মাধ্যমিক ইতিহাসের একেবারে প্রথম অধ্যায়টির নাম হলো "ইতিহাসের ধারনা"। এই অধ্যায়টির প্রস্তুতি কিভাবে নিতে হবে, তা নিয়েই মূলত আজকের এই আলোচনা। এই আলোচনায় মূল ৫ টি দিককে নিয়ে আমরা আলোকপাত করবো। যথা -
(১.) "ইতিহাসের ধারনা" অধ্যায়টির মূল সিলেবাস কি আছে?
(২.) কিভাবে এই অধ্যায়টি আমাদের পড়তে হবে?
(৩.) এই অধ্যায় থেকে কি ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে?
(৪.) বিগত বছর গুলিতে মাধ্যমিক পরীক্ষায় এই অধ্যায় থেকে কি ধরনের প্রশ্ন এসেছিলো? এবং
(৫.) এই অধ্যায়টি পড়বার জন্য ভালো পাঠ্যবই কোন গুলো আছে?
|
ইতিহাসের ধারনা অধ্যায়টি কিভাবে পড়তে হবে?
|
(১.) ইতিহাস ধারনা অধ্যায়টির মূল সিলেবাস কি আছে?
|
ইতিহাসের ধারনা : মূল সিলেবাস |
(ক.) আধুনিক ইতিহাস চর্চার বৈচিত্র্য :-
"ইতিহাসের ধারনা" অধ্যায়টি মোট দুটি পার্টে বিভক্ত। প্রথম পার্টটির নাম হলো - "আধুনিক ইতিহাস চর্চার বৈচিত্র্য"। এতকাল ইতিহাস মানেই আমরা জেনে এসেছি যুদ্ধ,সন্ধি, রাজবংশ আর রাজা রাজড়াদের কাহিনী। কিন্তু বর্তমানে ইতিহাস চর্চার ধারায় এবং ধারনায় আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। আলোচনায় এসেছে বৈচিত্র্য। এখন ইতিহাস বলতে শুধু রাজা, মহারাজা বা বড়ো কোন ব্যক্তিদের কীর্তিকাহিনীকে বোঝায় না।
এখন মনে করা হয় ইতিহাস হলো সমাজ বিজ্ঞানের একটি শাখা। ইতিহাস সমাজের সাধারণ মানুষের কথা বলবে। সমাজের ঘটে যাওয়া বিবর্তনের কথা বলবে। মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গে যুক্ত সকল বিষয় গুলিকেই ইতিহাস তার আলোচনায় তুলে ধরবে।
"ইতিহাসের ধারনা" অধ্যায়ে একেবারে প্রথম অংশে আধুনিক ইতিহাস চর্চার ধারার এই পরিবর্তনের দিক গুলিকেই আমরা খুব সংক্ষেপে জানবো। এখানে আমরা যে যে বিষয় গুলোকে পড়বো সেগুলি হলো -
- নতুন সামাজিক ইতিহাস
- খেলার ইতিহাস
- খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাস
- শিল্প চর্চার ইতিহাস (সংগীত, নৃত্য, নাটক, চলচ্চিত্র)
- পোশাক পরিচ্ছেদের ইতিহাস
- যানবাহন - যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাস
- দৃশ্য শিল্পের ইতিহাস ( ছবি আঁকা, ফটোগ্রাফি)
- স্থাপত্যের ইতিহাস
- স্থানীয় ইতিহাস
- শহরের ইতিহাস
- সামরিক ইতিহাস
- পরিবেশের ইতিহাস
- বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসা বিদ্যার ইতিহাস
- নারী ইতিহাস।
(খ.) আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান ব্যবহারের পদ্ধতি :-
ইতিহাসের ধারনা অধ্যায়টির দ্বিতীয় অংশটির নাম হলো - "আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান ব্যবহারের পদ্ধতি"। আমরা সবাই জানি, ইতিহাস রচনা করা হয় উপাদানের সাহায্যে। আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার জন্য অনেক ধরনের উপাদান ব্যবহার করা হয়। কিন্তু মধ্য শিক্ষা পর্ষদ নির্ধারিত মাধ্যমিক ইতিহাসের যে সিলেবাস তৈরি করে দেওয়া হয়েছে, সেখানে আধুনিক ভারতের ইতিহাসের ৪ টি উপাদানের নাম এবং উদাহরণ সহযোগে তাদের প্রয়োগ পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে। এগুলি হলো -
- সরকারি নথিপত্র (পুলিশ/গোয়েন্দা /সরকারি আধিকারিকদের প্রতিবেদন বা বিবরন/চিঠিপত্র)
- আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা (সত্তর বৎসর - বিপিনচন্দ্র পাল, জীবনস্মৃতি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জীবনের ঝরাপাতা - সরলাদেবী চৌধুরানী)
- চিঠিপত্র (ইন্দিরা গান্ধীকে লেখা জওহরলাল নেহেরুর চিঠি - Letters from a father to his Daughter)
- সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্র (বঙ্গদর্শন ও সোমপ্রকাশ)।
মাথায় রাখতে হবে, আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনায় এই চারটি ঐতিহাসিক উপাদানই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। যেমন -
(১.) ভারতের সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনের ইতিহাস এবং কৃষক আন্দোলনের ইতিহাস একান্তভাবে সরকারি নথিপত্রের ভিত্তিতেই রচনা করা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে
(২.) ১৯৪৭ খ্রিঃ দেশভাগ জনিত মানসিক ক্ষত, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং উদ্বাস্তু সমস্যার ইতিহাস রচনায় বিভিন্ন আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা এক বিরাট ঐতিহাসিক উপাদান হিসাবে কাজ করে।
(৩.) একই ভাবে চিঠিপত্র থেকেও আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার বহু ঐতিহাসিক তথ্যের সন্ধান পাওয়া যায়। ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভের পর স্বাধীন ভারতের অন্যতম রূপকার ছিলেন জওহরলাল নেহেরু। তার উদারনৈতিক মতাদর্শের হাত ধরেই স্বাধীন ভারতের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতি রূপায়িত হয়েছিলো। নেহেরুর উদারনৈতিক অর্ন্তদর্শন ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষাপট অনুসন্ধান করার ক্ষেত্রে কন্যা নেহেরুকে লেখা তার চিঠিপত্র গুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে মহাত্মা গান্ধীর সহিত সুভাষচন্দ্র বসুর ব্যক্তিগত সম্পর্কের অনেক অজানা দিকের সন্ধান পাওয়া যায়, তাদের পারস্পরিক প্রেরিত চিঠিপত্র গুলি থেকে।
(৪.) আবার উনিশ ও বিশ শতকের সমাজ জীবনের প্রতিচ্ছবি পেতে তৎকালীন সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র গুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উদাহরন হিসাবে বলা যায়, নীল চাষ বাংলার গ্রামীন সমাজের ওপর কিরূপ বিরূপ প্রভাব ফেলেছিলো, তা জানতে হিন্দু প্যাট্রিয়ট, গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকাগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
(গ.) টুকরো কথা :-
মূল সিলেবাসের আলোচ্য দিক দুটি (১.আধুনিক ইতিহাস চর্চার বৈচিত্র্য ও ২. আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান ব্যবহারের পদ্ধতি) ছাড়াও এই চ্যাপ্টারের শেষে "টুকরো কথা" অংশে আরোও দুটি বিষয় পড়বার কথা বলা হয়েছে। যথা -
- আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চায় ফটোগ্রাফের ব্যবহার এবং
- ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা - অসুবিধা।
মোটামুটি এই হলো প্রথম অধ্যায়ের মূল সিলেবাস।
(২.) ইতিহাসের ধারনা অধ্যায়টি কিভাবে পড়তে হবে?
(ক.) নতুন সামাজিক ইতিহাস :-
ইতিহাসের ধারনা অধ্যায়টি পড়বার একেবারে গোড়াতেই সামাজিক ইতিহাস সম্পর্কে খুব ভালো করে জেনে নিতে হবে। বিশেষত -
(i) নতুন সামাজিক ইতিহাস কাকে বলে?
(ii) কোন সময়কাল থেকে নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চার সূত্রপাত ঘটে? আমাদের দেশে নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চার সূত্রপাত কোন সময় থেকে হয়?
(iii) নতুন সামাজিক ইতিহাসের মূল বৈশিষ্ট্য এবং গুরুত্ব কী? - মোটামুটি এই কয়টি বিষয় পয়েন্ট আকারে খুব ভালো করে খাতায় সাজিয়ে নিতে হবে, যাতে করে নতুন সামাজিক ইতিহাস সম্পর্কে পরীক্ষায় যদি কোন প্রশ্ন আসে, অনায়াসে তোমরা উত্তর লিখে আসতে পারো।
(খ.) নতুন সামাজিক ইতিহাসের বিভিন্ন ধারা :-
নতুন সামাজিক ইতিহাসের পরেই সামাজিক ইতিহাস চর্চার আধুনিক ধারা গুলো পড়তে গিয়ে আমরা খেলার ইতিহাস,খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাস, নারী ইতিহাস ইত্যাদি বিষয় গুলো পড়ে থাকি। এখন এই প্রত্যেকটি বিষয় পড়বার সময় দুটো দিক তোমাদের খুব গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। আধুনিক ইতিহাস চর্চার বৈচিত্র্য অংশে নতুন সামাজিক ইতিহাস থেকে শুরু করে নারী ইতিহাস পর্যন্ত, যতগুলো বিষয় তোমাদের সিলেবাসে দেওয়া আছে, প্রত্যেকটির সংজ্ঞা ও ধারনা জানতে হবে এবং তার গুরুত্বের দিকটিকেও জেনে রাখতে হবে। যেমন নতুন সামাজিক ইতিহাস কাকে বলে? নতুন সামাজিক ইতিহাসের গুরুত্ব কী? খেলার ইতিহাস কাকে বলে? খেলার ইতিহাসের গুরুত্ব কী? স্থানীয় ইতিহাস বলতে কী বোঝা? স্থানীয় বা আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব কী? ইত্যাদি।
খুব ভালো হয়, আধুনিক ইতিহাস চর্চার বৈচিত্র্য অংশের (যেমন সামাজিক ইতিহাস, খেলার ইতিহাস, পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাস, নারী ইতিহাস ইত্যাদি) বিষয় গুলোকে -
(i) সংজ্ঞা ও ধারনা,
(ii) ইতিহাস চর্চার সূচনা, ঐতিহাসিক ও গ্রন্থ,
(iii) বৈশিষ্ট্য এবং
(iv) গুরুত্ব - এই চারটি পয়েন্টে ভাগ করে খাতায় সাজিয়ে রাখো।
এতে দুই দিক থেকেই তোমরা লাভবান হবে।
প্রথমত, আলোচ্য বিষয়টি সম্পর্কে তোমাদের একটি স্বচ্ছ ধারনা তৈরি হয়ে যাবে।
দ্বিতীয়ত, নতুন সামাজিক ইতিহাস ও আধুনিক ইতিহাস চর্চার বিভিন্ন ভাগ গুলোর কোন একটি ( যেমন খেলার ইতিহাস, আঞ্চলিক ইতিহাস ইত্যাদি ) থেকে যদি পরীক্ষায় টীকার আকারে কোন প্রশ্ন আসে, তোমরা অনায়াসে তার উত্তর লিখে আসতে পারবে।
(গ.) সরকারি নথিপত্র :-
ইতিহাসের ধারনা অধ্যায়ে দ্বিতীয় পর্বের নাম হলো আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান ব্যবহারের পদ্ধতি। এখানে যে মূল সিলেবাস দেওয়া রয়েছে, সেখানে একেবারে শুরুতেই তোমাদের পড়তে হবে - ইতিহাসের উপাদান হিসাবে "সরকারি নথিপত্র"। এটি পড়বার সময় -
(i) সরকারি নথিপত্র কাকে বলে?
(ii) সরকারি নথিপত্র কোথায় সংরক্ষিত করা হয়?
(iii) সরকারি নথিপত্রের শ্রেনী বিভাগ অর্থাৎ সরকারি নথিপত্র কত রকমের হয়ে থাকে ও কি কি?
(iv) আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চায় বিভিন্ন সরকারি নথিপত্র কিভাবে ইতিহাস রচনায় সাহায্য করে থাকে? এবং
(v) ইতিহাসের উপাদান হিসাবে সরকারি নথিপত্রের কি কি সীমাবদ্ধতা আছে? - এগুলি খুব ভালো করে জানতে হবে। এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারন এখান থেকে যেমন অনেক ছোটো প্রশ্ন আসে, তেমনি ৪ নম্বরের বড়ো প্রশ্নও এসে থাকে।
(ঘ.) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা :-
সরকারি নথিপত্রের পরেই ইতিহাসের উপাদান হিসাবে পড়তে হবে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা। এক্ষেত্রে -
(i) আত্মজীবনী কাকে বলে?
(ii) স্মৃতিকথা কাকে বলে?
(iii) আত্মজীবনীর সঙ্গে স্মৃতিকথার কী পার্থক্য আছে?
(iv) ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা কতখানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে? - এই বিষয় গুলিকে খুব ভালো করে পড়তে হবে এবং নির্দিষ্ট পয়েন্ট আকারে তা খাতায় লিখে রাখতে হবে।
আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা অংশে উপাদানের প্রয়োগ পদ্ধতি হিসাবে বিপিনচন্দ্র পালের "সত্তর বৎসর", রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "জীবনস্মৃতি" এবং সরলাদেবী চৌধুরানীর "জীবনের ঝরাপাতাকে" অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনটি ক্ষেত্রেই পড়বার সময় বেশ কয়েকটি পয়েন্ট আকারে তা পড়তে হবে। যেমন -
(i) প্রকাশকাল :- ৩ টি আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথা কবে কোন পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং কবে তা গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় তা লিখে রাখতে হবে।
(ii) বিষয়বস্তু :- ৩ টি আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথার মূল বিষয়বস্তু কী তা খুব সংক্ষেপে জেনে রাখতে হবে বা লিখে রাখতে হবে।
(iii) বৈশিষ্ট্য :- আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথা হিসাবে সত্তর বৎসর, জীবনস্মৃতি বা জীবনের ঝরাপাতা গ্রন্থের মূল বৈশিষ্ট্য কি কি তাও জেনে রাখতে হবে বা আলাদা করে লিখে রাখতে হবে।
(iv) ঐতিহাসিক গুরুত্ব :- ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে উক্ত গ্রন্থ গুলি থেকে কি কি তথ্য পাওয়া যায়, অথবা উক্ত গ্রন্থের তথ্য গুলি কিভাবে ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রকে সমৃদ্ধ তা খুব ভালো করে জেনে রাখতে হবে বা লিখে রাখতে হবে।
(ঙ.) ইতিহাসের উপাদান হিসাবে চিঠিপত্র :-
আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার পরে ইতিহাসের উপাদান হিসাবে তোমাদের পড়তে হবে চিঠিপত্র। এক্ষেত্রে -
(i) চিঠিপত্র কাকে বলে?
(ii) চিঠিপত্র কয় ধরনের হয়ে থাকে ও কী কী?
(iii) ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে বা ইতিহাস লেখার ক্ষেত্রে চিঠিপত্র উপাদান হিসাবে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে, তা উদাহরণ সহযোগে জেনে রাখতে হবে।
চিঠিপত্র অংশেই ইতিহাসের উপাদান ব্যবহারের পদ্ধতি হিসাবে সিলেবাসে "Letters from a father to his Daughter" অর্থাৎ কন্যা ইন্দিরাকে লেখা পিতা জওহরলাল নেহেরুর চিঠিপত্র সমূহের সংকলিত গ্রন্থকে স্থান দেওয়া হয়েছে। আলোচ্য অংশটি পড়বার সময়েও কয়েকটি পয়েন্টে ভাগ করে বিষয়টি পড়তে হবে। যেমন -
(i) প্রেক্ষাপট অর্থাৎ কোন পরিস্থিতিতে জওহরলাল নেহেরু এই চিঠি গুলি কন্যা ইন্দিরার কাছে পাঠিয়েছিলেন?
(ii) এই চিঠি গুলি কবে গ্রন্থের আকারে সংকলিত হয় এবং বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়?
(iii) এই চিঠি গুলির মূল বৈশিষ্ট্য ও উদ্দেশ্য কী ছিলো?
(iv) চিঠি গুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব কী ছিলো? অথবা, আধুনিক ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে চিঠি গুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব কতখানি?
(চ.) সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্র :-
সবশেষে এই অধ্যায়ের মূল সিলেবাসে তোমরা পড়ে থাকো ইতিহাসের উপাদান হিসাবে সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্র। এই অংশটি ভালো ভাবে বোঝবার জন্য জানতে হবে -
(i) সাময়িকপত্র কাকে বলে?
(ii) সংবাদপত্র কাকে বলে?
(iii) সাময়িকপত্রের সঙ্গে সংবাদপত্রের প্রধান পার্থক্য কী আছে?
(iv) ইতিহাসের উপাদান হিসাবে সংবাদপত্র বা সাময়িকপত্র কতখানি গুরুত্বপূর্ণ?
সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্র শীর্ষক অংশেই উপাদান ব্যবহারের পদ্ধতি হিসাবে দুটি সাময়িকপত্র বা সংবাদপত্রকে সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এগুলি হলো যথাক্রমে "বঙ্গদর্শন" ও "সোমপ্রকাশ" ।
বঙ্গদর্শন পড়বার সময় -
(i) এর প্রকাশকাল ও চারজন সম্পাদকের নাম খুব ভালো করে মনে রাখতে হবে।
(ii) বঙ্গদর্শন কী ধরনের পত্রিকা, এবং এই পত্রিকার মূল বৈশিষ্ট্য গুলি কী কী ছিলো সেটিও জানতে হবে।
(iii) বঙ্গদর্শন পত্রিকা উনিশ শতকে ইতিহাস রচনায় কি কি তথ্য সরবরাহ করে অর্থাৎ আধুনিক ইতিহাস চর্চায় বঙ্গদর্শন পত্রিকাটিকে আমরা কিভাবে ইতিহাসের উপাদান হিসাবে ব্যবহার করতে পারি - এই বিষয়টি খুব মনোযোগ দিয়ে জেনে নিতে হবে।
একই ভাবে সোমপ্রকাশ পত্রিকা পড়বার সময় -
(i) এর প্রকাশকাল ও স্থান, সম্পাদকদের নাম মনে রাখতে হবে।
(ii) সোমপ্রকাশ কী ধরনের পত্রিকা ছিলো, এবং এই পত্রিকার মূল বৈশিষ্ট্য গুলি কী কী ছিলো সেটিও জানতে হবে
(iii) সোমপ্রকাশ পত্রিকা ব্রিটিশ সরকার কবে ও কেন বন্ধ করে দেয়, এবং নবপর্যায়ে কবে সোমপ্রকাশ প্রকাশিত হয়, এই তথ্য গুলোকেও খুব ভালো করে স্মরনযোগ্য করে রাখতে হবে।
(iv) সবশেষে আমরা জানবো আধুনিক ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে সোমপ্রকাশ পত্রিকা এবং তার তথ্য কতখানি নির্ভরযোগ্য? এই পত্রিকা থেকে আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার কী কী উপাদান আমরা পেয়ে থাকি, এবং ঐ সমস্ত উপাদান ইতিহাস রচনার জন্য কতখানি উপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ?
মনে রাখার কিছু সহজ পদ্ধতি :-
একটা কথা মনে রাখবে, ইতিহাস ধারনা অধ্যায়ে অনেক গুলি ধারনার সংজ্ঞা তোমাদের মনে রাখতে হবে। যেমন সামাজিক ইতিহাস কাকে বলে? খেলার ইতিহাস কাকে বলে? সরকারি নথিপত্র কাকে বলে? আত্মজীবনী কাকে বলে? স্মৃতিকথা কাকে বলে? সাময়িকপত্র কাকে বলে? সংবাদপত্র কাকে বলে? ইত্যাদি। তাই প্রত্যেকটি ধারনার সংজ্ঞা গুলোর একটা চার্ট বা তালিকা তৈরি করে নাও।
একই সাথে প্রত্যেকটি ধারনার গুরুত্ব সম্পর্কেও একটি চার্ট বা তালিকা তৈরি করো। যেমন - নতুন সামাজিক ইতিহাসের গুরুত্ব, খেলার ইতিহাসের গুরুত্ব, ইতিহাসের উপাদান হিসাবে আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথার গুরুত্ব, ইতিহাসের উপাদান হিসাবে সত্তর বৎসর/ জীবনের ঝরাপাতার গুরুত্ব ইত্যাদি। মনে রাখবে এই অধ্যায়ে প্রত্যেকটি ধারনার (যেমন - খেলার ইতিহাস, পরিবেশের ইতিহাস, সরকারি নথিপত্র, আত্মজীবনী, সাময়িকপত্র ইত্যাদি ) সংজ্ঞা ও গুরুত্ব তোমাদের মনে রাখতেই হবে।
এই অধ্যায়ে অনেক ছোট ছোট তথ্য থেকে প্রশ্ন এসে থাকে। ছোটো প্রশ্নের তথ্য গুলোকে মনে রাখার জন্য বেশ কিছু তালিকা তৈরি করে নাও। আমি এক্ষেত্রে দু একটা উদাহরণ দিয়ে দিচ্ছি।
(i) ইতিহাসের সাল গুলোকে মনে রাখা তোমাদের কাছে অত্যন্ত একটি কঠিন বিষয় বলে মনে হয়। এইজন্য মাধ্যমিকের প্রত্যেকটি অধ্যায় ধরে ধরে সালের আলাদা আলাদা একটি তালিকা বা ছক তৈরি করো। যেখানে গুরুত্বপূর্ণ সাল ও ঘটনা গুলির উল্লেখ থাকবে।
(ii) একই ভাবে তোমরা যখন খেলার ইতিহাস পড়বে বা নারী ইতিহাসের মতো প্রথম অধ্যায়ের যেকোন বিষয় গুলো পড়বে, তখন সেই সংক্রান্ত যত তথ্য পাবে সব ছক আকারে লিখে রাখো। মনে রাখবে তোমাদের পরীক্ষায় অনেক ছোট ছোট প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। সেইজন্য অনেক বেশি পরিমানে তথ্য মনে রাখতে হবে। তথ্য মনে রাখার একমাত্র সহজ উপায় হলো নির্দিষ্ট ছক করে তা মনে রাখা।
(iii.) কোন ঐতিহাসিক কোন ইতিহাস চর্চার সঙ্গে যুক্ত সে সম্পর্কেও আরেকটি ছক তৈরি করে নিতে হবে।
(৩.) ইতিহাসের ধারনা অধ্যায় থেকে কি ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে?
ইতিহাসের ধারনা অধ্যায়টি থেকে প্রত্যেক বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট ৮ থেকে ১০ নম্বরের প্রশ্ন এসে থাকে। তিনটি জায়গা থেকে এই অধ্যায় থেকে প্রশ্ন গুলো এসে থাকে। যথা -
(ক.) সংজ্ঞা ও ধারনা সম্পর্কিত,
(খ.) গুরুত্ব সম্পর্কিত, এবং
(গ.) ছোটো খাটো তথ্য ও সাল সম্পর্কিত।
এই অধ্যায়টি ভালো ভাবে অনুশীলনের জন্য নিন্মলিখিত প্রশ্ন গুলিকে খুব ভালো করে তৈরি করে রাখো।
(ক.) সংজ্ঞা ও ধারনা সম্পর্কিত :-
১. সামাজিক ইতিহাস কাকে বলে? /সামাজিক ইতিহাস কী?
২. সামাজিক ইতিহাসকে কেন অন্য রকমের ইতিহাস বলা হয়?
৩. খেলার ইতিহাস কাকে বলে?
৪. খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাস চর্চা বলতে কি বোঝো?
৫. শিল্প চর্চার ইতিহাস বলতে কি বোঝো?
৬. পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাস কাকে বলে?
৭. যানবাহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাস কাকে বলে?
৮. দৃশ্যশিল্পের ইতিহাস কাকে বলে?
৯. ফটোগ্রাফি বলতে কী বোঝো?
১০. স্থাপত্যের ইতিহাস কাকে বলে?
১১. স্থানীয় ইতিহাস বা আঞ্চলিক ইতিহাস বলতে কি বোঝো?
১২. শহরের ইতিহাস বলতে কি বোঝো?
১৩. সামরিক ইতিহাস বলতে কি বোঝো?
১৪. পরিবেশের ইতিহাস কাকে বলে?
১৫. বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসা বিদ্যার ইতিহাস বলতে কি বোঝো?
১৬. নারী ইতিহাস কাকে বলে?
১৭. মানবীবিদ্যা বা ফেমিনিজম কি?
১৮. সরকারি নথিপত্র বলতে কি বোঝো?
১৯. সরকারি নথিপত্রের প্রধান সীমাবদ্ধতা গুলি কী কী?
২০. আত্মজীবনী কাকে বলে?
২১. স্মৃতিকথা কাকে বলে?
২২. সংবাদপত্র কাকে বলে?
২৩. সাময়িকপত্র কাকে বলে?
২৪. মহাফেজখানা বলতে কি বোঝো?
(খ.) গুরুত্ব সম্পর্কিত :-
১. নতুন সামাজিক ইতিহাসের গুরুত্ব কী?
২. খেলার ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব কী?
৩. খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাস চর্চা গুরুত্বপূর্ণ কেন?
৪. শিল্প চর্চার ইতিহাসের গুরুত্ব লেখো।
৫. পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব কি?
৬. যানবাহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব লেখো।
৭. দৃশ্যশিল্পের ইতিহাস চর্চা গুরুত্বপূর্ণ কেন?
৮. ইতিহাস চর্চায় ফটোগ্রাফিকে কেন গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়?
৯. স্থাপত্যের ইতিহাসের গুরুত্ব লেখো।
১০. স্থানীয় ইতিহাস বা আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চা গুরুত্বপূর্ণ কেন?
১১. শহরের ইতিহাস চর্চা গুরুত্বপূর্ণ কেন?
১২. সামরিক ইতিহাসের গুরুত্ব লেখো।
১৩. পরিবেশের ইতিহাসের গুরুত্ব কী?
১৪. বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসা বিদ্যার ইতিহাসের গুরুত্ব কী?
১৫. নারী ইতিহাস কেন গুরুত্বপূর্ন?
১৬. ইতিহাস চর্চায় সরকারি নথিপত্র কতখানি গুরুত্বপূর্ণ?
১৭. ইতিহাস চর্চায় আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথার গুরুত্ব লেখো।
১৮. আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার মধ্যে পার্থক্য কী?
১৯. সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্রের মধ্যে প্রধান পার্থক্য লেখো।
২০. ইতিহাস চর্চায় সংবাদপত্র কতখানি গুরুত্বপূর্ণ?
২১. ইতিহাস চর্চায় চিঠিপত্রের গুরুত্ব লেখো।
২২. আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চায় "সত্তর বৎসর" কতখানি গুরুত্বপূর্ণ?
২৩. আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসাবে "জীবন স্মৃতি" কতখানি গুরুত্বপূর্ণ?
২৪. আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসাবে জীবনের ঝরাপাতা কতখানি গুরুত্বপূর্ণ?
২৫. আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চায় বঙ্গদর্শন পত্রিকার গুরুত্ব আলোচনা করো।
২৬. আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চায় সোমপ্রকাশ পত্রিকার গুরুত্ব আলোচনা করো।
২৭. ইন্দিরা গান্ধীকে লেখা জওহরলাল নেহেরুর চিঠি গুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব কী ছিলো?
(গ.) ছোটো খাটো তথ্য ও সাল সম্পর্কিত :-
১. সামাজিক ইতিহাস চর্চার সূত্রপাত কবে হয়েছিলো?
২. দুটি বিদেশী খেলার নাম বলো।
৩. ক্রিকেট /ফুটবল খেলার জন্ম কোন দেশে?
৪. ক্রিকেটকে কেন বাইশ গজের খেলা বলা হয়?
৫. মোহনবাগান ক্লাব কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
৬. মোহনবাগান ক্লাব কবে আই এফ এ শিল্ড জয় করেছিলো?
৭. হকির জাদুকর কাকে বলা হয়?
৮. উড়ন্ত শিখ কাকে বলা হয়?
৯. রসগোল্লা কে আবিষ্কার করেন?
১০. বাঙালিরা আলু খাওয়া কাদের কাছ থেকে শিখেছিলো?
১১. কেকের দেশ কাকে বলা হয়?
১২. ভারতীয়রা কিচেন গার্ডেনের ব্যবহার কাদের কাছ থেকে শেখে?
১৩. বাঙালি নারীদের শোভন পরিচ্ছেদের পরিকল্পনা কে করেছিলেন?
১৪. ভারতের দুজন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পীর নাম করো।
১৫. কোন শহরকে সংস্কৃতি নগরী/ফুটবলের মক্কা বলা হয়?
১৬. বিশ্ব পরিবেশ দিবস কবে?
১৭. আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে?
১৮. রেচল কারসন কোন ইতিহাস চর্চার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
১৯. রামচন্দ্র গুহ কোন ইতিহাস চর্চার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
২০. বোরিয়া মজুমদার কোন ইতিহাস চর্চার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
২১. নারী ইতিহাস চর্চার সঙ্গে যুক্ত একজন ঐতিহাসিকের নাম লেখো।
২২. সরকারি নথিপত্র কোথায় সংরক্ষিত করা হয়?
২৩. ভারতের জাতীয় মহাফেজখানা কোথায় অবস্থিত?
২৪. সত্তর বৎসর কার লেখা?
২৫. জীবনস্মৃতি কার লেখা?
২৬. জীবনের ঝরাপাতা কার লেখা?
২৭. বঙ্গদর্শন পত্রিকা কে কবে প্রকাশ করেন?
২৮. সোমপ্রকাশ পত্রিকা কে কবে প্রকাশ করেন?
২৯. বঙ্গদর্শন কি ধরনের পত্রিকা ছিলো?
৩০. সোমপ্রকাশ কি ধরনের পত্রিকা ছিলো?
৩১. কবে সোমপ্রকাশ পত্রিকার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়?
৩২. দ্বিতীয় পর্যায়ের সোমপ্রকাশ পত্রিকা কবে প্রকাশিত হয়?
৩৩. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত বছর বঙ্গদর্শন পত্রিকা সম্পাদনা করেন?
৩৪. কোন দশককে বাংলার বঙ্গদর্শনের যুগ বলা হয়?
৩৫. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পর বঙ্গদর্শন পত্রিকার সম্পাদনা কে করেন?
৩৬. ইন্দিরা গান্ধীকে লেখা জওহরলাল নেহেরুর চিঠি গুলির হিন্দিতে কে অনুবাদ করেন?
৩৭. Letters from a father to his Daughter - কোন প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়?
৩৮.সত্তর বৎসর প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
৩৯. জীবনস্মৃতি প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
৪০. জীবনের ঝরাপাতা প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
৪১. বাঙালি নারীদের পার্শি স্টাইলে শাড়ি পরার প্রচলন কে করেছিলেন?
৪২. "মোগল আমলের খানাপিনা" - গ্রন্থটি কার লেখা?
৪৩. "বাঙালির বেশবাস" - গ্রন্থটি কার লেখা?
৪৪. "ক্রিকেট ইন কলোনিয়াল ইন্ডিয়া" - গ্রন্থটি কার লেখা?
৪৫. "খেলা যখন ইতিহাস" - গ্রন্থটি কার লেখা?
৪৬. "সংগীতচিন্তা" - গ্রন্থটি কার লেখা?
৪৭. "মিলিটারি হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়া "- কার লেখা?
৪৮. "আ হিস্ট্রি অব হিন্দু কেমিস্ট্রি"- কার লেখা?
৪৯. "নদীয়া কাহিনী" - গ্রন্থটি কোন ইতিহাস চর্চার গ্রন্থ?
৫০. খেলার ইতিহাস চর্চার সূত্রপাত কবে হয়েছিলো?
*** তথ্য ও সাল সম্পর্কে আরোও প্রশ্ন হতে পারে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নমুনা প্রশ্নকে আমরা উল্লেখ করলাম। এই প্রশ্ন গুলি থেকে ছাত্র ছাত্রীরা আন্দাজ করে নিতে পারবে, এই অধ্যায় থেকে কি ধরনের ছোট প্রশ্ন হতে পারে।
মনে রাখবে 👇
***** এই অধ্যায় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রতি বছর ৮/১০ নম্বর প্রশ্ন থাকে।
**** সংজ্ঞা বা ধারনা ও গুরুত্ব সম্পর্কে প্রত্যেক বছর ২ নম্বরের ২ টি করে প্রশ্ন এসে থাকে।
*** এছাড়া, MCQ প্রশ্ন এসে থাকে ২ টি ও অন্যান্য ১ নম্বরের প্রশ্ন (সত্য/মিথ্যা ও সংক্ষিপ্ত তথ্যমূলক প্রশ্ন) মোটামুটি এসে থাকে দুটি। এজন্য এই অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত তথ্য গুলিকে খুব ভালো করে মনে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে HISTORY CLASS ROOM এর আলোচনা গুলি থেকে তোমরা সাহায্য নিতে পারো।
** ছোট প্রশ্নের ক্ষেত্রে কোন ঐতিহাসিক কোন ইতিহাস চর্চার সঙ্গে যুক্ত সে সম্পর্কেও নানা প্রশ্ন পরীক্ষায় আসে। যেমন রামচন্দ্র গুহ কোন ইতিহাস চর্চার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?, এক্ষেত্রে ঐতিহাসিকদের নাম এবং তারা কোন ইতিহাস চর্চার সঙ্গে যুক্ত তার একটি পৃথক তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।
* এই অধ্যায়ে টুকরো কথা অংশ গুলি থেকে শুধুমাত্র স্কুলের ইউনিট টেস্টে প্রশ্ন আসবে। ফাইনাল পরীক্ষায় টুকরো কথা অংশ থেকে কোন প্রশ্ন আসবে না।
(ঘ.) ৪ নম্বরের টীকার আকারের কিছু প্রশ্ন :-
৪ নম্বরের প্রশ্নের ক্ষেত্রে নিন্মলিখিত প্রশ্ন গুলি করতে হবে।
১. টীকা লেখো : নতুন সামাজিক ইতিহাস
২. টীকা লেখো : খেলার ইতিহাস
৩. টীকা লেখো : খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাস
৪. টীকা লেখো : শিল্প চর্চার ইতিহাস
৫. টীকা লেখো :পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাস
৬. টীকা লেখো :যানবাহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাস
৭. টীকা লেখো :দৃশ্যশিল্পের ইতিহাস
৮. ফটোগ্রাফি বলতে কী বোঝো? ইতিহাস চর্চায় ফটোগ্রাফিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয় কেন?
৯. টীকা লেখো : স্থাপত্যের ইতিহাস
১০. টীকা লেখো : স্থানীয় ইতিহাস বা আঞ্চলিক ইতিহাস
১১. টীকা লেখো : শহরের ইতিহাস
১২. টীকা লেখা : সামরিক ইতিহাস
১৩. টীকা লেখো : পরিবেশের ইতিহাস
১৪. টীকা লেখো : বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসা বিদ্যার ইতিহাস
১৫. টীকা লেখো : নারী ইতিহাস (২০১৭)
১৬. সরকারি নথিপত্র বলতে কি বোঝো? ইতিহাসের উপাদান হিসাবে সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব কী? এর সীমাবদ্ধতা দিক গুলি আলোচনা করো।
১৭. আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা কাকে বলে? আধুনিক ইতিহাস চর্চার উপাদান হিসাবে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা কতখানি গুরুত্বপূর্ণ?
১৮. আধুনিক ইতিহাস চর্চার উপাদান হিসাবে বিপিনচন্দ্র পালের আত্মজীবনী "সত্তর বৎসর" কতখানি গুরুত্বপূর্ণ?
১৯. আধুনিক ইতিহাস চর্চার উপাদান হিসাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "জীবনস্মৃতি" কতখানি গুরুত্বপূর্ণ?
২০. আধুনিক ইতিহাস চর্চার উপাদান হিসাবে সরলাদেবী চৌধুরানীর "জীবনের ঝরাপাতা" কতখানি গুরুত্বপূর্ণ?
(৪.) বিগত বছর গুলিতে এই অধ্যায় থেকে কি ধরনের প্রশ্ন এসেছে?
বিগত বছর গুলিতে পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ আয়োজিত মাধ্যমিক বার্ষিক পরীক্ষায় যে যে প্রশ্ন গুলি এসেছে সেগুলির তালিকা আমরা সাল অনুযায়ী তুলে ধরলাম।
মাধ্যমিক - ২০১৭ (১২ নম্বর প্রশ্ন পড়েছে)
বিভাগ - ক
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :-
১.১ ভারতে ফুটবল খেলা প্রবর্তন করেন - (ক) ইংরেজরা, (খ) ওলন্দাজরা, (গ) ফরাসিরা, (ঙ) পোর্তুগিজরা।
১.২ বিপিনচন্দ্র পাল লিখেছেন - (ক) সত্তর বৎসর (খ) জীবনস্মৃতি (গ) এ নেশন ইন মেকিং (ঘ) আনন্দমঠ।
বিভাগ - খ
একটি বাক্যে উত্তর দাও :-
২.১.১ সোমপ্রকাশ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
২.১.২ সরকারি নথিপত্র কোথায় সংরক্ষন করা হয়?
বিভাগ - গ
দুটি অথবা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :-
৩.১ সামাজিক ইতিহাস কী?
৩.২ ইতিহাসের উপাদানরূপে সংবাদপত্রের গুরুত্ব কী?
বিভাগ - ঘ
সাত/আটটি বাক্যে উত্তর দাও :-
৪.১ নারী ইতিহাসের ওপর টীকা লেখো।
মাধ্যমিক - ২০১৮ (০৮ নম্বরের প্রশ্ন পড়েছে)
বিভাগ - ক
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :-
১.১ জীবনের ঝরাপাতা গ্রন্থটি হলো একটি - (ক) উপন্যাস (খ) কাব্যগ্রন্থ (গ) জীবনীগ্রন্থ (ঘ) আত্মজীবনী।
১.২ সোমপ্রকাশ ছিলো একটি - (ক) দৈনিক পত্রিকা (খ) সাপ্তাহিক পত্রিকা (গ) পাক্ষিক পত্রিকা (ঘ) মাসিক পত্রিকা।
বিভাগ - খ
সত্য বা মিথ্যা নির্নয় করো :-
২.২.১ মধ্যবিত্ত শিক্ষিত বাঙালিকে নৃত্যের বিষয়ে আগ্রহী করে তুলেছিলেন উদয়শঙ্কর।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (আলোচ্য প্রশ্নটি ছকের আকারে এসেছিলো। এখানে প্রশ্নের আকারে দেওয়া হলো।)
২.৩.১ "লেটারস ফ্রম আ ফাদার টু হিজ ডটার" - কার লেখা?
বিভাগ - গ
দুটি অথবা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :-
৩.১ পরিবেশের ইতিহাসের গুরুত্ব কী?
৩.২ স্মৃতিকথা অথবা আত্মজীবনীকে কীভাবে আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান রূপে ব্যবহার করা হয় ?
মাধ্যমিক - ২০১৯ (১০ নম্বরের প্রশ্ন পড়েছে)
বিভাগ - ক
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :-
১.১ মোহনবাগান ক্লাব আই এফ এ শিল্ড জয় করেছিলো - (ক) ১৮৯০ খ্রিঃ (খ) ১৯০৫ খ্রিঃ (গ) ১৯১১ খ্রিঃ (ঘ) ১৯১৭ খ্রিঃ।
১.২ দাদা সাহেব ফালকে যুক্ত ছিলেন - (ক) চলচ্চিত্রের সঙ্গে (খ) ক্রীড়াজগতের সঙ্গে (গ) স্থানীয় ইতিহাস চর্চার সঙ্গে (ঘ) পরিবেশের ইতিহাস চর্চার সঙ্গে।
বিভাগ - খ
সত্য বা মিথ্যা নির্নয় করো :-
২.২.১ সোমপ্রকাশ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষন।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (আলোচ্য প্রশ্নটি ছকের আকারে এসেছিলো। এখানে প্রশ্নের আকারে দেওয়া হলো।)
২.৩.১ "বঙ্গদর্শন" পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
বিভাগ - গ
দুটি অথবা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :-
৩.১ আঞ্চলিক ইতিহাসচর্চা গুরুত্বপূর্ণ কেন?
৩.২ "সরকারি নথিপত্র" বলতে কী বোঝায়?
৩.৩ সংবাদপত্র এবং সাময়িকপত্রের মধ্যে পার্থক্য কী?
মাধ্যমিক - ২০২০ (০৮ নম্বরের প্রশ্ন পড়েছে)
বিভাগ - ক
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :-
১.১ বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয় - (ক) ৮ ই জানুয়ারি (খ) ২৪ জানুয়ারি (গ) ৮ মার্চ (ঘ) ৫ জুন।
১.২ ভারতীয়রা আলুর ব্যবহার শিখেছিলো যাদের কাছ থেকে - (ক) পোর্তুগিজ (খ) ইংরেজ (গ) মুঘল (ঘ) ওলন্দাজ।
বিভাগ - খ
একটি বাক্যে উত্তর দাও :-
২.১.১ বিপিনচন্দ্র পালের আত্মজীবনী গ্রন্থের নাম কী?
ঠিক বা ভুল নির্নয় করো :-
২.২.১ "নদীয়া কাহিনী" গ্রন্থটি "শহরের ইতিহাস" এর অন্তর্গত।
বিভাগ - গ
দুটি অথবা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :-
৩.১ আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান রূপে "সরকারি নথিপত্রের" সীমাবদ্ধতা কী ?
৩.২ "আত্মজীবনী" ও "স্মৃতিকথা" বলতে কী বোঝায়?
মাধ্যমিক - ২০২২ (০৮ নম্বরের প্রশ্ন পড়েছে)
বিভাগ - ক
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :-
১.১ সত্যজিৎ রায় যুক্ত ছিলেন - (ক) খেলার ইতিহাসে (খ) শহরের ইতিহাসে (গ) নারীর ইতিহাসে (ঘ) শিল্প চর্চার ইতিহাস।
১.২ রেশম আবিষ্কৃত হয় প্রাচীন - (ক) ভারতে (খ) রোমে (গ) পারস্যে (ঘ) চীন দেশে।
১.৩ "নিষিদ্ধ শহর" বলা হয় - (ক) লাসাকে (খ) বেইজিংকে (গ) রোমকে (ঘ) কনস্ট্যান্টিনোপলকে।
১.৪ "বঙ্গদর্শন" সাময়িক পত্রটি ছিলো একটি - (ক) সাপ্তাহিক পত্রিকা (খ) পাক্ষিক পত্রিকা (গ) মাসিক পত্রিকা (ঘ) বাৎসরিক পত্রিকা।
বিভাগ - খ
একটি বাক্যে উত্তর দাও :-
২.১.১ কোন বছর" "সোমপ্রকাশের" প্রকাশনা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়?
২.১.২ কলকাতার ঔপনিবেশিক স্থাপত্য গুলির যে কোন একটি উল্লেখ করো।
বিভাগ - গ
দুটি অথবা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :-
৩.১ সামরিক ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব কী?
৩.২ "সরকারি নথিপত্র" বলতে কী বোঝায়?
মাধ্যমিক - ২০২৩ (০৮ নম্বরের প্রশ্ন পড়েছে)
বিভাগ - ক
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :-
১.১ রাচেল কারসন যুক্ত ছিলেন - (ক) আঞ্চলিক ইতিহাসে (খ) নারীর ইতিহাসে (গ) পরিবেশের ইতিহাসে (ঘ) শহরের ইতিহাসে।
১.২ বঙ্কিমচন্দ্র বঙ্গদর্শন পত্রিকার সম্পাদনা করেছিলেন - (ক) তিন বছর (খ) চার বছর (গ) দশ বছর (ঘ) বারো বছর।
বিভাগ - খ
ঠিক বা ভুল নির্নয় করো :-
২.২.১ বিপিনচন্দ্র পালের জীবনীগ্রন্থের নাম "সত্তর বৎসর"?
বিভাগ - গ
দুটি অথবা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :-
৩.১ ভারতের জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে ১৯১১ খ্রিঃ গুরুত্বপূর্ণ কেন?
৩.২ "সরকারি নথিপত্র" বলতে কী বোঝায়?
(৫.) ইতিহাসের ধারনা অধ্যায়টি পড়বার জন্য ভালো পাঠ্য বই কোন গুলো?
সব বই-ই ভালো এবং প্রতিটি বই পড়ার সময় তোমরা কিছু না কিছু নতুন তথ্য পাবেই। তাই আমি সবসময় মোটা অঙ্কের সহায়িকা বইয়ের চাইতে কয়েকটি ভালো মানের পাঠ্য পুস্তক কেনার পরামর্শ দিই। ইতিহাসের ধারনা অধ্যায়টি পড়ার ক্ষেত্রেও একই পরামর্শ দেবো।
বর্তমানে মাধ্যমিক ইতিহাসের যে সিলেবাস আছে, তাতে সিলেবাসের সব বিষয় গুলো সব বইয়ে ভালো করে লেখা নেই। তবু এই অধ্যায়টি ভালো ভাবে বোঝার জন্য তোমরা নিন্মলিখিত বই গুলির সাহায্য নিতে পারো। হয়তো সবার পক্ষে সব বই কেনা সম্ভব নাও হতে পারে। তবুও ইতিহাসের ক্ষেত্রে সবসময় ৩ টি ভালো পাঠ্য পুস্তক পাশাপাশি রেখে পড়ার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
ইতিহাসের ধারনা অধ্যায়টির ভালো ভাবে পড়বার ও বোঝবার জন্য নিন্মলিখিত পাঠ্য বই গুলির সাহায্য নিতে পারো।
(১.) ভারতের ইতিহাস ও পরিবেশ চর্চা - শচীন্দ্রনাথ মন্ডল।
(২.) ইতিহাস ও পরিবেশ - অধ্যাপক অসিত কুমার মন্ডল।
(৩.) ইতিহাস ও পরিবেশ - ড. জি কে পাহাড়ী ও ড. সুভাষ বিশ্বাস।
(৪.) ইতিহাস পরিচয় - দাশগুপ্ত, কর, পাহাড়ী।
(৫.) ইতিহাস ও পরিবেশ চর্চা - সমর কুমার মল্লিক ও প্রশান্ত দত্ত।
(৬.) আধুনিক ভারতের ইতিহাস ও পরিবেশ ভাবনা - ডঃ জয়ন্ত চ্যাটার্জি।
ইতিহাসের ধারনা অধ্যায়টিতে আলোচ্য বিষয়সূচি কোন বইয়ে ভালো করে লেখা আছে, তারও একটি তালিকা নীচে দিয়ে দিচ্ছি। আশা করি, এটি তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে অনেকটাই হেল্প করবে।
(i.) সামাজিক ইতিহাস সম্পর্কে খুব ভালো করে জানতে পারবে -
- আধুনিক ভারতের ইতিহাস ও পরিবেশ ভাবনা - ডঃ জয়ন্ত চ্যাটার্জি,
- ভারতের ইতিহাস ও পরিবেশ চর্চা - শচীন্দ্রনাথ মন্ডল,
- ইতিহাস পরিচয় - দাশগুপ্ত, কর, পাহাড় বই গুলি থেকে।
(ii.) আধুনিক ইতিহাস চর্চার বৈচিত্র্য অংশে খেলার ইতিহাস থেকে নারী ইতিহাস পর্যন্ত বিষয় গুলো ভালো করে বোঝার জন্য ভালো মানের বই গুলি হলো - - ইতিহাস পরিচয় - দাশগুপ্ত, কর, পাহাড়ী,
- ভারতের ইতিহাস ও পরিবেশ চর্চা - শচীন্দ্রনাথ মন্ডল,
- ইতিহাস ও পরিবেশ - ড. জি কে পাহাড়ী ও ড. সুভাষ বিশ্বাস,
- ইতিহাস ও পরিবেশ চর্চা - সমর কুমার মল্লিক ও প্রশান্ত দত্ত,
- আধুনিক ভারতের ইতিহাস ও পরিবেশ - ড. অমিত দে ও সুবীর দীর্ঘাঙ্গী।
(iii.) সরকারি নথিপত্র সম্পর্কে ভালো আলোচনা পাবে নিন্মলিখিত বই গুলি থেকে - - ইতিহাস ও পরিবেশ চর্চা - সমর কুমার মল্লিক ও প্রশান্ত দত্ত,
- স্বদেশ পরিচয় ও পরিবেশ - জীবন মুখোপাধ্যায়।
- ইতিহাস ও পরিবেশ - ড. জি কে পাহাড়ী ও ড. সুভাষ বিশ্বাস,
- ইতিহাস ও পরিবেশ - অধ্যাপক অসিত কুমার মন্ডল।
(iv.) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা সম্পর্কে (সত্তর বৎসর, জীবন স্মৃতি, জীবনের ঝরাপাতা) ভালো লেখা আছে -
- ইতিহাস ও পরিবেশ - অধ্যাপক অসিত কুমার মন্ডল,
- ভারতের ইতিহাস ও পরিবেশ চর্চা - শচীন্দ্রনাথ মন্ডল,
- ইতিহাস ও পরিবেশ চর্চা - সমর কুমার মল্লিক ও প্রশান্ত দত্ত,
(v.) চিঠিপত্র ( Letters from a Father to his Daughter) সম্পর্কে ভালো লেখা লেখা আছে -
- ইতিহাস ও পরিবেশ - ড. জি কে পাহাড়ী ও ড. সুভাষ বিশ্বাস,
- ভারতের ইতিহাস ও পরিবেশ চর্চা - শচীন্দ্রনাথ মন্ডল,
- ইতিহাস ও পরিবেশ - অধ্যাপক অসিত কুমার মন্ডল।
(vi.) সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্র (বঙ্গদর্শন ও সোমপ্রকাশ) অংশটি যে সমস্ত বইয়ে খুব ভালো করে লেখা আছে তা হলো -
- ইতিহাস ও পরিবেশ - অধ্যাপক অসিত কুমার মন্ডল,
- ভারতের ইতিহাস ও পরিবেশ চর্চা - শচীন্দ্রনাথ মন্ডল,
- ইতিহাস ও পরিবেশ চর্চা - সমর কুমার মল্লিক ও প্রশান্ত দত্ত,
- ইতিহাস ও পরিবেশ - ড. জি কে পাহাড়ী ও ড. সুভাষ বিশ্বাস,
- আধুনিক ভারতের ইতিহাস ও পরিবেশ - ড. অমিত দে ও সুবীর দীর্ঘাঙ্গী।
বিঃ দ্রঃ :- আজকের আলোচনাটি থেকে যদি তোমরা উপকৃত হও, এবং পরবর্তী অধ্যায় গুলোর ক্ষেত্রেও যদি এরকম আলোচনা তোমরা চাও তো অবশ্যই কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করে অথবা biman78931@gmail.com - এ মেল করে জানাও।