উনিশ শতকে বাংলায় প্রথম গুরুত্বপূর্ণ সমাজ সংস্কার আন্দোলনটি ছিলো "সতীদাহ আন্দোলন"। রাজা রামমোহন রায়ের আন্দোলনের ফলে শেষপর্যন্ত সতীদাহ প্রথার অবসান ঘটলেও, ভারতের ইতিহাসে সতীদাহের ধারনা ও আন্দোলনের ইতিহাস বহু প্রাচীন।
প্রাক্ রামমোহন পর্বে সতীদাহ আন্দোলন |
"সতী" বলতে কাকে বোঝায়?
- স্বামীর প্রতি চূড়ান্ত বিশ্বস্ত, অনুগত ও সৎ নারীকেই সংস্কৃত সাহিত্যে "সতী" বলা হয়েছিলো। অর্থাৎ সুখ, দুঃখ, জরা, ব্যাধি, সমস্ত অবস্থাতেই যে নারী স্বামীর অনুগামীনী হন, তিনিই "সতী"।
- হিন্দু ধর্মে বহু প্রাচীনকাল থেকেই স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ককে একটি শাশ্বস্ত ও চিরন্তন সম্পর্ক বলে অভিহিত করা হতো। এইজন্য হিন্দু শাস্ত্রে বারে বারেই স্ত্রীকে স্বামীর অনুগামী ও অনুগত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো। যে বিবাহিত নারী সর্বদা স্বামীর প্রতি অনুগত থাকেন এবং তার অনুগামীনী হন, শাস্ত্রে সেই নারীকেই "সতী" বা "সতী সাধ্বী" রমনী বলে অভিহিত করা হতো।
- অর্থাৎ প্রাচীনকাল থেকেই হিন্দু ধর্মে নারীর বৈবাহিক জীবনের একটি পবিত্র ও শ্রেষ্ঠ রূপ, গুন বা অবস্থা বোঝাতে "সতীর" ধারনা গড়ে তোলা হয়েছিলো।
- তবে সমাজ যখন ধীরে ধীরে জটিল আকার ধারন করতে আরম্ভ করে, তখন স্বামীর অনুগামীনী হতে গিয়ে স্বামীর চিতায় বিধবা স্ত্রীর আত্মহুতির ঘটনাটি সাধারনত লোকসমাজে "সহমরন" বা "সতীদাহ প্রথা" নামে পরিচিত হয়।
- এখানে মনে রাখতে হবে, প্রথম দিকে সহমরন বাধ্যতামূলক কোন প্রথা ছিলো না। নারী জন্ম জন্মান্তরে স্বামীর সান্নিধ্যের লোভে স্বেচ্ছায় সহমরনে যেতেন।
- কিন্তু পরবর্তীকালে সহমরন প্রথা একটি সামাজিক অভ্যাস বা লোকাচারে পরিনত হয়। সহমরন প্রথায় যেসব নারী আত্মহুতি দিতেন, তাদেরই প্রকৃত অর্থে সমাজে "সতী" নামে আখ্যায়িত করা হয়।
- শাস্ত্রকাররা স্বামীহীনা বিধবা নারীদের কিছু কিছু সম্পত্তির অধিকার প্রদান করলে, ধীরে ধীরে সম্পত্তি আত্মসাৎ এর লক্ষ্যে সতীদাহ প্রথার ব্যপকতা বৃদ্ধি পায় এবং সতীদাহ প্রথা হিন্দু সমাজের একটি নিষ্ঠুর ও বাধ্যতামূলক সামাজিক প্রথায় পরিনত হয়।
সতীদাহ প্রথার মূল কারন
সতীদাহ প্রথা মূলত ব্রাহ্মন, কায়স্থ, বৈদ্য, মাহিষ্য ইত্যাদি সমাজের উচ্চবর্নের লোকেদের মধ্যেই বেশি প্রচলিত ছিলো। সতীদাহ প্রথার উদ্ভব ও বিস্তার লাভের পিছনে ৩ টি মূল কারন ছিলো। যথা -
(১.) শাস্ত্রীয় বিধান
শাস্ত্রে নারীকে সর্বদা স্বামীর অনুগামীনী হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো। জন্ম জন্মান্তরে স্বামী সান্নিধ্যের প্রলোভন ও তার শাস্ত্রীয় অপব্যাখ্যা থেকেই প্রাথমিক ভাবে সতীদাহ প্রথার উৎপত্তি ঘটে বলে ঐতিহাসিকরা মনে করে থাকেন।
(২.) আত্মীয় স্বজনদের সম্পত্তির লোভ
শাস্ত্রে যখন থেকে বিধবা নারীদের সম্পত্তির অধিকার প্রদান হয়, তখন থেকেই মূলত ধীরে ধীরে বিধবা নারীদের সম্পত্তি আত্মসাৎ এর লক্ষ্যে সমাজে সতীদাহ প্রথার উদ্ভব ঘটতে শুরু করে।
(৩.) দায়ভাগ ঘরানা
হিন্দু আইনের "দায়ভাগ" গ্রন্থে বিধবা স্ত্রীকে তার মৃত স্বামীর সম্পত্তির অনেক বেশি অধিকার প্রদান করা হয়েছিলো। তাই ভারতের যেসব এলাকায় হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে দায়ভাগ গ্রন্থের নিয়মকানুন অনুসরন করা হতো, সেখানেই সতীদাহ প্রথার ঘটনা বেশি ঘটতো।
বাংলাতে কেন সতীদাহ আন্দোলন শুরু হয়?
এর সহজ উত্তর এককথাতেই দেওয়া যায় - ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বাংলাতে সতীদাহ প্রথার ব্যপকতা ছিলো অনেক বেশি। তাই বাংলাতেই ঔপনিবেশিক আমলের প্রথমার্ধে সতীদাহ আন্দোলন প্রথম শুরু হয়। এখন প্রশ্ন আসতেই পারে, বাংলায় সতীদাহ প্রথা ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের থেকে কেন এতো বেশি ছিলো?
বাংলায় অবশ্য ৩ টি কারনে সতীদাহ প্রথার ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিলো। যেমন -
- আত্মীয় স্বজনদের সম্পত্তি আত্মসাৎ এর লোভ,
- বাংলায় দায়ভাগ আইনের প্রচলন,
- কুলীন প্রথার ব্যপকতা।
মনে রাখতে হবে, অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে বিদেশী বনিক গোষ্ঠীর আনাগোনা ও বৈদেশিক ব্যবসা বাণিজ্যের পরিমান বহুগুন বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছিলো। এর ফলে উক্ত অঞ্চলে অর্থ ও সম্পদের আগমন হঠাৎ করে বেড়ে যায়। টাকাকড়ি ও সম্পত্তি অর্জনের প্রতি মানুষদের আগ্রহও বহুগুন বৃদ্ধি পায়। বাংলার এই অঞ্চল গুলিতে আবার দায়ভাগ আইনের ঘরানা প্রচলিত ছিলো, যেখানে বিধবা নারীদেরকে তাদের স্বামীর সম্পত্তির উত্তরাধিকারের অধিকার দেওয়া হয়।
ফলে অসহায় বিধবাদের সম্পত্তি আত্মসাৎ এর লক্ষ্যে ঔপনিবেশিক শাসনের প্রথম দিকে বাংলাতে সতীদাহ প্রথার ব্যাপকা বহুগুন বৃদ্ধি পায়। মাথায় রাখতে হবে, ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে সতীদাহ প্রথার ঘটনা ঘটলেও, তা কখনই বাংলার মতো এতো ব্যপকতা লাভ করে নি, এবং মাত্রাও ছাড়িয়ে যায় নি। বাংলাতে কুলীন প্রথা প্রচলিত থাকায় স্বামী স্ত্রীর বিবাহের বয়সের ব্যবধান যেমন ছিলো বিস্তর, তেমনি মরনাপন্ন অবস্থাতেও কুলীন পুরুষেরা বিবাহ করায় বঙ্গীয় সমাজে খুব স্বাভাবিক ভাবেই স্বামী মৃত্যু ও সতীপ্রথার ঘটনা ঘটতো বেশি।
খুব স্বাভাবিক ভাবেই এর ফলে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বাংলাতে সতীদাহের ঘটনা বেশি ঘটে এবং এটি তৎকালীন সমাজের একটি সামাজিক অভ্যাস ও লোকাচারে পরিনত হয়। বাংলাতে সতীদাহ প্রথার নিষ্ঠুরতা ও ব্যপকতা বেশি ছিলো বলে স্বাভাবিক নিয়মে বাংলাতেই প্রথম সতী আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে।
সতী বিতর্ক
ভারতের ইতিহাসে ১৭৮০ থেকে ১৮৩০ খ্রিঃ পর্যন্ত প্রায় ৫০ বছর ধরে সতীপ্রথা নিয়ে বিতর্ক চলেছিলো। এই বিতর্কের মূল দিক ছিলো দুটি -
- এক, সতীদাহপ্রথা কি শাস্ত্র সম্মত ? এবং
- দুই, এই প্রথা বন্ধ করলে সরকারর কোন অসুবিধা হতে পারে কিনা?
বলা বাহুল্য, সতীপ্রথা নিয়ে এই সময়কালে শিক্ষিত শ্রেনী ও সরকার উভয়েই হিন্দু আইন ও শাস্ত্র গুলির সূক্ষ্ম বিচার বিশ্লেষণ চালিয়েছিলো। সতী বিতর্কের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলো ৩ টি পক্ষ -
- ভারতের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরকার,
- ইওরোপীয় মিশনারি গন, এবং
- ভারতের উদীয়মান শিক্ষিত ভদ্রলোক শ্রেনী।
প্রাক্ রামমোহন পর্বে সতীপ্রথা বন্ধের উদ্যোগ
(ক.) মুঘল আমলে উদ্যোগ
ভারতে সতীদাহ প্রথা বন্ধ করার প্রথম উদ্যোগটি লক্ষ্য করা যায় মুঘল যুগে। মুঘল সম্রাট আকবর প্রথম সতীপ্রথায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। কিন্তু ধর্মীয় বাধা বা প্রতিবন্ধকতার কারনে এই বিষয়ে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন নি।
(খ.) মিশনারিদের উদ্যোগ
আকবরের পর কোম্পানির শাসনের প্রথম দিকে সতীপ্রথা বন্ধে সক্রিয় ভূমিকা নেন কিছু খ্রিষ্টান মিশনারি ও পদস্থ ইংরেজ। ১৮১৩ খ্রিঃ পর ভারতে মিশনারিদের কাজকর্মের অধিকার দেওয়া হয়। এই সময়ের পর থেকে মিশনারিরা এদেশের অধঃপতিত অবস্থার নানা চিত্র তাদের প্রচার পুস্তিকায় তুলে ধরতে থাকেন। তাদের বিভিন্ন লেখাপত্রের হাত ধরেই মূলত সতীদাহ প্রথার কথা ইংল্যান্ডে পৌঁছে যায়।
খ্রিষ্টান মিশনারি উইলিয়াম ওয়ার্ড "হিন্দুস" নামে গ্রন্থে ভারতের সতী প্রথার বিভৎসতার কথা তুলে ধরেন। ক্লড বুকানন ইংল্যান্ডে ফিরে গিয়ে সতী বিষয়ে একটি বই মিশনারিদের নেতা উইলবারফোর্সকে দেন। উইলবারফোর্স ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন। তাই তিনি বিষয়টি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তোলেন।
অর্থাৎ রামমোহনের আগেই সতী বিষয়টি নিয়ে ইংল্যান্ডের অভ্যন্তরেও একটি চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিলো। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের নিরাপত্তার স্বার্থে কোন কঠোর ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী ছিলো না।
ইতিমধ্যেই ১৮১৬ খ্রিঃ জোন্স ইংল্যান্ডে সতী বিষয়ক একখানি পুস্তিকা ছাপিয়ে এর বিভৎসতার দিক গুলি তুলে ধরেন। শ্রীরামপুরের মিশনারিদের পত্রিকা সমাচার দর্পন এবং ফ্রেন্ড অব ইন্ডিয়াতে সতীপ্রথাকে তীব্রভাবে আক্রমণ করা হয়। মিশনারিদের তথ্যবহুল লেখাপত্র পড়ে সরকার পক্ষের কেউ কেউ বিচলিত বোধ করতে থাকেন।
কিন্তু সরকার এ সম্পর্কে কঠোর কিছু ব্যবস্থা নিতে দ্বিধাগ্রস্থ ছিলো। কারন দেশীয় লোকেদের কেউই তখন এই নিষ্ঠুর প্রথার বিরুদ্ধে মুখ খোলেন নি। কোন প্রতিবাদ করেন নি বা কোম্পানির পাশে এসেও দাঁড়ায় নি। সতীদাহ প্রথার অসহায় সতীদের নিয়ে যা কিছু সহানুভূতি সবই যেন বিদেশীদের ছিলো। ফলতঃ সরকারের পক্ষে জোরালো কোন ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব ছিলো না। কারন সরকারের পাশে সেই অর্থে তখন রামমোহনের মতো কোন শক্তিশালী প্রতিনিধি ছিলেন না, যিনি প্রবল দেশীয় জনমত সংগঠিত করে সরকারকে জোরালো ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনীয় শক্তি দিতে পারেন।
খুব স্বাভাবিক ভাবেই প্রাক্ রামমোহন পর্বে সতীদাহ প্রথা বন্ধ করবার জন্য কোম্পানি সরকার কিছু সাবধানী ও নমনীয় নীতি গ্রহণ করে।
সতীদাহ বন্ধে সরকারি উদ্যোগ ও নির্দেশিকা
(১.) ১৭৮৯ - ১৮২৯ খ্রিঃ মধ্যে কোম্পানি সরকার সতীদাহ প্রথা নিয়ন্ত্রনে ৪ টি সরকারি নির্দেশ জারি করে।
(২.) নিজামত আদালতের পন্ডিত ঘনশ্যাম শর্মার সতী বিষয়ক মতামতের ওপর ভিত্তি করে ১৮১৩ খ্রিঃ এক নির্দেশিকাতে সরকার জানায় -
- কাউকে জোর করে সতী করা যাবে না।
- সতী হবে স্বেচ্ছায়।
- কোন গর্ভবতী সতী হতে পারবেন না।
- মাদকদ্রব্য সেবন করিয়ে কাউকে সতী করা যাবে না।
(৩.) ১৮১৭ খ্রিঃ আরেকটি নির্দেশিকায় বলা হয়, সতীদাহের সময় নিকটবর্তী পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিতে হবে।
(৪.) এর পরের বছর ১৮১৮ খ্রিঃ কলকাতা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন আনস্টুথার কলকাতার মধ্যে সতীদাহপ্রথা নিষিদ্ধ ঘোষনা করেন। মার্শম্যান লিখেছেন, এই নির্দেশনামার ফলে কলকাতার সতী হতে ইচ্ছুক মহিলারা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে গিয়ে সতী হতেন।
সরকারি নিষেধাজ্ঞার ফলাফল
প্রাক্ রামমোহন পর্বে সতী প্রথা বন্ধে সরকারি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার ফলে এই প্রথা কমার বদলে উল্টে দ্বিগুন ভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ১৮১৭ খ্রিঃ থেকে সতী হওয়ার ঘটনা আকস্মিক ভাবে বৃদ্ধি পায়। "দ্য হিন্দু : অ্যান অলটারনেটিভ হিস্ট্রি" গ্রন্থে ওয়েন্ডি ডনিজার দেখিয়েছেন, ১৮১৫ - ১৮১৮ এই তিন বছরে মোট সতীদাহের সংখ্যা ছিলো ৮৩৯। আগের তিন বছরে এই সংখ্যাটা ছিলো ৩৭৮।
১৮১৮ খ্রিঃ সংবাদপত্র গুলিতে সহমরনের অনেক খবর পাওয়া যায়। জানা যায়, এইসময় হিন্দু বিধবাদের সহমরনে না যেতে দারোগা বা ম্যাজিস্ট্রেটরা নানাভাবে সতী হতে ইচ্ছুক মেয়েদের বোঝাতেন। তাদের সন্তানদের কথা ভাবতে অনুরোধ করতেন। আবার এসময়ে এমন খবরও পাওয়া যায়, ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি পেতে দুদিন সময় লাগলে ঐ দুদিন দাহ না করেই মৃতদেহ ঘরে রেখে দেওয়া হতো।
দুদিন পরে সতী হতে চাওয়া নারীকে ভালো করে আলতা ও সিঁন্দুর পড়িয়ে এবং ধুতরার রস খাইয়ে প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় জলন্ত চিতায় ছুড়ে ফেলা হতো। সতীর বেঁচে উঠার চিৎকার যাতে শব্দ দূষন সৃষ্টি না করে তাই ঢাক ঢোল বাদ্য সহযোগে চিতার চারিদিকে প্রদক্ষিন করতে করতে জনা ত্রিশেক লোক পৈশাচিক নৃত্য ও হুল্লোড় করতো। চিতার সামনেই মোটা বাঁশ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো আরও দুজন মস্ত পালোয়ান লোক। সতী চিতা থেকে ওঠবার চেষ্টা করলেই বাঁশ দিয়ে তাকে বেদম প্রহার করা হতো এবং পুনরায় জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষেপ করা হতো। এইভাবেই সম্পন্ন হতো হিন্দু সমাজের নারকীয়, জঘন্য এবং পৈশাচিক "সতীপ্রথা"।
দ্বিতীয় পর্ব আগামী কাল....
দ্বিতীয় পর্ব - সতীদাহ আন্দোলনে রামমোহনের ভূমিকা
😍😍😍😍😍
ReplyDelete