সামাজিক ইতিহাস চর্চার একটি অন্যতম ভাগ হলো - খেলাধুলার ইতিহাস চর্চা।
খেলার ইতিহাস চর্চা |
খেলার ইতিহাসের সংজ্ঞা
খেলাধুলার উৎপত্তি, বিবর্তন এবং মানব সমাজে তার প্রভাবের দিক গুলি নিয়ে যে ইতিহাস চর্চায় আলোচনা করা হয়, তাকেই সাধারণত "খেলার ইতিহাস" বলা হয়।
খেলার ইতিহাস চর্চার উদ্ভব
- খেলার ইতিহাস চর্চার প্রথম সূত্রপাত ঘটে ইওরোপে, ১৯৭০ এর দশকে।
- ইংল্যান্ড ছিলো খেলার ইতিহাস চর্চার পথিকৃৎ দেশ।
(ক.) ইওরোপে খেলার ইতিহাস চর্চা
- ১৯৮০ দশকে টনি ম্যান, রিচার্ড হোল্ট, জে এ ম্যাঙ্গান এবং এরিখ হবসবমের হাত ধরে ইওরোপে খেলার ইতিহাস চর্চা প্রবল জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
- ১৯৮২ খ্রিঃ খেলার ইতিহাস চর্চার জন্য ইংল্যান্ডে গড়ে ওঠে - "ব্রিটিশ সোসাইটি অব স্পোর্টস হিস্ট্রি"।
- এর মুখপত্র ছিলো - "দ্য ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব দ্য হিস্ট্রি অব স্পোর্টস"। এই পত্রিকায় খেলাধুলা সংক্রান্ত নানা গবেষণা মূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়।
(খ.) ভারতে খেলার ইতিহাস চর্চা
- ভারতে খেলার ইতিহাস নিয়ে ১৯৮৮ খ্রিঃ প্রথম গবেষণা করেন জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সৌমেন মিত্র।
- তার গবেষণার বিষয় ছিলো -" ঔপনিবেশিক বাংলায় ফুটবল ও জাতীয়তাবাদ"।
- বর্তমানে ভারতে খেলার ইতিহাস নিয়ে চর্চা করে যাচ্ছেন -
- আশিষ নন্দী,
- মিহির বোস,
- রামচন্দ্র গুহ,
- বোরিয়া মজুমদার,
- কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়,
- অর্জুন আপ্পাদুরাই,
মানব সভ্যতায় খেলার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের অবসর বিনোদন এবং সামাজিক অভ্যাসের সঙ্গে খেলাধুলা যুক্ত ছিলো। প্রতিকূল পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে অভিযোজনের অনুশীলন থেকেই খেলাধুলার জন্ম হয়েছিলো।
প্রাচীন সভ্যতায় খেলা
ঐতিহাসিকরা দেখিয়েছেন, পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি প্রাচীন সভ্যতাতেই খেলার প্রচলন ছিলো।
- প্রাচীন সুমেরীয় সভ্যতায় মল্ল যদ্ধ, মুষ্ঠি যুদ্ধ, দৌড়, দড়ি টানাটানি, লাফানো, সাঁতার ইত্যাদি খেলার প্রচলন ছিলো।
- চৈনিক সভ্যতাতে শারীরিক আত্মরক্ষা মূলক নানা ধরনের খেলার উৎপত্তি হয়েছিলো যা "মার্শাল আর্ট" নামে পরিচিত ছিলো।
- ভারতের সিন্ধু সভ্যতাতে সাঁতার, মল্ল যুদ্ধ ইত্যাদি খেলার প্রচলন ছিলো বলে ঐতিহাসিকরা মনে করে থাকেন।
- তবে প্রাচীন সভ্যতা গুলির মধ্যে খেলাধুলার অভাবনীয় অগ্রগতি ঘটে গ্রিক সভ্যতায়। ৭৭৬ খ্রিঃ পূর্বাব্দে গ্রিসের অলিম্পিয়া নগরীতে শুরু হয়েছিলো অলিম্পিক গেমস। এখানে দৌড়, লাফানো, ডিসকাস, বর্শা নিক্ষেপ, মল্ল যদ্ধ, অশি চালনা ইত্যাদি হরেক রকম খেলার আয়োজন করা হতো।
- গ্রিক সভ্যতার পতনের পর পৃথিবীতে বিস্তার লাভ করে রোমান সাম্রাজ্য। এই সময় খেলাধুলার ক্ষেত্রে ভিন্নতম রুচি ও সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যায়। উদাহরন হিসাবে অ্যাম্ফিথিয়েটারে গ্ল্যাডিয়েটোরের লড়াইয়ের কথা বলা যায়, সেখানে একটি ক্ষুদার্থ বাঘের সামনে একজন ক্রীতদাসকে লড়াই করতে হতো। ছিন্ন মস্তক থেকে ফুটবল খেলার সূচনা রোমান সভ্যতাতেই হয়েছিলো বলে কোন কোন ঐতিহাসিক মনে করে থাকেন।
- ষোড়শ শতাব্দী থেকে ইওরোপের বিভিন্ন দেশগুলি, বিশেষত, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় উপনিবেশ স্থাপন করে এবং তাদের দেশের খেলা গুলির প্রচলন করে।
- ভারতেও ঔপনিবেশিক শাসনের সূত্র ধরে ইংরেজরা ক্রিকেট, ফুটবল, ইত্যাদি খেলার প্রচলন করে। ইংরেজরা ভারতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে খেলাধুলা বাধ্যতামূলক করেছিলো। এর মূল উদ্দেশ্য ছিলো দুটি - (ক.) খেলার মধ্য দিয়ে ভারতীয়দের সভ্য করে তোলা এবং (খ.) খেলার মধ্য দিয়ে ভারতীয় যুব সমাজকে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা।
- বর্তমানে খেলা বলতে আমরা যে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, রাগবি, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, ক্যারাম, ইত্যাদি খেলা গুলিকে বুঝে থাকি, তার সবগুলিরই ইংরেজদের হাত ধরে ঔপনিবেশিক ভারতে প্রচলিত হয়েছিলো।
- ইংল্যান্ডে উনিশ শতক থেকে ক্রিকেট, ফুটবল, রাগবি, হকি ইত্যাদি খেলা গুলি আধুনিক রূপ পেতে শুরু করে।
- দাবাখেলার জন্ম পাশা খেলা থেকে হয়েছিলো। ভারতে এই খেলার জন্ম হয়েছিলো।
- তবে ভারতে ঔপনিবেশিক আমলে প্রচলিত খেলা গুলির বাইরে গ্রামীন ভারতে আঞ্চলিক স্তরে অসংখ্য লোকক্রীড়া প্রচলিত ছিলো। এগুলির অধিকাংশই আজ বিলুপ্তির পথে এবং হারিয়ে যেতে বসেছে।
- বাংলার কিছু নিজস্ব লোকক্রীড়া হল - রুমাল চোর, হাডুডু, খো খো, গোল্লাছুট, বাঘবন্দী, আগডুম বাগডুম, ডাং গুলি, ইকিরমিকির, কানামাছি, চোর পুলিশ, কিত কিত।
খেলার ইতিহাস চর্চার বৈশিষ্ট্য
খেলার ইতিহাস চর্চা করতে গিয়ে এর বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ে। যেমন -
- খেলার ইতিহাস চর্চায় দেখা যায়, পৃথিবীর প্রত্যেকটি সভ্যতা ও জনসমাজের মধ্যেই নিজস্ব কিছু খেলার প্রচলন ছিলো।
- খেলা প্রতিটি জনজাতির কাছেই ছিলো অবসর বিনোদন ও একটি সামাজিক অভ্যাসের অঙ্গ।
- খেলাকে তার অনুশীলন পদ্ধতি অনুসারে ৫ টি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা - (ক.) কায়িক পরিশ্রমের খেলা, (খ.) শ্রমহীন আমোদের খেলা, (গ.) জলের খেলা, (ঘ.) বুদ্ধির খেলা, (ঙ.) ছড়া ও ধাঁধার খেলা।
- ঊনবিংশ শতাব্দীতে ইওরোপীয় দেশগুলির উপনিবেশ স্থাপনের সূত্রে ইওরোপের খেলা গুলির বিশ্বায়ন ঘটে। উপনিবেশ গুলিতে ক্রিকেট, ফুটবল, ইত্যাদি খেলার প্রচলন হয় এবং এগুলি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী খেলা হিসাবে উঠে আসে। এইসব খেলা গুলির চাপে বাংলা ও ভারতের ঐতিহ্যবাহী বহু খেলা গুরুত্বহীন ও বিলুপ্ত হয়ে পড়ে।
খেলার ইতিহাসের গুরুত্ব
খেলার ইতিহাস চর্চার প্রধান গুরুত্বের দিক গুলি হল -
- খেলার ইতিহাস চর্চার মধ্য দিয়ে আমরা যেকোন খেলার উদ্ভব ও বিবর্তনের ইতিহাসটি জানতে পারি।
- খেলার ইতিহাসের মধ্য দিয়ে মানুষের ক্ষমতার ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত পরিবর্তন ও বিবর্তনের দিকটি বোঝা যায়।
- খেলায় নারীদের অংশগ্রহণ দেখে সমাজে নারী স্বাধীনতা বিষয়ে ধারনা করা যায়।
- খেলার ইতিহাস চর্চার মধ্য দিয়ে কালের নিয়মে হারিয়ে যাওয়া বা বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া খেলা গুলির ইতিহাসকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।
- খেলার ইতিহাস চর্চার মধ্য দিয়ে প্রাচীন অতীত ও ঐতিহ্যের অনুসন্ধান করা যায়। লোকংস্কৃতি গবেষক ড. আশরফ সিদ্দিকী দেখিয়েছেন, গ্রামবাংলার খেলা গুলির সঙ্গে আদিবাসী সমাজের বৈশিষ্ট্যের অদ্ভুত মিল লক্ষ্য করা যায়। হাডুডু, গোল্লাছুট, বাঘবন্দী খেলা গুলির মধ্যে জোটবদ্ধ ও গোষ্ঠীবদ্ধ আদিবাসী সমাজ জীবনের প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায়। এ থেকে বোঝা যায়, বাংলার গ্রামীন জনপদের সঙ্গে আদিবাসী সমাজের এক গভীর যোগ ছিলো।
খেলা কিভাবে জাতীয়তাবোধ বৃদ্ধি করে?
খেলার সঙ্গে জাতীয়তাবাদের এক গভীর সম্পর্ক আছে। ঔপনিবেশিক আমলে ভারতে জাতীয়তাবাদের বিকাশের ক্ষেত্রে খেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলো। এক্ষেত্রে আমরা দুটি ঐতিহাসিক দৃষ্টান্তের কথা তুলে ধরতে পারি -
আখড়া সংস্কৃতি
ইংরেজরা বাঙালিদের ভীরু, দুর্বল, কাপুরুষ বলে সম্বোধন করতো। এই বদনাম মোচনের জন্য ১৮৬৭ খ্রিঃ নবগোপাল মিত্রের হিন্দু মেলার হাত ধরে বাংলায় শরীর চর্চা সংস্কৃতির সূত্রপাত ঘটে। গড়ে ওঠে একের পর এক শরীর চর্চার আখড়া। অনুশীলন সমিতি এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিলো। বিংশ শতাব্দীর সূচনায় এই আখড়া গুলিই বিপ্লবী আন্দোলনের আতুরঘরে পরিনত হয়।
বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে অনুশীলন সমিতির সদস্যরা শুধু শরীর চর্চার মধ্য দিয়ে শক্তি অর্জন করেই সন্তুষ্ট থাকলো না। তারা পাল্টা প্রত্যাঘাতের কথা চিন্তা ভাবনা করলো, এবং এই নিয়ে সদস্যদের মধ্যে বিরোধ উপস্থিত হলে একদল সদস্য অনুশীলন সমিতি থেকে বেরিয়ে এসে যুগান্তর সমিতি/দল গঠন করে এবং ইংরেজদের বিরুদ্ধে সহিংস আন্দোলন শুরু করে।
আই এফ এ শিল্ড
১৯১১ খ্রিঃ মোহনবাগান ক্লাব ইংরেজ ইস্ট ইয়র্ক ক্লাবকে পরাজিত করে আই এফ এ শিল্ড জয় করলে তা বাঙালিদের প্রবল জাতীয়তাবাদের সঞ্চার করে।
এই ঘটনার পর পাড়ায় পাড়ায় গজিয়ে ওঠে ফুটবল ক্লাব। যুবকদের মধ্যে প্রবল জাতীয়তাবোধের সঞ্চার হয়। এই জাতীয়তাবাদের প্রাবল্যে ভীত হয়ে ইংরেজরা ১৯১১ খ্রিঃ ১২ ডিসেম্বর কলকাতা থেকে দিল্লিতে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন বলে ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহ মনে করেন।
খেলার ইতিহাস সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
আই এফ এ শিল্ড
- মোহনবাগান ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয় - ১৮৮৯ খ্রিঃ।
- আই এফ এ শিল্ড অনুষ্ঠিত হয় - ১৯১১ খ্রিঃ।
- আই এফ এ শিল্ড এ খেলা হয়েছিলো - মোহনবাগান ক্লাবের সঙ্গে ইংরেজ ইস্ট ইয়র্ক ক্লাবের মধ্যে।
- এই খেলায় মোহনবাগান দলের অধিনায়ক ছিলেন - শিবদাস ভাদুড়ী।
- এই খেলাতে মোহনবাগান দল ইস্ট ইয়র্ক ক্লাবকে ২ - ১ গোলে পরাজিত করে।
- খালি পায়ে মোহনবাগান দল এই খেলায় অংশ গ্রহণ করে।
ক্রিকেট খেলা
- উৎপত্তি - ইংল্যান্ড।
- প্রথম ক্রিকেট খেলা হয় - ১৭০৯ খ্রিঃ ইংল্যান্ডের ডাটফোর্টের সারে তে।
- শুরুর দিকে ছোড়ার বদলে মাটিতে গড়িয়ে গড়িয়ে বল করা হতো।
- ক্রিকেট কে বাইশ গজের খেলা বলা হয়, কারন এই খেলার কেন্দ্রস্থল পিচের দু প্রান্তের উইকেটের মধ্যে ব্যবধান থাকে ২২ গজ।
- ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কনফারেন্স প্রতিষ্ঠিত হয় - ১৯৬৫ খ্রিঃ।
- ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয় - ১৯৮৯ খ্রিঃ।
- ইংল্যান্ডে প্রথম মহিলা ক্রিকেট ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয় - ১৮৮৭ খ্রিঃ।
- প্রথম মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ হয় - ১৯৭৩ খ্রিঃ।
- ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয় - ১৭৯২ খ্রিঃ।
- টাউন ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন - সারদা রঞ্জন রায়।
- প্রথম ভারতীয় ওভার হেড বোলার ছিলেন - নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী।
ভারতে কিভাবে ক্রিকেট খেলার প্রচলন ঘটে?
- ভারতে ইংরেজদের হাত ধরে ক্রিকেট খেলার প্রচলন ঘটে।
- ভারতে ক্রিকেট খেলাকে সংগঠিত করবার জন্য ১৭৯২ খ্রিঃ ইংরেজরা "ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাব" প্রতিষ্ঠা করে।
- প্রথম দিকে ক্রিকেট খেলা ইংরেজদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরে তা ভারতীয়দের মধ্যে প্রবল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
- কলকাতা বিদ্যাসাগর কলেজের অধ্যক্ষ সারদা রঞ্জন রায়ের উদ্যোগে ইংরেজদের ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাবের অনুকরনে ক্রিকেট খেলার জন্য "টাউন ক্লাব" প্রতিষ্ঠিত হয়।
- এই ক্লাব এবং নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী, সারদা রঞ্জন রায়, দুখিরাম মজুমদার, প্রমুখ ব্যক্তিদের উদ্যোগের ফলে ক্রিকেট খেলা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে।
খেলার ইতিহাসে নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীর অবদান
- ভারতে ক্রিকেট এবং ফুটবল খেলার প্রসারে নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
- তিনি ইংরেজদের খেলা গুলিকে রপ্ত করে খেলার মাধ্যমে ইংরেজদের পরাজিত করে এবং ভারতীয়দের শক্তপোক্ত করে গড়ে তুলে জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটাতে চেয়েছিলেন।
- বাঙালিদের মধ্যে তিনিই প্রথম ফুটবল খেলেন, এবং
- ভারতীয়দের মধ্যে ফুটবল খেলার প্রসারের জন্য বয়েজ ক্লাব, ফ্রেন্ডস ক্লাব, ওয়েলিংটন ক্লাব ইত্যাদি গঠন করেন।
- ক্রিকেট খেলার ক্ষেত্রেও তিনি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।
- তিনিই ছিলেন প্রথম ভারতীয় ওভার হেড বোলার।
ফুটবল খেলা
- উৎপত্তি - ইংল্যান্ড।
- ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয় - ১৮৬৩ খ্রিঃ।
- বাঙালিদের মধ্যে প্রথম ফুটবল খেলেন - নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী।
অন্যান্য খেলা
- দুটি বিদেশী খেলার নাম - ক্রিকেট, ফুটবল,
- দুটি দেশীয় খেলার নাম - ডাংগুলি, কাবাডি,
- ইংল্যান্ডে উৎপত্তি লাভ করেছিলো এমন কিছু খেলা - ক্রিকেট, ফুটবল, রাগবি, হকি, পোলো।
- ভারতে হকি খেলার প্রচলন করে - রেঞ্জার্স ক্লাব (কলকাতা)।
- ডিম্বাকৃতি ফুটবল কে বলা হয় - রাগবি।
- ইংল্যান্ডে প্রথম রাগবি খেলা হয় - ১৯২৩ খ্রিঃ।
- মার্শাল আর্টের উৎপত্তি হয় - চিনে।
- অলিম্পিক খেলা হতো গ্রিসে - ৭৭৬ খ্রিঃ পূর্বাব্দে।
- বর্তমানে ভারতের জাতীয় খেলা হল - হকি।
- বাংলার দুটি লোকক্রীড়া হল - কানামাছি, গোল্লাছুট।
অন্যান্য তথ্য
- ভারতে খেলার জন্য দেওয়া হয় - অর্জুন পুরস্কার।
- ভারতে কাবাডির বদলে হকিকে জাতীয় খেলা করা হয় - ১৯৯৬ খ্রিঃ।
- হকির জাদুকর বলা হয় - ধ্যানচাঁদ কে।
- উড়ন্ত শিখ বলা হয় - মিলখা সিংকে।
- ভারতীয় ফুটবলের জনক বলা হয় - নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীকে। তিনি বয়েজ ক্লাব, ফ্রেন্ডস ক্লাব, ওয়েলিংটন ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে ভারতীয়দের মধ্যে ফুটবল খেলার প্রসার ঘটান।
- খেলার মাঠে ইংরেজদের বর্নবৈষম্যবাদের প্রতিবাদে কোচবিহারের মহারাজা কোচবিহার কাপ ফুটবলের সূচনা করেন।
- খেলার ইতিহাস চর্চার সঙ্গে যুক্ত কিছু ঐতিহাসিক - রামচন্দ্র গুহ, বোরিয়া মজুমদার, কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্জুন আপ্পাদুরাই, আশিষ নন্দী।
খেলার ইতিহাস সম্পর্কিত কিছু গ্রন্থ
- টুয়েন্টি টু ইয়ার্ড অব ফ্রিডম - বোরিয়া মজুমদার।
- ক্রিকেট ইন কলোনিয়াল ইন্ডিয়া - বোরিয়া মজুমদার।
- দ্য ইলাস ট্রেটেড হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়ান ক্রিকেট - বোরিয়া মজুমদার।
- খেলা যখন ইতিহাস - কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
- বাপি বাড়ি যা - গৌতম ভট্টাচার্য।
- একাদশে সূর্যোদয় ও বিদ্রোহী মারাদোনা - রূপক সাহা।
- স্পোট অ্যান্ড দ্য ব্রিটিশ : এ মর্ডান হিস্ট্রি - রিচার্ড হোল্ট।
- এ করনার অফ এ ফরেন ফিল্ড : দ্য ইন্ডিয়ান হিস্ট্রি অব এ ব্রিটিশ স্পোটস - রামচন্দ্র গুহ।
- দ্য পিকাডর বুক অব ক্রিকেট - রামচন্দ্র গুহ।
- দ্য ডেস্টিনি অব গেমস - আশিষ নন্দী।
অসাধারণ পরিবেশন। ইতিহাসের এত সুন্দর বর্ণনা দেওয়ার জন্য অজস্র ধন্যবাদ।
ReplyDelete