ভারতে গর্ভনর, গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয়দের গুরুত্বপূর্ণ কাজ, অবদান ও ঘটনা

ভারতে "ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির" শাসনকালের সূচনালগ্ন থেকে শুরু করে "ব্রিটিশ শাসনের" সমাপ্তি পর্যন্ত বিভিন্ন সময়কালে একাধিক গর্ভনর, গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয় ভারতবর্ষকে শাসন করেছিলেন। তাদের শাসনকালে যেমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্মরনীয় ঘটনা ঘটেছিলো, তেমনই অনেক গভর্নর, গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয় ভারতে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ ও সংস্কারও করেছিলেন। 

তবে সকল গর্ভনর, গভর্নর জেনারেল অথবা ভাইসরয় এদেশে শাসন করে কৃতিত্বের উজ্জ্বল স্মারক তৈরি করতে পারেন নি। সকলের শাসনকাল ঐতিহাসিক ঘটনাক্রমের নিরিখে সমান গুরুত্বপূর্ণও ছিলো না। যাদের ছিলো, তাদেরই উল্লেখ করে নীচের তালিকাটি রচনা করা হয়েছে। 

আলোচ্য অংশটি স্কুল কলেজের বিভিন্ন শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের পাশাপাশি ইতিহাসের জেনারেল নলেজে আগ্রহী পাঠকদেরও বিশেষভাবে কাজে লাগবে। 

গভর্নর, গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয়দের আমলে উল্লেখযোগ্য কাজ, অবদান ও ঘটনা
 গভর্নর, গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয়দের আমলে উল্লেখযোগ্য কাজ, অবদান ও ঘটনা 


 (১.) রবার্ট ক্লাইভ (১৭৫৭ - ৬০) (১৭৬৫ - ৬৯) :-

  • "পলাশীর যুদ্ধের" (১৭৫৭) অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন। 
  • পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রধান সেনাপতি ছিলেন। 
  • বাংলার প্রথম "গর্ভনর" ছিলেন। 
  • ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হয়ে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলা প্রদেশের "দেওয়ানীর ক্ষমতা" লাভ করেন (১৭৬৫)। 
  • বাংলায় রাজস্ব আদায়ের জন্য "আমিলদার" নামক কর্মচারী নিয়োগ করেন। 
  • বাংলায় "দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা" (১৭৬৫ - ১৭৭২) প্রবর্তন করেন। 

(২.) ভেরেলেস্ট (১৭৬৭ - ৬৯):-

  • আমিলদারদের কাজের নিয়ন্ত্রন করার জন্য এবং ভূমিরাজস্ব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য কোম্পানির কিছু নিন্মপদস্থ কর্মচারীকে " সুপারভাইজার" পদে নিয়োগ করেন।

(৩.) জন কার্টিয়ার (১৭৬৯ - ৭২):-

  • বাংলায় "আমিলদারি প্রথার" অবসান ঘটান।
  • রাজস্ব আদায়ের জন্য মুর্শিদাবাদ,পাটনা ও কলকাতায় "রাজস্ব নিয়ামক পরিষদ" গঠন করেন। 
  • বাংলায় ভয়াবহ "ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের" প্রাদুর্ভাব ঘটে (১৭৭০ খ্রিঃ / ১১৭৬ বঙ্গাব্দে)।

(৪.) ওয়ারেন হেস্টিংস (১৭৭২ - ৮৫):-

  • বাংলার "শেষ গর্ভনর" ও "প্রথম গর্ভনর জেনারেল" ছিলেন। 
  • "পাঁচশালা বন্দোবস্ত" (১৭৭২ - ৭৭) ও "একশালা বন্দোবস্ত" (১৭৭৭) প্রবর্তন করেন।
  • সরকারি কোষাগার মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত (১৭৭২) করেন।
  • "দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার" অবসান ঘটান (১৭৭২)।
  • "রাজস্ব বোর্ড" বা "Board of Revenue" গঠন করেন (১৭৭৩)।
  • নায়েব - দেওয়ান পদের বিলুপ্তি ঘটান। রেজা খাঁ ও সিতাব রায়কে পদচ্যুত করে ঐ পদ (নায়েব - দেওয়ান) দুটি বিলুপ্ত করেন।
  • ১৭৭৩ খ্রিঃ "রেগুলেটিং অ্যাক্ট" দ্বারা বাংলা, বোম্বাই ও মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সী নিয়ে একটি "কেন্দ্রীয় সরকার" গঠিত হয় এবং এই আইনবলে ১৭৭৪ খ্রিঃ কলকাতায় একটি সুপ্রিমকোর্ট স্থাপিত হয়। 
  • রেগুলেটিং অ্যাক্টের ক্রুটি দূর করার জন্য ১৮৮৪ খ্রিঃ "পিটের ভারত শাসন আইন" পাস হয়। 
  • প্রাচ্যবিদ্যা চর্চার জন্য "কলকাতা মাদ্রাসা" (১৭৮১) প্রতিষ্ঠা করেন। 

(৫.) লর্ড কর্নওয়ালিস (১৭৮৬ - ৯৩):-

  • "দশশালা বন্দোবস্ত"(১৭৯০) প্রবর্তন করেন।
  • "চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত" ও "সূর্যাস্ত আইন" (১৭৯৩) প্রবর্তন করেন।
  • "কর্নওয়ালিস কোড" (১৭৯৩) প্রবর্তন করেন।
  • "সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা" ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন।
  • ভারতে "পুলিশি ব্যবস্থার" প্রবর্তন করেন। 

(৬.) লর্ড ওয়েলেসলি (১৭৯৮ - ১৮০৫):-

  • " অধীনতা মূলক মিত্রতা নীতি" (১৭৯৯) প্রবর্তন করেন।
  •  "ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ" (১৮০০) প্রতিষ্ঠা করেন।

(৭.) স্যার জর্জ বার্লো (১৮০৫ - ০৭):-

  • ১৮০৬ খ্রিঃ ভেলোরে সিপাহী বিদ্রোহ সংগঠিত হয়।
  • "ব্যাঙ্ক অফ ক্যালকাটা" (১৮০৬) প্রতিষ্ঠিত হয়, যার নাম পরবর্তীকালে হয় - "স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া"।

(৮.) লর্ড মিন্টো (১৮০৭ - ১৩):-

  • লর্ড মিন্টোর আমলে "অমৃতস্বরের সন্ধি" (১৮০৯) স্বাক্ষরিত হয়।
  • এই সন্ধি স্বাক্ষরিত হয় ইংরেজদের সঙ্গে রনজিৎ সিংহের। 

(৯.) লর্ড হেস্টিংস/প্রথম মারকুইস অব হেস্টিংস (১৮১৩ - ২৩):-

  • "হিন্দু কলেজ" (১৮১৭) প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • " জনশিক্ষা কমিটি" (১৮২৩) গঠিত হয়।
  • ১৮১৩ খ্রিঃ "চার্টার বা সনদ" আইন পাশ হয়।
  • " ইঙ্গ নেপাল যুদ্ধ" (১৮১৪ - ১৬) ও "সগৌলির সন্ধি" স্বাক্ষর।
  • "তৃতীয় ইঙ্গ মারাঠা যুদ্ধ" ।
  • পিন্ডারি দস্যুদের দমন।
  • "বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন" (১৮২২) পাশ।

১০. উইলিয়াম আর্মহাস্ট (১৮২৩ - ২৮):-

  • " কলকাতা সংস্কৃত কলেজ" (১৮২৪) প্রতিষ্ঠা।
  • " প্রথম ইঙ্গ ব্রহ্ম যুদ্ধ" (১৮২৪ - ২৬)।
  • "ইয়ান্দাবুর সন্ধি" স্বাক্ষর (১৮২৬)।

১১. লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক (১৮২৮ - ৩৫):- 

  • বাংলার "শেষ গভর্নর জেনারেল"। 
  • ভারতের" প্রথম গর্ভনর জেনারেল"।
  • "সতীদাহ প্রথা" বিলোপের জন্য আইন প্রণয়ন। (১৮২৯ খ্রিঃ ১৭ নং রেগুলেশন আইন) 
  • "কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ" প্রতিষ্ঠা (১৮৩৫ খ্রিঃ) 
  • আদালতে আরবির বদলে ফার্সি ভাষা প্রচলন করেন। 
  • "মেকলে মিনিট" (১৮৩৫) পেশ। 
  • বেন্টিঙ্কের আমলেই কলকাতায় রামমোহন রায় "ব্রাহ্ম সমাজের" প্রতিষ্ঠা করেন। 

১২. স্যার চার্লস মেটকাফ (১৮৩৫ - ৩৬):- 

  • " কলকাতা পাবলিক লাইব্রেরি" প্রতিষ্ঠা করেন (১৮৩৬ খ্রিঃ) ।

১৩. প্রথম আর্ল অব অকল্যান্ড (১৮৩৬ - ৪২):- 

  • প্রাচ্য বিদ্যা ও পাশ্চাত্য বিদ্যা সংক্রান্ত বিতর্কের অবসান ঘটান "অকল্যান্ড মিনিটের" (১৮৩৯) মধ্য দিয়ে। 
  • অকল্যান্ড মিনিটে পাশ্চাত্য শিক্ষার পাশাপাশি প্রাচ্য শিক্ষাতেও অর্থ বরাদ্দের ঘোষনা করা হয়। 

১৪. লর্ড ডালহৌসি (১৮৪৮ - ৫৬):- 

  • ভারতে "রেল পথের জনক" ছিলেন। তার আমলেই ভারতে প্রথম রেল যোগাযোগের সূচনা ঘটে (১৮৫৩)। 
  • "বিধবা বিবাহ আইন" পাশ (১৮৫৬) হয়। 
  • "স্বত্ববিলোপ নীতি" প্রবর্তন করেন। 
  • "টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা" প্রবর্তন করেন। 

১৫. লর্ড ক্যানিং (১৮৫৬ - ৫৮):- 

  • ভারতের "শেষ গভর্নর জেনারেল"। 
  • ভারতের "প্রথম ভাইসরয়"।
  • কাগজের মুদ্রা প্রচলন করেন (১৮৫৭)।
  • সিপাহী বিদ্রোহ সংগঠিত হয় (১৮৫৭)।
  • ১৮৫৮ খ্রিঃ" ভারত শাসন আইন" প্রবর্তিত হয়। 
  • ভারত শাসন আইন অনুযায়ী ভারতের শাসন ক্ষমতা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাত থেকে সরাসরি ইংল্যান্ডের "রানী ভিক্টোরিয়ার" হাতে অর্পিত হয়। 
  • " পুলিশ সার্ভিস প্রবর্তন" করেন (১৮৬১)।
  • ভারতে "প্রথম বাজেট" পেশ করা হয় (১৮৬১)।
  • ১৮৬১ কলকাতা, মুম্বই ও মাদ্রাজ একটি করে "হাইকোর্ট" স্থাপিত হয়। 

১৬. স্যার জন লরেন্স (১৮৬৪ - ১৮৬৯):- 

  • ১৮৬৮ খ্রিঃ "পাঞ্জাব প্রজাস্বত্ব আইন" ও "অযোধ্যা প্রজাস্বত্ব আইন" পাশ করেন। 
  • তার আমলে অসংখ্য রেলপথ ও রাস্তাঘাট নির্মিত হয়। জলসেচের জন্য তিনি অনেক খাল খনন করেন এবং দুর্ভিক্ষ নিবারনের জন্য "দুর্ভিক্ষ কমিশন" গঠন করেন।
  • "এলাহাবাদ হাইকোর্ট" (১৮৬৯) প্রতিষ্ঠিত হয়। 

১৭. লর্ড মেয়ো (১৮৬৯ - ৭২):- 

  • মেয়ো ভারতে সর্বপ্রথম "আদম শুমারি" বা "জনগননার" কাজ শুরু করেন (১৮৭২)। 
  • ১৮৭০ খ্রিঃ তিনি বাংলার আইন সভায় "চৌকিদারী আইন" প্রণয়ন করেন। এই আইনের ফলে গ্রামীন এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েত নামক স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থা গঠিত হয়। 
  • ব্রাহ্ম সমাজের উদ্যোগে "তিন আইন" পাস হয়। এই আইন দ্বারা ব্রাহ্মসমাজে বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ নিষিদ্ধ হয় এবং বিধবাবিবাহ ও অসবর্ন বিবাহ আইনসিদ্ধ হয়। 

১৮. লর্ড নর্থব্রুক (১৮৭২ - ৭৬):- 

  • "নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রন আইন" পাস করেন (১৯৭৬)।
  • "গজদানন্দ ও যুবরাজ" নাটক কে কেন্দ্র করে এই আইন পাস করা হয়। 

১৯. লর্ড লিটন (১৮৭৬ - ৮০):- 

  • ১৮৭৬ খ্রিঃ এক আদেশ দ্বারা লিটন ভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার্থীদের বয়স ২১ থেকে কমিয়ে ১৯ বছর করে দেন। 
  • "ভারতীয় ভাষায় সংবাদপত্র দমন আইন" /"Vernacular press Act" (১৮৭৮) পাস করেন। 
  • "অস্ত্র আইন" (১৮৭৮)" প্রবর্তন করেন। 
  • মহারানী ভিক্টোরিয়াকে "ভারত সম্রাজ্ঞী" হিসাবে ঘোষনা করেন (১৮৭৬)। 

২০. লর্ড রিপন (১৮৮০ - ৮৪):- 

  • লর্ড লিটন প্রবর্তিত "সংবাদপত্র দমন আইন" রদ করেন (১৮৮২)।
  • ভারতে "প্রথম কারখানা আইন" প্রবর্তন করেন (১৮৮১)। এই আইনে কলকারখানা গুলিতে শিশু শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করা হয়। 
  • ১৮৮২ খ্রিঃ "হান্টার কমিশন" নিয়োগ করেন। 
  • স্থানীয় স্তরে (পৌরসভা) "স্বায়ত্ত্বশাসন ব্যবস্থা" প্রবর্তনে জোর দেন। 
  • ১৮৮৩ খ্রিঃ "ইলবার্ট বিল" পেশ করেন।

২১. লর্ড ডাফরিন (১৮৮৪ - ৮৮):- 

  • "বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন" পাশ হয় (১৮৮৫)
  • ভারতের "জাতীয় কংগ্রেস" প্রতিষ্ঠিত হয় (১৮৮৫)।

২২. লর্ড ল্যান্ডাসডাউন (১৮৮৮ - ৯৪):- 

  • ১৮৮১ খ্রিঃ "ফ্যাক্টরি আইন" সংশোধন করে নতুন ফ্যাক্টরি আইন প্রবর্তন করেন। এই আইনে কারখানায় মেয়েদের ১১ ঘন্টা এবং ৯ -১২ বছর শিশুদের দিনে ৭ ঘন্টা কাজের নিয়ম চালু হয়। 
  • ১৮৯২ খ্রিঃ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিখ্যাত "ইন্ডিয়া কাউন্সিল আইন" পাশ হয়। 
  • "ডুরান্ট কমিশন" নিয়োগ (১৮৯৩)।

২৩. লর্ড দ্বিতীয় এলগিন (১৮৯৪ - ৯৯):- 

  • ১৮৯৬ খ্রিঃ এলগিনের শাসনকালে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষ ও প্লেগ হয়। 
  • "রামকৃষ্ণ মিশন" প্রতিষ্ঠিত হয় (১৮৯৭)।

২৪. লর্ড কার্জন (১৮৯৯ - ১৯০৫):- 

  • ১৯০২ খ্রিঃ "Indian university commission" গঠন করেন। 
  • ১৯০৪ খ্রিঃ "ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন" পাস করেন।
  • বঙ্গভঙ্গ করেন (১৯০৫)।
  • "অল ইন্ডিয়া আর্কিওলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট" প্রতিষ্ঠা করেন। 
  • বাংলায় "কৃষি গবেষণা কেন্দ্র" স্থাপন করেন। 

২৫. লর্ড মিন্টো (দ্বিতীয়) (১৯০৫ - ১০):- 

  • "মর্লে মিন্টো আইন" প্রণয়ন (১৯০৯)।
  • "মুসলিম লিগ" (১৯০৬) প্রতিষ্ঠা ।
  • " টাটা আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানি" (১৯০৭) প্রতিষ্ঠা। 

২৬. লর্ড হাডিঞ্জ (দ্বিতীয়) (১৯১০ - ১৬):- 

  • "বঙ্গভঙ্গ" রদ হয় (১৯১১)।
  • রাজধানী কোলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তর করা হয় (১৯১১)। 

২৭. লর্ড চেমসফোর্ড (১৯১৬ - ২১):- 

  • "হোমরুগ লীগ" আন্দোলন। 
  • "মন্টেগু চেমসফোর্ড সংস্কার আইন" প্রণয়ন (১৯১৯)।
  • " রাওলাট আইন" প্রণয়ন (১৯১৯)।
  • "খিলাফৎ  ও রাওলাট সত্যাগ্রহ " (১৯১৯)।
  • "জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড" (১৯১৯, ১৩ এপ্রিল)। 
  • "অসহযোগ আন্দোলনের" সূচনা (১৯২১)।

২৮. লর্ড রিডিং / দ্য আর্ল অব রিডিং (১৯২১ - ২৬):- 

  • "চৌরীচৌরা ঘটনা" ও অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার (১৯২২)
  • "স্বরাজ্য দল" প্রতিষ্ঠা (১৯২৩)।
  • পৃথক রেল বাজেট উপস্থাপন। 
  • "রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ" (RSS) প্রতিষ্ঠা (১৯২৫)।
  • "ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি" প্রতিষ্ঠা (১৯২৫)।

২৯. লর্ড আরউইন (১৯২৬ - ৩১):- 

  • "সাইমন কমিশন" গঠন (১৯২৮)
  • "নেহেরু রিপোর্ট" পেশ (১৯২৮)।
  • "মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা" দায়ের (১৯২৯)।
  • আইন অমান্য আন্দোলনের সূচনা (১৯৩০ - ৩৪)

৩০. লর্ড উইলিংডন (১৯৩১ - ৩৬):- 

  • প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় "গোলটেবিল" বৈঠক (১৯৩০,১৯৩১ ও ১৯৩২) । 
  • "চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লন্ঠন"। 
  • "আইন অমান্য আন্দোলন" (১৯৩০ - ৩৪) ।

৩১. লর্ড লিনলিথগো (১৯৩৬ - ৪৩):- 

  • " ক্রিপশ মিশনের" আগমন। 
  • "লিনলিথগো প্রস্তাব" । 
  • "ভারত ছাড়ো আন্দোলন" সংগঠিত হয় (১৯৪২)।
  • "পঞ্চশের মন্বন্তর" ঘটে (১৯৪৩)।

৩২. লর্ড আর্চিবাল্ড ওয়াভেল (১৯৪৩ - ৪৭):- 

  • INA লড়াই ও আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনানীদের বিচার।
  • নৌ বিদ্রোহ (১৯৪৬)। 
  •  ভারতে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে "ওয়াভেল পরিকল্পনা" রচনা করেন (১৯৪৫)।  
  • "সি আর ফর্মুলা" পেশ (১৯৪৪)।
  • "ক্যাবিনেট মিশনের" আগমন (১৯৪৫)।
  • মুসলিম লিগের "প্রত্যক্ষ সংগ্রাম" ( ১৯৪৬ খ্রিঃ ১৬ ই আগস্ট) ও "কলকাতা হত্যাকান্ড" (১৯৪৬)
  • ভারতের "অর্ন্তবর্তী সরকার" গঠন (১৯৪৬)।
  • "গন পরিষদ গঠন" (১৯৪৬)।

৩৩.লর্ড মাউন্টব্যাটেন (১৯৪৭ - ৪৮):- 

  • ভারতের "শেষ ব্রিটিশ ভাইসরয়" ছিলেন এবং স্বাধীন ভারতের "প্রথম গর্ভনর জেনারেল" ছিলেন। 
  • ভারতে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য তিনি "মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা" রচনা করেন। 
  • তার আমলেই ব্রিটিশ পার্লামেন্টে "ভারতীয় স্বাধীনতা আইন" পাস হয় (১৯৪৭, ৪ ই জুলাই) এবং ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করে। 
  • দেশীয় রাজ্য গুলি ভারত ভুক্তি হয়। 

৩৪. চক্রবর্তী রাজা গোপলাচারী (১৮৪৮ - ৫০):-

  • স্বাধীন ভারতের "শেষ ভারতীয় ভাইসরয় বা গভর্নর জেনারেল" ছিলেন। 
  • ভারতের সংবিধান কার্যকর হয় (১৯৫০ খ্রিঃ ২৬ শে জানুয়ারি) । 

প্রতি রবিবার প্রকাশিত হয় নতুন লেখা *** প্রতি রবিবার প্রকাশিত হয় নতুন লেখা *** প্রতি রবিবার প্রকাশিত হয় নতুন লেখা**** প্রতি রবিবার প্রকাশিত হয় নতুন লেখা
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post