![]() |
ইবন বতুতা - MCQ |
মডেল প্রশ্নোত্তর :-
(১.) ইবন বতুতা ভারতে এসেছিলেন - (a) দশম শতকে (b) একাদশ শতকে (c) ত্রয়োদশ শতকে (d)চতুর্দশ শতকে।
উত্তর :- (d)চতুর্দশ শতকে।
(২.) "কিতাব - উল - রেহলা" কার ভ্রমন বৃত্তান্ত ছিলো? - (a) ইবন বতুতা (b) আলবেরুনী (c) আব্দুল রাজ্জাক (d) আমির খসরু।
উত্তর :- (a) ইবন বতুতা।
(৩.) ইবন বতুতা কোন দেশ থেকে ভারতে আসেন? - (a) উজবেকিস্তান (b) আফ্রিকার মরক্কো (c) সুদান (d) ভেনিস।
উত্তর :- (b) আফ্রিকার মরক্কো।
(৪.) ইবন বতুতা দিল্লিতে কি নামে পরিচিত ছিলেন? - (a) আবু আবদুল্লাহ মহম্মদ (b) ইবন মহম্মদ (c) মৌলানা আবু বতুতা (d) মৌলানা বদরুদ্দিন ।
উত্তর :- (d) মৌলানা বদরুদ্দিন ।
(৫.) আবু আবদুল্লাহ মহম্মদ কি নামে অধিক পরিচিত ছিলেন? - (a) ইবন বতুতা (b) আব্দুল রজ্জাক(c) মহম্মদ বিন তুঘলক (d) আলবেরুনী।
উত্তর :- (a) ইবন বতুতা।
(৬.) ইবন বতুতা সিন্ধ প্রদেশে পৌঁছেছিলেন - (a) ১৩৩২ খ্রিঃ (b) ১৩৪২ খ্রিঃ (c) ১২৩৩ খ্রিঃ (d) ১৩৩৩ খ্রিঃ।
উত্তর :- (d) ১৩৩৩ খ্রিঃ ।
(৭.) ইবন বতুতা ভারতে ছিলেন - (a) ১২ বছর (b) ১৩ বছর (c) ১৪ বছর (d) ১৫ বছর।
উত্তর :- (c) ১৪ বছর
(৮.) ইবন বতুতা কতদিন দিল্লির কাজির পদে কর্মরত ছিলেন? - (a) ৫ বছর (b) ৭ বছর (c) ৮ বছর (d) ১২ বছর।
উত্তর :- (b) ৭ বছর।
(৯..) মহম্মদ বিন তুঘলকের দূত হিসাবে ইবন বতুতা চিন যাত্রা করেন - (a) ১৩৪২ খ্রিঃ (b) ১৪৪৯ খ্রিঃ (c) ১৩৪৭ খ্রিঃ (d) ১৩৫৪ খ্রিঃ ।
উত্তর :- (a) ১৩৪২ খ্রিঃ।
(১০.) ইবন বতুতা "কিতাব - উল - রেহলা" গ্রন্থটি রচনা করেন - (a) ১৩৩৩ খ্রিঃ (b) ১৩৪২ খ্রিঃ (c) ১৩৪৭ খ্রিঃ (d) ১৩৫৪ খ্রিঃ।
উত্তর :- (d) ১৩৫৪ খ্রিঃ।
(১১.) ইবন বতুতার ভ্রমন বৃত্তান্তটি লিপিবদ্ধ করেন - (a) ইবন বতুতা নিজে (b) মরক্কোর সুলতান (c) ইবন জুজায়ি /ইবন জুয়াই (d) বিন তুঘলক।
উত্তর :- (c) ইবন জুজায়ি /ইবন জুয়াই।
(১২.) কোন পর্যটককে "The Islamic Marco Polo" নামে অভিহিত করা হয়? - (a) ইবন বতুতাকে (b) আলবেরুনীকে (c) আব্দুল রাজ্জাককে (d) আল মাসুদি কে।
উত্তর :- (a) ইবন বতুতাকে।
(১৩.) ইবন বতুতা ভ্রমনের উদ্দেশ্যে গৃহত্যাগ করেন - (a) ১৩২৪ খ্রিঃ (b) ১৩২৫ খ্রিঃ (c) ১৩২৭ খ্রিঃ (d) ১৩৩৩খ্রিঃ।
উত্তর :- (b) ১৩২৫ খ্রিঃ।
(১৪.) ইবন বতুতা নিন্মলিখিত কোন সময়কাল পর্যন্ত ভারতে অবস্থান করেন? - (a) ১৩২৫ - ১৩৪৭ খ্রিঃ (b)১৩৩৩ - ১৩৪২ খ্রিঃ (c) ১৩৩৩ - ১৩৪৭ খ্রিঃ (d) ১৩৩৩ - ১৩৫৪ খ্রিঃ।
উত্তর :- (c) ১৩৩৩ - ১৩৪৭ খ্রিঃ।
(১৫.) ইবন বতুতার দেখা প্রথম ভারতীয় শহরটি ছিলো - (a) মূলতান (b) শিবিস্তান (c) দিল্লি (d) জনানি।
উত্তর :- (d) জনানি।
(১৬.) ইবন বতুতা ইসলামি প্রাচ্যের সবচেয়ে সুন্দর ও বৃহৎ শহর বলে অভিহিত করেন - (a) মক্কাকে (b) দৌলতাবাদকে (c) দিল্লিকে (d) পিকিং কে।
উত্তর :- (c) দিল্লিকে।
(১৭.) ইবন বতুতার মতে দিল্লি ________টি শহরের সমষ্টি ছিলো। - (a) ৪ টি (b) ২ টি (c) ৫ টি (d) ৭ টি।
উত্তর :- (a) ৪ টি।
(১৮.) ইবন বতুতার মতে সমগ্র দিল্লি নগরীতে ______টি দরওয়াজা ছিলো । - (a) ২০ টি (b) ২৮ টি (c) ৪ টি (d) ১২ টি।
উত্তর :- (b) ২৮ টি।
(১৯.) উলাক ছিলো - (a) ঘোড়ার পিঠে বয়ে নিয়ে যাওয়া ডাক (b) পায়ে হেঁটে বয়ে নিয়ে যাওয়া ডাক (c) হস্তিবাহিনীর প্রধান অধ্যক্ষ (d) সুলতানি যুগের গুপ্তচর।
উত্তর :- (a) ঘোড়ার পিঠে বয়ে নিয়ে যাওয়া ডাক।
(২০.) সুলতানি যুগে পায়ে হেঁটে মানুষের বয়ে নিয়ে যাওয়া ডাকের কি নাম ছিলো? - (a) উলাক (b) উজির(c) দাওয়া (d) সন্দেশ বাহক।
উত্তর :-(c) দাওয়া।
(২১.) ইবন বতুতা বাংলার কোন নদীকে "নীল নদী" বলে বর্ননা করেন? - (a) গঙ্গা নদী (b) পদ্মা নদী (c) ফেনী নদী (d) মেঘনা নদী।
উত্তর :- (d) মেঘনা নদী।
(২২.) ইবন বতুতা অন্ধকারাচ্ছন্ন দেশ নামে অভিহিত করেন - (a) আফ্রিকাকে (b) বাংলাদেশকে (c) চিনকে (d) মূলতানকে।
উত্তর :-(b) বাংলাদেশকে।
(২৩.) ইবন বতুতা ভালো জিনিসে পরিপূর্ন একটি নরক বলে অভিহিত করেন - (a) মালদ্বীপকে (b) শ্রীলঙ্কাকে (c) বাংলাদেশকে (d) কালিকট বন্দরকে।
উত্তর :- (c) বাংলাদেশকে।
(২৪.) "গাজি মালিক" কার উপাধি ছিলো? - (a) মহম্মদ বিন তুঘলকের (b) ইবন বতুতার (c) গিয়াসউদ্দিন তুঘলকের (d) আলাউদ্দিন খলজির।
উত্তর :- (c) গিয়াসউদ্দিন তুঘলকের।
(২৫.) ইবন বতুতা যখন ভারতে আসেন তখন দিল্লির সুলতান ছিলেন - (a) আলাউদ্দিন খলজি (b) গিয়াসউদ্দিন তুঘলক (c) মহম্মদ বিন তুঘলক (d) ফিরোজ তুঘলক।
উত্তর :- (c) মহম্মদ বিন তুঘলক।
(২৬.) ইবন বতুতা বাংলাদেশ আগমনের সময় বাংলার সুলতান ছিলেন - (a) সুলতান ফকরউদ্দিন (b) মজনু শাহ (c) সুলতান আলাউদ্দিন শাহ (d) শেখ ইব্রাহিম লোদী।
উত্তর :- (a) সুলতান ফকরউদ্দিন।
(২৭.) ইবন বতুতা দরবেশ শেখ জালালউদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন - (a) দিল্লিতে (b) শ্রীহট্টে (c) চিনে (d) দৌলতাবাদে।
উত্তর :- (b) শ্রীহট্টে।
(২৮.) কোন সুফি সাধকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারনে ইবন বতুতার সঙ্গে মহম্মদ বিন তুঘলকের বিরোধ দেখা গিয়েছিলো? - (a) শেখ শিহাবুদ্দিন (b) শেখ কামালউদ্দিন সালার মাসুদ (c) শেখ সামসুদ্দিন (d) শেখ জালালউদ্দিন।
উত্তর :- (a) শেখ শিহাবুদ্দিন।
(২৯.) ইবন বতুতার ভারতের কোন ফলকে মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে তুলনা করেন? - (a) বেল (b) সুপারি (c) নারকেল (d) আনারস।
উত্তর :- (c) নারকেল।
(৩০.) ইবন বতুতার জন্মগ্রহন করেন - (a) ১৩০৪ খ্রিঃ মরক্কোর তাঞ্জিয়ার শহরে (b) ১৩০৫ খ্রিঃ আফ্রিকার সুদানে (c) ১৩০৪ খ্রিঃ তুরস্কে (d) ১৩০৭ খ্রিঃ কাবুলে।
উত্তর :- (a) ১৩০৪ খ্রিঃ মরক্কোর তাঞ্জিয়ার শহরে।
(৩১.) "কিতাব - উল - রেহলা" গ্রন্থটি কটি অধ্যায়ে বিভক্ত ছিলো? - (a) ৫০ টি (b) ৬০ টি (c) ৭০ টি (d) ৮০ টি।
উত্তর :- (d) ৮০ টি।
(৩২.) ইবন বতুতা ভারতে প্রবেশ করেন - (a) মধ্য এশিয়া হয়ে জলপথে (b) মধ্য এশিয়া হয়ে স্থলপথে (c) দক্ষিণ ভারত হয়ে জলপথে (d) পূর্ব ভারত হয়ে জলপথে।
উত্তর :- (b) মধ্য এশিয়া হয়ে স্থলপথে।
(৩৩.) ইবন বতুতা ভারতের কোন অঞ্চলে সবচেয়ে সস্তা জিনিস পত্রের বাজার দেখেছিলেন - (a) দিল্লি (b) দৌলতাবাদ (c) বাংলা (d) মালাবার অঞ্চলে।
উত্তর :- (c) বাংলা।
(৩৪.) ইবন বতুতার মূলতান থেকে দিল্লি যেতে সময় লেগেছিলো - (a) ৪০ দিন (b) ৫০ দিন (c) ৬০ দিন (d) ৩০ দিন।
উত্তর :- (a) ৪০ দিন।
(৩৫.) ইবন বতুতার সিন্ধু থেকে দিল্লি যেতে সময় লেগেছিলো - (a) ৪০ দিন (b) ৫০ দিন (c) ৬০ দিন (d) ৩০ দিন।
উত্তর :- (b) ৫০ দিন।
(৩৬.) ইবন বতুতার মতে দৌলতাবাদ থেকে দিল্লি যেতে সময় লাগতো - (a) ৪০ দিন (b) ৫০ দিন (c) ৬০ দিন (d) ৩০ দিন।
উত্তর :- (a) ৪০ দিন।
(৩৭.) ইবন বতুতার মতে গোয়ালিয়র থেকে দিল্লি যেতে লাগতো- (a) ৪০ দিন (b) ৫০ দিন (c) ৬০ দিন (d) ১০ দিন।
উত্তর :- (d) ১০ দিন।
(৩৮.) "হাজার উস্তুন" ছিলো - (a) মহম্মদ বিন তুঘলকের দরবার কক্ষ (b) মহম্মদ বিন তুঘলকের বিশ্রাম প্রাসাদ (c) দৌলতাবাদের ইসলামিক সৌধ (d) দিল্লির মসজিদ।
উত্তর :- (a) মহম্মদ বিন তুঘলকের দরবার কক্ষ।
(৩৯.) ইবন বতুতার ভারত ভ্রমনকালে নিন্মলিখিত কোন এলাকাটি দিল্লি সুলতানির অন্তর্ভুক্ত ছিলো না? - (a) মালাবার উপকূল (b) দৌলতাবাদ (c) মূলতান অঞ্চল (d) গুজরাট।
উত্তর :- (a) মালাবার উপকূল।
(৪০.) ইবন বতুতা বাংলার সর্বপ্রথম কোন বন্দরে পদাপর্ন করেন? - (a) সুদকাওয়ান (b) লক্ষনাবতী (c) ঢাকা (d) সিলেট।
উত্তর :- (a) সুদকাওয়ান (চট্টগ্রাম)।
(৪১.) কালিকট বন্দর থেকে ইবন বতুতা কোথায় পৌঁছান - (a) আসাম (b) মালদ্বীপ (c) কুইলন (d) সিংহল।
উত্তর :- (b) মালদ্বীপ।
(৪২.) মহম্মদ বিন তুঘলকের দূতহিসাবে ইবন বতুতা যান - (a) সিংহলে (b) আফ্রিকায় (c) পারস্যে (d) চিন দেশে।
উত্তর - (d) চিন দেশে।
(৪৩.) ইবন বতুতা কোন নদীকে "পানজ্ আব" বলে উল্লেখ করেন?- (a) সিন্ধু নদীকে (b) গঙ্গা নদীকে (c) মেঘনা নদীকে (d) শোন নদীকে।
উত্তর :- (a) সিন্ধু নদীকে।
(৪৪.) ইবন বতুতা তাঁর দেশভ্রমন সমাপ্ত করে দেশে ফিরে যান - (a)১৩৪৭ খ্রিঃ (b) ১৩৪৯ খ্রিঃ (c) ১৩৫৪ খ্রিঃ (d) ১৩৬০ খ্রিঃ।
উত্তর :- (c) ১৩৫৪ খ্রিঃ।
(৪৫.) ইবন বতুতার মতে কালিকটের রাজা জনগনের কাছে কি নামে পরিচিত ছিলেন? - (a) সুলতান (b) সামুরি (c) আজিসস (d) নবাব।
উত্তর :- (b) সামুরি।
একঝলকে মনে রাখার মতো কিছু সংক্ষিপ্ত তথ্য :-
(১.) নাম ও উপাধি :-
ইবন বতুতার -
- পারিবারিক নাম ছিলো - বতুতা।
- প্রকৃত নাম ছিলো - আবু আবদুল্লাহ মহম্মদ।
- দিল্লিতে পরিচিত ছিলেন - মৌলানা বদরুদ্দিন নামে।
- উপাধি ছিলো - "The Islamic Marco Polo" /The Traveller of Islam নামে।
(২.) পারিবারিক পরিচয় :-
- জন্ম হয় - ১৩০৪ খ্রিঃ মরক্কোর তাঞ্জিয়ার শহরে।
- পিতার নাম ছিলো - আবদুল্লাহ ইবন মহম্মদ।
- মৃত্যু হয় - ১৩৬৯/১৩৭৭ খ্রিঃ ফেজ নামক শহরে।
(৩.) ভ্রমন বৃত্তান্ত সংক্রান্ত তথ্য :-
- নাম ছিলো - "কিতাব - উল - রেহলা"
- লেখা হয়েছিলো - আরবি ভাষায়।
- গ্রন্থটি লিপিবদ্ধ করেন - ইবন জুয়াই।
- গ্রন্থটি রচিত হয় - ১৩৫৪ খ্রিঃ।
- গ্রন্থটির অধ্যায় ছিলো - ৮০ টি।
(৪.) ইবন বতুতার দেশভ্রমন সংক্রান্ত তারিখ/সাল সমূহ :-
- ইবন বতুতা বিদেশ ভ্রমণের জন্য গৃহত্যাগ করেন - ১৩২৫ খ্রিঃ ২১ বছর বয়সে।
- ইবন বতুতা সিন্ধু /মুলতান /দিল্লি /ভারতে প্রবেশ করেন - ১৩৩৩ খ্রিঃ।
- ইবন বতুতা ভারতে ছিলেন - ১৩৩৩ খ্রিঃ থেকে ১৩৪৭ পর্যন্ত মোট ১৪ বছর।
- মহম্মদ বিন তুঘলকের দূত হিসাবে ইবন বতুতাকে চিনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় - ১৩৪২ খ্রিঃ।
- ইবন বতুতা তাঁর ভ্রমন শেষে নিজ দেশে ফিরে যান - ১৩৫৪ খ্রিঃ।
(৫.) ইবন বতুতার ভারত ভ্রমন সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও বক্তব্য :-
- ইবন বতুতা বিশ্ব ভ্রমণ শুরু করেন - ২১ বছর বয়সে।
- ইবন বতুতার সামগ্রিক ভ্রমনকাল ছিলো - ২৪ বছর।
- ইবন বতুতা ভারতে আসেন - চতুর্দশ শতাব্দীতে।
- ইবন বতুতার ভারত আগমনের সময় দিল্লির সুলতান ছিলেন - মহম্মদ বিন তুঘলক।
- ইবন বতুতার বাংলাদেশ আগমনের সময় বাংলার সুলতান ছিলেন - ফকরউদ্দিন।
- ইবন বতুতার দেখা প্রথম ভারতীয় শহর ছিলো - জনানি।
- ইবন বতুতা লাহোর বন্দর শহরকে বলেন - "একটি মন ভোলানো শহর।"
- ইবন বতুতার মতে ইসলামি প্রাচ্যের সবচেয়ে সুন্দর ও বড়ো শহর ছিলো - দিল্লি।
- ইবন বতুতার মতে দিল্লি শহর ছিলো - চারটি শহরের সমষ্টি। এগুলি হলো যথাক্রমে - হিন্দুদের তৈরি পুরোনো দিল্লি বা ইন্দ্রপ্রস্থ, আলাউদ্দিন খলজির সিরি, গিয়াসউদ্দিন তুঘলক প্রতিষ্ঠিত তুঘলকাবাদ এবং সুলতান মহম্মদ বিন তুঘলকের তৈরি জাহানপনাহ
- দিল্লি শহরে প্রবেশের জন্য ছিলো - ২৮ টি দরওয়াজা।
- ইবন বতুতাকে দিল্লিতে কাজি হিসাবে নিযুক্ত করেন - মহম্মদ বিন তুঘলক।
- ইবন বতুতা দিল্লির কাজি পদে চাকুরি করেন - ৭ বছর।
- ইবন বতুতাকে সুলতানি যুগের ইতিহাস বলেছিলেন - দিল্লির প্রধান কাজি শেখ কামালউদ্দিন।
- সুলতানি যুগে ঘোড়ায় পিঠে বয়ে নিয়ে যাওয়া ডাককে বলা হতো - উলাক।
- সুলতানি যুগে পায়ে হেঁটে মানুষের বয়ে নিয়ে যাওয়া ডাককে বলা হতো - দাওয়া।
- ইবন বতুতা মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে তুলনা করেন - নারকেল কে।
- মালাবার উপকূলের বৃহত্তম বন্দর ছিলো - কালিকট।
- ইবন বতুতা পানজ্ আব নামে অভিহিত করেন - সিন্ধু নদীকে।
- ইবন বতুতা নীল নদী বলে অভিহিত করেন - মেঘনা নদীকে।
- ইবন বতুতা রক্তপিপাসু সম্রাট বলে অভিহিত করেন - মহম্মদ বিন তুঘলককে।
- ইবন বতুতার সঙ্গে মহম্মদ বিন তুঘলকের সম্পর্কের অবনতি ঘটে - দিল্লির দরবেশ শেখ শিহাবুদ্দিনের কারনে।
- সন্দাবুর দ্বীপের বর্তমান নাম হলো - গোয়া।
- ইবন বতুতার মতে কালিকটের হিন্দু রাজাকে ডাকা হতো - সামুরি নামে।
- ইবন বতুতা ২০০০ টি প্রবাল দ্বীপ দেখেছিলেন - মালদ্বীপে ।
- ইবন বতুতা দুই বার করে ভ্রমন করেন - কালিকট ও মালদ্বীপ।
- সুদকাওয়ানের /চাটগাঁও এর বর্তমান নাম হলো - চট্টগ্রাম।
- ইবন বতুতা "দোজখ - ই - পুর নিয়ামত" (ভালো জিনিসে পরিপূর্ন একটি নরক) নামে অভিহিত করেন - বাংলাদেশকে।
- ইবন বতুতা অন্ধকারাচ্ছন্ন দেশ নামে অভিহিত করেন - বাংলাদেশকে।
- ইবন বতুতা পৃথিবীর সবচেয়ে সস্তা বাজার দেখেছিলেন - বাংলাদেশে।
- ইবন বতুতা বাংলায় প্রথম পদাপর্ন করেন - চট্টগ্রাম বন্দরে।
- ইবন বতুতার ভ্রমনকালে সুলতানি শাসনের বাইরে ছিলো - মালাবার উপকূল।
- ইবন বতুতা চিনে গিয়েছিলেন - মহম্মদ বিন তুঘলকের দূত হিসাবে।
- ইবন বতুতা চিনের যে বন্দরে পদাপর্ন করেন তাঁর নাম ছিলো - জাইটুন বন্দর (বর্তমান নাম কোয়াংঝাউ)।
- ইবন বতুতার চিন ভ্রমন কালে চিন শাসন করতো - মোঙ্গলরা।
- ইবন বতুতা ১২ টি স্বাধীন হিন্দু রাজ্য দেখেছিলেন - মালাবার অঞ্চলে।
- ইবন বতুতার মতে ভারতে ধানের চাষ হতো - ৩ বার।
(৬.) মহম্মদ বিন তুঘলক(১৩২৫ - ৫১) সম্পর্কিত কিছু তথ্য :-
- দিল্লির সিংহাসনে বসেন - ১৩২৫ খ্রিঃ।
- দিল্লি শাসন করেন - ১৩২৫ - ১৩৫১ খ্রিঃ পর্যন্ত।
- তিনি তাঁর রাজত্বকালে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। যার মধ্যে অন্যতম ছিলো - দোয়াব অঞ্চলে কর বৃদ্ধি, দিল্লি থেকে দৌলতাবাদে রাজধানী স্থানান্তর, তাম্র মুদ্রা প্রচলন, খোরাসান ও কারাজল অভিযান ইত্যাদি।
- মহম্মদ বিন তুঘলক রাজধানী স্থানান্তর করেন - ১৩২৭ খ্রিঃ ।
- মহম্মদ বিন তুঘলকের আমলে আফ্রিকার মরক্কো থেকে আসেন - ইবন বতুতা।
- তাঁর ভারত আগমনের সময় সুলতান রাজধানী দৌলতাবাদ থেকে পুনরায় ফিরিয়ে আনেন - দিল্লিতে।
- মহম্মদ বিন তুঘলকের চারিত্রিক দ্বিচারিতা ও অস্থির মতির জন্য তাকে বলা হয় - পাগলা রাজা।
- মহম্মদ বিন তুঘলকের দরবার কক্ষকে বলা হতো - হাজার উস্তুন (হাজার সুতুন)।
- মহম্মদ বিন তুঘলক দিল্লিতে প্রতিষ্ঠা করেন - জাহানপনহা নগর।
- মহম্মদ বিন তুঘলকের মাতার নাম ছিলো - মখদুম জাহান।
- কৃষির উন্নতির জন্য মহম্মদ বিন তুঘলক প্রতিষ্ঠিত করেন - "আমির - ই - কোহি" নামক কৃষি বিভাগ।
(৭.) ইবন বতুতার মতে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রাজধানী দিল্লির ভ্রমনপথ/ দিন :-
- সিন্ধু থেকে দিল্লি যেতে লাগতো - ৫০ দিন।
- সিন্ধুর রাজধানী মূলতান থেকে দিল্লি যেতে লাগতো - ৪০ দিন।
- নতুন রাজধানী দৌলতাবাদ থেকে দিল্লি যেতে লাগতো - ৪০ দিন।
- গোয়ালিয়র থেকে দিল্লি যেতে লাগতো - ১০ দিন।