মাধ্যমিকের ইতিহাস নিয়ে কেন এত বিতর্ক ?

বিগত কয়েক বছর ধরেই লক্ষ্য করছি, মাধ্যমিকের অন্যান্য বিষয়ের থেকে ইতিহাস বিষয়টির প্রতি ছাত্রছাত্রীদের ভয় একটু বেশিই। যদিও এই ভয় অমূলক নয়। 

মাধ্যমিকের ইতিহাস নিয়ে কেন এত বিতর্ক?
মাধ্যমিকের ইতিহাস নিয়ে কেন এত বিতর্ক? 

প্রত্যেক বছরেই দেখা যায়, ছাত্রছাত্রীদের একটা বড়ো অংশ সাজেশন ভিত্তিক কিছু প্রশ্ন মুখস্ত করে পরীক্ষার হলে গিয়ে দেখে অধিকাংশ প্রশ্নই সাজেশনের বাইরে থেকে এসেছে। মুখ কাচুমাচু করে একরাশ বিরক্তি আর হতাশা নিয়ে তারা পরীক্ষার হল থেকে বের হয়। অনেক আবেগপ্রবন ছাত্রছাত্রীর চোখের জলও এইসময় খুব কাছ থেকে আমি দেখেছি। এইসব ছাত্রছাত্রীদের সকলেই যে পড়াশোনাতে খুব খারাপ এমনটা কিন্তু নয়। এসবই আমাকে প্রচন্ড ব্যথিত করে।

মাধ্যমিকের ইতিহাস বিষয়টিকে নিয়ে শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের অভিযোগ বিস্তর। বোর্ডের পরীক্ষায় মূল সিলেবাসের বাইরে থেকেও প্রশ্ন আসতে দেখা যায়, তা নিয়ে দু একবছর ছাড়াই নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এখন প্রশ্ন হলো, মাধ্যমিকের অন্যান্য বিষয় গুলোকে বাদ রেখে শুধুমাত্র ইতিহাস বিষয়টি নিয়েই কেন এতো বিতর্ক হয়?

এর সম্ভাব্য এবং একমাত্র কারন হলো এর সিলেবাস। একটা সময়ে মাধ্যমিক ইতিহাসের সিলেবাসের বিন্যাস ও বিষয়বস্তু ছিলো কাহিনী নির্ভর। ইতিহাসের প্রচলিত ঘটনাক্রম গুলিকে পরপর সাজিয়ে সিলেবাসটি তৈরি করা হতো। ঘটনা পরম্পরার ধারা মেনে পাঠ্য বই গুলিকেও রচনা করা হতো। এর ফলে ইতিহাস পড়তে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কোনরকম বিভ্রান্তি তৈরি হতো না। প্রচলিত পাঠ্য পুস্তক গুলির মধ্যেও একটা সামঞ্জস্যতা থাকতো।

কিন্তু বর্তমানে মাধ্যমিকের ইতিহাসের সিলেবাসটি করা হয়েছে ব্যাখ্যা মূলক। ফলে এক একজন পাঠ্যপুস্তক রচয়িতা এক একরকম দৃষ্টিভঙ্গীতে ঘটনাবলীকে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষন করছেন। এর সাথে সাজুর্য্য রাখতে গিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্যেরও অবতারনা ঘটছে পাঠ্য বইয়ে। ফলে মূল সিলেবাসের আলোচ্য বিষয়বস্তুর সীমা পরিসীমা নিয়ে না ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কোন স্পষ্ট ধারনা থাকছে, না পাঠদানকারী শিক্ষকের ধারনা থাকছে, না প্রশ্ন কর্তার থাকছে। এর ফলেই মূলত প্রশ্ন সংক্রান্ত নানা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।

উদাহরণ হিসাবে বলতে পারি, প্রায় প্রত্যেক বছরেই মাধ্যমিক বোর্ডের পরীক্ষায় এমন কিছু প্রশ্ন থাকছে যা, ছাত্রছাত্রী শুধু নয়, তাদের শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও বিস্মিত করে দিচ্ছে। আমার অভিজ্ঞতা থেকে এখানে  মূল সিলেবাসের দু একটা উদাহরণ দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার বুঝে নেওয়া যাবে। 

ইতিহাসের পঞ্চম অধ্যায় "বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ" চ্যাপ্টারটিতে মূল সিলেবাসে বাংলায় ছাপাখানার বিকাশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এর সীমা পরিসীমার কোন উল্লেখ করা হয় নি অথবা আলোচনার কোন গাইডলাইন দেওয়া হয় নি। ফলে এক একজন লেখক এক একরকম দৃষ্টিভঙ্গীতে বিষয়টি ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষন করছেন। একটি পাঠ্যপুস্তকের ব্যাখ্যা ও তথ্যের সঙ্গে অপর পাঠ্যপুস্তকের কোন মিল থাকছে না। ছাপাখানার বিকাশ সংক্রান্ত কোন পূর্নাঙ্গ আলোচনা কোন পাঠ্য বইয়ে সেভাবে ছাত্রছাত্রীরা পাচ্ছে না। একটি বইয়ে আলোচনার ধরন ও তথ্যের সঙ্গে অন্য লেখকের পাঠ্য বইয়ের ধরন ও তথ্যের মধ্যে বিস্তর বৈপরীত্য ও পার্থক্য থাকছে। ফলে অনেক ছাত্রছাত্রীদের কাছেই পাঠ্য বিষয় গুলি বিভ্রান্তিজটিলতা সৃষ্টি করছে। এরকম দৃষ্টান্তের উদাহরণ সিলেবাস থেকে আরোও অনেক দেওয়া যায়। আমি এখানে শুধুমাত্র বোঝার সুবিধার্থে একটি দৃষ্টান্ত বা উদাহরণেরই উল্লেখ করলাম। 

এখানে আরোও একটি বিষয় উল্লেখ্য, মধ্য শিক্ষা পর্ষদ নির্দেশিত পাঠ্যপুস্তক রচনার যে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে, সেখানে নির্দিষ্ট পাতার মধ্যেই পুরো পাঠ্যবইটি লেখককে শেষ করতে হবে বলা হয়েছে। ফলে লেখক সিলেবাসের ঘটনাক্রম গুলিকে খুব একটা বড়ো করে লিখতে যেমন পারছেন না। তেমনি সংক্ষিপ্ত পরিসরে যে যেমন করে পারছেন সিলেবাসের ঘটনাটি ব্যাখ্যা করছেন। 

২০১৮ ও ২০২২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় একটি প্রশ্ন এসেছিলো, বাংলায় মুদ্রন শিল্পের বিকাশে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের অবদান কীরূপ ছিলো? খোঁজ নিলে দেখা যাবে মাধ্যমিকের প্রচলিত ১২/১৪ টা পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে মাত্র ১ বা ২ টি পাঠ্যপুস্তকেই গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য সম্পর্কে কিছু লেখা আছে। এমন অনেক পাঠ্যপুস্তক আছে, যেখানে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের নামটুকু উল্লেখ করেই তার অবদানকে স্মরন করে ফেলা হয়েছে। বাংলা মুদ্রন শিল্পের বিকাশ শীর্ষক সিলেবাসে গঙ্গাকিশোর সম্পর্কে কোন পৃথক নির্দেশনাও নেই। 

সুতরাং  ছাপাখানার বিকাশ সংক্রান্ত ভিন্ন ভিন্ন পাঠ্য পুস্তক রয়িতাদের ব্যাখ্যা ও আলোচনায় পাঠ্যপুস্তক গুলিতে গঙ্গাকিশোর কোথাও উঁকি মেরেছেন, কোথাও বা শুধু জানালা খুলে মুখ বাড়িয়েছেন। কিন্তু কোন ক্ষেত্রেই দরজা খুলে সশরীরে উপস্থিত হন নি। আমার প্রশ্ন, এই যখন পাঠ্যবই গুলির অবস্থা তখন একজন ছাত্রের পক্ষে ৪ নম্বরে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের অবদানকে কিভাবে তুলে ধরা সম্ভব? 

একই রকম ভাবে ২০২২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় একটি প্রশ্ন এসেছিলো, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম স্নাতক কে ছিলেন? মাধ্যমিক ইতিহাসের এই প্রশ্নটি নিয়ে ঐ বছর ভীষন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিলো। অনেকেই অভিযোগ তুলেছিলেন, প্রশ্নটি সিলেবাস বহির্ভূত ছিলো। মুসলিম তোষনের অভিযোগও কেউ কেউ এই সময় তুলেছিলেন। মাধ্যমিক ইতিহাসের প্রচলিত বা অপ্রচলিত কোন পাঠ্য বইতেই উক্ত তথ্যটির কোন উল্লেখ ছিলো না। 

মাথায় রাখতে হবে, অতীতকে ইতিহাস লেখক বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গীতে ব্যাখ্যা, বিশ্লেষন বা উপস্থাপন করে থাকেন।  আমাদের দেশ ভারতবর্ষে আমরা এমন ভাবে ইতিহাস লিখে থাকি বা পড়িয়ে থাকি, যেখানে কোনভাবেই জাত পাত বা ধর্মভিত্তিক কোন সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ বা উস্কানি ছাত্রছাত্রীদের মনে না জাগরিত হয়। এ প্রেক্ষাপটে উক্ত প্রশ্নটি যে বেশ বিতর্ক মূলক তা বলার অপেক্ষা রাখে না। 

হ্যাঁ, একথা ঠিক, মাধ্যমিক ইতিহাসে "আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষায় মুসলিম সমাজ" শীর্ষক কোন বিষয় যদি মূল সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত থাকতো, তখন কোন বিতর্ক হতো না। প্রশ্নটি নিয়ে প্রশ্নও উঠতো না। 

মনে আছে, মাধ্যমিক পরীক্ষায় কোন এক বছর প্রশ্ন এসেছিলো, বিধবা বিবাহ আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা করো। এ পর্যন্ত তো ঠিকই আছে। কিন্তু এরপরেই তার সাথে লেজুর একটি প্রশ্ন এসেছিলো, এক্ষেত্রে অর্থাৎ বিধবা বিবাহ আন্দোলনের ক্ষেত্রে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কতটা সফল হয়েছিলেন? 

বলে রাখি, মাধ্যমিকের প্রচলিত পাঠ্য বই গুলির একটিতেও এই প্রশ্নের কোন উত্তর লেখা নেই। আমার প্রশ্ন, এক্ষেত্রে একজন সাধারণ ছাত্র বা ছাত্রী কি করবে? বিধবা বিবাহ আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সাফল্য নির্ধারন করতে গেলে প্রাচীন, মধ্য ও প্রাক্ বিদ্যাসাগরীয় পর্বের বিধবা বিবাহ আন্দোলনের ধারা গুলিকেও বিশ্লেষন করা জরুরি। অথচ মূল সিলেবাসে শুধু দেওয়া আছে বিবধা বিবাহ আন্দোলনে বিদ্যাসাগরের অবদান বা ভূমিকা। এক্ষেত্রে যিনি ক্লাস রুমে পড়াচ্ছেন বা পাঠ্যপুস্তক লিখছেন, তার পক্ষে কিভাবে বোঝা সম্ভব, ঐ ধরনের একটি বিচিত্র প্রশ্ন পরীক্ষা আসবে? বিশেষত সিলেবাসে তো কোথাও উল্লেখ নেই প্রাক্ বিদ্যাসাগর পর্বের বিধবা বিবাহ আন্দোলন বা প্রাক্ রামমোহন পর্বের সতীদাহ আন্দোলন। প্রচলিত পাঠ্য বইগুলিতে কোথাও এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনাও নেই। সীমিত ও নির্ধারিত পৃষ্ঠা সংখ্যার মধ্যে লেখকদের বিস্তারিত আলোচনার কোন সুযোগ বা অবকাশও নেই। থাকেও না। 

একটা সময়ে স্কুলের মাস্টারমশাইরা আমাদের বলতেন, পাঠ্য পুস্তকটি খুঁটিয়ে ভালো করে পড়ো। সেখান থেকেই সমস্ত প্রশ্ন ও তার যথাযথ উত্তর তোমরা খুঁজে পাবে। আজ থেকে ১০/১২ বছর আগে এমন বহু দরিদ্র ছাত্রছাত্রী উঠে এসেছিলেন রাজ্যের মেধাতালিকায় যারা শুধুমাত্র পাঠ্য বই ভালো করে পড়েই ভালো রেজাল্টনম্বর তুলতে পেরেছিলেন। আজ আর তা সম্ভব হচ্ছে না। বাস্তবায়িতও হচ্ছে না। হচ্ছে না, কারন ইতিহাসের সিলেবাস ব্যাখ্যাধর্মী হওয়ায় শুধুমাত্র একটি পাঠ্যপুস্তকের ভিতরেই সকল প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।

এখন প্রশ্ন হলো এই যে বিরাট সমস্যা, তার সমাধানের উপায় কী? অবশ্যই সিলেবাস বিষয়ে ছাত্র ছাত্রীদের অসুবিধা ও সমস্যার বিষয়টি নিয়ে সিলেবাস প্রনেতা ও প্রশ্নকর্তাদের মূল্যায়ন করা, ভাবা। যারা প্রশ্ন করছেন, তাদের অবশ্যই ভেবে দেখা উচিত তারা অর্নাস লেভেলের নয়, মাধ্যমিক লেভেলের প্রশ্ন করছেন। 

 অন্যদিকে ছাত্রছাত্রীদের কি করনীয়? বর্তমান সিলেবাসপ্রশ্নের ধাঁচ ও ধরনকে নিরীক্ষন করে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর উচিত ইতিহাস বিষয়টির জন্য অন্তত পক্ষে ৩ টি ভালো মানের পাঠ্যপুস্তক ভালো করে পড়া।

পাঠ্যপুস্তকের বাইরে মূল সিলেবাসের আলোচ্য বিষয় গুলিকে তাদের আরেকটু বিস্তারিত ভাবে পড়তে হবে অথবা জানতে হবে। সেজন্য স্কুলের মাস্টারমশাইদের অবশ্যই যেমন সাহায্য নিতে হবে তেমনি HISTORY CLASS ROOM এর আলোচ্য বিষয় গুলিকেও একটু মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। 

মনে রাখতে হবে, মাধ্যমিকের বোর্ডের প্রশ্ন মূল সিলেবাস ধরেই হয়। পাঠ্যপুস্তক ধরে নয়। হতেই পারে মাধ্যমিকে এমন কিছু প্রশ্ন এসেছে, যেটা তোমার স্কুলের স্থির করে দেওয়া বুকলিস্টের বইটিতে নেই। সেজন্য মাধ্যমিকের সিলেবাসটি তোমাদের খুব ভালো করে বুঝে নিতে হবে। প্রত্যেকটি অধ্যায়ের সিলেবাসকে নিখুঁত ভাবে জানতে হবে। প্রত্যেকটি অধ্যায়ে কি ধরনের প্রশ্ন আসে, কোন জায়গা থেকে কি ধরনের প্রশ্ন আসে, সে সম্পর্কে অত্যন্ত স্পষ্ট ধারণা থাকাও খুব দরকার। এর থেকেও অনেক বেশি দরকার, মূল সিলেবাসের বিষয় গুলিকে আরোও বেশি বিস্তারিত ভাবে জানার, শোনার ও বোঝার অভ্যাস তৈরি

আমি আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, অনেকেরই মূল সিলেবাস এবং প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে কোন স্বচ্ছ ধারনা থাকে না। বিশেষত বর্তমানে যে ধরন ও ধাঁচের প্রশ্ন হচ্ছে, তাতে অবশ্যই প্রত্যেকটি অধ্যায়ের সিলেবাস সম্পর্কে যেমন নিঁখুত ভাবে ধারনা থাকতে হবে, তেমনি প্রত্যেকটি অধ্যায়ে কোন জায়গা থেকে কি ধরনের প্রশ্ন আসে, সেটিও জানতে হবে। 

এই লক্ষ্যেই আগামী পর্ব গুলিতে মাধ্যমিকের প্রত্যেকটি অধ্যায় ধরে ধরে আমরা আলোচনা করবো, মূল সিলেবাসে  কোন জায়গা থেকে ঠিক কি ধরনের প্রশ্ন পরীক্ষায় এসে থাকে। প্রত্যেকটি অধ্যায় ধরে ধরে কি ভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিলে ইতিহাস বিষয়টি তোমাদের কাছে আরোও সহজবোধ্য হয়ে উঠতে পারে, সে সম্পর্কেও আমরা আলোচনা করবো। আজকের আলোচনাটি আপাতত এখানেই শেষ করছি। আজকের আলোচনাটির উদ্দেশ্য কখনোই ইতিহাস বিষয়টি নিয়ে ভীতি রচনা করা নয়। নতুন বিতর্কের জন্ম দেওয়াও এই আলোচনার উদ্দেশ্য নয়। বরং এসবকে দূর সরিয়ে রেখে ইতিহাস বিষয়টির প্রতি ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞান ও ধারনার পরিধিকে আরোও প্রসারিত করাই এই আলোচনার মূল উদ্দেশ্য। 

প্রতি রবিবার প্রকাশিত হয় নতুন লেখা। *** প্রতি রবিবার প্রকাশিত হয় নতুন লেখা। *** প্রতি রবিবার প্রকাশিত হয় নতুন লেখা। **** প্রতি রবিবার প্রকাশিত হয় নতুন লেখা।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post