ইতিহাসের উপাদান : গুহাচিত্র

ইতিহাসের উপাদান - গুহাচিত্র
ইতিহাসের উপাদান - গুহাচিত্র 

(i.) প্রাগৈতিহাসিক যুগের গুহাচিত্রের সংক্ষিপ্ত পরিচয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :- 

(১.) প্রাগৈতিহাসিক যুগের ইতিহাস রচনার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক উপাদান হলো গুহাচিত্র

(২.) প্রাগৈতিহাসিক কালে আদিম মানুষ ছিলো যাযাবর। এই সময় প্রচন্ড ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে অথবা হিংস্র পশুর হাত থেকে নিরাপদ আশ্রয় ও বিশ্রাম গ্রহণের জন্য তারা গুহাতে আশ্রয় নিতো। 

(৩.) আদিম মানুষ গুহার অমসৃন দেয়ালে অথবা ছাদে তারা যে সমস্ত ছবি এঁকেছিলো, সেই ছবিগুলিকেই "মুরাল" (Mural) বা ফ্রেসকো (Fresco) বা "গুহাচিত্র" বলা হয়।

(৪.) ইওরোপে অনেকটা অক্ষত ভাবে গুহাচিত্র গুলি আবিষ্কার করা গেলেও, ভারতে চরম মনোভাবাপন্ন (প্রচন্ড গরম, ঠান্ডা অতি বৃষ্টি) আবহাওয়ার কারনে অনেক গুহাচিত্র কালের নিয়মে হয় হারিয়ে গেছে নতুবা অস্পষ্ট হয়ে গেছে।

(৫.) প্রাগৈতিহাসিক কালের যে সমস্ত গুহাচিত্র গুলি পাওয়া গেছে, সেগুলি সবই দুর্ভেদ্য এবং মানুষের অগম্য স্থান গুলিতে অবস্থিত ছিলো। প্রাগৈতিহাসিক কালের এমন বেশ কিছু গুহার নির্দশন পাওয়া গেছে, যেখানে বর্তমান কালের মানুষকে প্রানের ঝুঁকি নিয়ে প্রবেশ করতে হয়েছিলো।

(৬.) গুহাচিত্র গুলি আঁকা হতো গুহার ভিতরে দুর্গম অঞ্চলে। মনে রাখতে হবে, যেসব গুহায় তারা বসবাস করতো বা সূর্যের আলো প্রবেশ করতো, ঐ সমস্ত গুহাতে কখোনই তারা গুহাচিত্র অঙ্কন করে নি।

(৭.) এমন দূর্ভেদ্য এবং গভীর অন্ধকার গুহাকে আদিম মানুষ গুহাচিত্রের জন্য কেন বেছে নিয়েছিলো, তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে নানা মত আছে। তবে বেশির ভাগ ঐতিহাসিকই মনে করেন, তন্ত্রবিদ্যা ও জাদু বিশ্বাসের কারনেই হয়তো নমস্কার পৃথিবীর প্রায় সব গুহাচিত্রই দুর্গম স্থানে আঁকা হয়।

(৮.) গুহাচিত্রে একটি পশুকে প্রথমে আঁকা হতো। পরে  আঁকার মধ্য দিয়েই তাকে শিকার বা বধ করার চিত্র ফুটিয়ে তোলা হতো। আদিম মানুষ অতিন্দ্রীয় চিন্তা বা জাদু বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে বিশ্বাস করতো, ছবিতে যা ঘটেছে, বাস্তবেও তাই ঘটবে। অর্থাৎ চিত্রের মধ্য দিয়ে পশুটিকে বধ করা সম্ভব হলে বাস্তবেও সেটি সত্য হয়ে উঠবে। 

(ii.) কিভাবে গুহাচিত্র গুলি আঁকা হতো? 

(১.) আদিম মানুষের ছবি আঁকার উপকরন গুলি ছিলো প্রাথমিক স্তরের। অন্ধকার গুহাতে চর্বি দিয়ে প্রদীপ বা মশাল জ্বেলে কাঠ কয়লা, গিরগিটির রং ও ম্যাঙ্গানিজ ব্যবহার করে আদিম মানুষ ছবি আঁকাতো।

(২.) বিভিন্ন লতাপাতা, বিভিন্ন রঙের মাটি ও প্রস্তর খড়ি দিয়ে তারা রঙ তৈরি করতো। রং কে দীর্ঘস্থায়ী করতে তারা রঙের সঙ্গে পশুর চর্বি মিশিয়ে নিতো। চর্বি মেশানোর ফলেই হাজার হাজার বছর পাড়ি দিয়ে গুহাচিত্র গুলি এখনও বেঁচে আছে।

(৩.) সাধারনত সাদা, কালো, হলুদ, ও লাল রঙ গুহাচিত্র গুলিতে দেখা গেলেও, লাল রঙের বৈচিত্র্যময় ব্যবহার প্রাগৈতিহাসিক কালের গুহাচিত্র গুলির অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিলো।

(iii.) কিভাবে গুহাচিত্রের প্রাচীনত্ব নির্নয় করা হয়? 

তিনটি পদ্ধতির সাহায্যে গুহাচিত্রের প্রাচীনত্ব নিরুপন করা হয় - 

(১.) গুহাচিত্রের ব্যবহৃত রঙ ও গুহার দেওয়ালে মশাল বা প্রদীপের কালি পরীক্ষা করে গুহাচিত্রের সময়কাল নির্নয় করা হয়।

(২.) আবার অনেক সময় চিত্রের ওপর লবন চুঁইয়ে যে আস্তরন জমে, তার ওপর রেডিও কার্বন - ১৪ পরীক্ষার মাধ্যমে সময়কাল নির্নয় করা হয়।

(৩.) অনেক সময় আবার গুহাচিত্রের ধরন ও বিষয়বস্তু দেখেও তার প্রাচীনত্ব সম্পর্কে ধারণা করা হয়। 

(iv.) গুহাচিত্রের ছবি গুলির বৈশিষ্ট্য :-

প্রাগৈতিহাসিক কালের গুহাচিত্র গুলির বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। যেমন -

  1. প্রথম দিকের গুহাচিত্র গুলি সবই ছিলো পশু কেন্দ্রীক
  2. এই সময়ের বেশিরভাগ ছবিই ছিলো শিকার চিত্র। 
  3. বিশাল আকারের জীবজন্তুর ছবি গুহার দেওয়ালে বিশাল ও বিরাট ভাবে এঁকে তার বিশালত্বের দিকটি বোঝানো হতো। 
  4. প্রথম দিকের গুহাচিত্রের ছবি গুলিতে আছে হাতী, বাঘ, ভাল্লুক, বাইশনের মতো বিশাল বিশাল পশু। 
  5. পৃথিবীর সব দেশের প্রাগৈতিহাসিক কালের গুহাচিত্র গুলিতেই হিংস্র পশুর প্রাধান্য দেখতে পাওয়া যায়। 
  6. প্রথম দিকের গুহাচিত্রে মানুষের কোন গুরুত্ব শিল্পীরা দেয় নি। ছবিতে মানুষকে আঁকলেও সাধারণত তা অবহেলার সঙ্গে আঁকা হতো। 
  7. প্রাগৈতিহাসিক কালের শেষের দিকের গুহাচিত্র গুলিতে অবশ্য মানুষের নৃত্য ও আনন্দরত অবয়বের চিত্রও পাওয়া যায়। 
  8. গুহাচিত্র গুলিতে ছবি আঁকার ক্ষেত্রে লাল রঙের বৈচিত্র্যময় ব্যবহার অন্যতম আরেকটি বৈশিষ্ট্য ছিলো। 

(v.) গুহাচিত্র আবিষ্কারের নিদর্শন : 

ইওরোপ ও ভারতে প্রাগৈতিহাসিক যুগের অনেক গুহাতে গুহাচিত্রের নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। 

(ক.) ইওরোপ গুহাচিত্রের নিদর্শন :- 

(১.) ইওরোপে মনোরম ও আরামদায়ক আবহাওয়ার কারনে ইওরোপের গুহাচিত্র গুলি কালের নিয়মে নষ্ট বা ফ্যাকাসে হয়ে যায় নি। এগুলিকে অক্ষত ভাবে পুনরুদ্ধার করা গেছে। 

(২.) ইওরোপে স্পেন ও  ফ্রান্সে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট গুহাচিত্রের নিদর্শন পাওয়া গেছে। ঐ দুটি দেশে প্রায় ৭০ টি গুহাচিত্র পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আলতামিরা গুহাচিত্র হলো সর্বপ্রাচীন। 

(৩.) ১৮৭৮ খ্রিঃ স্পেনের আলতামিরা গুহা, ১৮৯৫ খ্রিঃ ফ্রান্সের লা মুথ্ গুহা ও ১৮৯৬ সালে ফ্রান্সের পেয়ার - নন পেয়ার গুহা, লাসকো ও আইজিস গুহা আবিষ্কৃত হয়। 

(৪.) এছাড়া, ইতালিতে দুটি গুহাচিত্র এবং উত্তর ইংল্যান্ড, হল্যান্ড এবং পশ্চিম ইওরোপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশাল অঞ্চল জুড়ে অনেকগুলি গুহাচিত্র পাওয়া গেছে। 

স্পেনের আলতামিরা গুহার পরিচয় :- 

(৫.) স্পেনের আলতামিরা গুহাটি ১৮৬৮ খ্রিঃ আবিষ্কার করেন মারসেলিনো ডি সাউটুওলা নামে এক অপেশাদার প্রত্নতত্ত্ববিদ। 

(২.) আলতামিরা গুহার দেয়ালে আঁকা বাইসনের চিত্রটি আবিষ্কার করেন মারসেলিনোর ৮ বছরের কন্যা মারিয়া। 

(৩.) স্পেনের আলতামিরা গুহাচিত্রে আঁকা বাইসনের চিত্রটি ছিলো আদিম মানুষের আঁকা প্রথম গুহাচিত্র। আনুমানিক ১৬,৫০০ - ১৪,০০০ খ্রিঃ পূর্বাব্দে এই চিত্রটি লাল কালো রঙ দিয়ে আঁকা হয়েছিলো। 

(খ.) ভারতের গুহাচিত্রের নিদর্শন :- 

(১.) ভারতের গুহা গুলিতে আদিম মানুষের আঁকা ছবির খুব ভালো নিদর্শন পাওয়া যায় নি। এর কারন ছিলো দুটি - (এক.) গুহার মুখ গুলি ছিলো অনাবৃত, এবং (দুই.) ভারতের আবহাওয়া হলো বৈচিত্র্যময়। শীত যেমন তীব্র, তেমনই প্রচন্ড গরম পাথরকে অনেকখানি তাতিয়ে দেয়। আবার বর্ষা এখানে হয় প্রবলভাবে। এসবের কারনেই উন্মুক্ত স্থানের ছবি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে নি। রঙের উজ্জ্বলতা দ্রুত হারিয়ে যায়

(২.) ভারতে গুহাচিত্রের গুহা :-  এই প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ভারতের বেশ কিছু গুহাতে প্রাগৈতিহাসিক কালের গুহাচিত্র পাওয়া গেছে। যেমন -
  • (i.) মধ্যপ্রদেশের ভীমবেটকা, আদমগড় ও পাঁচমারী গুহা
  • (ii.) ঊড়িষ্যার রামগড় পাহাড়ের পাদদেশে যোগীমারা গুহা
  • (iii.) দক্ষিণ ভারতের ময়ূর পাহাড়ের গুহাচিত্র
  • (iv.) কাশ্মীরের মহাদেব পাহাড়ের গুহাচিত্র
ভারতে গুহাচিত্রের উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র :- এককথায়, ভারতের যে কেন্দ্র গুলিতে প্রাগৈতিহাসিক কালের গুহাচিত্র পাওয়া গেছে, সেগুলি হল - 
  • সিংহানপুর, 
  • মহাবারিয়া, 
  • ভালদারিয়া, 
  • চক্রধরপুর, 
  • জিয়াগড়, 
  • মহাদেও, 
  • ঘাটশিলা, 
  • রাজপুর, 
  • বান্দা, 
  • কোটা, 
  • শিবানী মালোয়া, 
  • ভীমবেটকা
  • পাঁচমারী
(৩.)ভারতে গুহাচিত্রের আবিষ্কারক :- ভারতে এইসব গুহাচিত্র আবিষ্কারকদের মধ্যে ছিলেন -
  • গর্ডন, 
  • আলেকজান্ডার কানিংহাম, 
  • ফরসাইব, 
  • অ্যান্ডারশন
  • ড. বিষ্ণু শ্রীধর ওয়াকাঙ্কর। 

ভারতের ভিমবেটকা গুহার পরিচয় :- 

(১.) ভীমবেটকা গুহা মধ্যপ্রদেশের রাইসিন জেলায় অবস্থিত। 
(২.) বিন্ধ্য পর্বতের নির্জন জঙ্গলে ভিমবেটকা নামক পাহাড়ী অঞ্চলে ভিমবেটকা গুহাটি অবস্থিত ছিলো। 
(৩.) প্রস্তর যুগ থেকে ঐতিহাসিক যুগ পর্যন্ত হাজার হাজার ছবি আঁকা হয়েছে ভিমবেটকার গুহা গুলিতে। 
(৪.) প্রায় কুড়ি থেকে তিরিশ হাজার বছর আগে ভিমবেটকায় গুহাচিত্র আঁকার কাজ শুরু হয়েছিলো। 
(৫.) ভীমবেটকায় ছবি গুলি আঁকা হয়েছে খয়রি এবং সবুজ রং দিয়ে। 
(৬.) ভীমবেটকার গুহাচিত্র গুলিতে যেসব চিত্র দেখা যায়, সেগুলি হল - 
  • হাতি
  • সম্বর
  • হরিন
  • বুনো মহিষ
  • ছাগল
  • ময়ূর
  • সাপ
  • সূর্য 
  • ধনুক সহ শিকারি
  • শিকারের দৃশ্য 
  • তির ধনুক
  • বর্শা
  • মানুষের উদ্দাম নৃত্যের ছবি
  • ঘোড়ায় চেপে যুদ্ধের ছবি
(৭.) ভীমবেটকায় কিছু এক্সরে পদ্ধতিতে আঁকা ছবির নমুনা আছে, যেখানে পশুর হাড়গোড় স্পষ্ট করে এঁকে দেখানো আছে। 
(৮.) ১৯৫৭ খ্রিঃ ড. বিষ্ণু শ্রীধর ওয়াকাঙ্কর ভিমবেটকা ভীমবেটকা গুহা আবিষ্কার করেন। 

(vi.) ইতিহাসের উপাদান হিসাবে গুহাচিত্র কতখানি গুরুত্বপূর্ণ ? 

(১.) মানুষের মনের ভাব ও চিন্তাধারার অভিব্যক্তি ছবির মাধ্যমে ফুটে ওঠে। শিল্পকলাকে বাদ দিয়ে কোন জাতীর ইতিহাস সম্পূর্ন রূপ পেতে পারে না। শিল্পের মধ্যে জাতির মানসকল্পনা ধরা পড়ে। প্রাগৈতিহাসিক গুহাচিত্র গুলি সেই সময়ে মানুষের চিন্তাধারা, মনস্তত্ত্ব ও জীবন সংগ্রামের দিক গুলি আমাদের বুঝতে সাহায্য করে। 

(২.) প্রাগৈতিহাসিক কালে মানুষ যে দলবদ্ধ ভাবে থাকতো এবং দলবদ্ধ ভাবে শিকার করতো, তা একমাত্র গুহাচিত্র থেকেই জানতে পারা যায়। 

(৩.) পশু শিকারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন হাতিয়ার ও অস্ত্রের ব্যবহার কিভাবে করা হতো, তাও গুহাচিত্র থেকে জানা যায়। গুহাচিত্র থেকেই জানা সম্ভব হয়েছে, মধ্য প্রস্তর যুগের মানুষরা তীর ধনুকের মতো হাতিয়ার ব্যবহার করতো। 

(৪.) গুহাচিত্র থেকে পৃথিবীর কোন এলাকায় কোন জীবজন্তু বেঁচে ছিলো এবং বাস করতো তার পরিচয় পাওয়া যায়। যেমন - আফ্রিকার গুহাচিত্র থেকে পৃথিবীতে হারিয়ে যাওয়া দশটি পশুর পরিচয় পাওয়া যায়। 

(৫.) প্রাগৈতিহাসিক কালে ভারতে কি ধরনের জীবজন্তুর অস্তিত্ব ছিলো, তাও ভারতের গুহাচিত্র থেকে জানতে পারা যায়। ভারতের প্রাগৈতিহাসিক গুহাচিত্র গুলিতে যেসব জীবজন্তুর পরিচয় পাওয়া যায়, তা হল - বন্য মোষ, হরিন, সম্বর, বন্য কুকুর, বানর, নেউল, বাঘ, সজারু, চিতা, হাতি, হায়না, ভাল্লুক, খরগোশ, ময়ূর, কুমীর, মোরগ, হাঁস,। এর মধ্যে জিরাফের মতো লম্বা ঘাড়যুক্ত একটি জন্তুর ছবিও পাওয়া গেছে। অনেক ঐতিহাসিক এটিকে জিরাফ বলে চিহ্নিত করেছিলেন। 

(৬.) মানুষের ধর্মের জন্ম হয়েছিলো অতিন্দ্রীয় চিন্তা ও অতিন্দ্রীয় জগতের কল্পনা থেকে। এই চিন্তাধারার আদিমতম রূপের অনুশীলন গুহাচিত্র গুলি থেকেই শুরু হয়েছিলো। অলৌকিক চিন্তা ও জাদু বিদ্যার অনুশীলন স্বরূপ আদিম মানুষ দুর্গম স্থানে গুহাচিত্র গুলি অঙ্কন করেছিলো। তাদের বিশ্বাস ছিলো ছবিতে যেমন ভাবে আঁকা হবে, বাস্তবেও তাই ঘটবে। পরবর্তীকালে এই অতিন্দ্রীয় বিদ্যার চর্চা থেকেই ধর্ম ও দেব দেবীর চিন্তা আসে। তাই মানব সভ্যতার ইতিহাস রচনার মূল সূত্র গুলির উৎস অনুসন্ধান করতে হলে, গুহাচিত্রকে কখনোই ইতিহাস থেকে বাদ দেওয়া চলে না। 

(vii.) ঐতিহাসিক যুগের গুহাচিত্রের পরিচয় :-

(১.) গুহাচিত্র যে শুধু প্রাগৈতিহাসিক কালে পাওয়া গেছে, এমন নয়। ঐতিহাসিক যুগেও গুহাচিত্রের ঐতিহাসিক নিদর্শন পাওয়া গেছে। এর অন্যতম ও শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হলো ভারতের অজন্তা গুহাচিত্র। 

(২.) অজন্তার গুহাচিত্র গুলি বৌদ্ধ জাতক ও গৌতম বুদ্ধের জীবনীকে অবলম্বন করে আঁকা হয়েছিলো। 

(৩.) অজন্তা গুহা প্রথম আবিষ্কৃত হয় ১৮১৭ খ্রিঃ। 

(৪.) জেমস ফার্গুসন ও ডঃ বার্জেসের চেষ্টায় অজন্তার গুহাচিত্র গুলি জনসমক্ষে আসে। 

(৫.) তৎকালীন সময়ের নান্দনিকতা, সাজ পোশাক, ইত্যাদি বহুবিধ দিকের পরিচয় অজন্তার গুহাচিত্র গুলি থেকে জানতে পারা যায়। 

মক টেস্ট 

মক টেস্ট দেওয়ার জন্য নিন্মলিখিত প্রশ্ন গুলির উত্তর দাও :-

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post