের কোন পর্বেই আধুনিক ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের মতো কোন সরকারের অস্তিত্ব কোন কালেই ছিলো না।
(৩.) ঐতিহাসিক ই এইচ কার চক্রাকার সময়কালের ধারনাকে অনৈতিহাসিক বলে আখ্যা দিয়ে বলেছেন, চক্রাকার ধারনাতে পুনরাবর্তনের কথা বলা হলেও, পরিবর্তনের কথা বলা নেই। অর্থাৎ তার মতে কাল সর্বদা সম্মুখবর্তী ও অগ্রগামী।
(ঘ.) চক্রাকার ও রৈখিক কালচেতনার মধ্যে কোনটি অধিক গ্রহনযোগ্য?
চক্রাকার ও রৈখিক কালচেতনার মধ্যে কোনটি অধিক গ্রহনযোগ্য তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে বিতর্ক আছে। মনে রাখতে হবে, আধুনিক গবেষণায় রৈখিক কালচেতনা তুলনামূলক ভাবে অধিক গ্রহনযোগ্যতা পেলেও, তাও সমালোচনার উর্ধ্বে নয়।
যারা রৈখিক কালচেতনাকে সমর্থন করেন, তারা চক্রাকার কালচেতনাকে সমালোচনা করে দুটি যুক্তি তুলে ধরেছেন।
এক, ঐতিহাসিক ঘটনাক্রমের পুনরাবৃত্তি হয় না :-
"চক্রাকার কালচেতনা" অনুযায়ী ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর পুনরাবৃত্তি হয়। কিন্তু গভীর ভাবে বিশ্লেষন করলে দেখা যায়, ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর পুনরাবৃত্তি হলেও দুটি ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্যে খুব একটা মিল থাকে না। অর্থাৎ হুবহু পুনরাবৃত্তি ঘটে না। উদাহরন হিসাবে পঞ্চদশ শতকে ইতালির নবজাগরন আর উনিশ শতকে বঙ্গীয় নবজাগরনের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। দুটিই সাংস্কৃতিক জাগরন হলেও দুটি নবজাগরনের মধ্যে বিস্তর পার্থক্যও ছিলো। আবার খ্রিঃ পূর্ব ষষ্ঠ শতকে ভারতে প্রজাতান্ত্রিক মহাজনপদ (বৃজি ও মল্ল) বা প্রজাতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার অস্তিত্ব থাকলেও তা কখনই বর্তমান ভারতের প্রজাতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার মতো ছিলো না।
দুই, বর্তমান যুগ "পূর্ববর্তী যুগ" থেকে হীনতর হয় না :-
চক্রাকার সময়কাল অনুযায়ী বর্তমান যুগ পূর্ববর্তী যুগ অপেক্ষা নিকৃষ্ট বা হীনতর। এটিও ঠিক নয়। কারন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির হাত ধরে প্রগতির ধারা সর্বদা সামনের যুগে এগিয়ে যায়। এইসব কারনে অনেকেই চক্রাকার সময়কালকে Anti Historical বা অনৈতিহাসিক বলেছেন।
তিন, ভারতের ইতিহাসে রৈখিক কালচেতনা মেলে না :-
অন্যদিকে "রৈখিক কালচেতনাকেও" অনেক ঐতিহাসিক সমালোচনা করেছেন। ঐতিহাসিক ডি ডি কোশাম্বী বলেছেন, প্রাচীন ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে রৈখিক কালচেতনা গ্রহনযোগ্য নয়, তা মেলেও না। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেছেন, রৈখিক কালচেতনা অনুযায়ী সময় সর্বদা প্রগতিশীল হয়। এই যুক্তি মেনে নিলে ভারতে হরপ্পার মতো একটি নগরকেন্দ্রীক উন্নত সভ্যতার পতনের পর কিভাবে এবং কেন পশুচারন ও কৃষিভিত্তিক একটি নিন্মমানের বৈদিক সভ্যতার জন্ম হয়, এর কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। আবার বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিক্ষা ও চিন্তা ভাবনার উৎকর্ষের দিক থেকে ভারতের মধ্য যুগ থেকে তার পিছনের প্রাচীন যুগ যে অনেক উন্নত ছিলো, তা সকলেই স্বীকার করেন।
সুতরাং চক্রাকার কালচেতনায় যে বলা হয়, বর্তমান যুগ পূর্ববর্তী যুগ অপেক্ষা নিকৃষ্ট বা হীনতর, তাকেও পুরোপুরি উপেক্ষা করা যায় না। ফরাসি দার্শনিক রুশো তার "সামাজিক চুক্তি" মতবাদে দেখিয়েছিলেন, প্রকৃতির রাজ্যে এক সময় মানুষের মধ্যে সাম্য ছিলো। কিন্তু আধুনিক সমাজের উদ্ভবের পর থেকেই অসাম্যজনিত নানা সমস্যার সূত্রপাত ঘটেছে। তাই বলা যায়, রৈখিক কালচেতনা চক্রাকার সময়কালের তুলনায় গ্রহনীয় হলেও, তা সমালোচনার উর্ধ্বে নয়।
পাশ্চাত্যের ঐতিহাসিকরা ভারতের চক্রাকার সময়কালের ধারনাকে সমালোচনা করে বলেছিলেন, ভারতীয়দের ইতিহাস বোধের অভাবের জন্যই চক্রাকার সময়কালের ধারনার জন্ম হয়েছিলো। ঐতিহাসিক রোমিলা থাপার এর তীব্র বিরোধিতা ও সমালোচনা করেছেন।
ঐতিহাসিক রোমিলা থাপার তার গবেষণায় দেখিয়েছেন, প্রাচীন ভারতে চক্রাকার এবং রৈখিক দুই ধরনের কালচেতনাই ব্যবহার করা হতো। চক্রাকার সময়কালের ধারনা থেকে ভারতীয়রা দিন, ক্ষন, মাস, বছর ও গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থানগত গননা গুলি করতো। বলা বাহুল্য, দিন, মাস, বছর এসবই চক্রাকার সময় মেনে বারে বারে ফিরে আসে।
তবে এই চক্রাকার ধারনার পাশাপাশি রৈখিক কালচেতনা সম্পর্কেও ভারতীয়রা সচেতন ছিলেন। রাজার কীর্তিকলাপ বর্ননার ক্ষেত্রে ভারতীয়রা সর্বদাই রৈখিক কালপঞ্জি বা কাল চেতনার ধারনা ব্যবহার করতো। শকাব্দ (৭৮ খ্রিঃ), গুপ্তাব্দ (৩২০ খ্রিঃ) এর প্রচলন এর প্রকৃষ্ট প্রমান ছিলো।