জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের প্রশ্ন এবং ঔপনিবেশিক সমাজে তার প্রতিক্রিয়া

 উপনিবেশবাদ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ইওরোপের শক্তিধর রাষ্ট্র গুলি তাদের "জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের" ধারনাটিকে প্রমান করার চেষ্টা চালিয়েছিলো। এটাকেই বলা হয় "জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের তত্ত্ব" বা "Theory of Racial superiority"। "সামাজিক ডারউইনবাদ" তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করেই তাদের এই জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের তত্ত্বটি গড়ে উঠেছিলো।

জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের প্রশ্ন ও ঔপনিবেশিক সমাজে তার প্রতিক্রিয়া
জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের প্রশ্ন ও ঔপনিবেশিক সমাজে তার প্রতিক্রিয়া 


সামাজিক ডারউইনবাদ

সামাজিক ডারউইনবাদ তত্ত্বের প্রবক্তা ছিলেন হার্বাট স্পেনসার। তিনি চার্লস ডারউইনের "Natural selection" বা প্রাকৃতিক নির্বাচন তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে তার মতবাদ গড়ে তোলেন।

মূল বক্তব্য ও বৈশিষ্ট্য 

"সামাজিক ডারউইনবাদের" মূল বক্তব্য ছিলো - সমাজে শক্তিশালী ও সামর্থ্যবানরা বেঁচে থাকতে পারে এবং সমাজে কর্তৃত্ব স্থাপন করতে পারে। দুর্বল ও অসামর্থবানরা পদানত হয় এবং মৃত্যুমুখে পতিত হয়।

সামাজিক ডারউইনবাদ তত্ত্বের সঙ্গে "জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের ধারনা"," জাতীয়তাবাদ" এবং" সাম্রাজ্যবাদ" এর ধারনা ঘনিষ্ঠ ভাবে যুক্ত ছিলো। 

এই মতবাদের বিশ্বাসীরা প্রচার করেন - 

  1. পৃথিবীতে সাদা চামড়ার মানুষেরাই হলো সবচেয়ে সুন্দর ও শ্রেষ্ঠ, 
  2. বিশ্বের সব শক্তিশালী রাষ্ট্র গুলিই সাদা চামড়ার মানুষদের দ্বারা পরিচালিত হয়, 
  3. জ্ঞান, বিজ্ঞান, শক্তি, বুদ্ধিমত্তা সব দিক থেকেই তারা অন্যদের থেকে সেরা, 
  4. তারা শক্তিতে, বুদ্ধিতে শ্রেষ্ঠ বলেই সাম্রাজ্য বিস্তার করে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। 

 মতবাদের সমর্থক

ভিক্টোরিয়ান যুগের পরবর্তীকালে "সামাজিক ডারউইনবাদ তত্ব" ইংল্যান্ড,ফ্রান্স, আমেরিকা, জার্মানি, প্রভৃতি দেশ গুলিতে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলো। 

এই মতবাদের সমর্থকদের মধ্যে অন্যতম কয়েকজন ছিলেন -

  •  ইংরেজ কবি রুডইয়ার্ড কিপলিং
  • ফরাসি লেখক জুলি ফেরি
  • ইংরেজ লেখক হোমার লি
  • চার্লস ভিলকে
  • টমাস ব্যাবিংটন মেকলে
  • জার্মানির হিটলার
  • জার্মান ঐতিহাসিক হেনরিখ ফন ট্রিটস্কি, বানহার্ডি প্রমুখ।
এরা সকলেই নিজ নিজ জাতির শ্রেষ্ঠত্ব প্রচার করেছিলেন। 

ঔপনিবেশিক সমাজে প্রভাব

জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের ধারনাটি ঔপনিবেশিক সমাজে বিরূপ প্রভাব ফেলে। প্রায় সমস্ত ঔপনিবেশিক সমাজেই এর প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায় - 

  1. জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের ধারনা থেকে ঔপনিবেশিক সমাজে "বর্ন সচেতনতার" বহিঃপ্রকাশ ঘটে। শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গের ধারনা আসে। এই ধারনা থেকে ঔপনিবেশিক সমাজে ঘৃনা ও বৈষম্যবাদ দেখা যায়, 
  2. ঘৃনা ও বৈষম্য থেকে শাসকশাসিতের মধ্যে ব্যবধান লক্ষ্য করা যায়। 
  3. শ্বেতাঙ্গরা ঔপনিবেশিক জাতি গুলিকে পরাজিতনিকৃষ্ট জাতি বলে মনে করে। তাদের ওপর বিপুল করশ্রমের চাপ সৃষ্টি করে শোষন ও অত্যাচার চালাতে থাকে। 
  4. জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের ধারনাটি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তারা উপনিবেশবাসীর মানবিক অধিকার ও দাবিগুলিকে লঙ্ঘন করে। 
  5. জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের কষাঘাতে প্রাচীন ভারতের আরবি, ফার্সিসংস্কৃত শিক্ষার ঐতিহ্য হারিয়ে যায়। ভারতের সুপ্রাচীন আয়ুর্বেদ চিকিৎসা বিলুপ্ত হয়ে পড়ে। আমেরিকায় রেড ইন্ডিয়ানরা একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যান। 
  6.  ঔপনিবেশিক জাতিগুলিকে অবহেলা, ঘৃনা এবং অসম ব্যবহার ঔপনিবেশিক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। জাতিশ্রেষ্ঠত্বের শোষন ও অত্যাচার থেকে ঔপনিবেশিক জাতি গুলির মধ্যে পাল্টা "জাতীয়বাদ" তৈরি হয়। 
  7. সর্বোপরি, জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের তত্ত্বকে হাতিয়ার করে ঔপনিবেশিক শক্তি গুলি তাদের সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনকে বৌদ্ধিক যুক্তি প্রদানের চেষ্টা করে। তারা প্রচার করে, বুদ্ধিমত্তা,শক্তিসামর্থ্য,ও সভ্যতা - সংস্কৃতি, সব দিক থেকেই তারা উন্নত ও শ্রেষ্ঠ। অনুন্নত উপনিবেশবাসীদের "সভ্য করে তোলার মহান দায়িত্বেই" তারা উপনিবেশ স্থাপন করেছে। 

ভারতীয় সমাজে জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের ধারনার প্রতিফলন 

ঔপনিবেশিক আমলে ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থায় নানা ভাবে ইংরেজরা তাদের জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের ধারনাটিকে প্রতিষ্ঠিত করে। যেমন - 
  1. ভারতীয়দের তারা নিকৃষ্ট, দুর্বল, ভিরু, কাপুরুষ বলে অভিহিত করেছিলো। 
  2. ভারতীয়দের ভাষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও শিক্ষাকে ইংরেজরা নিকৃষ্ট বলে মনে করতেন। টমাস মেকলে ছিলেন এর অন্যতম প্রচারক। 
  3. ইংরেজ আমলে কোন ইউরোপীয় ব্যক্তির সামনে কোন ভারতীয় ঘোড়ার গাড়িতে বা পালকিতে চড়ে যেতে পারতেন না। গাড়ি থামিয়ে এবং গাড়ি থেকে নেমে তাকে সেলাম জানাতে হতো। 
  4. জাতিগত বৈষম্যের কারনেই ঔপনিবেশিক আমলে ট্রেনের প্রথম শ্রেণীর কামরা, অনেক খেলার মাঠ, পার্ক, থিয়েটার এবং কোন ইউরোপীয় ক্লাবে ভারতীয়রা প্রবেশ করতে পারতেন না। সেখানে লেখা থাকতো - "কুকুর ও ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ"। 
  5. বর্নবৈষম্যবাদ ও জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের ধারনার জন্যই ইংরেজরা ভারতীয়দের ঘৃনা করতেন এবং সমস্ত দিক থেকেই তাদের অসভ্যবর্বর বলতেন। 
  6. এই ধারনার বশবর্তী হয়েই তারা ঔপনিবেশিক আমলে কলকাতা শহরকে দুভাগে ভাগ করেছিলো। এর একটি ভাগ ছিলো "সাহেব পাড়া", যেখানে সাদা চামড়ার লোকেরা বসবাস করতো। এই এলাকায় ভারতীয়দের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিলো। অন্য অংশে সাধারন ভারতীয়রা বসবাস করতো। 
  7. জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের ধারনার জন্যই ইংরেজ আমলে কোন ভারতীয় যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সরকারি উচ্চপদ লাভ করতে পারতেন না। পুলিশ, সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে অসামরিক প্রশাসন সব ক্ষেত্রেই উচ্চপদ গুলি ইওরোপীয়দের জন্য সংরক্ষিত থাকতো। 
  8. সামরিক,অসামরিক প্রতিটি ক্ষেত্রেই একই পদে কর্মরত থাকা সত্ত্বেও একজন ইওরোপীয় কর্মচারীর থেকে একজন ভারতীয় কর্মচারী  অনেক কম বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পেতেন। 
  9. সামরিক বাহিনীতে জাতিগত বৈষম্যের কারনেই ভারতীয় সেনাদের কম বেতন, ও নিন্মমানের খাবার দেওয়া হতো। ১৯৪৬ খ্রিঃ এই বৈষম্যের কারনেই নৌ বিদ্রোহ সংগঠিত হয়। 
  10. এছাড়া, জাতি বৈষম্যের জন্য কোন ভারতীয় বিচারক কোন ইওরোপীয়র বিচার কখনো করতে পারতেন না। 
  11. বিচার ব্যবস্থার এই বৈষম্য দূর করবার জন্য লর্ড রিপন ১৮৮৩ খ্রিঃ ভারতীয় বিচারকদের ফৌজদারী অপরাধে অভিযুক্ত ইওরোপীয় ব্যক্তিদের বিচার করবার অধিকার দিয়ে "ইলবাট বিল" নিয়ে এলে ঔপনিবেশিক জাতিবৈষম্যের কদর্য রূপ লক্ষ্য করা যায়। ইংরেজরা এই বিলের বিরুদ্ধে দাঙ্গা হাঙ্গামা ও আন্দোলন শুরু করে দেয়, এই বলে যে ইওরোপীয়দের বিচার করবার কোন অধিকার বা যোগ্যতা কোনটাই ভারতীয়দের নেই। এই আন্দোলনের চাপে সরকার শেষ পর্যন্ত পিছু হটে এবং বিল প্রত্যাহার করে নেয়। 
  12. এছাড়া জাতিগত বৈষম্যের কারনেই ইংরেজরা ভারতীয়দের কুলি শ্রমিক হিসাবে বিদেশে রপ্তানি করতো, ভারতীয়দের ওপর বিপুল করের বোঝা চাপাতো, দুর্ভিক্ষ ও নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে উদাসীনতার নীতি অবলম্বন করতো। 
এইভাবেই ভারতীয় ঔপনিবেশিক সমাজে ইংরেজরা জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের ধারনাটির "practical প্রয়োগ" ঘটিয়েছিলো।

আফ্রিকায় জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের ধারনার প্রতিফলন 

ভারতের মতো আফ্রিকাতেও ইওরোপীয় শক্তি গুলি তাদের জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের ধারনাটিকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে বর্নবৈষম্যবাদের শোষন চালায়। 
  • শ্বেতাঙ্গরা আফ্রিকানদের নিকৃষ্ট জাতি হিসাবে দেখে।
  • তাদের রীতি নীতি, আদর্শ, সংস্কৃতি সব কিছুকেই তারা অবহেলা করে। 
  • তাদের বলপূর্বক খ্রিষ্টান ধর্মে দীক্ষিত করে এবং 
  • আমেরিকার বিভিন্ন উপনিবেশ গুলিতে তাদের বলপূর্বক ধরে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন উৎপাদন মূলক কাজ গুলিতে নিযুক্ত করেন। 

আমেরিকাতে জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের ধারনার প্রতিফলন 

পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষ দিকে আমেরিকা মহাদেশ আবিষ্কারের পর বিভিন্ন ইওরোপীয় শক্তি আমেরিকাতে উপনিবেশ গড়ে তোলে। এখানেও তারা তাদের জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের ধারনাটিকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে বর্নবৈষম্যবাদের প্রকাশ ঘটায়। 
  • তারা আমেরিকার স্থানীয় আদিবাসী রেড ইন্ডিয়ানদের ঘৃনা করে। 
  • তাদের ধর্ম, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে অবহেলা করে বলপূর্বক খ্রিষ্টান ধর্মে দীক্ষিত করে ও তাদের পুরোপুরি গ্রাস করে ফেলে। 
  • সপ্তদশ - অষ্টাদশ শতাব্দীতে ইওরোপীয়রা যখন আমেরিকায় স্থায়ী বসতি গড়ে তোলে তখন আফ্রিকা থেকে প্রচুর কালো মানুষদের তারা ক্রীতদাস হিসাবে ধরে নিয়ে আসে। 
  • এইসব কালো মানুষদের দিয়ে তারা আমেরিকায় নানা কায়িক শ্রমের কাজ গুলি চালাতো। 
  • কালো চামড়ার মানুষেরা নূন্যতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত ছিলেন। শ্বেতাঙ্গদের ঘৃনা, বৈষম্য ও অত্যাচার তাদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গিয়েছিলো। 

জার্মানিতে জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের ধারনার প্রতিফলন 

জার্মানিতেও জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের ধারনার প্রতিফলন দেখা গিয়েছিলো -
  • হিটলার জার্মান জাতিকে ঘাঁটি আর্য জাতি বলে প্রচার করেন, 
  • জার্মান জাতির শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তিনি "ইহুদি নিধন" এবং "জার্মান সাম্রাজ্যবাদের" প্রসার ঘটান, 
  • জার্মানির উপনিবেশ গুলিতে জাতিবৈষম্যনির্যাতনের নানা ঘটনা ঘটে। 

জাতিবৈষম্যের প্রতিক্রিয়া 

ঔপনিবেশিক সমাজে শ্বেতাঙ্গরা নিজেদের "জাতিগত শ্রেষ্ঠত্ব" প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে উপনিবেশের জাতি গুলির প্রতি যে বৈষম্যবাদ, নিপীড়ন ও অসম ব্যবহার করেছিলো, তার ফলে উপনিবেশ গুলিতে পাল্টা প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায় - 
  1. শ্বেতাঙ্গদের জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের পাল্টা ভারতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রাজনারায়ন বসু, নবগোপাল মিত্র, বিনায়ক দামোদর সাভারকর, বাল গঙ্গাধর তিলক, প্রমুখ ভারতীয়রা নানা ভাবে ভারতীয় জাতিকে পুনরুজ্জিবিত করার চেষ্টা করেন। 
  2. ইংরেজরা ভারতীয়দের দুর্বল, কাপুরুষ, ভিতু বলে যে সম্বোধন করতো তার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয়রা শক্তি অর্জনের চেষ্টা চালায়। এ থেকে কুস্তি, ব্যায়াম ও শরীর চর্চার জন্য "অনুশীলন সমিতি", যুগান্তর দল ও নানা ছোটো বড়ো আখড়া গড়ে ওঠে। পরবর্তীকালে শরীর চর্চার এই আখড়া গুলি থেকেই ভারতে বিপ্লবী আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। 
  3. শ্বেতাঙ্গদের জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের আচরনে নূহ্যমান ভারতীয়দের হীনমন্যতা দূর করবার জন্য নবগোপাল মিত্র "হিন্দু মেলার" আয়োজন করেন, তিলক "শিবাজি" ও "গনপতি উৎসবের" আয়োজন করেন, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আনন্দমঠ উপন্যাস লেখেন। ক্রমে এইসব ঘটনা ভারতীয়দের হীনমন্যতা কাটিয়ে দিয়ে ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটায়।
  4. অন্যদিকে পাশ্চাত্য শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেনী ইংরেজদের জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের ভ্রান্ত ধারনা কে নসাৎ করে দিয়ে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সমস্ত ক্ষেত্রে সমমর্যাদাঅধিকার লাভের জন্য আন্দোলন শুরু করে। 
  5. একই ভাবে আফ্রিকাতে জাতিগত বর্নবৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে মহাত্মা গান্ধীনেলসন ম্যান্ডেলা আন্দোলন শুরু করেন। 
  6. আমেরিকাতে বর্নবৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে কৃষ্ণাঙ্গরা আন্দোলন শুরু করে। 
  7. ক্রমে এইসব আন্দোলন জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের রূপ নিয়ে - ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে - শ্বেতাঙ্গদের জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের ধারনাটিকে নসাৎ করে দেয়।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post