আমরা সবাই জানি, ইতিহাস অতীতের কথা বলে। বিগত দিনের যা কিছু ঘটনা সবই আমরা ইতিহাসের পাতাতে পড়ি। অর্থাৎ "ইতিহাস" পড়বার মধ্য দিয়ে আমরা অতীতকে স্মরন করি। "ইতিহাস" বিষয়টিতে বিভিন্ন পদ্ধতি, গবেষণা ও দৃষ্টিভঙ্গির মধ্য দিয়ে অতীতকে নিখুঁত ভাবে আমরা বুঝতে চেষ্টা করি, জানতে চেষ্টা করি।
ইতিহাস চর্চায় জনশ্রুতি |
এ প্রসঙ্গে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, আমাদের দেশে ইংরেজরা আসবার পরেই ইতিহাস বিষয়টি নিয়ে চর্চা এবং পঠনপাঠন শুরু হয়। ইংরেজরা তাদের ঔপনিবেশিক শাসনকে ভালোভাবে পরিচালিত করবার জন্য ভারতের অতীত ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে জানবার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এই প্রয়োজনীয়তার তাগিদ থেকেই ভারতে ইতিহাস চর্চার সূত্রপাত ঘটে।
এখন ঔপনিবেশিক শাসনের পর থেকে বর্তমান সময়ের কিছু আগে পর্যন্ত আমরা যে ধাঁচের বা কাঠামোর ইতিহাস পড়তাম, সেটা ছিলো পশ্চিমী ধাঁচের ইতিহাস। সেখানে তথ্য, উপাদান বা দলিলের সাহায্যে ইতিহাসের নির্মান করা হতো। অনেকটা একটার পর একটা পাথর সাজিয়ে বাড়ি নির্মানের মতোই আর কি! এই ধাঁচের বা ধরনের ইতিহাস থেকে ইতিহাস সম্পর্কে একটা ধারনা তৈরি হয় - "ইতিহাস দাঁড়িয়ে থাকবে আকর তথ্যের ওপর।"
কিন্তু আধুনিক কালের অনেক ঐতিহাসিক যেমন অমলেশ ত্রিপাঠী, মার্ক ব্লক, প্রমুখ ঐতিহাসিকরা মনে করেন "ইতিহাস" শুধু বড়ো বড়ো ঘটনার কথা বলবে না। ইতিহাস তার অনন্ত সময়কালের সব ঘটনার কথাই বলবে। এখন অনন্ত সময়কালের সব ঘটনাই কি লিখিত বা বস্তুগত উপাদানের মধ্যে সবসময় ধরা থাকে? আজকের দিনটির ঘটে যাওয়া সব ঘটনাই কি বস্তুগত তথ্য বা উপাদানের মধ্যে লিপিবদ্ধ হবে? তা তো হবে না। অথচ আমরা ইতিহাসের মধ্য দিয়ে অতীত সময়কালের সব ঘটনার কথাই জানতে চাইছি। কিন্তু সেই জানার পথে কোথাও না কোথাও একটা ফাঁক থেকে যাচ্ছে।
তাহলে প্রশ্ন হলো, এই ফাঁকটা থাকছে কেন? আসলে "ইতিহাস"কে বোঝার ভুলেই এই ফাঁকটা থেকে যাচ্ছে। কেন এই কথা বলছি? বলছি এই কারনেই যে, প্রত্যেক দেশের প্রত্যেক জনগোষ্ঠিরই অতীতকে সংরক্ষনের আলাদা আলাদা পদ্ধতি রয়েছে। যেমন ইওরোপের লোকেরা প্রতিদিন ডায়েরি লেখে। প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও স্মৃতির বিবরনকে তারা নিয়মিত ভাবে ডায়েরিতে লিখে রাখে। লিখিত আকারে বা অন্য উপায়ে তারা অতীতকে সংরক্ষন করে রাখে।
কিন্তু আমরা ভারতীয়রা কোন ঘটনা লিখে রাখবার বদলে মৌখিক ভাবে বা গল্পের আকারে তা সংরক্ষন করে রাখি এবং এই গল্প গুলি এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মকে শুনিয়ে থাকি।
গল্পের মাধ্যমে এই যে "অতীত সংরক্ষন", এটি নিঃসন্দেহে ইতিহাস চর্চার আদিম ধারা। সৃষ্টির আদিম কালে এরূপ বহু ঘটনা মানুষ গল্পের আকারে সংরক্ষন করে রেখেছে। যেমন পৃথিবীব্যাপী বিধ্বংসী এক বন্যার গল্প। এই গল্পটি আমরা পৃথিবীর সব ধর্মের পৌরাণিক কাহিনী গুলির মধ্যেই লক্ষ্য করি। সৃষ্টির আদিকালে বিধ্বংসী বন্যার মতো নিশ্চয়ই এমন কিছু ঘটনা ঘটেছিলো। এই বন্যার কোন প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমান নেই ঠিকই, কিন্তু এই বন্যার ইতিহাস জনশ্রুতির গল্পে রয়ে গেছে।
অমলেশ ত্রিপাঠীর মতো আধুনিক ঐতিহাসিকরা তাই মনে করেন, ইতিহাসকে যথার্থ ভাবে জানতে গেলে, খুঁজতে গেলে এবং বুঝতে গেলে শুধুমাত্র "ইওরোপীয় মডেল" ব্যবহার করলেই হবে না। প্রচলিত, লিখিত ও প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের বাইরে সমাজে দীর্ঘদিন ধরে চালু থাকা জনশ্রুতি, মিথ ও লোককথা গুলিকেও গুরুত্ব দিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে বলে রাখা প্রয়োজন, উনিশ শতকে জনশ্রুতিকে কখনোই ইতিহাসের উপাদান বলে মনে করা হতো না। সেগুলিকে মনে করা হতো নিছকই অবাস্তব অতিকথা মাত্র।
কিন্তু সাম্প্রতিক কালের ইতিহাস চর্চায় ঐতিহাসিকরা মনে করেন দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত জনশ্রুতি গুলির মধ্যে বহু সত্য ঐতিহাসিক উপাদান পাওয়া যায়, অথবা আরোও সহজ করে বলতে গেলে ইতিহাসের অনেকটাই জনশ্রুতির মধ্যে ধরা থাকে।
তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম কেন ইতিহাস চর্চায় ঐতিহাসিকরা জনশ্রুতিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অলিখিত উপাদান হিসাবে মনে করছেন। এবার আমরা জনশ্রুতি সম্পর্কে আরোও একটু বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি।
জনশ্রুতি বা অতিকথার পরিচয় :-
ইতিহাস চর্চায় জনশ্রুতি |
(ক.) জনশ্রুতি কাকে বলে?
জনশ্রুতি বা অতিকথা বলতে বোঝায় কোন গুঢ় বা গুপ্ত রহস্যের ব্যাখ্যা আছে এমন পৌরাণিক কাহিনী। এই কাহিনী গুলি বংশ পরম্পরায় এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে প্রবাহিত হয়। জনশ্রুতিকে তাই ইতিহাসের আদি রূপও বলা যায়।
আক্ষরিক অর্থে, যেসব ঐতিহাসিক বিবরন বা কাহিনী গুলির তথ্য ও সন তারিখের যথার্থতার কোন প্রমান থাকে না এবং যেগুলি বংশ পরম্পরায় এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে প্রবাহিত হয়ে বর্তমান সময়েও প্রচলিত আছে সেইসব পৌরাণিক কাহিনী গুলিকেই "জনশ্রুতি" বলা হয়।
পৃথিবীর যেকোন দেশের জনশ্রুতি গুলি হলো সেই দেশের নান্দনিকতা, বুদ্ধিমত্তা ও সৃষ্টিশীলতার আদিম নিদর্শন। গল্পকরা ও গল্পশোনা মানুষের এক আদিম ও অকৃত্রিম অভ্যাস। এই অভ্যাসের গুনেই বাস্তবের সাথে মনোরঞ্জনের মিশ্রনে তৈরি হয় জনশ্রুতি।
ঐতিহাসিকরা মনে করেন, মানুষ যখন উৎপাদনের জীবনে অর্থাৎ কৃষিকাজের জীবনে প্রবেশ করেছিলো তখন থেকেই সে পেয়েছিলো অবসর। এই অবসর সময়ে নানা ঘটনা স্মরন করবার ও ব্যাখ্যা করবার জন্য মানুষ জন্ম দেয় জনশ্রুতির।
জনশ্রুতিতে নানা অতিরঞ্জন আছে ঠিকই। কিন্তু অতিরঞ্জন টুকু বাদ দিয়ে ঐতিহাসিককে প্রকৃত সত্য ঘটনাকে তুলে আনতে হবে। কাজটি নিঃসন্দেহে খুবই জটিল ও কঠিন।
(খ.) জনশ্রুতির উদাহরণ :-
জনশ্রুতির কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো - হিন্দু দেবদেবীর নানা পুরানকথা, রামায়ন ও মহাভারতের গল্প, বেহুলা লখিন্দরের গল্প, শ্রী কৃষ্ণের নানা কীর্তি কাহিনীর গল্প, আরব্য রজনীর গল্প ইত্যাদি।
(গ.) জনশ্রুতির প্রকারভেদ :-
জনশ্রুতি গুলিকে বিষয়বস্তুর বৈচিত্র্য এবং বৈশিষ্ট্যের নিরিখে ঐতিহাসিকরা ৫ টি ভাগে ভাগ করেছেন। যথা -
(১.) মিথ বা পৌরাণিক কাহিনী,
(২.) লেজেন্ড বা কিংবদন্তি,
(৩.) লোককথা,
(৪.) স্মৃতিকথা,
(৫.) মৌখিক ঐতিহ্য ।
উৎপত্তির নিরিখে আবার জনশ্রুতি গুলির দুটি ধারা লক্ষ্য করা যায়। যথা -
(i) মানুষের দেখা ঘটনার জনশ্রুতি, এবং
(ii) মানুষের না দেখা ঘটনার জনশ্রুতি।
(i) মানুষের দেখা ঘটনার জনশ্রুতি :-
যেকোন সময়কালে দাগ কেটে যাওয়া কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমাজে জনশ্রুতি তৈরি হয়। যেমন বাংলার নবাব সিরাজদৌল্লার সময়ে বিভিন্ন ঘটনার বিবরনকে নিয়ে বহু জনশ্রুতি আজোও মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রচলিত রয়েছে। বিষ্ণুপুরের মল্লরাজাদের বিষয়েও নানা জনশ্রুতির গল্প বিষ্ণুপুরে প্রচলিত রয়েছে। জেলার বিভিন্ন জমিদার বাড়ী, ছোট ছোট রাজবাড়ি বা প্রাচীন কোন স্থাপত্যকে কেন্দ্র করে স্থানীয় স্তরে অনেক জনশ্রুতির গল্প আজোও শোনা যায়।
এই সমস্ত জনশ্রুতির গল্প গুলির মধ্যে অতিরঞ্জন আছে ঠিকই, কিন্তু ঐ সময়কালের ইতিহাসের অনেক অজানা দিকের ঘটনা জনশ্রুতি গুলি তুলে ধরে।
(ii) মানুষের না দেখা ঘটনার জনশ্রুতি :-
এমন কিছু ঘটনা আছে, যেগুলি সমকালীন সময়ের মানুষ স্বচক্ষে দেখে নি। কিন্তু তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে নানা জনশ্রুতির জন্ম দিয়েছিলো। যেমন পৃথিবী বা বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টির জনশ্রুতি। মানুষ ও জীবকুল সৃষ্টির জনশ্রুতি। ঝড়, বৃষ্টি অথবা চন্দ্র গ্রহন, সূর্য গ্রহন কেন হয় সেই সংক্রান্ত নানা ঘটনার জনশ্রুতি ইত্যাদি।
এই জনশ্রুতির গল্প গুলো আমরা যে কোন ধর্মের ধর্মীয় গ্রন্থ গুলিতে দেখতে পাবো। অনেক পরে এই সব জনশ্রুতির গল্প গুলির লিখিত রূপ দেওয়া হয়েছিলো। উদাহরন হিসাবে আমরা হিন্দু ধর্মের সৃষ্টি তত্ত্বের গল্প গুলোর কথা বলতে পারি। যেখানে বলা হয়েছিলো, সৃষ্টির আদিকালে সারা পৃথিবী জলে নিমগ্ন ছিলো। পৃথিবী সৃষ্টি তত্ত্ব নিয়ে যে সমস্ত ভূতত্ত্ববিদরা গবেষনা করেন তারা এই তথ্যটি সঠিক বলে মনে করেন।
মনে রাখতে হবে, জনশ্রুতি পৃথিবীর যে কোন সমাজেই দেখা যায়। কিছু জনশ্রুতি যেমন বংশ পরম্পরায় আমরা আজও বহন করে চলেছি। তেমনি বর্তমান সময়কালের মধ্যেও নানা জনশ্রুতি তৈরি হয়। যেমন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ে মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে নানা জনশ্রুতি সৃষ্টি হয়েছিলো। সেই সময়ে আদিবাসী সাঁওতাল জনসমাজের মধ্যে একটি জনশ্রুতি সৃষ্টি হয়েছিলো যে, গান্ধী টুপি পড়লে ব্রিটিশদের গুলি তাদের শরীর স্পর্শ করবে না। ব্রিটিশ পুলিশের গুলি জল হয়ে যাবে।
এই সমস্ত বিষয় গুলি "অতিকথার" মতো বা অবাস্তব মনে হলেও, সমকালীন সময়ে গান্ধীর বিশ্বাসের ও প্রভাবের গভীরতার দিকটি সঠিক ভাবে বুঝতে গেলে এই জনশ্রুতি গুলিকে কখনোই উপেক্ষা করা যাবে না। এই জন্যই তো ঐতিহাসিকরা ইতিহাস চর্চায় জনশ্রুতিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অলিখিত উপাদান বলে মনে করছেন।
(ঘ.) জনশ্রুতির সংকলন :-
জনশ্রুতি নিয়ে প্রথম কাজ শুরু হয়েছিলো জার্মানিতে। ওখানে জেকব গ্রিম এবং উইলহেম গ্রিম নামে দুই ভাই প্রথম জার্মানির বিভিন্ন জনশ্রুতি গুলি সংগ্রহ করেন। ১৯১২ খ্রিঃ তারা জনশ্রুতি গুলিকে সংগ্রহ করে "Kinderund Hausemarchen" একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন। আমাদের দেশে ঐ একই বছর অর্থাৎ ১৮১২ খ্রিঃ খ্রিষ্টান পাদ্রি উইলিয়াম কেরি জনশ্রুতি নানা গল্প গুলিকে সংরক্ষন করে "ইতিহাসমালা" নামে একটি গ্রন্থ সংকলন করেন। পরবর্তীকালে অনেকেই জনশ্রুতি নিয়ে কাজ চালিয়ে যান। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন - হানস্ খ্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন, লালবিহারী দে, শোভনা দেবী, ম্যাককুলোচ, কে এল পাসকার প্রমুখ।
অষ্টাদশ শতাব্দীতে ইওরোপের সাম্রাজ্যবাদী দেশ গুলো এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন স্থানে উপনিবেশ স্থাপন করলে, তাদের হাত ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের জনশ্রুতি গুলি ছড়িয়ে পড়ে। এইভাবে জনশ্রুতি গুলির বিশ্বায়ন ঘটে।
(ঙ.) জনশ্রুতির বৈশিষ্ট্য :-
জনশ্রুতির ৩ টি মূল বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। যথা -
(১.) জনশ্রুতি গুলি হলো সাহিত্যেরই এক রূপ। একে ইতিহাসের আদি রূপও বলা যেতে পারে।
(২.) জনশ্রুতিতে কোন বক্তব্য কাহিনীর মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তার মধ্যে অতিরঞ্জন আছে, আবার বহু সত্য উপাদান আছে।
(৩.) জনশ্রুতি গুলি বর্তমানেও প্রচলিত রয়েছে। তাই বর্তমানের সঙ্গে এর একটি গভীর সম্পর্ক লক্ষ্য করা যায়।
(চ.) জনশ্রুতির গুরুত্ব :-
জনশ্রুতির সবথেকে বড়ো গুরুত্বের দিক গুলি হলো -
(ক.) বর্তমানে কোন গ্রাম বা শহর, স্কুল বা মন্দির বা বিশেষ কোন এলাকার ইতিহাস চর্চা করতে গেলে অবশ্যই জনশ্রুতি থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। অর্থাৎ লোকাল ইতিহাস চর্চার একটি অপরিহার্য উপাদান হলো জনশ্রুতি
(খ.) জনশ্রুতিকে অবলম্বন করেই বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের মল্লরাজাদের ইতিহাস লেখা হয়েছে।
(গ.) পুরুলিয়া বরাভূম রাজপরিবারের ইতিহাস,স্থানীয় স্তরে বিভিন্ন জেলা বা গ্রামের নামকরনের ইতিহাস জনশ্রুতির ভিত্তিতেই লেখা হয়েছে।
(ঘ.) আবার জনশ্রুতির ভিত্তিতে বহু বৌদ্ধ বিহারেরও আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে।
(ঙ.) রামসেতুর আবিষ্কার, রঘু ডাকাতের কালী মন্দিরের আবিষ্কার ইত্যাদি জনশ্রুতির ভিত্তিতেই করা সম্ভব হয়েছে।
(চ.) জনশ্রুতির রাজা বিক্রমাদিত্যকে ঐতিহাসিকরা দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের সঙ্গে অভিন্ন বলে চিহ্নিত করেছেন।
সর্বোপরি, আমাদের দেশের নাম যে "ভারতবর্ষ" তারও উৎস হলো জনশ্রুতি। বলা হয়, রাজা ভরতের নাম অনুসারেই এদেশের নাম হয়েছিলো ভারত। এসবই প্রমান দেয়, জনশ্রুতি নিছক গুজব বা অতিকথা নয়, তার মধ্যে অনেক সত্য উপাদান লুকিয়ে আছে।