ইতিহাস কাকে বলে, তার উত্তর এককথায় দেওয়া সম্ভব নয়। যে যেরকম ভাবে ইতিহাসকে দেখেছেন, যার কাছে ইতিহাস যেভাবে ধরা দিয়েছে, সে সেইভাবেই ইতিহাসকে ব্যাখ্যা করেছেন। এইজন্য আজও ইতিহাসের কোন সর্বজনগ্রাহ্য সংজ্ঞা নেই। এক একজন লেখক, ঐতিহাসিক এক এক রকম ভাবে ইতিহাসকে দেখেছেন, এবং তার মতো করে ইতিহাসের একটা সংজ্ঞা দিয়েছেন।
ইতিহাস কাকে বলে |
আমরা অবশ্য আজ ইতিহাসের সংজ্ঞা নিয়ে চর্বিত চর্বন করবো না, অথবা কাটাছেঁড়া করে ইতিহাসের কোন সর্বজনগ্রাহ্য সংজ্ঞা দেওয়ারও চেষ্টা করবো না। আমরা আজকের আলোচনায় ইতিহাস ঠিক কি, সেটাই একটু বুঝে দেখবার চেষ্টা করবো।
আমাদের ইতিহাসে আকবর, বাবর, ঔরঙ্গজেব, চন্দ্রগুপ্ত আর অশোকদের নিয়ে দাদুর আমল থেকেই চর্চা হয়ে আসছে। অর্থাৎ যে ইতিহাস আমাদের বাপ ঠাকুরদা পড়েছিলেন, সেই একই ইতিহাস আবার আমাদেরও পড়তে হচ্ছে। এইজন্যই বোধহয় ইতিহাসে অনার্স নেওয়া কোন ছেলে ইংরেজিতে বা বাংলায় অনার্স করা ছেলেটির মতো বুক ফুলিয়ে বলতে পারে না, আমি ইতিহাসে অনার্স করছি।
আমার মনে আছে, আমি যখন বাংলা এবং ইংরেজি অনার্স এ পড়বার সুযোগ পেয়েও, ইতিহাসে অনার্স নিয়ে কলেজে ভর্তি হলাম তখন আমার এই সিদ্ধান্তের কথা শুনে আমার দাদু তাচ্ছিল্য করে বলে উঠেছিলেন, ইতিহাস! ইতিহাস মানেই তো সেই আকবর, সেই ঔরঙ্গজেব, সেই অশোক! নতুন কিছুই তুমি শিখবে না। নতুন কিছুই তুমি জানতেও পারবে না। এতো গেলো দাদুর কথা। এবার বাবার কথায় আসি। বাবার প্রতিক্রিয়া ছিলো খুবই সংক্ষিপ্ত এবং তীক্ষ্ণ। বাবা বললেন, মরা মানুষদের পড়ে লাভ কি?
এ তো গেলো ঘরের কথা, এবার আসি বাইরের কথায়। পড়তে গিয়ে অনেক সময়ই অন্য সাবজেক্টে অনার্স নেওয়া সহপাঠীদের কাছে শুনতে হয়েছে, তোদের তো মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে যা ছিলো, এখানেও তা। এসব দেখে, শুনে রাগ হতো ঠিকই, কিন্তু এই কথাগুলো আমার জেদটাকেও বাড়িয়ে দিয়েছিলো।
ইতিহাস নিয়ে পড়লাম। চাকরি পেলাম স্কুলে। সদ্য যোগ দেওয়ার একবছরের মাথায় ইস্কুলের সিলেবাস পরিবর্তন করতে যাচ্ছে সরকার। এই নিয়ে যখন গল্প হতো, অন্য সহকর্মীরা বলে উঠতেন, ইতিহাসে তো ঐ একই জিনিস। আপনাদের কোন সমস্যা হবে না।
বার বার যখন এসব তীর্যক মন্তব্য গুলি শুনতাম, তখন থেকেই মনে প্রশ্ন জাগতো, একই জিনিস, একই বিষয় গুলো ইতিহাসে আমরা যুগের পর যুগ ধরে কেন পড়ছি? এক বলে যেটা মনে হয়, আসলেই কি সেটা এক? বুঝতে সময় লেগেছিলো। কিন্তু যখন বুঝলাম ইতিহাসের প্রতি ভালোবাসাটা আরও অনেকখানি বেড়ে গিয়েছিলো।
এখন ইতিহাস ঠিক কি, এটা বুঝতে গেলে আমাদের ইতিহাসের বুৎপত্তিগত অর্থের ব্যাখ্যা থেকেই বিষয়টা বুঝতে হবে।
ইতিহাসের বুৎপত্তিগত অর্থ ও সংজ্ঞা :-
(১.) ইতিহাস শব্দটি এসেছে "ইতিহ" এবং "আস" এই দুটি শব্দ থেকে। "ইতিহ" শব্দটির অর্থ হলো- পরম্পরা বা ঐতিহ্য।
- পরম্পরা কথাটির অর্থ হলো, যেটা দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে বা প্রবাহিত হচ্ছে।
- "আস" শব্দটির অর্থ হলো, যা প্রকাশ পেয়েছে।
(২.) প্রত্যয় বিভক্তিতে ইতিহাস কথাটি দাঁড়ায় - ইতিহ +আস, যার অর্থ" = এমনটি ছিলো বা ঘটেছিল।"
অর্থাৎ (অতীতের) ঘটনাটি যেমন ঘটেছিল, ঘটনাটিকে সেই ভাবে তুলে ধরার অর্থই হলো ইতিহাস।
(৩.) অন্যদিকে ইংরেজিতে ইতিহাস শব্দটির পরিভাষা হলো "History"। এই শব্দটি এসেছে, গ্রীক শব্দ "Historia"থেকে, যার অর্থ - অনুসন্ধান করা বা সত্যের খোঁজ অথবা সত্যকে জানা।
এখন ইংরেজিতে এবং বাংলাতে ইতিহাস শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থ থেকে আমরা যে মূল বিষয়গুলি পাচ্ছি,সেগুলো হল -
- অনুসন্ধান করা,
- সত্যকে জানা,
- অতীতের ঘটনাটি যেমন ঘটেছিলো, সেটিকে সেভাবেই তুলে ধরা। আরেকটু সহজ ভাষায় বললে, প্রকৃত অতীত যেমন ছিলো, তাকে সেভাবেই তুলে ধরা।
প্রখ্যাত জার্মান ঐতিহাসিক লিওপোল্ড ফন র্যাঙ্কে (যাকে আধুনিক ইতিহাস চর্চার জনক বলা হয়) ইতিহাসের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে তাই বলেছেন -
"প্রকৃতপক্ষে যা ঘটেছিলো, তার অনুসন্ধান এবং বিবরনই হলো ইতিহাস"।
অর্থাৎ অতীতটা ঠিক যেমন ছিলো, তাকে সেইভাবেই উপস্থাপন করা বা তুলে ধরা ই হলো ইতিহাস।
বিশ্বের প্রথম ইতিহাস গ্রন্থ লিখেছিলেন হেরোডোটাস। গ্রন্থটির নাম ছিলো "Historia"। গ্রিক এবং পারসিকদের মধ্যেকার সংঘর্ষের বিষয়কে অবলম্বন করে তিনি এই গ্রন্থ লেখেন। এই বিশেষ কৃতিত্বের জন্য সিসেরো হেরোডোটাসকে "ইতিহাসের জনক" বলে অভিহিত করেছিলেন। হেরোডোটাসের পর ইতিহাস লিখতে এগিয়ে এসেছিলেন, থুকিডিডিস। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ছিলো - "পেলোপনেসীয় যুদ্ধের ইতিহাস"। ইতিহাস চর্চায় তিনি সমালোচনা পদ্ধতির প্রয়োগ করেন। আধুনিক যুগে ইতিহাস চর্চাকে বিজ্ঞান সম্মত করে তোলেন জার্মানির লিওপোল্ড ভন র্যাঙ্কে।
ইতিহাসের ৪টি মূল স্তম্ভ :-
ইতিহাস দাড়িয়ে আছে চারটি স্তম্ভের ওপর -
- তথ্য বা উপাদান,
- যুক্তি বা ঘটনার কার্যকারন সম্বন্ধ,
- তথ্য এবং যুক্তির মিশেলে বিশ্লেষন, এবং
- দৃষ্টিভঙ্গি।
ইতিহাসের এই চারটি পিলারের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো দৃষ্টিভঙ্গি। ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিককে হতে হবে, নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো,নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি কোন কালেই সম্ভব নয়। কারন প্রত্যেক যুগেই নির্দিষ্ট ভাবনা চিন্তা থেকেই জন্ম নেয় নতুন নতুন দৃষ্টিভঙ্গি। এই দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী ইতিহাসকে দেখা হয়। ফলে বারে বারে বদলে যায় ইতিহাসের মূল্যায়ন। তার সংজ্ঞা, ব্যাখ্যা এবং বিশ্লেষন।
ইতিহাস চর্চায় দৃষ্টিভঙ্গি :-
সময়ের হাত ধরে ইতিহাস চর্চায় এসেছে -
- ঔপনিবেশিক দৃষ্টিভঙ্গি ( যেখানে সাম্রাজ্যবাদের সমর্থনে অতীতের ঘটনাকে সাজিয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছিলো।)
- জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ( যেখানে ঔপনিবেশিক দৃষ্টিভঙ্গির বিরোধীতা করে এমন ভাবে অতীতের ঘটনাকে সাজিয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়, যা দেশপ্রেমের জাগরন ঘটিয়েছিলো।)
- মার্কসবাদী দৃষ্টিভঙ্গি (যেখানে উপরোক্ত দুই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যাবতীয় ঘটনাকে অর্থনীতি এবং শ্রেনিগত লড়াইয়ের ভিত্তিতে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছিলো।)
- নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চার ধরন বা নিন্মবর্গের ইতিহাস চর্চার দৃষ্টিভঙ্গি। (যেখানে রাজা মহারাজা কেন্দ্রীক ইতিহাসের বদলে সাধারন মানুষকে কাল, সময় ও সভ্যতার মূল চালিকাশক্তি হিসাবে দেখানো হচ্ছে।)
যুগের বদলের সাথে সাথে যেমন দৃষ্টিভঙ্গির বদল ঘটে। তেমনি প্রত্যেক ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যেও পার্থক্য আছে। ফলে ব্যক্তিগত ভেদে ইতিহাস রচনার মধ্যেও পার্থক্য দেখা যায়। তাই তো আমাদের ইতিহাস বই গুলো একই রকম না হয়ে ব্যাখ্যা, বর্ননা, বিশ্লেষণ এবং উপস্থাপনায় আলাদা আলাদা হয়ে যায়।
অতীত দর্শনের অনুশীলন:-
ইতিহাসে উপাদানের সাক্ষ্যে আমরা অতীতকে দর্শন করার চেষ্টা করি। তথ্য বা উপাদান এবং দৃষ্টিভঙ্গির মিশেলে আমরা অতীতকে নির্মান করার চেষ্টা চালায়। ব্যাপারটা অনেকটা গৌতম বুদ্ধের মূর্তি নির্মানের মতো।
গৌতম বুদ্ধের মূর্তি তার মৃত্যুর কয়েকশো বছর পর তৈরি করা হয়েছিলো। মূর্তি তৈরি করবার আগে শিল্পিরা অনেক বিশেষজ্ঞ ব্যক্তির সাহায্য নিয়েছিলেন। যাদের কাছে উত্তরাধিকার সূত্রে বুদ্ধদেব দেখতে কেমন ছিলেন, সে সম্পর্কে তথ্য ছিলো। এদের কেউ বলেছিলেন, বুদ্ধদেবের চোখ এই রকম দেখতে ছিলো, নাক ছিলো এইরকম, মুখমন্ডল ছিল এমন ইত্যাদি। তাদের প্রদত্ত সেই তথ্য এবং কল্পনার সংমিশ্রনে শিল্পিরা তৈরি করলেন বুদ্ধদেবের মূর্তি।
এখন প্রশ্ন হলো, প্রদত্ত তথ্যের নিরিখে যে মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছিলো, সেটিই কি parfact বুদ্ধদেবের মূর্তি? Original বুদ্ধদেবের মূর্তি? তা তো নয়! তথ্য আর দৃষ্টিভঙ্গির সাহায্যে ইতিহাসের নির্মানটাও এমন। মূর্তিতে বুদ্ধ দর্শনের মতোই আমাদের ইতিহাসের অতীত দর্শন।
আবার অনন্ত সময়কালের সব ঘটনাবলীর কথা তথ্য বা উপাদান ধরেও রাখতে পারে না। ঠিক যেমন আমরা সব স্মৃতিকে ধরে রাখতে পারি না।
আসলে ইতিহাস হলো আয়নার মতো, যেখানে আমরা সম্পূর্ন অতীতকে দর্শন করার চেষ্টা করি। কিন্তু পারি না। কারন আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। যেমন দৃষ্টিভঙ্গির সীমাবদ্ধতা। ঠিক তেমনি কালেরও সীমাবদ্ধতা আছে। কাল বা সময়কাল তাঁর অনন্ত ঘটনাপ্রবাহকে তথ্যে বেঁধে রাখতে পারে না। যেটুকু পারে, সেটুকুই আমরা দর্শন করি।
তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম ইতিহাস অতীতকে নিয়ে চর্চার একটি বিষয়। ইতিহাস চর্চার মধ্য দিয়ে আমরা প্রকৃত অতীত আর সত্যের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে চাইছি, কিন্তু তথ্য আর দৃষ্টিভঙ্গির সীমাবদ্ধতার জন্য পারছি না, তাই ইতিহাসের চরিত্র, এবং ঘটনাকে এক রেখে যুগ যুগান্ত ধরে এর চর্চা হয়ে চলেছে, এবং এই চর্চা চলতেই থাকবে।
একই ইতিহাস কেন বার বার পড়ি?
এই জন্যই ঔরঙ্গজেব আমার দাদুর কাছে যেভাবে ধরা দিয়েছিলেন, আমার বাবার কাছে সেভাবে ধরা দেন নি। আবার আমি বর্তমানে অন্য ঔরঙ্গজেবকে দেখি। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা আরোও পরিষ্কার ভাবে বোঝা যাবে। ঔরঙ্গজেব মন্দির ভেঙ্গেছিলেন, এটা ইতিহাসের একটা fact বা ঘটনা। এখন কেন তিনি মন্দির ভেঙ্গেছিলেন? এর কার্যকারন সম্বন্ধ খুঁজতে গিয়ে ঔপনিবেশিক দৃষ্টিভঙ্গির ঐতিহাসিকরা বলেন, ঔরঙ্গজেব ধর্মান্ধ ছিলেন। তাই ভেঙ্গেছিলেন। জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির ঐতিহাসিকরা বললেন, ঔরঙ্গজেবের আমলে মন্দির গুলো মুঘল শাসন উচ্ছেদের জন্য রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মূল কেন্দ্রে পরিনত হয়েছিলো। তাই মন্দির গুলোর ওপর আঘাত নেমে এসেছিলো। ঔরঙ্গজেব কিছু মন্দিরের সংস্কারের জন্য টাকাও দিয়েছিলেন। তাই ওপর থেকে ঔরঙ্গজেবকে যতটা ধর্মান্ধ দেখানো হয়েছে, তিনি আদৌ ততটা ছিলেন না।
এখানে যেটা বলার, ইতিহাসের চরিত্র এবং ঘটনা এক থাকছে। কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গি আর তথ্যের জন্য ইতিহাসের ব্যাখ্যা, এবং চরিত্র গুলো বদলে যাচ্ছে। ফলত, আমার দাদু আর আমি দুজনেই ঔরঙ্গজেব পড়লাম। কিন্তু দাদুর কাছে ঔরঙ্গজেব এসে ধরা দিলো সাম্প্রদায়িক রূপে। আর আমার কাছে ঔরঙ্গজেব ধরা দিলেন সম্পূর্ণ অন্য রূপে। এইটাই হলো ইতিহাস এবং তার পরিবর্তন। আশা করি বোঝাতে পারলাম, একই ইতিহাস কেন আমরা বার বার পড়ি।
শেষকথা :-
অতীতকে জানবার এবং বোঝবার ইতিহাসের নিজস্ব কিছু পদ্ধতি আছে, যাকে ইতিহাসবিদ্যা বা Historiography বলা হয়।এখন প্রশ্ন হলো, ইতিহাস কাদের নিয়ে চর্চা করে? এর পরিধি কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত?
এর উত্তরে বলা যায়, মানুষ এবং মানুষের দ্বারা সম্পাদিত সব বিষয়ই ইতিহাসের বিষয়বস্তুর মধ্যে পড়ে। যেমন, প্রাগৈতিহাসিক যুগে মানুষের কর্মকান্ড আত্মরক্ষা আর খাদ্য সংগ্রহের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো। এই সময়ের ইতিহাস তাই এই দুটো দিকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো। পরবর্তীকালে মানুষ উৎপাদনের জীবনে প্রবেশ করলো। উৎপাদন মানুষকে সভ্যতার দিকে টেনে নিয়ে গেলো। ক্রমে শিল্প সংস্কৃতির জন্ম হলো। রাষ্ট্র, রাজতন্ত্রের জন্ম হলো, যুদ্ধ ও ক্ষমতা দখল একটি অভ্যাস ও বৈশিষ্ট্যে পরিনত হলো। ফলে ইতিহাসের আলোচনার পরিধিও বাড়তে থাকলো।