উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের ধারনা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক

আধুনিক ইতিহাস চর্চায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ ধারনা হল "সাম্রাজ্যবাদ" এবং "উপনিবেশবাদ"। কিছু সূক্ষ্ম ধারনাগত পার্থক্য ছাড়া, সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে উপনিবেশবাদের তেমন প্রভেদ নেই, এবং উভয়ের মধ্যে একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

উপনিবেশবাদবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের ধারনা ও পারস্পরিক সম্পর্ক
উপনিবেশবাদবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের ধারনা ও পারস্পরিক সম্পর্ক 


উপনিবেশের বুৎপত্তিগত অর্থ ও ধারনা 

লাতিন "কলোনিয়া" (Colonia) শব্দটি থেকে ইংরেজি "কলোনি" (colony) শব্দটির উৎপত্তি হয়েছিলো, যার বাংলা প্রতিশব্দ হলো উপনিবেশ।

৫০ খ্রিঃ রোমানরা কলোজিনকে (cologine) কে তাদের উপনিবেশে পরিনত করেছিলো। এই সময় থেকেই "কলোনিয়া" এবং "কলোনি" শব্দটির উৎপত্তি হয়েছিলো। 

উপনিবেশ বা কলোনির ধারনা অবশ্য খুবই প্রাচীন।
  • প্রাচীনকালে গ্রিসের নগররাষ্ট্র গুলি মূল এলাকার বাইরে অন্য অনেক এলাকা দখল করে উপনিবেশ স্থাপন করেছিলো।
  • আবার প্রাচীনকালে ভারতবর্ষে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে শুরু করেছিলো। এইভাবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় প্রাচীনকালে গড়ে উঠেছিলো ভারতীয় উপনিবেশ।

তবে মনে রাখতে হবে, উপনিবেশ এবং উপনিবেশবাদ এক নয়, আলাদা।

উপনিবেশের সংজ্ঞা 

বিশুদ্ধ অর্থে এক দেশের মানুষ যখন অন্য কোন জায়গা বা দেশে গিয়ে স্থায়ী ভাবে বসতি স্থাপন করে তখন তাকে "উপনিবেশ" বলা হয়।

উপনিবেশবাদের সংজ্ঞা 

অন্যদিকে "উপনিবেশবাদ" বলতে বোঝায় এমন এক নীতি বা পদ্ধতি, যার দ্বারা কোন দেশ, অন্য কোন দেশ বা রাষ্ট্রের এলাকাকে নিজের শাসনের আওতায় নিয়ে আসে।

উপনিবেশবাদের বৈশিষ্ট্য

উপনিবেশবাদে স্থাপিত "উপনিবেশের" বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায় -
  1.  উপনিবেশ দখলদার দেশ কর্তৃক শাসিত হয়,
  2. উপনিবেশের কোন সার্বভৌমত্ব থাকে না, 
  3. উপনিবেশ স্বাধীনভাবে নীতি নির্ধারণ বা বিদেশনীতি পরিচালনা করতে পারে না, 
  4. আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিনিধিত্ব করবার কোন অধিকার বা স্বাধীনতা উপনিবেশের থাকে না,
  5. দখলীকৃত দেশের রাজধানী বা মূল প্রশাসনিক কেন্দ্র থেকে উপনিবেশ নিয়ন্ত্রিত হয়।
"উদাহরন হিসাবে এক্ষেত্রে ভারতের কথা বলা যায়। ভারতবর্ষ যখন ইংল্যান্ডের উপনিবেশ ছিলো, অর্থাৎ ভারতবর্ষ পরাধীন ছিলো, তখন ভারতের কোন সার্বভৌমত্ব বা স্বাধীনতা ছিলো না। স্বাধীন ভাবে ভারতবর্ষ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রতিনিধিত্ব করতেও পারতো না। মূল প্রশাসনিক কেন্দ্র ইংল্যান্ড থেকে ভারতীয় উপনিবেশ নিয়ন্ত্রিত হতো।"

উপনিবেশবাদের প্রকারভেদ

প্রকৃতিগত দিক থেকে উপনিবেশবাদ দুই ধরনের হয়ে থাকে -
  1. স্থায়ী বসতি জনিত উপনিবেশবাদ এবং
  2. শোষনজনিত উপনিবেশবাদ। 

(১.) স্থায়ী বসতি জনিত উপনিবেশবাদ

রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় বা অন্য কোন কারনে এক জায়গার বৃহত্তর জনগোষ্ঠী যখন অন্য কোন দেশে বা এলাকায় স্থায়ী ভাবে বসতি গড়ে তোলে, তখন তাকে স্থায়ী বসতিজনিত উপনিবেশ বলা হয়।

উদাহরন হিসেবে প্রাচীনকালে ভারতের অনেক ব্যবসায়ী দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার নানা জায়গায় বসতি স্থাপন করে যে উপনিবেশ গড়ে তুলেছিল, তা এই ধরনের উপনিবেশের উদাহরণ হতে পারে। 

(২.) শোষনজনিত উপনিবেশ

অর্থনৈতিক কারনে অর্থাৎ কাঁচামাল, শ্রম, বাজার ও সম্পদ সংগ্রহের জন্য যখন কোন দেশ অন্য একটি দেশের ওপর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রন কায়েম করে শাসন ও শোষন চালায়, তাকেই সাধারণত শোষনজনিত উপনিবেশ বলা হয়।

উদাহরন হিসাবে ভারতবর্ষে ইংল্যান্ডের উপনিবেশের কথা বলা যায়। ইংরেজরা ভারতে স্থায়ী ভাবে বসবাস করে নি, কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে ভারতবর্ষকে নিয়ন্ত্রন করে অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যে শাসন ও শোষন চালায়। 

উপনিবেশবাদের ৩ টি ধরন

বিংশ শতাব্দী থেকে ইতিহাস চর্চায় উপনিবেশবাদ শব্দটি ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা হতে থাকে। এখনও পর্যন্ত ঐতিহাসিকরা উপনিবেশবাদের ৩ টি ধরনকে চিহ্নিত করেছেন। যেমন - 

(ক.) আমেরিকা মহাদেশে উপনিবেশবাদ- 

ইওরোপের উপনিবেশবাদীরা আমেরিকায় গিয়ে স্থায়ী ভাবে বসবাস করে এবং নিজেদের শক্তি, সম্পদ ও সংখ্যাগত প্রাধান্যের জোরে আমেরিকার স্থানীয় রেড ইন্ডিয়ানদের পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দেয়।

(খ.)আফ্রিকা মহাদেশে উপনিবেশবাদ- 

দ্বিতীয় ধরনের উপনিবেশ দেখা যায় আফ্রিকা মহাদেশে। এখানে ইওরোপীয়রা শুধু বসবাস করে নি, স্থানীয় আদিবাসীদের ক্রীতদাসে পরিনত করে, এবং আফ্রিকার সম্পদ আত্মসাৎ করে নিজেদের শ্রীবৃদ্ধি ঘটানোর চেষ্টা করে।

(গ.) ভারতীয় উপমহাদেশের উপনিবেশবাদ- 

তৃতীয় ধরনের উপনিবেশের দৃষ্টান্ত ছিলো ভারত। এখানে ইংরেজরা বসবাস করে নি। তারা দেশীয় শাসকদের পরাজিত করে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রন কায়েম করে ভারত থেকে সম্পদ নির্গমনের পাকাপাকি ব্যবস্থা করে।

সাম্রাজ্যবাদের সংজ্ঞা ও ধারনা

লাতিন "ইম্পেরিয়াম" শব্দটি থেকে ইংরেজী "ইম্পেরিয়ালিজম" শব্দটির উৎপত্তি হয়েছিলো, যার বাংলা প্রতিশব্দ ছিলো - সাম্রাজ্যবাদ।

ঊনবিংশ শতাব্দীতে দূর্বল রাষ্ট্র গুলির ওপর ইওরোপের শক্তিধর রাষ্ট্র গুলির রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক আধিপত্যকে সঠিক ভাবে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে সাম্রাজ্যবাদ শব্দটির ব্যপক প্রয়োগ করা হয়। 

 সাম্রাজ্যবাদের ধারনা অবশ্য নতুন নয়। সাম্রাজ্যবাদ সব যুগেই প্রচলিত ছিলো এবং আছে। 
  • প্রাচীনকালে ভারতবর্ষে শক্তিশালী রাজারা সাম্রাজ্যবাদের বিস্তার করেছিলেন।
  • গ্রিক এবং রোমান যুগেও শাসকরা অন্য এলাকায় সাম্রাজ্যবাদের প্রসার করেন। 
  • আঠারো শতকে শিল্প বিপ্লবের পর ইওরোপের দেশগুলি অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যবাদের প্রসার ঘটায়।
  • বর্তমান বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলি দুর্বল দেশের ওপর নানা ধরনের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত আধিপত্য স্থাপন করে চলেছে। এটিও এক ধরনের সাম্রাজ্যবাদ। 

 সাম্রাজ্যবাদের সংজ্ঞা 

(১.) সাধারণ ভাবে শক্তিশালী দেশ কর্তৃক দুর্বল দেশের ওপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠাকেই সাম্রাজ্যবাদ বলা হয়ে থাকে। 

(২.) কিন্তু বিশুদ্ধ অর্থে কোন রাষ্ট্র কর্তৃক নিজের সীমানার বাইরে অন্য রাষ্ট্রের ওপর ক্ষমতা প্রসারের প্রচেষ্টাকে সাম্রাজ্যবাদ বলা হয়।

সাম্রাজ্যবাদের প্রকারভেদ

 সাম্রাজ্যবাদ সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। যথা - 
  1. প্রত্যক্ষ সাম্রাজ্যবাদ বা Formal imperialism, এবং 
  2. পরোক্ষ সাম্রাজ্যবাদ বা Informal imperialism, 

(১.) প্রত্যক্ষ সাম্রাজ্যবাদ 

 কোন দেশকে সরাসরি দখল করে নিয়ে তার ওপর যখন শক্তিশালী দেশের প্রশাসনিক, আইনগত ও আর্থিক নিয়ন্ত্রন কায়েম করা হয়, তখন তাকে "প্রত্যক্ষ সাম্রাজ্যবাদ" বলা হয়। 

ইংরেজরা ভারতবর্ষের বহু এলাকাকে সরাসরি দখল করে নিয়ে এই রকম প্রত্যক্ষ সাম্রাজ্যবাদ কায়েম করেছিলো। 

(২.) পরোক্ষ সাম্রাজ্যবাদ 

অন্যদিকে যখন কোন দেশ সরাসরি ভূমি দখল না করে, শুধুমাত্র ক্ষমতার প্রয়োগ করে পরোক্ষ ভাবে দুর্বল দেশের ওপর তার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্য স্থাপন করে, তখন তাকে "পরোক্ষ সাম্রাজ্যবাদ" বলে। 
  • পরাধীন ভারতবর্ষে ইংরেজরা স্বাধীন দেশীয় রাজ্য গুলির ওপর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে এক ধরনের পরোক্ষ সাম্রাজ্যবাদ কায়েম করেছিলেন। 
  • দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম বিশ্বের উন্নত দেশগুলি আর্থিক সাহায্য ও প্রযুক্তিগত সাহায্য দেওয়ার নাম করে তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলির ওপর যে আধিপত্য স্থাপন করেছিলো, তা পরোক্ষ সাম্রাজ্যবাদের উদাহরন ছিলো।
  • এছাড়া, বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র - বিশ্বব্যাঙ্ক, মুক্ত বাজার অর্থনীতি বা অবাধ বানিজ্য এবং বিশ্বায়নের নামে তৃতীয় বিশ্বের অনুন্নত দেশ গুলোর ওপর যে অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করেছে, তাও পরোক্ষ সাম্রাজ্যবাদের একটি উদাহরণ। 

উপনিবেশবাদের সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদের সম্পর্ক 

সংজ্ঞা ও সূক্ষ্ম ধারনাগত পার্থক্য ছাড়া উপনিবেশবাদের সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদের তেমন কোন প্রভেদ নেই। উপনিবেশবাদ এবং সাম্রাজ্যবাদ একে অপরের পরিপূরক এবং একটির ধারনা ও অস্তিত্বের সঙ্গে অপরটির ধারনা ও অস্তিত্ব ঘনিষ্ঠ ভাবে সম্পর্কযুক্ত। যেমন - 

(১.) আধিপত্যগত মিল 

কোন দেশ দ্বারা অন্য একটি দেশে আধিপত্য স্থাপন, বসতি স্থাপন ও শাসন করার ঘটনাকে উপনিবেশবাদ বলা হয়। সাম্রাজ্যবাদ প্রায় একই রকম। এখানে শক্তিধর রাষ্ট্র দুর্বল রাষ্ট্রের ওপর তার "আধিপত্য ও সার্বিক নিয়ন্ত্রন" কায়েম করে থাকে।

(২.) লক্ষ্য উদ্দেশ্যগত মিল

উপনিবেশবাদ এবং সাম্রাজ্যবাদ দুয়েরই মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থাকে দুর্বল রাষ্ট্রের ওপর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্য স্থাপন করা। দুর্বল রাষ্ট্রের ওপর আগ্রাসন চালানো দুটিরই মূল বৈশিষ্ট্য ও প্রবনতা। 

(৪.) শোষন ও নিয়ন্ত্রণ 

দখলীকৃত এলাকায় সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক শোষন এবং নিয়ন্ত্রন উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের দুটির ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা যায়। 


(৩.) পারস্পরিক নির্ভরশীলতার সম্পর্ক

সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদ পরস্পর সম্পর্ক যুক্ত। কারন  উপনিবেশবাদের মধ্য দিয়েই সাম্রাজ্যবাদের প্রকাশ ঘটে থাকে। অর্থাৎ সহজ করে বলতে গেলে - 
  • সাম্রাজ্যবাদের অস্তিত্ব উপনিবেশবাদের ওপর নির্ভরশীল।
  • উপনিবেশ হলো সাম্রাজ্যেরই part বা অংশ। 
  • সাম্রাজ্যবাদ হলো মূল ধারনা বা concept, এবং উপনিবেশবাদ হলো সেই concept এর practice বা রূপায়ন। 
  • সাম্রাজ্যের মাধ্যমে উপনিবেশবাদ প্রতিষ্ঠা পায় এবং পুঁজিবাদ প্রসারিত হয়। অন্যদিকে পুঁজিবাদী অর্থনীতি সাম্রাজ্যবাদকে আরোও শক্তিশালী করে তোলে।
সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে তাই উপনিবেশবাদের পারস্পপরিক নির্ভরশীলতার একটি সম্পর্ক আছে। 
  1. উপনিবেশবাদ একটি ধরন হলে তার মূল কারন হলো - সাম্রাজ্যবাদ। 
  2. আবার সাম্রাজ্যবাদ একটি বৈশিষ্ট্য হলে তার লক্ষন হল - উপনিবেশবাদ। 
  3. সাম্রাজ্যবাদ থেকে জন্ম নেয় উপনিবেশবাদ। 
  4. আবার উপনিবেশবাদ প্রসারের মধ্য দিয়ে পুঁজিবাদকে স্ফিত করে আরোও ক্ষমতাশালী হয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার রসদ সংগ্রহ করে সাম্রাজ্যবাদ।
এই কারনে সাম্রাজ্যবাদ শব্দটি ঔপনিবেশবাদের সমার্থক শব্দ হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

পার্থক্যের প্রধান দিক 

কিন্তু বিশুদ্ধ ধারনাগত অর্থে অন্য দেশে বসতি স্থাপন বা সেই দেশের দখলদারিকেই উপনিবেশবাদ বলা হয়। আর সাম্রাজ্যবাদ হলো কোন দেশের ওপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নিয়ন্ত্রন। 
অর্থাৎ - 
  • উপনিবেশবাদকে সার্থকতা প্রদানের জন্য অন্য কোন দেশ বা এলাকায় দখল, প্রত্যক্ষ আধিপত্য স্থাপন,বসতি স্থাপন করা, এগুলি জরুরি। 
  • কিন্তু সাম্রাজ্যবাদ সরাসরি ভূমি দখল, প্রত্যক্ষ আধিপত্য বা নিয়ন্ত্রন স্থাপন না করেও, পরোক্ষ ভাবে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নীতির মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পরোক্ষ চাপ তৈরি করে দূরবর্তী ক্ষেত্র থেকেও রূপায়ন করা সম্ভব।
অর্থাৎ অর্থ, ব্যবহার ও প্রয়োগগত দিক থেকে উপনিবেশবাদের চেয়ে সাম্রাজ্যবাদ অনেক বেশি ব্যপক ও বিস্তৃত। 

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post